নওদা বুরুজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নিবন্ধ সম্প্রসারণ
হালনাগাদ করা হল
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
| native_language3 =
| native_language3 =
| other_name = ষাঁড় ‍বুরুজ
| other_name = ষাঁড় ‍বুরুজ
| image = Naoda Buruz 06.jpg
| image = Naoda Buruz 07.jpg
| image_size = 250
| image_size = 250
| alt =
| alt =

১৭:৪৬, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নওদা বুরুজ
ষাঁড় ‍বুরুজ
ষাঁড় ‍বুরুজ এর পার্শ্বদৃশ্য
ধরনপ্রাচীন প্রত্নসম্পদ ও লুকায়িত ইতিহাস সমৃদ্ধ স্থান
অবস্থাননওদা
নিকটবর্তী শহররহনপুর
নির্মাণের কারণঅজানা
মালিকবাংলাদেশ প্রত্নতাত্বিক অধিদপ্তর

নওদা বুরুজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে অবস্থিত বর্তমানে সর্ব প্রাচীন প্রত্নসম্পদ ও লুকায়িত ইতিহাস সমৃদ্ধ স্থান।[১] স্থানীয়ভাবে এটি ষাঁড়বুরুজ নামেও পরিচিত।

অবস্থান

চাঁপাই নবাবগঞ্জের ২৮ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত বিখ্যাত বাণিজ্য কেন্দ্র রহনপুর। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ক্ষুদ্র অথব খরস্রোতা নদী পুনর্ভবা। মহানন্দাপুনর্ভবার মিলনস্থল এর নিকটেই নওদা বুরুজ এর অবস্থান। রহনপুর রেল স্টেশনের ঠিক উত্তরে এক কিলোমিটার গেলেই বেশ কিছু উঁচু একটি ঢিবি নজরে পড়ে। গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার দূরে নওদা নামক স্থানে এটি অবস্থিত। খালি চোখে দেখলে মনে হবে একটি বিশাল ঢিবি। কিন্তু অনুসন্ধানী চোখে দেখলে মনে হবে তমাশাচ্ছন্ন ইতিহাসের কালো মেঘে স্থানটি ঢাকা।

ইতিহাস

রাজা লক্ষন সেনের আমলে রহনপুর বাণিজ্য নগরী হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।[২] বাণিজ্যিক কারণে রহনপুরেই তিনি গড়ে তোলেন সুরম্য অট্টালিকা, যার মধ্যে মসজিদই প্রধান। ষাঁড়বুরুজ নামে খ্যাত এই বিলীন অট্টালিকাটির প্রকৃত নাম শাহ্বুরুজ। শাহ্ শব্দের অর্থ বাদশা আর বুরুজ শব্দের অর্থ অট্টালিকা বা বালাখানা।[২] যা পরবর্তীতে লোকমুখে ষাঁড়বুরুজ নামে খ্যাতি লাভ করে।

বাংলা বিজয়ী ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী এ পথে বাংলায় আগমন করেন এবং এ স্থানে কিছু সময় অবস্থান করেন। ইতিহাসে পরিচিত নদীয়া অঞ্চলটি এ স্থাপনাগুলির অঞ্চলের পাশেই অবস্থিত। যা পরবর্তীতে নওদা নামে পরিচিতি লাভ করে।[২] বখতিয়ার খলজীর আগমনের সংবাদে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে রাজা লক্ষন সেন এ স্থান থেকে নদী পথে পলায়ন করেন। সেই থেকে এটি নওদা বুরুজ নামেও পরিচিত।

নওদা বুরুজের চতুষ্পার্শ্বেই শুধু নয়, গোটা রহনপুর এলাকাতেই প্রাচীনত্ব ও নগর সুলভ চিন্‌হ বিরাজমান। কোন কোন ইতিহাস অনুসন্ধানী রহনপুরে প্রাক মুসলিম যুগের উন্নত নগরীর অবস্থানের উল্লেখ করেছেন।[৩]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "নওদা বুরুজ আসলে কি?"। দৈনিক প্রথম আলো। আনোয়ার হোসেন দিলু। ২০০৮-০৫-২৩। পৃষ্ঠা অন্য আলো। 
  2. চক্রবর্তী, রজনীকান্ত (জানুয়ারি ১৯৯৯)। গৌড়ের ইতিহাস (PDF) (1 & 2 সংস্করণ)। Bankim Chatterjee Street, Calcutta 700 073: Dev's Publishing। 
  3. "ঐতিহাসিক স্থান"। ChapaiPortal।