বর্ণ (বর্ণমালা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অজয় মন্ডল (আলোচনা | অবদান)
Ashiq Shawon-এর করা 1923143 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে: কপিরাইট লঙ্ঘন। (টুইংকল)
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:


[[চিত্র:NAMA Alphabet grec.jpg|thumb|250px|right|কিছু প্রাচীন গ্রিক বর্ণ]]
[[চিত্র:NAMA Alphabet grec.jpg|thumb|250px|right|কিছু প্রাচীন গ্রিক বর্ণ]]
[[ভাষা]]র ক্ষুদ্রতম একককে লেখ্যরূপে '''বর্ণ''' ও কথ্যরূপে '''[[ধ্বনি]]'''<small>({{lang-en|letter}})</small> বলা হয় । [[বর্ণমালা]]-ভিত্তিক [[লিখন পদ্ধতি|লিখন পদ্ধতি]]সমূহে [[প্রতীক]] বা [[চিহ্ন]] হিসেবে এরা [[বাক্য]] গঠনের অন্যান্য উপাদান - [[অক্ষর]] , [[শব্দ (ব্যাকরণ)|শব্দ]] , [[পদ]] , [[খণ্ডবাক্য]] ইত্যাদি গঠন করে
'''বর্ণ''' ({{lang-en|letter}}) হল [[বর্ণমালা]]-ভিত্তিক [[লিখন পদ্ধতি|লিখন পদ্ধতির]] একটি প্রতীক-উপাদান। সাধারণত লেখ্য ভাষার প্রতিটি বর্ণ কথ্য ভাষার একটি ধ্বনিমূল নির্দেশ করে।


বর্ণমালা নয় এমন অন্যান্য লিখন পদ্ধতির প্রতীকগুলিকে বর্ণ নয়, বরং সিল্যাবোগ্রাম (অর্থাৎ সিলেবল নির্দেশক) বা লোগোগ্রাম (শব্দ বা শব্দগুচ্ছ নির্দেশক) বলা উত্তম।
বর্ণমালা নয় এমন অন্যান্য লিখন পদ্ধতির প্রতীকগুলিকে বর্ণ নয়, বরং সিল্যাবোগ্রাম (অর্থাৎ সিলেবল নির্দেশক) বা লোগোগ্রাম (শব্দ বা শব্দগুচ্ছ নির্দেশক) বলা উত্তম।

== বাংলাভাষা ==
ধ্বনি নির্দেশক চিহ্নকে বলা হয় বর্ণ/ Letter । বর্ণ দুই প্রকার । যেমন : স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ

===== বর্ণমালা =====
যে কোনো ভাষায় ব্যবহৃত লিখিত বর্ণসমষ্টিকে সেই ভাষার বর্ণমালা / Alphabet বলা হয়।

===== বঙ্গলিপি =====
যে বর্ণমালায় বাংলা ভাষা লিখিত হয় তাকে বলা হয় বঙ্গলিপি ।

===== বাংলা বর্ণমালা =====
বাংলা র্বণমালায় মোট ৫০টি র্বণ রয়েছে। তার মধ্যে স্বরর্বণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনর্বণ ৩৯ টি
স্বরর্বণ : অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ ১১টি
ব্যঞ্জনর্বণ :
ক খ গ ঘ ঙ (ক-র্বগ) ৫টি
চ ছ জ ঝ ঞ (চ-র্বগ) ৫টি
ট ঠ ড ঢ ণ (ট-র্বগ) ৫টি
ত থ দ ধ ন (ত-র্বগ) ৫টি
প ফ ব ভ ম (প-র্বগ) ৫টি
য র ল ৩টি
শ ষ স হ ৪টি
ড় ঢ় য় ৎ ৪টি
ং ঃ ঁ ৩টি
৩৯টি
মোট ৫০টি
বিশেষ দ্রষ্টব্য বা জ্ঞাতব্য : ‘ঐ ঔ’ দুটি দ্বস্তির বা যুগ্ম স্বরধ্বনরি প্রতীক। যমেন: অই (অ+ই/ও+ই), ঔ (অ+উ/ও +উ)
র্বণমালার সংখ্যা
র্বণমালা সংখ্যা নমুনা
* র্বণমালা ৫০টি অ-ঐ, ক- ঁ র্পযন্ত
* স্বরর্বণ ১১টি অ-ঔ
* ব্যঞ্জনর্বণ ৩৯টি ক- ঁ র্পযন্ত
* র্বগীয় র্বণ ২৫টি ক খ গ ঘ ঙ /চ ছ জ ঝ ঞ /ট ঠ ড ঢ ণ/ত থ দ ধ ন /প ফ ব ভ ম
* কার ৯টি আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ,ঐ, ও, ঔ
* ফলা ৬টি ন-ফলা, ম- ফলা, ব-ফলা, য-ফলা, র-ফলা, ল-ফলা
* অল্পপ্রাণ স্বরর্বণ ৫টি অ ই উ এ ও
* মহাপ্রাণ স্বরর্বণ ৫টি আ ঈ ঊ ঐ ঔ
* অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনর্বণ ২৪টি ক গ ঙ/চ জ ঞ/ট ড ণ/ত দ ন/প ব ম/য র ল শ/ষ স ড় য়/ঃ (উচ্চারণ-র্বণ+অ)
* মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনর্বণ ১১টি খ ঘ/ছ ঝ/ঠ ঢ/থ ধ/ফ ভ ঢ় (উচ্চারণ-র্বণ+অহ)
* র্পূণমাত্রা স্বরর্বণ ৬টি অ আ /ই ঈ /উ ঊ
* মাত্রাহীন স্বরর্বণ ৪টি এ ঐ ও ঔ
* মৌলকি স্বরর্বণ ৮টি অ আ /ই ঈ /উ ঊ /এ ও
* মৌলকি স্বরর্বণ ২টি ঐ (অ/ও+ই), ঔ (অ/ও+উ)
* র্পূণমাত্রার ব্যঞ্জনর্বণ ২৬টি ক ঘ /চ ছ জ ঝ /ট ঠ ড ঢ /ত দ ন /ফ ব ভ ম /য র ল ষ/স হ ড় ঢ় য়
* র্অধমাত্রার ব্যঞ্জনর্বণ ৭টি খ গ ণ থ ধ প শ
* মাত্রাহীন ব্যঞ্জনর্বণ ৬টি ঙ ঞ ঃ ঁ ৎ ং
* আশ্রতি র্বণ ৩টি ং, ঃ, ঁ
* নাসক্যি র্বণ/অনুনাসকি ৭টি ঙ, ঞ, ণ, ন, ম, ঃ ঁ
* দ্বস্বির/যৌগকি স্বর ২৫টি অই, অউ, অয়, অও, আই, আউ, আয়, আও,ই,ি ইউ, ইয়,ে ইও, উই, উয়া এয়া, এই, এও, ওও
* যৌগকি স্বরজ্ঞাপক র্বণ ২টি ঐ ঔ
* র্স্পশ ব্যঞ্জন ২৫টি ক-ম র্পযন্ত
* উষ্মধ্বন/িশশিধ্বনি ৪টি শ, ষ, স, হ
বিশেষ দ্রষ্টব্য বা জ্ঞাতব্য : উচ্চারণের সুবিধার জন্য বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি ‘অ’ স্বরধ্বনিটি যোগ করে উচ্চারণ করা হয়ে থাকে। যেমন : ক্+অ=ক। স্বরধ্বনি সংযুক্ত না হলে অর্থাৎ উচ্চারিত ব্যঞ্জনধ্বনির প্রতীক বা বর্ণের নিচে ‘হস’ বা ‘হল’ চিহ্ন ( ্) দিয়ে লিখিত হয়। এরূপ বর্ণকে বলা হয় হসন্ত বা হসন্ত বর্ণ।

===== স্বরবর্ণ =====
স্বরধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় স্বরবর্ণ। যেমন : অ, আ, ই, ঈ, উ, উ ইত্যাদি।

===== ব্যঞ্জনবর্ণ =====
ব্যঞ্জনধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। যেমন : ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি।

===== স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ (কার) =====
কার : স্বরবর্ণের এবং কতগুলো ব্যঞ্জনবর্ণের দুটি রূপ রয়েছে। স্বরবর্ণ যখন নিরপেক্ষ বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় না তখন এর পূর্ণরূপ লেখা হয়। একে বলা হয় প্রাথমিক বা পূর্ণরূপ। যেমন : অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।

এই রূপ বা form শব্দের আদি, মধ্য, অন্ত-যে কোনো অবস্থানে বসতে পারে। স্বরধ্বনি যখন ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে যুক্ত হয়ে উচ্চারিত হয় তখন সে স্বরধ্বনিটির বর্ণ সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়। স্বরবর্ণের এই সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় সংক্ষিপ্ত স্বর বা ‘কার’। যেমন: ‘আ’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ (া)। ‘ম’-এর সঙ্গে ‘আ’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ ‘া’ যুক্ত হয়ে হয় ‘মা’। বানান করার সময় বলা হয় ম-এ আ-কার (মা)। স্বরবর্ণের নামানুসারে এদের নামকরণ করা হয়। যেমন :

আ-কার া ই-কার ি ঈ-কার ী উ-কার ু ঊ-কার ূ

ঋ-কার ৃ এ-কার ে ঐ-কার ৈ ও-কার -ো ঔ-কার -ৌ

অ-এর কোনো সংক্ষিপ্ত রূপ বা ‘কার’ নাই।

*এ/ঐ/ও/ঔ-কার শব্দের আগে যুক্ত হলে মাত্রাহীন হয় কিন্তু মাঝে যুক্ত হলে মাত্রাযুক্ত হয়। যেমন : মে/সাথে, মৈ/ মতৈক্য, কোল/কলোস, মৌ/অপকৌশল

স্বরকার ব্যঞ্জনবর্ণের যেখানে যুক্ত হয় :

ব্যঞ্জনবর্ণের পরে যুক্ত হয় : আ-কার, ঈ-কার। যেমন : মা, মী,

ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বে যুক্ত হয় : ই-কার, এ-কার, ঐ-কার। যেমন : মি, মে, মৈ,

ব্যঞ্জনবর্ণের নিচে যুক্ত হয় : উ-কার, ঊ-কার, ঋ-কার। যেমন : মু, মূ, মৃ,

ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বে ও পরে দুই দিকে যুক্ত হয় : ও-কার, ঔ-কার। যেমন : মো, মৌ

===== স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ (ফলা) =====
ফলা : স্বরবর্ণ যেমন ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে আকৃতির পরিবর্তন হয়, তেমনি কোনো কোনো ব্যঞ্জনবর্ণও কোনো কোনো স্বর কিংবা অন্য ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে আকৃতির পরিবর্তন হয় এবং কখনো কখনো সংক্ষিপ্তও হয়। যেমন : মা, ম্র ইত্যাদি। স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে যেমন ‘কার’ বলা হয় তেমনি ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় ‘ফলা’। এভাবে যে ব্যঞ্জনটি যুক্ত হয় তার নাম অনুসারে ফলার নামকরণ করা হয়। যেমন : ম-এ য-ফলা=ম্য, ম-এ র-ফলা=ম্র, ম-এ ল-ফলা=ম্ল, ম-এ ব-ফলা=স্ব র-ফলা ব্যঞ্জনবর্ণের পরে হলে লিখতে হয় নিচে। ‘ম্র’, আবার ‘র’ যদি ম-এর আগে উচ্চারিত হয়। যেমন : ম-এ রেফ ‘র্ম’ তবে লেখা হয় ওপরে ব্যঞ্জনটিতে মাথায় রেফ (র্ ) দিয়ে। ‘ফলা’ যুক্ত হলে যেমন তেমনি ‘কার’ যুক্ত হলেও বর্ণের আকৃতি পরিবর্তন ঘটে। যেমন : হ-এ উ-কার-হু, গ-এ উ-কার=গু, শ-এ উ-কার=শু, স-এ উ-কার-সু, র-এ উ-কার=রু, র-এ ঊ-কার=রূ, হ-এ ঋ-কার=হৃ।
===== স্পর্শধ্বনি =====
ক থেকে ম পর্যন্ত পঁচিশটি স্পর্শধ্বনি / Plosive -কে উচ্চারণ স্থানের দিক থেকে পাঁচটি গুচ্ছে বা বর্গে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গুচ্ছের প্রথম ধ্বনিটির নামানুসারে সে গুচ্ছের সবগুলো ধ্বনিকে বলা হয় ঐ বর্গীয় ধ্বনি। বর্গভুক্ত বলে এ ধ্বনির প্রতীকগুলোও ঐ বর্গীয় নামে অভিহিত করা হয়। যেমন :

ক খ গ ঘ ঙ ধ্বনি হিসেবে এগুলো কণ্ঠ্য ধ্বনি বর্ণ হিসেবে ‘ক’ বর্গীয় বর্ণ

চ ছ জ ঝ ঞ ু ু ু তালব্য ু ু ‘চ’ ু ু

ট ঠ ড ঢ ণ ু ু ু মূর্ধন্য ু ু ‘ট’ ু ু

ত থ দ ধ ন ু ু ু দন্ত্য ু ু ‘ত’ ু ু

প ফ ব ভ ম ু ু ু ওষ্ঠ্য ু ু ‘প’ ু ু
== আরও দেখুন ==


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১২:০৬, ৩০ আগস্ট ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কিছু প্রাচীন গ্রিক বর্ণ

বর্ণ (ইংরেজি: letter) হল বর্ণমালা-ভিত্তিক লিখন পদ্ধতির একটি প্রতীক-উপাদান। সাধারণত লেখ্য ভাষার প্রতিটি বর্ণ কথ্য ভাষার একটি ধ্বনিমূল নির্দেশ করে।

বর্ণমালা নয় এমন অন্যান্য লিখন পদ্ধতির প্রতীকগুলিকে বর্ণ নয়, বরং সিল্যাবোগ্রাম (অর্থাৎ সিলেবল নির্দেশক) বা লোগোগ্রাম (শব্দ বা শব্দগুচ্ছ নির্দেশক) বলা উত্তম।

তথ্যসূত্র