অ্যালকিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Shariful iea (আলোচনা | অবদান) অ বিষয়শ্রেণী:রসায়ন যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে |
|||
৬৩ নং লাইন: | ৬৩ নং লাইন: | ||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
||
<references /> |
<references /> |
||
[[বিষয়শ্রেণী:রসায়ন]] |
১৬:২৪, ৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
জৈব রসায়নে, অ্যালকিন বা অলিফিন হলো অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন যাতে অবশ্যই একটি বা একাধিক কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন (>C=C<) থাকবে।
সরলতম অ্যালকিনের উদাহরন হল ইথিন(C2H4)।[১]
গঠন
রাসায়নিক বন্ধন
অ্যালকিনে কমপক্ষে একটি কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন (C=C) থাকবেই। একটি C=C দ্বিবন্ধনের মধ্যে একটি বন্ধন সিগমা বন্ধন এবং আরেকটি পাই বন্ধন দিয়ে গঠিত হয়। দ্বিবন্ধন সর্বদাই একটি সিগমা বন্ধনের থেকে শক্তিশালী এবং আকারে ছোট হয়ে থাকে। একটি দ্বিবন্ধনে জড়িত থাকা দুইটি কার্বন পরমানু sp2 হাইব্রিড বন্ধনের হয়ে থাকে।[২]
আকার
বাহ্যিক কক্ষের ইলেকট্রন জোড়ার বিকর্ষনের তত্ত্ব (Valence shell electron pair repulsion অথবা VSEPR theory)থেকে জানা যায় দ্বিবন্ধনে থাকা দুইটি কার্বন পরমানুর মধ্যের কোণের পরিমাপ হবে প্রায় ১২০°। যদিও এই কোনের মাপ পার্শবর্তী গ্রুপের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরনস্বরূপ, প্রোপিলিনের C–C–C কোণের মাপ ১২৩.৯°।
ধর্ম
প্রাকৃতিক ধর্ম
অ্যালকিনের প্রাকৃতিক ধর্ম অ্যালকেনের মতই হয়। এরা গন্ধহীন, বর্ণহীন এবং দাহ্য পদার্থ। অ্যালকিনের প্রাকৃতিক অবস্থা (গ্যাসীয়, তরল, কঠিন)তার আণবিক ভরের ওপর নির্ভর করে। যেমন, সরলতম অ্যালকিন ইথিন, প্রোপিন, বিউটিন ইত্যাদি স্বাভাবিক উষ্ণতা ও চাপে গ্যাসীয়, পাঁচ থেকে পনের কার্বন বিশিষ্ঠ শাখাহীন অ্যালকিনেরা তরল এবং পনেরর বেশী কার্বন-সহ অ্যালকিনেরা মো্মের মত কঠিন পদার্থ হয়ে থাকে।
রাসায়নিক ধর্ম
অ্যালকিনের মধ্যে কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন থাকার জন্যে এরা অ্যালকেনের থেকে স্থায়ী হয় এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বেশী সক্ষম হয়ে থাকে।
সংযোজন বিক্রিয়া
অ্যালকিনে উপস্থিত পাই বন্ধনের জন্যে এরা সংযোজন বিক্রিয়া্য অংশগ্রহণ করে দ্বিবন্ধন থেকে একক বন্ধনের যৌগে রূপান্তরিত হয়।
নিম্নে অ্যালকিনের কয়েকটি সংযোজন বিক্রিয়ার উদাহরন দেওয়া হলঃ
হাইড্রোজিনেশান
হাইড্রোজিনেশান বিক্রিয়ার অ্যালকিন থেকে অ্যালকেন তৈরী হয়। এই বিক্রিয়া উচ্চ চাপ ও তাপমাত্রাতে (২০০° সেলসিয়াস) ধাতব অনুঘটকের উপস্থিতি করা হয়। প্ল্যাটিনাম, প্যালেডিয়াম, নিকেল ইত্যাদি অনুঘটক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই বিক্রিয়ার একটি উদাহরন হল, ইথিন থেকে ইথেনের উৎপাদন।
CH2=CH2 + H2 → CH3–CH3
হাইড্রেশান
হাইড্রেশান বিক্রিয়ায় অ্যালকিনের অনুর সাথে জলের অনুর সংযোজন বিক্রিয়া হয়ে অ্যালকোহল তৈরী হয়ে থাকে। যেমন নিম্নের বিক্রিয়ায়, ইথিন থেকে ইথানল তৈরী হয়েছে।
CH2=CH2 + H2O → CH3–CH2OH
হ্যালোজিনেশান
এই বিক্রিয়ায় অ্যালকিন অনুর সাথে হ্যালোজেন অনুর (সাধারনত, ক্লোরিন, ব্রোমিন) সংযোজন হয়। অ্যালকিন ক্লোরিন এবং ব্রোমিনদের সাথে বিক্রিয়া করে ডাই-ক্লোরো, ডাই-ব্রোমো যৌগ উৎপাদন করে থাকে।
CH2=CH2 + Br2 → BrCH2–CH2Br
পলিমারকরন বিক্রিয়া
পলিমারকরণ বিক্রিয়াতে অ্যালকিন ও অন্যান্য প্রতিস্থাপিত অ্যালকিনসমূহ উচ্চচাপ, উচ্চতাপ ও প্রভাবকের উপস্থিতিতে এক অণু ওপর অণুর সাথে পরপর যুক্ত হয়ে উচ্চ আণবিক ভর বিশিষ্ট যৌগ গঠন করে। এ উচ্চ আণবিক ভরবিশিষ্ট যৌগটি হল পলিমার এবং মূল মাতৃ যৌগটি হল মনোমার।
প্রস্তুতি
শিল্পোৎপাদন পদ্ধতি
কারখানাতে সাধারনত খনিজ-তৈলে প্রাপ্ত বড় হাইড্রোকার্বনকে ভেঙ্গে অ্যালকিনের উৎপাদন করা হয়।
ল্যাবরটরি পদ্ধতি[৩]
ল্যাবরটরিতে অ্যালকিন প্রস্তুতি করতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়ে থাকে। যেমনঃ
দূরীকরন পদ্ধতি(অ্যালিমিনেশন রিএক্সান)
কার্বনিল যৌগ থেকে
অ্যালকোহল ও সালফিউরিক (গাঢ়) অ্যাসিড থেকে
- অ্যালকোহল এর সাথে দ্বিগুণ পরিমাণ গাঢ় সালফিউরিক এসিড যোগ করে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অ্যালকাইল হাইড্রোজেন সালফেট উৎপন্ন করা হয়। একে ১৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে অ্যালকিন উৎপন্ন হয়।
তথ্যসূত্র
- ↑ "অ্যালকিন [Alkene] | bengalstudents.com"। bengalstudents.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০৫।
- ↑ "My Academy :: Digital Book"। www.myacademybd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০৫।
- ↑ "অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনের বিক্রিয়ার সচিত্র মেকানিজম, টেক্সট রিসোর্স এবং বোধগম্য ব্যাখ্যা (2200 শব্দের অহেতুক কিলোটিউন এবং আমার হ্যাট্রিক, বিজ্ঞান HSC পরীক্ষার্থীরা এখানে আসুন) | Techtunes | টেকটিউনস" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-১০-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০৫।