মৃত্যু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shariful iea (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী:জীববিজ্ঞান যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:


দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন হারে মারা যায়। সোমাটিক মৃত্যুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডের কোষগুলি ১৫ মিনিট এবং বৃক্কেরগুলি প্রায় ৩০ মিনিট বেঁচে থাকতে পারে। এই কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সদ্যমৃত দেহ থেকে সরিয়ে নিয়ে জীবিত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন হারে মারা যায়। সোমাটিক মৃত্যুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডের কোষগুলি ১৫ মিনিট এবং বৃক্কেরগুলি প্রায় ৩০ মিনিট বেঁচে থাকতে পারে। এই কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সদ্যমৃত দেহ থেকে সরিয়ে নিয়ে জীবিত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।

==মৃত্যু সম্পর্কে ‘শিব পুরাণ’-এর বক্তব্য==

• মৃত্যুর সবথেকে বড় প্রাকলক্ষণ টের পাওয়া যাবে দেহের ভিতরেই। পুরাণ-মতে, কোনও ব্যক্তের দেহে যদি হলদেটে ভাব দেখা যায় এবং তাতে রক্তবর্ণের আভা থাকে, তবে বুঝতে হবে তাঁর মৃত্যু সন্নিকটে।

• যদি কোনও ব্যক্তি জলে অথবা দর্পণে তাঁর ছায়া দেখতে না পান, তিনিও জানবেন তাঁর মৃত্যুর বেশি দেরি নেই।

• যদি কেউ নিজের ছায়া দেখতে না পান, তিনি জানবেন তাঁর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে মৃত্যু। কেউ যদি মুণ্ডহীন ছায়া দেখেন, সেক্ষেত্রেও বিষয়টি এক।

• মৃত্যুর আগে সবকিছুই কৃষ্ণবর্ণ হয়ে যাবে। মৃত্যুপথযাত্রীর মুখ, জিভ, কান, চোখ, নাক পাথরের মতো হয়ে যাবে।

• যদি কোনও ব্যক্তি চন্দ্রালোক, আগুন অথবা সূর্য দেখতে না পান, তিনি জানবেন তাঁর আয়ু ৬ মাস।

• কোনও ব্যক্তি যদি আকাশে ধ্রুব তারা দেখেতে না পান, তিনি জানবেন তাঁর আয়ুও অস্তাচলে।

• আকাশ, চন্দ্র, সূর্য যদি কেউ লাল বর্ণে দেখেন, তিনিও জানবেন মৃত্যু তাঁর শিয়রে কড়া নাড়ছে।<ref>http://ebela.in/lifestyle/signs-of-death-according-to-shiv-purana-dgtl-1.441510</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

০৩:১৬, ৩ আগস্ট ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মৃত্যুর প্রতীকী চিত্র
রেম্ব্রানটের ছবিতে ময়না-তদন্ত

মৃত্যু (ইংরেজি: Death) বলতে জীবনের সমাপ্তি বুঝায়। জীববিজ্ঞানের ভাষায় প্রাণ আছে এমন কোন জৈব পদার্থের (বা জীবের) জীবনের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে। অন্য কথায়, মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা (state, condition) যখন সকল শারিরীক কর্মকাণ্ড যেমন শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ, পরিচলন, ইত্যাদি থেমে যায়। কোন জীবের মৃত্যু হলে তাকে মৃত বলা হয়।

মৃত্যু বিভিন্ন স্তরে ঘটে থাকে। সোমাটিক মৃত্যু হল সামগ্রিকভাবে কোন জীবের মৃত্যু। নির্দিষ্ট অঙ্গ, কোষ বা কোষাংশের মৃত্যুর আগেই এটি ঘটে। এতে হৃৎস্পন্দন, শ্বসন, চলন, নড়াচড়া, প্রতিবর্ত ক্রিয়া ও মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। সোমাটিক মৃত্যু ঠিক কখন ঘটে তা নির্ণয় করা দুরূহ, কেননা কোমা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, এবং ঘোর বা ট্রান্সের মধ্যে থাকা ব্যক্তিও একই ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে থাকেন।

সোমাটিক মৃত্যুর পর অনেকগুলি পরিবর্তন ঘটে যা থেকে মৃত্যুর সময় ও কারণ নির্ণয় করা যায়। মারা যাবার পরপরই পার্শ্ববর্তী পরিবেশের প্রভাবে দেহ ঠান্ডা হয়ে যায়, যাকে বলে Algor mortis। মারা যাবার পাঁচ থেকে দশ ঘণ্টা পরে কঙ্কালের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়, যাকে বলে Rigor mortis, এবং এটি তিন-চার দিন পরে শেষ হয়ে যায়। রেখে দেয়া দেহের নীচের অংশে যে লাল-নীল রঙ দেখা যায়, তাকে বলে Livor mortis; রক্ত জমা হবার কারণে এমন হয়। মৃত্যুর খানিক বাদেই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। আর তারপরে দেহের যে পচন শুরু হয়, তার জন্য দায়ী এনজাইম ও ব্যাক্টেরিয়া

দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন হারে মারা যায়। সোমাটিক মৃত্যুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডের কোষগুলি ১৫ মিনিট এবং বৃক্কেরগুলি প্রায় ৩০ মিনিট বেঁচে থাকতে পারে। এই কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সদ্যমৃত দেহ থেকে সরিয়ে নিয়ে জীবিত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।

মৃত্যু সম্পর্কে ‘শিব পুরাণ’-এর বক্তব্য

• মৃত্যুর সবথেকে বড় প্রাকলক্ষণ টের পাওয়া যাবে দেহের ভিতরেই। পুরাণ-মতে, কোনও ব্যক্তের দেহে যদি হলদেটে ভাব দেখা যায় এবং তাতে রক্তবর্ণের আভা থাকে, তবে বুঝতে হবে তাঁর মৃত্যু সন্নিকটে।

• যদি কোনও ব্যক্তি জলে অথবা দর্পণে তাঁর ছায়া দেখতে না পান, তিনিও জানবেন তাঁর মৃত্যুর বেশি দেরি নেই।

• যদি কেউ নিজের ছায়া দেখতে না পান, তিনি জানবেন তাঁর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে মৃত্যু। কেউ যদি মুণ্ডহীন ছায়া দেখেন, সেক্ষেত্রেও বিষয়টি এক।

• মৃত্যুর আগে সবকিছুই কৃষ্ণবর্ণ হয়ে যাবে। মৃত্যুপথযাত্রীর মুখ, জিভ, কান, চোখ, নাক পাথরের মতো হয়ে যাবে।

• যদি কোনও ব্যক্তি চন্দ্রালোক, আগুন অথবা সূর্য দেখতে না পান, তিনি জানবেন তাঁর আয়ু ৬ মাস।

• কোনও ব্যক্তি যদি আকাশে ধ্রুব তারা দেখেতে না পান, তিনি জানবেন তাঁর আয়ুও অস্তাচলে।

• আকাশ, চন্দ্র, সূর্য যদি কেউ লাল বর্ণে দেখেন, তিনিও জানবেন মৃত্যু তাঁর শিয়রে কড়া নাড়ছে।[১]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ