সূরা তাওবাহ্‌: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Intakhab ব্যবহারকারী আত-তাওবাহ্‌ পাতাটিকে সূরা আত-তাওবাহ্‌ শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{তথ্যছক সূরা
{{Infobox Sura
|Name_of_Surah=আত-তাওবাহ্‌
|নাম=আত-তাওবাহ্‌
|Arabic_name=التوبة
|আরবি নাম=التوبة
|সূরার স্ক্রীনশট=
|Screenshot_of_Surah=
|স্ক্রীনশটের বিবরণ=
|Caption=
|Classification=[[মাদানী সূরা|মাদানী]]
|শ্রেণী=[[মাদানী সূরা|মাদানী]]
|Meaning_of_the_name=অনুশোচনা
|নামের অর্থ=অনুশোচনা
|Other_names=আল-বারাহ্ (শাস্তি থেকে অব্যাহতি)
|অন্য নাম=আল-বারাহ্ (শাস্তি থেকে অব্যাহতি)
|অবতীর্ণ হওয়ার সময়=
|Time_of_revelation=
|সূরার ক্রম=৯
|Sura_number=৯
|Number_of_verses=১২৯
|আয়াতের সংখ্যা=১২৯
|Juz'_number=১০ থেকে ১১
|পারার ক্রম=১০ থেকে ১১
|Hizb_number=১৯ থেকে ২১
|মঞ্জিল নং=১৯ থেকে ২১
|Number_of_Rukus= ১৬
|রুকুর সংখ্যা= ১৬
|সিজদাহ্‌র সংখ্যা=none
|Number_of_sajdahs=none
|শব্দের সংখ্যা=
|Number_of_words=
|অক্ষরের সংখ্যা=
|Number_of_letters=
|মুকাত্তা'আত=
|Harf-e-Mukatta'at=
|বিষয় সম্পর্কে আয়াত=
|Subjectwise_ayah=
|Previous_Sura=[[আল আনফাল]]
|পূর্ববর্তী সূরা=[[আল আনফাল]]
|Next_Sura=[[ইউনুস (সূরা)|ইউনুস]]
|পরবর্তী সূরা=[[ইউনুস (সূরা)|ইউনুস]]
|শব্দ =
|sound =
|শব্দের শিরোনাম =
|sound_title =
}}
}}
'''সূরা আত-তাওবাহ্‌''', ({{lang-ar|سورة التوبة}}, "অনুশোচনা") [[মুসলমান|মুসলমানদের]] ধর্মীয় গ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনের]] নবম [[সূরা]]। এই সূরাটি [[মাদানী সূরা|মাদানায়]] অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১২৯ টি।<ref name="green">''পবিত্র কোরআনুল করীম'' (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসীর) - মূল: তাফসীরে মা'আরেফুল ক্বোরআন, হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শাফী'; অনুবাদ ও সম্পাদনা: মাওলানা মহিউদ্দীন খান। সউদী আরবের শাসক বাদশাহ ফাহদ ইবনে আবদুল আজীজের নির্দেশে ও পৃষ্ঠপোষকতায় মুদ্রিত।</ref> [[আরবি ভাষা|আরবি]] ''তওবা'' অর্থ ক্ষমা (Ultimatum) - একে সূরা তওবা বলা হয়, কারণ এতে মুসলমানদের তওবা কবুল হওয়ার বর্ণনা রয়েছে। সূরাটির অন্য নাম হলো '''বারা'আত''' - একে বারা'আত বলা হয় কারণ, এতে কাফেরদের তথা অবিশ্বাসীদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ও তাদের ব্যাপারে দায়িত্ব-মুক্তির উল্লেখ আছে।
'''সূরা আত-তাওবাহ্‌''', ({{lang-ar|سورة التوبة}}, "অনুশোচনা") [[মুসলমান|মুসলমানদের]] ধর্মীয় গ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনের]] নবম [[সূরা]]। এই সূরাটি [[মাদানী সূরা|মাদানায়]] অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১২৯ টি।<ref নাম="green">''পবিত্র কোরআনুল করীম'' (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসীর) - মূল: তাফসীরে মা'আরেফুল ক্বোরআন, হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শাফী'; অনুবাদ ও সম্পাদনা: মাওলানা মহিউদ্দীন খান। সউদী আরবের শাসক বাদশাহ ফাহদ ইবনে আবদুল আজীজের নির্দেশে ও পৃষ্ঠপোষকতায় মুদ্রিত।</ref> [[আরবি ভাষা|আরবি]] ''তওবা'' অর্থ ক্ষমা (Ultimatum) - একে সূরা তওবা বলা হয়, কারণ এতে মুসলমানদের তওবা কবুল হওয়ার বর্ণনা রয়েছে। সূরাটির অন্য নাম হলো '''বারা'আত''' - একে বারা'আত বলা হয় কারণ, এতে কাফেরদের তথা অবিশ্বাসীদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ও তাদের ব্যাপারে দায়িত্ব-মুক্তির উল্লেখ আছে।


== বৈশিষ্ট্য ==
== বৈশিষ্ট্য ==
=== ''বিসমিল্লাহ''-হীনতা ===
=== ''বিসমিল্লাহ''-হীনতা ===
এই সূরার বৈশিষ্ট্য হলো এর শুরুতে ''বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম'' লেখা হয় না। কারণ কোরআন শরীফের বিভিন্ন অংশ ২৩ বছরের দীর্ঘ পরিসরে অবতীর্ণ হয়েছিল। কখনও একটি পূর্ণাঙ্গ সূরাও ভেঙে ভেঙে অবতীর্ণ হতো। [[জিব্রাইল]] (আ:) তা কোথায় বসাতে হবে, তা বলে দিতেন। যখন ''বিসমিল্লাহ'' অবতীর্ণ হতো তখন বোঝা যেত, আগের সূরার অবতরণ শেষ হয়েছে। কিন্তু সূরা তওবা অবতরণে কোনো বিসমিল্লাহ অবতীর্ণ হয়নি এবং রাসুল(সা:)ও তা লিখে যেতে নির্দেশ দেননি। এই অবস্থায় রাসুল(সা:) ইন্তেকাল করেন। পরবর্তিতে খলীফা ওসমান গনী [রাঃ] বিসমিল্লাহ দেখতে না পেয়ে একে অন্য সূরার অন্তর্ভুক্ত মনে করেন। অনেকে একে [[আল আনফাল|সূরা আনফালের]] অংশ মনে করেন। তাই আয়াত-সংখ্যার দিক দিয়ে বেশি হওয়াসত্ত্বেয় সাবধানতার খাতিরে কোরআন সংকলনের সময় একে সূরা আনফালের পরে স্থান দেয়া হয়েছে।<ref name="green"/>
এই সূরার বৈশিষ্ট্য হলো এর শুরুতে ''বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম'' লেখা হয় না। কারণ কোরআন শরীফের বিভিন্ন অংশ ২৩ বছরের দীর্ঘ পরিসরে অবতীর্ণ হয়েছিল। কখনও একটি পূর্ণাঙ্গ সূরাও ভেঙে ভেঙে অবতীর্ণ হতো। [[জিব্রাইল]] (আ:) তা কোথায় বসাতে হবে, তা বলে দিতেন। যখন ''বিসমিল্লাহ'' অবতীর্ণ হতো তখন বোঝা যেত, আগের সূরার অবতরণ শেষ হয়েছে। কিন্তু সূরা তওবা অবতরণে কোনো বিসমিল্লাহ অবতীর্ণ হয়নি এবং রাসুল(সা:)ও তা লিখে যেতে নির্দেশ দেননি। এই অবস্থায় রাসুল(সা:) ইন্তেকাল করেন। পরবর্তিতে খলীফা ওসমান গনী [রাঃ] বিসমিল্লাহ দেখতে না পেয়ে একে অন্য সূরার অন্তর্ভুক্ত মনে করেন। অনেকে একে [[আল আনফাল|সূরা আনফালের]] অংশ মনে করেন। তাই আয়াত-সংখ্যার দিক দিয়ে বেশি হওয়াসত্ত্বেয় সাবধানতার খাতিরে কোরআন সংকলনের সময় একে সূরা আনফালের পরে স্থান দেয়া হয়েছে।<ref নাম="green"/>


যেহেতু অবতরণের সময়ই এর শুরুতে বিসমিল্লাহ ছিল না, তাই বিজ্ঞ 'আলেমদের বক্তব্য হলো, কেউ যদি সূরা আনফালের পরে সূরা তওবা পড়ে, তাহলে সে বিসমিল্লাহ পড়বে না; তবে কেউ যদি পরম্পরাহীনভাবে সূরা তওবাই প্রথমে পড়ে, তাহলে বিসমিল্লাহ জুড়ে নিবে। অনেকে বিসমিল্লাহ'র বদলে '' 'আঊযুবিল্লা-হি মিন না-র'' পড়ে থাকেন, যার কোনো ভিত্তি কোনো বিশুদ্ধ হাদিস থেকে প্রমাণিত নয়।<ref name="green"/>
যেহেতু অবতরণের সময়ই এর শুরুতে বিসমিল্লাহ ছিল না, তাই বিজ্ঞ 'আলেমদের বক্তব্য হলো, কেউ যদি সূরা আনফালের পরে সূরা তওবা পড়ে, তাহলে সে বিসমিল্লাহ পড়বে না; তবে কেউ যদি পরম্পরাহীনভাবে সূরা তওবাই প্রথমে পড়ে, তাহলে বিসমিল্লাহ জুড়ে নিবে। অনেকে বিসমিল্লাহ'র বদলে '' 'আঊযুবিল্লা-হি মিন না-র'' পড়ে থাকেন, যার কোনো ভিত্তি কোনো বিশুদ্ধ হাদিস থেকে প্রমাণিত নয়।<ref নাম="green"/>


=== অবিশ্বাসীদের সাথে সম্পর্কের আলোচনা ===
=== অবিশ্বাসীদের সাথে সম্পর্কের আলোচনা ===
সূরা তওবার সর্বত্র কিছু যুদ্ধ (মক্কা বিজয়, হোনাইন যুদ্ধ, তাবুক যুদ্ধ), যুদ্ধ সংক্রান্ত ঘটনাবলী এবং এসংক্রান্ত হুকুম, মাসায়েল ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে। এসকল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আরবের সকল গোত্রের সাথে সকল চুক্তি বাতিলের নির্দেশ আসে।<ref name="green"/>
সূরা তওবার সর্বত্র কিছু যুদ্ধ (মক্কা বিজয়, হোনাইন যুদ্ধ, তাবুক যুদ্ধ), যুদ্ধ সংক্রান্ত ঘটনাবলী এবং এসংক্রান্ত হুকুম, মাসায়েল ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে। এসকল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আরবের সকল গোত্রের সাথে সকল চুক্তি বাতিলের নির্দেশ আসে।<ref নাম="green"/>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৫:২১, ২৩ জুন ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আত-তাওবাহ্‌
التوبة
শ্রেণীমাদানী
নামের অর্থঅনুশোচনা
অন্য নামআল-বারাহ্ (শাস্তি থেকে অব্যাহতি)
পরিসংখ্যান
সূরার ক্রম
আয়াতের সংখ্যা১২৯
পারার ক্রম১০ থেকে ১১
মঞ্জিল নং১৯ থেকে ২১
রুকুর সংখ্যা১৬
সিজদাহ্‌র সংখ্যাnone
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা আনফাল
পরবর্তী সূরা →সূরা ইউনুস
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

সূরা আত-তাওবাহ্‌, (আরবি: سورة التوبة, "অনুশোচনা") মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের নবম সূরা। এই সূরাটি মাদানায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১২৯ টি।[১] আরবি তওবা অর্থ ক্ষমা (Ultimatum) - একে সূরা তওবা বলা হয়, কারণ এতে মুসলমানদের তওবা কবুল হওয়ার বর্ণনা রয়েছে। সূরাটির অন্য নাম হলো বারা'আত - একে বারা'আত বলা হয় কারণ, এতে কাফেরদের তথা অবিশ্বাসীদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ও তাদের ব্যাপারে দায়িত্ব-মুক্তির উল্লেখ আছে।

বৈশিষ্ট্য

বিসমিল্লাহ-হীনতা

এই সূরার বৈশিষ্ট্য হলো এর শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখা হয় না। কারণ কোরআন শরীফের বিভিন্ন অংশ ২৩ বছরের দীর্ঘ পরিসরে অবতীর্ণ হয়েছিল। কখনও একটি পূর্ণাঙ্গ সূরাও ভেঙে ভেঙে অবতীর্ণ হতো। জিব্রাইল (আ:) তা কোথায় বসাতে হবে, তা বলে দিতেন। যখন বিসমিল্লাহ অবতীর্ণ হতো তখন বোঝা যেত, আগের সূরার অবতরণ শেষ হয়েছে। কিন্তু সূরা তওবা অবতরণে কোনো বিসমিল্লাহ অবতীর্ণ হয়নি এবং রাসুল(সা:)ও তা লিখে যেতে নির্দেশ দেননি। এই অবস্থায় রাসুল(সা:) ইন্তেকাল করেন। পরবর্তিতে খলীফা ওসমান গনী [রাঃ] বিসমিল্লাহ দেখতে না পেয়ে একে অন্য সূরার অন্তর্ভুক্ত মনে করেন। অনেকে একে সূরা আনফালের অংশ মনে করেন। তাই আয়াত-সংখ্যার দিক দিয়ে বেশি হওয়াসত্ত্বেয় সাবধানতার খাতিরে কোরআন সংকলনের সময় একে সূরা আনফালের পরে স্থান দেয়া হয়েছে।উদ্ধৃতি ত্রুটি: শুরুর <ref> ট্যাগটি সঠিক নয় বা ভুল নামে রয়েছে

যেহেতু অবতরণের সময়ই এর শুরুতে বিসমিল্লাহ ছিল না, তাই বিজ্ঞ 'আলেমদের বক্তব্য হলো, কেউ যদি সূরা আনফালের পরে সূরা তওবা পড়ে, তাহলে সে বিসমিল্লাহ পড়বে না; তবে কেউ যদি পরম্পরাহীনভাবে সূরা তওবাই প্রথমে পড়ে, তাহলে বিসমিল্লাহ জুড়ে নিবে। অনেকে বিসমিল্লাহ'র বদলে 'আঊযুবিল্লা-হি মিন না-র পড়ে থাকেন, যার কোনো ভিত্তি কোনো বিশুদ্ধ হাদিস থেকে প্রমাণিত নয়।উদ্ধৃতি ত্রুটি: শুরুর <ref> ট্যাগটি সঠিক নয় বা ভুল নামে রয়েছে

অবিশ্বাসীদের সাথে সম্পর্কের আলোচনা

সূরা তওবার সর্বত্র কিছু যুদ্ধ (মক্কা বিজয়, হোনাইন যুদ্ধ, তাবুক যুদ্ধ), যুদ্ধ সংক্রান্ত ঘটনাবলী এবং এসংক্রান্ত হুকুম, মাসায়েল ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে। এসকল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আরবের সকল গোত্রের সাথে সকল চুক্তি বাতিলের নির্দেশ আসে।উদ্ধৃতি ত্রুটি: শুরুর <ref> ট্যাগটি সঠিক নয় বা ভুল নামে রয়েছে

তথ্যসূত্র

  1. পবিত্র কোরআনুল করীম (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসীর) - মূল: তাফসীরে মা'আরেফুল ক্বোরআন, হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শাফী'; অনুবাদ ও সম্পাদনা: মাওলানা মহিউদ্দীন খান। সউদী আরবের শাসক বাদশাহ ফাহদ ইবনে আবদুল আজীজের নির্দেশে ও পৃষ্ঠপোষকতায় মুদ্রিত।

বহিঃসংযোগ