হুগলি জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sujan.lib (আলোচনা | অবদান)
দখলে শব্দটির বানানে ভুল ছিলো । "দেখালের" পরিবর্তে "দখলে" হবে ।
৩৩ নং লাইন: ৩৩ নং লাইন:


অর্থনীতি ও শিল্পে উন্নত হলেও জেলার ৫০ % মানুষ কৃষির উপর নিরভারশীল। সমগ্র আরামবাগ মহকুমা ও জাঙ্গীপারা, পাণ্ডুয়া, ধনিয়াখালি এগুলি কৃষি ভিত্তিক।
অর্থনীতি ও শিল্পে উন্নত হলেও জেলার ৫০ % মানুষ কৃষির উপর নিরভারশীল। সমগ্র আরামবাগ মহকুমা ও জাঙ্গীপারা, পাণ্ডুয়া, ধনিয়াখালি এগুলি কৃষি ভিত্তিক।
==বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব==
{{Div col||20em}}
* [[অজয় মুখোপাধ্যায়]], স্বাধীনতা সংগ্রামী, [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের]] নেতা। [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] প্রাক্তন [[পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী|মুখ্যমন্ত্রী]]।
* [[অতুল্য ঘোষ]], স্বাধীনতা সংগ্রামী, [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের]] নেতা, [[লোকসভা|লোকসভার]] প্রাক্তন সদস্য।
* [[অনিল চট্টোপাধ্যায়]], চলচ্চিত্র অভিনেতা ও [[পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা|পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার]] প্রাক্তন সদস্য।
* [[অনুপকুমার]], চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেতা।
* [[অশোক মিত্র]], জনগণনাতত্ত্ববিদ, প্রশাসক, সমাজবিজ্ঞানী, গবেষক, প্রাবন্ধিক, শিল্প ঐতিহাসিক ও শিল্প সমালোচক।
{{Div col end}}


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==

১৪:০৩, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হুগলি জেলা
হুগলী
পশ্চিমবঙ্গেরের জেলা
পশ্চিমবঙ্গেরে হুগলির অবস্থান
পশ্চিমবঙ্গেরে হুগলির অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গের
প্রশাসনিক বিভাগবর্ধমান
সদরদপ্তরচুঁচুড়া
সরকার
 • লোকসভা কেন্দ্রআরামবাগ (১টি বিধানসভা কেন্দ্র পশ্চিম মেদিনীপুরে ), হুগলি, শ্রীরামপুর (২টি বিধানসভা কেন্দ্র হাওড়ায়)
 • বিধানসভা আসনহরিপাল, তারকেশ্বর, পুরশুড়া, আরামবাগ (ত.জা.), গোঘাট(ত.জা.), খানাকুল, সিঙ্গুর, চন্দননগর, চুচুঁড়া, বলাগড় (ত.জা.), পাণ্ডুয়া, সপ্তগ্রাম, ধনেখালি(ত.জা.), উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চাঁপদানি, চণ্ডীতলা, জঙ্গীপাড়া
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট৫০,৪১,৯৭৬
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৭৫.৫৯ শতাংশ
 • লিঙ্গানুপাতপুরুষ ৫১.৩৫ শতাংশ, মহিলা ৪৮.৬৫ শতাংশ
প্রধান মহাসড়কNH 2, NH 6, Grand Trunk Road
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত১,৫০০ মিমি
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

হুগলী ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা। হুগলী নদীর নামে এর নামকরণ করা হয়েছে।

জেলাটির সদর চুঁচুড়া-তে অবস্থিত। জেলাটির চারটি মহকুমা রয়েছে: চুঁচুড়া সদর, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, ও আরামবাগ।

ইতিহাস

বর্ধমানের দক্ষিণাংশকে বিচ্ছিন্ন করে ১৭৯৫ সালে ইংরেজরা প্রশাসনিক কারণে হুগলি জেলা তৈরি করে ছিল। হাওড়া তখনও হুগলী জেলার অংশ ছিল। জেলা বলতে কতগুলি থানার সমষ্টি। মহকুমার ধারণা তখনও জন্ম নেয়নি। এই জেলার দক্ষিণাংশ নিয়ে হাওড়া স্বতন্ত্র জেলা হিসাবে দেখা দিয়েছিল ১৮৪৩ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী। ১৮৭২ সালের ১৭ই জুন ঘটল ও চন্দ্রকোনা থানা মেদিনীপুরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।

প্রাচীনকালে সুহ্ম বা দক্ষিণ রাঢ়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল হুগলি জেলা। নদী, খাল, বিল অধ্যুষিত এই অঞ্চল ছিল কৈবর্ত ও বাগদিদের আবাসস্থল। এদের উল্লেখ রয়েছে রামায়ন, মহাভারত, মনুসংহিতা এবং পঞ্চম অশোকস্তম্ভ লিপিতে। মৎস্য শিকারই ছিল এদের প্রধান জীবিকা।

১৪৯৫ সালে বিপ্রদাস পিল্লাই রচিত মনসামঙ্গল কাব্যে হুগলী নামের উল্লেখ দেখা যায়। এর থেকে বোঝা যায় জেলার নামকরণ বিদেশীকৃত নয়। কারণ এই রচনা কালের ২২ বছর পর পর্তুগিজরা বাংলায় প্রবেশ করেছিল। ১৫৯৮ সালে রচিত আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরি গ্রন্থেও হুগলি নামের স্পষ্ট উল্লেখ আছে। ত্রিবেনীতে অবস্থিত জাফর খাঁর মসজিদ ও তাঁর মাদ্রাসায় উল্লিখিত প্রতিষ্ঠা তারিখ থেকে অনুমান করা যায় ১২৯৮ সালে জেলার উত্তারংশ মুসলমান শাসনভুক্ত হয়েছিল। ত্রিবেনী ও সাতগাঁ(সংস্কৃতে সপ্তগ্রাম)পরে ছিল স্থানীয় মুসলমান শাসকদের সদর কার্যালয়। সাতগাঁয়ে এই সময় কার একটা টাঁকশাল ছিল। ১৫১৭ সালে পর্তুগিজরা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বঙ্গদেশে প্রবেশ করে। ১৫৩৬ সালে সুলতান মাহমুদ শাহের দেওয়া সনদের বলে পর্তুগিজরা ব্যবসা শুরু করে সপ্তগ্রামে। ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে পলি জমে সরস্বতী নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়ে ভাগীরথীর খাতে এই প্রবাহ পরিবর্তিত হলে পর্তুগিজরা ভাগীরথীর তীরে হুগলি বন্দর গড়ে তোলে। ১৮২৫ সালে ওলন্দাজ ও ১৬৩৮ ইংরেজ এই বন্দরে ব্যবসা শুরু করেছিল। ওলন্দাজরা পরে চুচুঁড়ার দখল পায় নবাবদের আনুকূল্যে। ১৮২৫ সালের ৭ই মে চুচুঁড়া ইংরেজদের দখলে আসে। চুচুঁড়ার নিকটবর্তী চন্দননগর ছিল ফরাসীদের দখলে। ১৮১৬ সালের পর থেকে চন্দননগর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ফরাসীদের হাতে ছিল। ১৯৫০ সালের ২রা মে এই শহর ভারত সরকারের কর্তৃত্বাধীন আসে। আর শ্রীরামপুর ছিল ১৭৫৫ থেকে ১৮৪৫ পর্যন্ত দিনেমারদের দখলে।

অর্থনীতি ও শিল্পে উন্নত হলেও জেলার ৫০ % মানুষ কৃষির উপর নিরভারশীল। সমগ্র আরামবাগ মহকুমা ও জাঙ্গীপারা, পাণ্ডুয়া, ধনিয়াখালি এগুলি কৃষি ভিত্তিক।

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব

বহিঃসংযোগ