মইনুদ্দিন চিশতী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
পরিমার্জন
৩৪ নং লাইন: ৩৪ নং লাইন:


== ধর্ম প্রচার ==
== ধর্ম প্রচার ==
খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ছিলেন পাক-ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে কিংবদন্তিতুল্য একজন ঐতিহাসিক ছুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বীয় পীর [[উসমান হারুনী]]র নির্দেশে ভারতে আগমন করে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেন এবং তারই মাধ্যমে বহু লোক ইসলাম গ্রহণ করেন। <ref name="ittefaq.com.bd"/><ref name="আল ইহসান"/>
খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ছিলেন পাক-ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে কিংবদন্তিতুল্য একজন ঐতিহাসিক ছুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বীয় পীর [[উসমান হারুনী]]র নির্দেশে ভারতে আগমন করে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেন এবং তারই মাধ্যমে বহু লোক ইসলাম গ্রহণ করেন।<ref name="ittefaq.com.bd"/><ref name="আল ইহসান"/> তার বিখ্যাত একটি গ্রন্থ হল "আনিসুল আরওয়াহ"।


== খেলাফত প্রদান ==
== খেলাফত প্রদান ==
৪০ নং লাইন: ৪০ নং লাইন:


== মৃত্যু ==
== মৃত্যু ==
খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ৬৩৩ হিজরীর ৫ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ রজব সূর্যোদয়ের সময় ইন্তেকাল করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তাঁর কপালে সোনালী অক্ষরে লিখা ছিল হা-যা হাবিবুল্লাহ। ,মা-তা ফী হুব্বিল্লাহ( অর্থ তিনি আল্লাহর বন্ধু। আল্লাহর ভালবাসায় তাঁর মৃত্যু) । বড় ছেলে খাজা ফখরুদ্দীন চিশতী তাঁর নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। প্রতিবছর ১লা রজব হতে ৬ রজব পর্যন্ত আজমির শরীফে তাঁর সমাধিস্থলে ওরছ অনুষ্ঠিত হয়।তাঁর বিখ্যাত একটি গ্রন্থ হল "আনিসুল আরওয়াহ"। নানা ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে সমবেত হয়।<ref name="বেঙ্গলীনিউজ">{{cite web|url=http://www.bengalinews24.com/enviroment-tourism-fuel-energy/2013/08/30/17234 |title=সংবাদ মাধ্যম: বেঙ্গলীনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম, শিরোনাম: আজমির শরীফ দর্শন, লেখক: মাওলানা সাইয়্যিদ আব্দুল্লাহ উফিয়াআনহু, তারিখ: 30 আগষ্ট, 2013}}</ref>
খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ৬৩৩ হিজরীর ৫ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ রজব সূর্যোদয়ের সময় ইন্তেকাল করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। বড় ছেলে খাজা ফখরুদ্দীন চিশতী তার নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। প্রতিবছর ১লা রজব হতে ৬ রজব পর্যন্ত আজমির শরীফে তার সমাধিস্থলে ওরছ অনুষ্ঠিত হয়। নানা ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে সমবেত হয়।<ref name="বেঙ্গলীনিউজ">{{cite web|url=http://www.bengalinews24.com/enviroment-tourism-fuel-energy/2013/08/30/17234 |title=সংবাদ মাধ্যম: বেঙ্গলীনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম, শিরোনাম: আজমির শরীফ দর্শন, লেখক: মাওলানা সাইয়্যিদ আব্দুল্লাহ উফিয়াআনহু, তারিখ: 30 আগষ্ট, 2013}}</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|2}}
{{reflist|2}}
আনিসুল আরওয়াহ
লেখক খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহ


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==

১৬:৪০, ১৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

খাজা মইনুদ্দিন চিশতী
ভারতের আজমেরে মইনুদ্দিন চিশতীর দরগাহ
অন্য নামহযরত খাজা গরিব নেওয়াজ
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১১৪১
মৃত্যু১২৩৬
আজমের
ধর্মইসলাম
অন্য নামহযরত খাজা গরিব নেওয়াজ
মুসলিম নেতা
ভিত্তিকআজমের, উত্তর ভারত
কাজের মেয়াদদ্বাদশ শতাব্দীর শেষদিক ও ত্রেয়দশ শতাব্দীর প্রথমদিক
পূর্বসূরীউসমান হারুনী
উত্তরসূরীকুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী
পদসুফিবাদ

সুলতান-উল-হিন্দ, খাজা[১] মইনুদ্দিন চিশতী (উর্দু/معین الدین چشتی) (ফার্সি: چشتی,উর্দু: چشتی‎‎ - Čištī) (আরবি: ششتى - চিশতী) হলেন চিশতীয় ধারার ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক। তিনি ১১৪১ সালে জন্মগ্রহন করেন ও ১২৩৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি গরিবে নেওয়াজ (غریب نواز) নামেও পরিচিত। মইনুদ্দিন চিশতীই উপমহাদেশে প্রথম এই ধারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত করেন। তিনি ভারতে চিশতী ধারার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ধারা বা সিলসিলা এমনভাবে পরিচিত করেন পরবর্তীতে তার অনুসারীরা যেমন, বখতিয়ার কাকী, বাবা ফরিদ, নাজিমদ্দিন আউলিয়াসহ (প্রত্যেকে ক্রমানুযায়ী পূর্ববর্তীজনের শিষ্য) আরো অনেকে ভারতের ইতিহাসে সুফি ধারা এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।[২]

প্ররম্ভিক জীবন ও নেপথ্য

ধারনা করা হয় খাজা মইনুদ্দিন চিশতী ৫৩৬ হিজরী/১১৪১ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পারস্যের সিসটান রাজ্যের চিশতীতে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তিনি পারস্যে বেড়ে উঠেন। পনের বছর বয়সে তার পিতা-মাতা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তার পিতার কাছ থেকে একটি বাতচক্র (উইন্ডমিল) ও একটি ফলের বাগান উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন। কিংবদন্তী অনুসারে, একদিন তিনি তার ফলবাগানে পানি দিচ্ছিলেন তখন তার ফলবাগানে আসেন বিখ্যাত সুফি শেখ ইব্রাহিম কুন্দুজী (কুন্দুজী নামটি জন্মস্থান কুন্দুজ থেকে এসেছে)।. যুবক মইনুদ্দিন তটস্থ হয়ে যান এবং কুন্দুজীকে কিছু ফল দিয়ে আপ্যায়ন করেন। এর প্রতিদানস্বরুপ কুন্দুজী মইনুদ্দিনকে এক টুকরা রুটি দেন ও তা খেতে বলেন। এই পর তিনি তার সম্পত্তি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র গরীবদের মাঝে বিতড়ন করে দেন। এরপর তিনি বিশ্বের মায়া ত্যাগ করে জ্ঞানার্জন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বুখারার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।[৪]

ছুফি দীক্ষা

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী বোখারা থেকে নিশাপুরে আসেন। সেখানে চিস্তিয়া তরীকার অপর প্রসিদ্ধ ছুফি সাধক খাজা উসমান হারুনীর নিকট মুরীদ হন/শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তার সেবায় ২০ বছর একাগ্রভাবে নিয়োজিত ছিলেন। পরে উসমান হারুনী তাকে খেলাফত বা ছুফি প্রতিনিধিত্ব প্রদান করেন।[১]

ভ্রমণ

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী বহু দেশ ভ্রমণ করেন। তৎকালীন বিভিন্ন জ্ঞানী, গুণী, পন্ডিত, দার্শনিকসহ অসংখ্য ছুফি সাধকের সাথে সাক্ষাত করেন বলে নানা গ্রন্থে তথ্য পাওয়া যায়। তিনি ইরাকের বাগদাদে আব্দুল কাদির জিলানীর সাহচর্যে ৫৭ দিন অবস্থান করেন। তার জীবনীতে বর্ণিত আছে যে, এ সময় আব্দুল কাদির জিলানী তাকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন, ইরাকের দায়িত্ব শায়েক শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দীকে আর হিন্দুস্থানের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হলো। একই সংবাদ নিজ পীর খাজা ওসমান হারুনীর সাথে মদীনায় অবস্থান ও জিয়ারতকালে নবী মুহাম্মদ এর পক্ষ থেকে পেয়েছিলেন। তিনি আরব হতে ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান হয়ে প্রথমে লাহোর পরে দিল্লী হয়ে আজমিরে বসতি স্থাপন করেন।[৫]

ধর্ম প্রচার

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ছিলেন পাক-ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে কিংবদন্তিতুল্য একজন ঐতিহাসিক ছুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বীয় পীর উসমান হারুনীর নির্দেশে ভারতে আগমন করে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেন এবং তারই মাধ্যমে বহু লোক ইসলাম গ্রহণ করেন।[১][৫] তার বিখ্যাত একটি গ্রন্থ হল "আনিসুল আরওয়াহ"।

খেলাফত প্রদান

তিনি কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার খাকীকে খিলাফতের দায়িত্ব অর্পন[৫] করে সিলসিলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন।

মৃত্যু

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ৬৩৩ হিজরীর ৫ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ রজব সূর্যোদয়ের সময় ইন্তেকাল করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। বড় ছেলে খাজা ফখরুদ্দীন চিশতী তার নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। প্রতিবছর ১লা রজব হতে ৬ রজব পর্যন্ত আজমির শরীফে তার সমাধিস্থলে ওরছ অনুষ্ঠিত হয়। নানা ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে সমবেত হয়।[৬]

তথ্যসূত্র

  1. "সংবাদ মাধ্যম: দৈনিক ইত্তেফাক, শিরোনাম: সুলতানুল হিন্দ গরীবেনাওয়ায (রাহ.)-এর জীবনদর্শন, লেখক: ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা চিশ্তী আবুলউলায়ী, তারিখ: শুক্রবার, ১৭ মে ২০১৩" 
  2. Bhakti poetry in medieval India By Neeti M. Sadarangani. Pg 60
  3. Official Dargah Sharif's website. Other accounts say that he was born in the city of Isfahān, in Iran.
  4. Embodiment of syncretic traditions- Mohammed Iqbal
  5. "সংবাদ মাধ্যম: দৈনিক আল ইহসান, শিরোনাম: সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফাযায়িল-ফযীলত, লেখক: মাওলানা সাইয়্যিদ আব্দুল্লাহ উফিয়াআনহু, তারিখ: ২৯ মে, ২০১২" 
  6. "সংবাদ মাধ্যম: বেঙ্গলীনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম, শিরোনাম: আজমির শরীফ দর্শন, লেখক: মাওলানা সাইয়্যিদ আব্দুল্লাহ উফিয়াআনহু, তারিখ: 30 আগষ্ট, 2013" 

বহিঃসংযোগ

উইকিমিডিয়া কমন্সে মইনুদ্দিন চিশতী সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।


টেমপ্লেট:সূফীবাদ

টেমপ্লেট:Persondata