ডেভিড ওয়ার্নার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ →প্রারম্ভিক জীবন: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে |
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন |
||
১২১ নং লাইন: | ১২১ নং লাইন: | ||
আক্রমণাত্মক বামহাতি ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ওয়ার্নার। পাশাপাশি দৌঁড়িয়ে ফিল্ডিং করেন। মাঝেমাঝে স্পিন বোলারের ভূমিকাও অবতীর্ণ হন তিনি। অফ-স্পিন বোলিংয়ের সাথে লেগ স্পিন বোলিংয়ের যোগসূত্র রক্ষা করেন। ১৭০ সেন্টিমিটারের দীর্ঘদেহী শরীরে শক্তিশালী হাতের ব্যাটিংয়ে বলকে শূন্যে উঠাতে পারেন অবলীলাক্রমে। ২০০৯ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে [[টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক|টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে]] [[শন টেইট|শন টেইটের]] বলকে [[অ্যাডিলেড ওভাল|অ্যাডিলেড ওভালের]] ছাদে পাঠান। [[সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড|সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেও]] তিনি একই বোলারকে মোকাবেলা করে সফলকাম হন।<ref>[http://www.smh.com.au/news/sport/cricket/warner-coshes-redbacks-to-sour-tait-return/2009/01/06/1231004022956.html Warner coshes Redbacks to sour Tait return] SMH 7 January 2009</ref> |
আক্রমণাত্মক বামহাতি ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ওয়ার্নার। পাশাপাশি দৌঁড়িয়ে ফিল্ডিং করেন। মাঝেমাঝে স্পিন বোলারের ভূমিকাও অবতীর্ণ হন তিনি। অফ-স্পিন বোলিংয়ের সাথে লেগ স্পিন বোলিংয়ের যোগসূত্র রক্ষা করেন। ১৭০ সেন্টিমিটারের দীর্ঘদেহী শরীরে শক্তিশালী হাতের ব্যাটিংয়ে বলকে শূন্যে উঠাতে পারেন অবলীলাক্রমে। ২০০৯ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে [[টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক|টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে]] [[শন টেইট|শন টেইটের]] বলকে [[অ্যাডিলেড ওভাল|অ্যাডিলেড ওভালের]] ছাদে পাঠান। [[সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড|সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেও]] তিনি একই বোলারকে মোকাবেলা করে সফলকাম হন।<ref>[http://www.smh.com.au/news/sport/cricket/warner-coshes-redbacks-to-sour-tait-return/2009/01/06/1231004022956.html Warner coshes Redbacks to sour Tait return] SMH 7 January 2009</ref> |
||
তাসমানিয়ার বিপক্ষে [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ১৬৫ রান করে একদিনের সর্বোচ্চ রান করেন [[New South Wales cricket team|ব্লুজের]] খেলোয়াড় হিসেবে।<ref>{{cite web|url=http://www.news.com.au/dailytelegraph/story/0,22049,24726020-5001023,00.html |title=David Warner seals NSW Blues win with record knock |publisher=News.com.au |date= |accessdate=2013-08-09}}</ref> পরবর্তীতে ৫৪ বলে ৯৭ [[রান (ক্রিকেট)|রান]] করে অল্পের জন্য অস্ট্রেলীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম [[সেঞ্চুরি (ক্রিকেট)|সেঞ্চুরির]] রেকর্ড গড়তে পারেননি।<ref>{{cite web|url=http://www.news.com.au/heraldsun/story/0,21985,24763519-11088,00.html |title=Opener David Warner just misses Australia's fastest one-day centuryArticle |publisher=News.com.au |date= |accessdate=2013-08-09}}</ref> ঘরোয়া ক্রিকেটে তার এ সাফল্যের প্রেক্ষিতে জানুয়ারি, ২০০৯ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার টুয়েন্টি২০ দলে |
তাসমানিয়ার বিপক্ষে [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ১৬৫ রান করে একদিনের সর্বোচ্চ রান করেন [[New South Wales cricket team|ব্লুজের]] খেলোয়াড় হিসেবে।<ref>{{cite web|url=http://www.news.com.au/dailytelegraph/story/0,22049,24726020-5001023,00.html |title=David Warner seals NSW Blues win with record knock |publisher=News.com.au |date= |accessdate=2013-08-09}}</ref> পরবর্তীতে ৫৪ বলে ৯৭ [[রান (ক্রিকেট)|রান]] করে অল্পের জন্য অস্ট্রেলীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম [[সেঞ্চুরি (ক্রিকেট)|সেঞ্চুরির]] রেকর্ড গড়তে পারেননি।<ref>{{cite web|url=http://www.news.com.au/heraldsun/story/0,21985,24763519-11088,00.html |title=Opener David Warner just misses Australia's fastest one-day centuryArticle |publisher=News.com.au |date= |accessdate=2013-08-09}}</ref> ঘরোয়া ক্রিকেটে তার এ সাফল্যের প্রেক্ষিতে জানুয়ারি, ২০০৯ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার টুয়েন্টি২০ দলে অন্তর্ভুক্ত হন।<ref>{{cite web|last=Lalor |first=Peter |url=http://www.foxsports.com.au/story/0,8659,24887240-23212,00.html |title=Matthew Hayden considers his future after being dropped |publisher=Foxsports |date=2009-01-08 |accessdate=2013-08-09}}</ref> ১১ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকার]] বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে [[মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড|মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে]] অভিষিক্ত হন। টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধ-শতক করেন ৪৩ বল ৮৯ রান যাতে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কার মার ছিল।<ref>{{cite web|url=http://stats.cricinfo.com/ci/content/records/284094.html |title=Twenty20 Internationals - Fastest fifties |publisher=Stats.cricinfo.com |date= |accessdate=2013-08-09}}</ref> ওয়ার্নার [[ক্রিস গেইল|ক্রিস গেইলের]] শতকের চেয়ে মাত্র ১১ রান দূরে ছিলেন। অভিষেকে তার ৮৯ রান ছিল টুযেন্টি২০ আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও পঞ্চম সমতাসূচক সর্বোচ্চ স্কোর।<ref>{{cite web|url=http://www.theroar.com.au/david-warner/ |title=David Warner profile page |publisher=The Roar |date=2009-01-11 |accessdate=2013-08-09}}</ref> |
||
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে টি২০-তে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপক্ষে মাত্র ২৯ বলে ৬৭ রান করেন। তার ৫০ রান আসে মাত্র ১৮ বলে। এরফলে তিনি তার নিজস্ব ১৯ বলের রেকর্ড ভঙ্গ করেন ও [[যুবরাজ সিং|যুবরাজ সিংয়ের]] পর দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধ-শতক করেন।<ref>{{cite web|url=http://www.cricinfo.com/ausvwi09/engine/current/match/406198.html |title=2nd T20I: Australia v West Indies at Sydney, Feb 23, 2010 | Cricket Scorecard | ESPN Cricinfo |publisher=Cricinfo.com |date= |accessdate=2013-08-09}}</ref> |
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে টি২০-তে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপক্ষে মাত্র ২৯ বলে ৬৭ রান করেন। তার ৫০ রান আসে মাত্র ১৮ বলে। এরফলে তিনি তার নিজস্ব ১৯ বলের রেকর্ড ভঙ্গ করেন ও [[যুবরাজ সিং|যুবরাজ সিংয়ের]] পর দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধ-শতক করেন।<ref>{{cite web|url=http://www.cricinfo.com/ausvwi09/engine/current/match/406198.html |title=2nd T20I: Australia v West Indies at Sydney, Feb 23, 2010 | Cricket Scorecard | ESPN Cricinfo |publisher=Cricinfo.com |date= |accessdate=2013-08-09}}</ref> |
||
০২:৩৭, ২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেভিড অ্যান্ড্রু ওয়ার্নার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | প্যাডিংটন, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ২৭ অক্টোবর ১৯৮৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ব্রাদার্স (ওয়ার্নার ব্রাদার্স এন্টারটেইনম্যান্ট ইনকর্পোরেট অনুসরণে) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৭১ মিটার (৫ ফুট ৭ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ ব্রেক ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪২৬) | ১ ডিসেম্বর ২০১১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ আগস্ট ২০১৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৭০) | ১৮ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৩১ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৩২) | ১১ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৩১ আগস্ট ২০১৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭-বর্তমান | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ | ডারহ্যাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯-২০১৩ | দিল্লি ডেয়ারডেভিলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০ | মিডলসেক্স প্যান্থার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-২০১২ | সিডনি থান্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২-২০১৩ | সিডনি সিক্সার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩-বর্তমান | সিডনি থান্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪-বর্তমান | সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, 0৭ জানুয়ারি ২০১৬ |
ডেভিড অ্যান্ড্রু ওয়ার্নার (ইংরেজি: David Andrew Warner; জন্ম: ২৭ অক্টোবর, ১৯৮৬) নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের প্যাডিংটনে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।[১] খুবই দ্রুত রান সংগ্রহকারী বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ১৩২ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে ডেভিড ওয়ার্নার হচ্ছেন প্রথম ক্রিকেটার যিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার কোনরূপ পূর্ণ অভিজ্ঞতা ছাড়াই জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।[২] বর্তমানে তিনি নিউ সাউথ ওয়েলস, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং সিডনি থান্ডারের পক্ষ হয়ে খেলছেন।[৩]
প্রারম্ভিক জীবন
নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের সিডনির উত্তরাংশের উপকণ্ঠে প্যাডিংটন এলাকায় ডেভিড ওয়ার্নার জন্মগ্রহণ করেন।[১] ১৩ বছর বয়সে বল শূন্যে মারার অভ্যাসের কারণ কোচ তাকে ডানহাতে ব্যাটিং করার পরামর্শ দেন। কিন্তু এক মৌসুম পর তার মা শিলা ওয়ার্নার তাকে পুণরায় একই অবস্থানে নিয়ে যান। সিডনি কোস্টাল ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে বামহাতে ব্যাটিং করে তিনি অনূর্ধ্ব-১৬ দলের রান সংগ্রহের রেকর্ড ভঙ্গ করেন। ১৫ বছর বয়সে ইস্টার্ন সাবার্ব ক্লাবের পক্ষে প্রথম গ্রেড ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফর করেন ও রাজ্য দলের পক্ষে চুক্তিবদ্ধ হন।[৪] তিনি মাত্রাভিল পাবলিক স্কুল ও র্যান্ডউইক বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন।[৫]
খেলোয়াড়ী জীবন
আক্রমণাত্মক বামহাতি ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ওয়ার্নার। পাশাপাশি দৌঁড়িয়ে ফিল্ডিং করেন। মাঝেমাঝে স্পিন বোলারের ভূমিকাও অবতীর্ণ হন তিনি। অফ-স্পিন বোলিংয়ের সাথে লেগ স্পিন বোলিংয়ের যোগসূত্র রক্ষা করেন। ১৭০ সেন্টিমিটারের দীর্ঘদেহী শরীরে শক্তিশালী হাতের ব্যাটিংয়ে বলকে শূন্যে উঠাতে পারেন অবলীলাক্রমে। ২০০৯ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে শন টেইটের বলকে অ্যাডিলেড ওভালের ছাদে পাঠান। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেও তিনি একই বোলারকে মোকাবেলা করে সফলকাম হন।[৬]
তাসমানিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১৬৫ রান করে একদিনের সর্বোচ্চ রান করেন ব্লুজের খেলোয়াড় হিসেবে।[৭] পরবর্তীতে ৫৪ বলে ৯৭ রান করে অল্পের জন্য অস্ট্রেলীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়তে পারেননি।[৮] ঘরোয়া ক্রিকেটে তার এ সাফল্যের প্রেক্ষিতে জানুয়ারি, ২০০৯ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার টুয়েন্টি২০ দলে অন্তর্ভুক্ত হন।[৯] ১১ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অভিষিক্ত হন। টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধ-শতক করেন ৪৩ বল ৮৯ রান যাতে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কার মার ছিল।[১০] ওয়ার্নার ক্রিস গেইলের শতকের চেয়ে মাত্র ১১ রান দূরে ছিলেন। অভিষেকে তার ৮৯ রান ছিল টুযেন্টি২০ আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও পঞ্চম সমতাসূচক সর্বোচ্চ স্কোর।[১১] ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে টি২০-তে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ২৯ বলে ৬৭ রান করেন। তার ৫০ রান আসে মাত্র ১৮ বলে। এরফলে তিনি তার নিজস্ব ১৯ বলের রেকর্ড ভঙ্গ করেন ও যুবরাজ সিংয়ের পর দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধ-শতক করেন।[১২]
ট্রান্স-তাসমান ট্রফির ১ম টেস্টে শেন ওয়াটসনের আঘাতপ্রাপ্তিজনিত অনুপস্থিতিতে টেস্ট অভিষেক ঘটে ওয়ার্নারের। ১ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার এই অভিষেক। প্রথম ইনিংসে তিনি মাত্র ৩ রান করেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র চার বলে অপরাজিত ১২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। পুল শটের মাধ্যমে জয়সূচক রানটি করেন তিনি।
১২ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে তিনি তার প্রথম শতক করেন। হোবার্টে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ১২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এরফলের তিনি ৬ষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে চতুর্থ ইনিংসে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেন।[১৩]
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ১১ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করে।[১৪] এতে তিনিও অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। ৪ মার্চ, ২০১৫ তারিখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ও অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই ইতিহাসে ২য় সর্বোচ্চ ১৭৮ রান সংগ্রহ করেন। তার উপরে রয়েছে ২০১১ সালে শেন ওয়াটসনের ১৮৫ রান। এরফলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়া ৪১৭/৬ সর্বোচ্চ রান তোলে।[১৫] খেলায় তার দল ২৭৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়সহ বিশ্বকাপে সর্ববৃহৎ জয় পায়।[১৬] এ জয়টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ড আয়ারল্যান্ডকে ২৯০ রানে হারিয়েছিল। তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ "David Warner"। Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০০৯।
- ↑ Coverdale, Brydon (11 January 2009). "Warner will be hard to resist—Ponting". Cricinfo. Retrieved 15 July 2009.
- ↑ "Player Profile: David Warner". CricInfo. Retrieved 22 February 2010.
- ↑ Pandaram, Jamie (১৩ জানুয়ারি ২০০৯)। "Warner brothers come up with a blockbuster"। The Sydney Morning Herald। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০০৯।
- ↑ "Warner set to strike on return home to SCG"। Wentworth Courier। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ Warner coshes Redbacks to sour Tait return SMH 7 January 2009
- ↑ "David Warner seals NSW Blues win with record knock"। News.com.au। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৯।
- ↑ "Opener David Warner just misses Australia's fastest one-day centuryArticle"। News.com.au। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৯।
- ↑ Lalor, Peter (২০০৯-০১-০৮)। "Matthew Hayden considers his future after being dropped"। Foxsports। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৯।
- ↑ "Twenty20 Internationals - Fastest fifties"। Stats.cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৯।
- ↑ "David Warner profile page"। The Roar। ২০০৯-০১-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৯।
- ↑ "2nd T20I: Australia v West Indies at Sydney, Feb 23, 2010 | Cricket Scorecard | ESPN Cricinfo"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৯।
- ↑ Rajesh, S। "Four years, 16 defeats"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Clarke named in World Cup squad"। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Australia post Cricket World Cup record score v Afghanistan"। BBC Sport। ৪ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Jayaraman, Shiva (৪ মার্চ ২০১৫)। "Highest World Cup total, highest Australian partnership"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে David Warner (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে David Warner (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার
- ১৯৮৬-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটার
- অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেট সেঞ্চুরিকারী
- অস্ট্রেলিয়ার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
- অস্ট্রেলিয়ার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটার
- ডারহামের ক্রিকেটার
- মিডলসেক্সের ক্রিকেটার
- নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের ক্রিকেটার
- দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের ক্রিকেটার
- সিডনি থান্ডারের ক্রিকেটার
- সিডনি সিক্সার্সের ক্রিকেটার
- সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ক্রিকেটার
- বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার