জ্যাক দ্য রিপার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১১ নং লাইন: | ১১ নং লাইন: | ||
| locations = [[হোয়াইটচ্যাপেল]], [[লন্ডন]], [[যুক্তরাজ্য]] |
| locations = [[হোয়াইটচ্যাপেল]], [[লন্ডন]], [[যুক্তরাজ্য]] |
||
}} |
}} |
||
'''জ্যাক দ্য রিপার''' হল এক অজ্ঞাত-পরিচয় [[ক্রমিক হত্যাকারী|ক্রমিক হত্যাকারীর]] সর্বাধিক পরিচিত নাম। সাধারণভাবে মনে করা হয়, ১৮৮৮ সালে [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] রাজধানী [[লন্ডন]] শহরের [[হোয়াইটচ্যাপেল]] ডিস্ট্রিক্ট ও তৎসংলগ্ন এলাকায় এই খুনি সক্রিয় ছিল। জনৈক ব্যক্তি একটি [[ডিয়ার বস চিঠি|চিঠিতে]] নিজেকে হত্যাকারী বলে দাবি করেছিল। গণমাধ্যমে প্রচারিত এই চিঠিটিতেই "জ্যাক দ্য রিপার" নামটি প্রথম পাওয়া যায়। অধিকাংশের মতে, এই চিঠিটি ছিল ঠাট্টা মাত্র। খুনের ঘটনা সম্পর্কে জনগণের আগ্রহ এবং সংবাদপত্রের কাটতি বাড়াতে সাংবাদিকরাই এই চিঠিটি লিখেছিলেন। এই হত্যাকারীকে অপরাধ কেস ফাইলে "হোয়াইটচ্যাপেলের খুনি" ও "লেদার অ্যাপ্রন" নামেও অভিহিত করা হয়। এই নামদুটি সমকালীন সাংবাদিকদের লেখাতেও পাওয়া যায়। |
|||
জ্যাক দ্য রিপার কৃত যে হত্যাকাণ্ডগুলির কথা জানা যায়, সেগুলিতে সাধারণত [[ইস্ট এন্ড অফ লন্ডন|ইস্ট এন্ড অফ লন্ডনের]] বস্তি এলাকার অধিবাসী ও সেই এলাকায় কর্মরত নারী যৌনকর্মীরা জড়িত ছিল। এদের গলার নলি কেটে হত্যা করার পর পেট চিরে ফেলা হয়েছিল। অন্তত তিন জনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল শরীরের অভ্যন্তরের অন্ত্রগুলি কেটে বা দেওয়া হয়েছিল। এই দেখে অনুমান করা হয়, হত্যাকারীর শারীরতত্ত্ব বা শল্যচিকিৎসা-সংক্রান্ত কিছু জ্ঞান ছিল। ১৮৮৮ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে হত্যার গুজবগুলি ঘনীভূত হয়। এক বা একাধিক পত্রলেখক গণমাধ্যমে বা [[স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড|স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডে]] চিঠি দিয়ে নিজেকে বা নিজেদের হত্যাকারী বলে দাবি করতে থাকেন। [[হোয়াইটচ্যাপেল ভিজিল্যান্স কমিটি|হোয়াইটচ্যাপেল ভিজিলেন্স কমিটির]] [[জর্জ লাস্ক]] যে [[ফ্রম হেল চিঠি|"ফ্রম হেল" চিঠিটি]] পেয়েছিলেন, তাতে দাবি করা হয়েছিল, পত্রলেখকের কাছে জনৈক নিহতের বৃক্কের অর্ধ্বাংশ সংরক্ষিত আছে। জনসাধারণ বিশ্বাস করতে শুরু করে, "জ্যাক দ্য রিপার" নামধারী কোনো একজন হত্যাকারী এই হত্যাকাণ্ডগুলি ঘটাচ্ছে। এই বিশ্বাসের কারণ ছিল, হত্যাকাণ্ডগুলির নৃশংস চরিত্র এবং সেই সম্পর্কে গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া। |
|||
{{rough translation|date=অক্টোবর ২০১৩}} |
|||
"জ্যাক Ripper" হল সবচেয়ে বিখ্যাত নাম দেওয়া কোনো এক অজ্ঞাত পরিচয় ক্রমিক হত্যাকারী যারা কাছাকাছি লন্ডন Whitechapel 1888 সালে জেলা মূলত দরিদ্র এলাকায় ছিল সক্রিয় যাও. নামের একটি চিঠি, কেউ খুনী, যে মিডিয়া মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে দাবি দ্বারা লিখিত মধ্যে সম্ভূত. চিঠি ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়েছে একটি ধাপ্পাবাজি যাও, এবং একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা বিবরণ আগ্রহ উন্নতিলাভ করা একটি সাংবাদিক দ্বারা লিখিত হয়েছে. অন্য সময়ে হত্যাকারী জন্য ব্যবহৃত ডাকনাম ছিল "Whitechapel খুনী" এবং "ও কারিগর". |
|||
সংবাদপত্রে জ্যাক দ্য রিপারকে নিয়ে প্রচুর লেখালিখি হয়। রিপার আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে এবং সেই সঙ্গে কিংবদন্তিটিও দৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৯১ সাল পর্যন্ত [[হোয়াইটইচ্যাপেল হত্যাকাণ্ড|হোয়াইটচ্যাপেলের ১১টি নৃশংস হত্যাকাণ্ড]] নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে। কিন্তু সেগুলির সঙ্গে ১৮৮৮ সালের হত্যাকাণ্ডগুলির কোনো যোগসূত্র খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। পাঁচ জন নিহত—[[মেরি অ্যান নিকোলস]], [[অ্যানি চ্যাপম্যান]], [[এলিজাবেথ স্ট্রাইড]], [[ক্যাথরিন এডোয়েস]] ও [[মেরি জেন কেলি]]—"প্রধান পাঁচ" ("ক্যাননিক্যাল ফাইভ") নামে পরিচিত। এরা খুন হয়েছিল ১৮৮৮ সালের ৩১ অগস্ট থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে। সাধারণত মনে করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডগুলি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। এই হত্যাকাণ্ডগুলির কোনো কিনারা হয়নি। এগুলিকে ঘিরে যে কিংবদন্তি প্রচলিত, তা গড়ে উঠেছে খাঁটি ঐতিহাসিক গবেষণা, লোককথা ও [[ছদ্ম-ইতিহাস|ছদ্ম-ইতিহাসের]] সংমিশ্রণে। রিপারের ঘটনাগুলি অধ্যয়ন ও বিশ্লেষণের জন্য "রিপারতত্ত্ব" ("রিপারোলজি") নামে একটি শব্দের প্রচলন ঘটে। বর্তমানে একশোরও বেশি [[জ্যাক দ্য রিপার সন্দেহভাজন|তত্ত্ব আছে রিপারের পরিচয় সম্পর্কে]]। এই হত্যাকাণ্ডগুলিও [[কথাসাহিত্যে জ্যাক দ্য রিপার|কথাসাহিত্যে একাধিক রচনার]] অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। |
|||
আরোপিত Ripper যাও আক্রমন সাধারণত বস্তি যার throats পূর্বে পেটে mutilations কাটা হচ্ছে থেকে মহিলা prostitutes জড়িত. অভ্যন্তরীণ অঙ্গ শিকারদের কমপক্ষে তিনটি থেকে অপসারণের প্রস্তাবনা যে তাদের হত্যাকারী শারীর অস্ত্রোপচার বা জ্ঞান অধিষ্ঠিত করেন. Rumours যে হত্যার সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর 1888 সালে সংযুক্ত তীব্রতর হয়, এবং একটি লেখক বা লেখকদের খুনী হতে purporting থেকে চিঠি সংবাদমাধ্যমের এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড দ্বারা গৃহীত. "ফ্রম হেল" চিঠি, জর্জ Lusk Whitechapel উন্নিদ্রা কমিটির দ্বারা প্রাপ্ত, কল্পনানুসারে শিকার এক থেকে অর্ধেক একটি সংরক্ষিত মানুষের কিডনি এর অন্তর্ভুক্ত. প্রধানত কারণ হত্যার মধ্যে extraordinarily পাশবিক চরিত্র, এবং কারণে ঘটনা মিডিয়া চিকিত্সা, পাবলিক ক্রমবর্ধমান এসেছিলেন একটি ক্রমিক হত্যাকারী হিসাবে "জ্যাক Ripper" পরিচিত বলে মনে করেন. |
|||
সংবাদপত্র ব্যাপক কভারেজ Ripper উপর ব্যাপক এবং স্থায়ী আন্তর্জাতিক কুখ্যাতি নিহিত. নৃশংস হত্যাকান্ড একটা সিরিজ মধ্যে একটি Whitechapel মধ্যে তদন্ত যাও 1891 পর্যন্ত ছিল সব হত্যাকান্ডের সাথে সংযোগ পরেও 1888 এর হত্যার করতে অক্ষম, কিন্তু জ্যাক Ripper এর কিংবদন্তী solidified. হিসাবে হত্যার সমাধান না হয়, তাদের পার্শ্ববর্তী পৌরাণিক ওঠে জেনুইন ঐতিহাসিক গবেষণা, লোকাচারবিদ্যা, এবং pseudohistory সংমিশ্রণ. শব্দটি "ripperology" যাও Ripper ক্ষেত্রে গবেষণা এবং বিশ্লেষণ বর্ণনা সৃষ্টি করেন. হয় এখন পর্যন্ত Ripper এর পরিচয় সম্পর্কে এক শত তত্ত্ব, এবং হত্যার কথাসাহিত্য একাধিক কাজ অনুপ্রাণিত. |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:হত্যাকারী]] |
[[বিষয়শ্রেণী:হত্যাকারী]] |
১৩:২১, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৮ বছর আগে Jonoikobangali (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
জ্যাক দ্য রিপার | |
---|---|
জন্ম | পরিচয় অজ্ঞাত |
অন্যান্য নাম | "হোয়াইটচ্যাপেলের খুনি" "লেদার অ্যাপ্রন" |
হত্যাকাণ্ড | |
আক্রান্ত ব্যক্তি | অজ্ঞাত (৫টি প্রধান) |
তারিখ | ১৮৮৮-১৮৯১ (?) (১৮৮৮: ৫টি প্রধান) |
অবস্থান | হোয়াইটচ্যাপেল, লন্ডন, যুক্তরাজ্য |
জ্যাক দ্য রিপার হল এক অজ্ঞাত-পরিচয় ক্রমিক হত্যাকারীর সর্বাধিক পরিচিত নাম। সাধারণভাবে মনে করা হয়, ১৮৮৮ সালে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন শহরের হোয়াইটচ্যাপেল ডিস্ট্রিক্ট ও তৎসংলগ্ন এলাকায় এই খুনি সক্রিয় ছিল। জনৈক ব্যক্তি একটি চিঠিতে নিজেকে হত্যাকারী বলে দাবি করেছিল। গণমাধ্যমে প্রচারিত এই চিঠিটিতেই "জ্যাক দ্য রিপার" নামটি প্রথম পাওয়া যায়। অধিকাংশের মতে, এই চিঠিটি ছিল ঠাট্টা মাত্র। খুনের ঘটনা সম্পর্কে জনগণের আগ্রহ এবং সংবাদপত্রের কাটতি বাড়াতে সাংবাদিকরাই এই চিঠিটি লিখেছিলেন। এই হত্যাকারীকে অপরাধ কেস ফাইলে "হোয়াইটচ্যাপেলের খুনি" ও "লেদার অ্যাপ্রন" নামেও অভিহিত করা হয়। এই নামদুটি সমকালীন সাংবাদিকদের লেখাতেও পাওয়া যায়।
জ্যাক দ্য রিপার কৃত যে হত্যাকাণ্ডগুলির কথা জানা যায়, সেগুলিতে সাধারণত ইস্ট এন্ড অফ লন্ডনের বস্তি এলাকার অধিবাসী ও সেই এলাকায় কর্মরত নারী যৌনকর্মীরা জড়িত ছিল। এদের গলার নলি কেটে হত্যা করার পর পেট চিরে ফেলা হয়েছিল। অন্তত তিন জনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল শরীরের অভ্যন্তরের অন্ত্রগুলি কেটে বা দেওয়া হয়েছিল। এই দেখে অনুমান করা হয়, হত্যাকারীর শারীরতত্ত্ব বা শল্যচিকিৎসা-সংক্রান্ত কিছু জ্ঞান ছিল। ১৮৮৮ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে হত্যার গুজবগুলি ঘনীভূত হয়। এক বা একাধিক পত্রলেখক গণমাধ্যমে বা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডে চিঠি দিয়ে নিজেকে বা নিজেদের হত্যাকারী বলে দাবি করতে থাকেন। হোয়াইটচ্যাপেল ভিজিলেন্স কমিটির জর্জ লাস্ক যে "ফ্রম হেল" চিঠিটি পেয়েছিলেন, তাতে দাবি করা হয়েছিল, পত্রলেখকের কাছে জনৈক নিহতের বৃক্কের অর্ধ্বাংশ সংরক্ষিত আছে। জনসাধারণ বিশ্বাস করতে শুরু করে, "জ্যাক দ্য রিপার" নামধারী কোনো একজন হত্যাকারী এই হত্যাকাণ্ডগুলি ঘটাচ্ছে। এই বিশ্বাসের কারণ ছিল, হত্যাকাণ্ডগুলির নৃশংস চরিত্র এবং সেই সম্পর্কে গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া।
সংবাদপত্রে জ্যাক দ্য রিপারকে নিয়ে প্রচুর লেখালিখি হয়। রিপার আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে এবং সেই সঙ্গে কিংবদন্তিটিও দৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৯১ সাল পর্যন্ত হোয়াইটচ্যাপেলের ১১টি নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে। কিন্তু সেগুলির সঙ্গে ১৮৮৮ সালের হত্যাকাণ্ডগুলির কোনো যোগসূত্র খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। পাঁচ জন নিহত—মেরি অ্যান নিকোলস, অ্যানি চ্যাপম্যান, এলিজাবেথ স্ট্রাইড, ক্যাথরিন এডোয়েস ও মেরি জেন কেলি—"প্রধান পাঁচ" ("ক্যাননিক্যাল ফাইভ") নামে পরিচিত। এরা খুন হয়েছিল ১৮৮৮ সালের ৩১ অগস্ট থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে। সাধারণত মনে করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডগুলি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। এই হত্যাকাণ্ডগুলির কোনো কিনারা হয়নি। এগুলিকে ঘিরে যে কিংবদন্তি প্রচলিত, তা গড়ে উঠেছে খাঁটি ঐতিহাসিক গবেষণা, লোককথা ও ছদ্ম-ইতিহাসের সংমিশ্রণে। রিপারের ঘটনাগুলি অধ্যয়ন ও বিশ্লেষণের জন্য "রিপারতত্ত্ব" ("রিপারোলজি") নামে একটি শব্দের প্রচলন ঘটে। বর্তমানে একশোরও বেশি তত্ত্ব আছে রিপারের পরিচয় সম্পর্কে। এই হত্যাকাণ্ডগুলিও কথাসাহিত্যে একাধিক রচনার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।