আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Dexbot (আলোচনা | অবদান)
Removing Link FA template (handled by wikidata)
h
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Infobox Indian Jurisdiction
{{Infobox Indian Jurisdiction
| type = কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
| type = কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল(Jalal)
| state_name = Andaman & Nicobar Islands
| state_name = Andaman & Nicobar Islands
| native_name = আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
| native_name = আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ

১০:২৬, ২১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
স্থানাঙ্ক: ১১°৪১′ উত্তর ৯২°৪৬′ পূর্ব / ১১.৬৮° উত্তর ৯২.৭৭° পূর্ব / 11.68; 92.77
এলাকার ক্রম২৭তম
জনসংখ্যা
 • মোট৩,৫৬,১৫২
 • ক্রম৩২
ওয়েবসাইটtourism.andaman.nic.in/
ভারতের জনগণনা অনুসারে জনসংখ্যা[১].
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ((উচ্চারণ)) ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই অঞ্চলটি ভারত মহাসাগরে অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে অঞ্চলটিকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অংশ মনে করা হয়। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জনিকোবর দ্বীপপুঞ্জ নামে দুটি পৃথক দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি গঠিত। এই দুই দ্বীপপুঞ্জ ১০° উত্তর অক্ষরেখা দ্বারা বিচ্ছিন্ন। আন্দামান এই অক্ষরেখার উত্তরে ও নিকোবর এর দক্ষিণে অবস্থিত। এই অঞ্চলের পূর্বে আন্দামান সাগর ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।

এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির রাজধানী আন্দামানের শহর পোর্ট ব্লেয়ার। ২০০১ সালের ভারতের জনগণনা অনুসারে, অঞ্চলের জনসংখ্যা ৩৫৬,১৫২। অঞ্চলের স্থলভাগের সামগ্রিক আয়তন ৬,৪৯৬ বর্গকিলোমিটার। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি কলকাতা হাইকোর্টের অধিকারক্ষেত্রের অন্তর্গত।

ইতিহাস

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আবাসভূমি। ১৭৭৭ সালে ব্রিটিশরা এই অঞ্চলে একটি নৃতাত্ত্বিক সমীক্ষা চালিয়েছিল। এই সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে, বহিরাগতদের আগমনের আগে কয়েক শতাব্দীকাল এই দুই দ্বীপপুঞ্জ নেগ্রিটো ও মঙ্গোলয়েড জাতিগোষ্ঠীর অধিকারে ছিল।

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ইতিহাসকে চারটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়: ব্রিটিশ অধিকার প্রতিষ্ঠা, ব্রিটিশ রাজত্ব, জাপানি রাজত্ব ও স্বাধীনোত্তর যুগের ইতিহাস। ১৭৮৮ সালে দুই নৌ-আধিকারিকের সুপারিশক্রমে ১৭৮৯ সালে তদনীন্তন গভর্নর-জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিশ পোর্ট কর্নওয়ালিশের কাছে চাটহাম দ্বীপে একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপন করেন। এই বছরই লেফটানেন্ট রেজিনল্ড ব্লেয়ার এই অঞ্চলে একটি সমীক্ষার কাজ চালান। তাঁর নামানুসারে পোর্ট কর্নওয়ালিশের নাম হয় পোর্ট ব্লেয়ার।

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পর ব্রিটিশ সরকার এখানে একটি বন্দীনিবাস স্থাপনের পরিকল্পনা করে। ১৮৫৮ সালে ভাইপার দ্বীপে তৈরি হয় একটি কারাগার, একটি গ্যালো ও একটি জনবসতি। ২০০ জন বন্দীকে এই কারাগারে এনে রাখা হয়। এঁদের অধিকাংশই ছিলেন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী সৈনিক। ১৯০৬ সালে পোর্ট ব্লেয়ারে সেলুলার জেল তৈরি হলে আগের কারাগারটি পরিত্যক্ত হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চলাকালে ১৯৪২ সালের ২১ মার্চ জাপানিরা আন্দামান দখল করে নেয়। জাপানি সেনাবাহিনীর হাতে এই অঞ্চলের বহু নিরপরাধ মানুষও নিহত হন। পরে জাপানিরা এই দ্বীপপুঞ্জ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ সরকারের হাতে তুলে দেয়। ১৯৪৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সুভাষচন্দ্র পোর্ট ব্লেয়ারে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চল ব্রিটিশদের অধিকারমুক্ত ছিল। এই সময় আন্দামান খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে ওঠে। ১৯৪৫ সালের ৮ অক্টোবর জাপানি সেনাবাহিনীর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া কম্যান্ড পোর্ট ব্লেয়ারে আত্মসমর্পণ করলে ব্রিটিশরা এই দ্বীপপুঞ্জের অধিকার আবার ফিরে পায়।

১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ একত্রে স্বাধীন ভারতের অঙ্গীভূত হয়।

পাদটীকা

বহিঃসংযোগ