বেড়া উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৪°৩′৫৩″ উত্তর ৮৯°৩৭′৪০″ পূর্ব / ২৪.০৬৪৭২° উত্তর ৮৯.৬২৭৭৮° পূর্ব / 24.06472; 89.62778
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র প্রদান ও পরিবর্ধন করা হলো
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎তথ্যসূত্র: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
৫৯ নং লাইন: ৫৯ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{Reflist}}
{{Reflist}}



==বহিঃসংযোগ==
==বহিঃসংযোগ==

১৯:৪৩, ৩ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বেড়া উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩′৫৩″ উত্তর ৮৯°৩৭′৪০″ পূর্ব / ২৪.০৬৪৭২° উত্তর ৮৯.৬২৭৭৮° পূর্ব / 24.06472; 89.62778 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাপাবনা জেলা
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ৭৬ ১৬
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

বেড়া বাংলাদেশের পাবনা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা[১]

অবস্থান

বেড়া উপজেলার উত্তরে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলাচৌহালি উপজেলা, দক্ষিণে রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা এবং রাজবাড়ী সদর উপজেলা, পূর্বে সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলাশিবালয় উপজেলা এবং পশ্চিমে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলাসাঁথিয়া উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

বেড়া উপজেলায় একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন রয়েছে। বেড়া পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। এছাড়া ইউনিয়নগুলি হচ্ছে-হাটুরিয়া-নাকালিয়া, কৈটোলা, চাকলা, নতুন ভারেঙ্গা, পুরান ভারেঙ্গা, জাতসাখিনী, রুপপুর, মাসুমদিয়া, ঢালারচর। বেড়া উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, যমুনা নদী এবং পদ্মা নদী ঘিরে রেখেছে এই উপজেলাটিকে। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, বর্তমান বেড়া থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বেদিকে যমুনা নদীর উপকূলীয় এলাকায় সাধুগঞ্জ নামে একটি নদীবন্দর ছিল। ব্রিটিশ শাসনের প্রথমদিকে সাধুগঞ্জের নিকটে মথুরা’য় ছিল একটি প্রশাসনিক থানা। তখন বেড়া ছিল একটি চরভূমি। প্রমত্ত যমুনার প্রচন্ড স্রোতে সাধুগঞ্জ এবং মথুরা নদীভাঙনের শিকার হলে থানাটিকে তখন বেড়া’য় স্থানান্তর করা হয়।কারণ প্রচন্ড নদীস্রোত, প্রমত্তা ঢেউ আর জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সবাই বেড়াকে বেছে নিত। আরো একটি কথা জনশ্রুতি রয়েছে যে, পারস্য দেশের বণিকেরা এদেশে ব্যবসার জন্য এসেছিল। তাদের ভাষায় তারা ‘বেহড়া’ উচ্চারণ করত- যার বাংলা শব্দার্থ ‘নিরাপদ বন্দর’। তাদের উচ্চারণ অপভ্রংশ হয়ে ‘বেড়া’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বেড়া থানাটি ব্রিটিশ শাসক ওয়ারেন হেস্টিংস এর আমলে ১৮২৮ সালে শুধুমাত্র জলদস্যুদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অধিক দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে মান উন্নীত করে বেড়া সার্কেল প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৬০ সালে। পরবর্তীতে প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় বেড়া থানাতে উপজেলায় উন্নীত হয় ১৫এপ্রিল ১৯৮৩ সালে।

ইতিহাস

জনশ্রুতি আছে যে, আরবী ‘‘বেড়ুহা’’ শব্দের অপভ্রংশ হচ্ছে ‘বেড়া’। এর পূর্বনাম ছিলো শম্ভুপুর। খ্রীস্ট জন্মের পূর্ব হতে উত্তরবঙ্গের নদনদীর সঙ্গমস্থল হিসেবে শম্ভুপুর ব্যাপক পরিচিত ছিল। এই শম্ভুপুরে তাই গড়ে উঠেছিল জনবসতি। নৌপথে জলদস্যুদের আক্রমণ আর প্রমত্তা নদীর উত্তাল স্রোত পেরিয়ে বেড়ার নিকটবর্তী হলেই তারা নিজেদের নিরাপদ ভাবতো। একারণে বেড়া নিরাপদ পোতাশ্রয়ের উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। যতদূর জানা যায় ৮০০ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে আরব বণিকেরা বেড়াতে তাদের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে তোলে। আবার সুলতানী শাসনামলে একবার আরবদেশে ভয়ঙ্কর এক দুর্ভিক্ষ হয়। সেই দুর্ভিক্ষের সময় এই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করে বেড়া বন্দরের মাধ্যমে আরবদেশে পাঠানো হয়। ইংরেজ শাসনামলে জলদস্যু নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক থানা ‘মথুরা’ যমুনার করালগ্রাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলে ১৮২৮ সালে যমুনার পশ্চিম উপকুলে বেড়া নামক স্থানে পুনঃস্থাপিত হয়। ১৯৬০ সালে বেড়া উন্নয়ন সার্কেল হিসেবে এর কার্য পরিধি অনেক বেড়ে যায়। ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল বেড়া থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।

জনসংখ্যার উপাত্ত

জনসংখ্যা ২৩১,৪৩০ জন (২০০১ এর শুমারী অনুযায়ী)। পুরুষ ১২০,৬১৫ জন,মহিলা ১১০,৮১৫ জন। ঘনত্বঃ ৯৩১ জন প্রতি বর্গ কিঃমিঃতে।

শিক্ষা

সরকারী/রেজিঃ প্রাথঃ বিদ্যালয় ১০৭ টি। কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০২ টি। কিন্ডারগার্টেন ১৬ টি। এবতেদায়ী মাদ্রাসা ৪ টি। মাধ্যমিক স্কুল ১৮ টি। মাদ্রাসা ৭ টি (আলীম মাদ্রাসাঃ ২টি )। কলেজ ৪ টি। ডিগ্রি কলেজ ২ টি। কারিগরী কলেজ ১ টি। সাক্ষরতার হার ৩৩.৫৪% (পুরুষ ৩৮.০৯%,মহিলা ২৮.০৬% ) । বিশ্ববিদ্যালয় ১ টি ।

অর্থনীতি

কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব

নদীসমূহ

বেড়া উপজেলায় ৫টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে গঙ্গা নদী, ইছামতি নদী, যমুনা নদী, বাদাই নদী এবং হুরাসাগর নদী[২]

দর্শনীয় স্থান

হুরাসাগর নদী তীরে বেড়া পোর্ট, কৈটোলা পাম্প হাউজ, বেড়া পাম্প হাউজ, বেড়াস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজ, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Population Census Wing, BBS."। ২০০৫-০৩-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১০, ২০০৬ 
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০২, ISBN 978-984-8945-17-9

বহিঃসংযোগ