বিবাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:


== ইসলামি বিবাহরীতি ==
== ইসলামি বিবাহরীতি ==
ইসলামী বিবাহরীতিতে পাত্র পাত্রী উভয়ের সম্মতি এবং বিবাহের সময় উভয়পক্ষের বৈধ অভিভাবক বা ওয়ালীর উপস্থিতি ও সম্মতির প্রয়োজন। ইসলামী বিবাহে যৌতুকের কোন স্থান নেই। বিয়ের পূর্বেই পাত্রের পক্ষ হতে পাত্রীকে পাত্রীর দাবি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বা অর্থসম্পদ বাধ্যতামূলক ও আবশ্যকভাবে দিতে হয়, একে দেনমোহর বলা হয়। এছাড়া বিয়ের পর তা পরিবার পরিজন ও পরিচিত ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে দেয়াও ইসলামী করনীয়সমূহের অন্তর্ভূক্ত।
ইসলামে বিবাহপূর্ব ও বিবাহবহির্ভূত যৌনতা নিষিদ্ধ। ইসলাম ধর্মে বিবাহের মাধ্যমে শুধুমাত্র নারী ও পুরুষের মধ্যকার যৌন সম্পর্কের অনুমতি রয়েছে। সমকামিতা ও সমকামী বিবাহ উভয়েই প্রকৃতিবিরুদ্ধ ও বিকৃত যৌনাচার হিসেবে ইসলামে অবৈধ ও নিষিদ্ধ।

=== বিবাহের বিধান ===
{{মূল নিবন্ধ|ইসলামে বিবাহ}}
{{মূল নিবন্ধ|ইসলামে বিবাহ}}
ইসলামী বিবাহরীতিতে পাত্র পাত্রী উভয়ের সম্মতি এবং বিবাহের সময় উভয়পক্ষের বৈধ অভিভাবক বা ওয়ালীর উপস্থিতি ও সম্মতির প্রয়োজন। ইসলামী বিবাহে যৌতুকের কোন স্থান নেই। বিয়ের পূর্বেই পাত্রের পক্ষ হতে পাত্রীকে পাত্রীর দাবি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বা অর্থসম্পদ বাধ্যতামূলক ও আবশ্যকভাবে দিতে হয়, একে দেনমোহর বলা হয়। এছাড়া বিয়ের পর তা পরিবার পরিজন ও পরিচিত ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে দেয়াও ইসলামী করনীয়সমূহের অন্তর্ভূক্ত।
ইসলামী বিধান অনুযায়ী, একজন পুরুষ সকল স্ত্রীকে সমান অধিকার প্রদানের তার চাহিদা অনুসারে সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারে। আর সমান অধিকার দিতে অপারগ হলে শুধু একটি বিয়ে করার অনুমতি পাবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে একাধিক বিয়ের অনুমতি নেই। একজন মুসলিম পুরুষ মুসলিম নারীর পাশাপাশি ইহুদী কিংবা খ্রিষ্টান নারীকে বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু মুসলিম নারীরা শুধু মুসলিম পুরুষের সাথে বিবাহে আবদ্ধ হতে পারবে।
ইসলামী বিধান অনুযায়ী, একজন পুরুষ সকল স্ত্রীকে সমান অধিকার প্রদানের তার চাহিদা অনুসারে সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারে। আর সমান অধিকার দিতে অপারগ হলে শুধু একটি বিয়ে করার অনুমতি পাবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে একাধিক বিয়ের অনুমতি নেই। একজন মুসলিম পুরুষ মুসলিম নারীর পাশাপাশি ইহুদী কিংবা খ্রিষ্টান নারীকে বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু মুসলিম নারীরা শুধু মুসলিম পুরুষের সাথে বিবাহে আবদ্ধ হতে পারবে।
ইসলামে বিবাহপূর্ব ও বিবাহবহির্ভূত যৌনতা নিষিদ্ধ। ইসলাম ধর্মে বিবাহের মাধ্যমে শুধুমাত্র নারী ও পুরুষের মধ্যকার যৌন সম্পর্কের অনুমতি রয়েছে। সমকামিতা ও সমকামী বিবাহ উভয়েই প্রকৃতিবিরুদ্ধ ও বিকৃত যৌনাচার হিসেবে ইসলামে অবৈধ ও নিষিদ্ধ।


== খ্রিস্টীয় বিবাহরীতি ==
== খ্রিস্টীয় বিবাহরীতি ==

০১:০১, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বিবাহ হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। সাধারণত আনুষ্ঠানিকভাবে আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। বহু সংস্কৃতিতেই বিবাহ দু'জন বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও কিছু সংস্কৃতিতে বহুগামী বিবাহ ও কিছু সংস্কৃতিতে সাম্প্রতিকভাবে সমকামী বিবাহও স্বীকৃত। বিবাহের মাধ্যমে পরিবারের সূত্রপাত হয়। এছাড়া বিবাহের মাধ্যমে বংশবিস্তার ও উত্তরাধিকারের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিবাহের মাধ্যমে পরস্পর সম্পর্কিত পুরুষকে স্বামী (পতি) এবং নারীকে স্ত্রী (পত্নী) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। স্বামী ও স্ত্রীর যুক্ত জীবনকে "দাম্পত্য জীবন" হিসাবে অভিহিত করা হয়। বিভিন্ন ধর্মে বিবাহের বিভিন্ন রীতি প্রচলিত। একইভাবে বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন প্রথায় বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বিবাহ মূলত একটি ধর্মীয় রীতি হলেও আধুনিক সভ্যতায় এটি একটি আইনী প্রথাও বটে। বিবাহবহির্ভুত যৌনসঙ্গম অবৈধ বলে স্বীকৃত এবং ব্যাভিচার হিসাবে অভিহিত একটি পাপঅপরাধ

বিভিন্ন ধরণের বিবাহরীতি

হিন্দু বিবাহরীতি

হিন্দুশাস্ত্রে আট প্রকারের বিবাহরীতির উল্লেখ আছে। যথা, ব্রাহ্ম, দৈব, আর্ষ, প্রাজাপত্য, গান্ধর্ব, পিশাচ ও রাক্ষস বিবাহ।[১] হিন্দু বিবাহে যৌতুকের কোন স্থান নেই এবং বহির্ভূতএবং বিবাহর্পূর্ব অনৈতক সম্পর্ক করা নিষিদ্ধ

ইসলামি বিবাহরীতি

ইসলামী বিবাহরীতিতে পাত্র পাত্রী উভয়ের সম্মতি এবং বিবাহের সময় উভয়পক্ষের বৈধ অভিভাবক বা ওয়ালীর উপস্থিতি ও সম্মতির প্রয়োজন। ইসলামী বিবাহে যৌতুকের কোন স্থান নেই। বিয়ের পূর্বেই পাত্রের পক্ষ হতে পাত্রীকে পাত্রীর দাবি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বা অর্থসম্পদ বাধ্যতামূলক ও আবশ্যকভাবে দিতে হয়, একে দেনমোহর বলা হয়। এছাড়া বিয়ের পর তা পরিবার পরিজন ও পরিচিত ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে দেয়াও ইসলামী করনীয়সমূহের অন্তর্ভূক্ত। ইসলামী বিধান অনুযায়ী, একজন পুরুষ সকল স্ত্রীকে সমান অধিকার প্রদানের তার চাহিদা অনুসারে সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারে। আর সমান অধিকার দিতে অপারগ হলে শুধু একটি বিয়ে করার অনুমতি পাবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে একাধিক বিয়ের অনুমতি নেই। একজন মুসলিম পুরুষ মুসলিম নারীর পাশাপাশি ইহুদী কিংবা খ্রিষ্টান নারীকে বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু মুসলিম নারীরা শুধু মুসলিম পুরুষের সাথে বিবাহে আবদ্ধ হতে পারবে। ইসলামে বিবাহপূর্ব ও বিবাহবহির্ভূত যৌনতা নিষিদ্ধ। ইসলাম ধর্মে বিবাহের মাধ্যমে শুধুমাত্র নারী ও পুরুষের মধ্যকার যৌন সম্পর্কের অনুমতি রয়েছে। সমকামিতা ও সমকামী বিবাহ উভয়েই প্রকৃতিবিরুদ্ধ ও বিকৃত যৌনাচার হিসেবে ইসলামে অবৈধ ও নিষিদ্ধ।

খ্রিস্টীয় বিবাহরীতি

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. অষ্টবিধ হিন্দু বিবাহরীতি, Indian Weddings

বহিঃসংযোগ