হুয়াই নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
English language portion removed |
Bodhisattwa (আলোচনা | অবদান) {{সূত্র উন্নতি}} ট্যাগ যোগ করা হয়েছে (টুইংকল) |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{redirect|হুয়াই|জিয়া সাম্রাজ্যকালীন সম্রাট|জিয়ার হুয়াই}} |
{{redirect|হুয়াই|জিয়া সাম্রাজ্যকালীন সম্রাট|জিয়ার হুয়াই}} |
||
{{সূত্র উন্নতি|date=নভেম্বর ২০১৫}} |
|||
{{Geobox|River |
{{Geobox|River |
||
<!-- *** Heading *** --> |
<!-- *** Heading *** --> |
১৭:০৫, ২৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হুয়াই নদী (淮河) | |
হুয়াই হে | |
হুয়াই নদী
| |
দেশ | চীন |
---|---|
রাজ্যসমূহ | হেনান, আনহুই, জিয়াংসু |
উৎস | টংবাই পর্বত |
মোহনা | ইয়াংৎজে |
দৈর্ঘ্য | ১,১১০ কিলোমিটার (৬৯০ মাইল) |
অববাহিকা | ১৭৪০০০ বর্গকিলোমিটার (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "১"। বর্গমাইল) |
প্রবাহ | |
- গড় | ১১১০ m³/s (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "১"। ft³/s) |
হুয়াই নদীর মানচিত্র
|
হুয়াই নদী (চীনা: 淮河; ফিনিন: Huái Hé) হল গণচীনের একটি অন্যতম প্রধান নদী। এটি হুয়াংহো এবং ইয়াংৎজে,[১] চীনের বৃহত্তম দুই নদীর মাঝে অবস্থিত এবং তাদের মতই পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ধাবিত হয়। ভয়াবহ বন্যার কারণে হুয়াই নদী অত্যন্ত কুখ্যাত।
হুয়াই নদী-কুইন পর্বত রেখাটিকে সাধারণত উত্তর ও দক্ষিণ চীন বিভক্তকারী রেখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই রেখাটি চীনের ০ ডিগ্রীতে জানুয়ারি সমোষ্ণ রেখা এবং ৮০০ মিমি বৃষ্টিপাত রেখায় অবস্থিত (প্রায়)।
এটি একই সাথে উত্তর চীনের জিন সাম্রাজ্য এবং দক্ষিণ চীনের দক্ষিণ সং এ মধ্যকার ১১৪২ সালের শ্যাওক্সিং-এর চুক্তি মোতাবেক নির্মিত সীমানার কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়।
হুয়াই নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১,১১০ কিলোমিটার (৬৯০ মা), যার মধ্যের ১,৭৪,০০০ বর্গকিলোমিটার (৬৭,০০০ মা২) নিষ্কাশন অঞ্চল।[১]
উৎপত্তি
হুয়াই নদী হেনান প্রদেশের টংবাই পর্বত থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এটি হেনানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরে আনহুই এবং জিয়াংসুর উত্তর থেকে বয়ে গিয়ে ইয়াংজহৌর জিয়াংডুর ইয়াংৎজে নদীতে প্রবেশ করে।
ঐতিহাসিকভাবে, হুয়াই নদী একটি প্রশস্ত পথের মাধ্যমে ইউন্টিগুয়ানের হুয়াংহো নদীতে প্রবেশ করে। তখন এই নদীকে পার্শ্ববর্তী কৃষিজমিতে পানিসেচের জন্য ব্যবহৃত হত। তারই সাথে এটি খাল ও উপনদী এক বিশাল মিলনস্থলও বটে। ১১৯৪ সালে প্রবাহ শুরু হওয়ার পর থেকে হুয়াংহো নদী ক্রমাগত তার যাত্রাপথ পরিবর্তিত করে উত্তরের দিকে যেতে যেতে হুয়াই নদীর মধ্যে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে নদীভরাট এত বৃহদাকার ধারণ করে, যে হুয়াংহো যখন পরবর্তীতে আরও উত্তরে বিরাটভাবে সরে যায় (১৮৯৭), তখন হুয়াই নদীর ভূগোল তাৎপর্যপূর্ণভাবে নতুন নতুন উঁচু দ্বীপ, হ্রদ, চর - ইত্যাদি তৈরি করতে থাকে। ফলে নদীর মধ্যভাগ থেকে নিম্নভাগের দিকে সাবলীলভাবে পানিপ্রবাহিত হতে পারত না, এবং নিম্নভাগের পানি সমুদ্রে যেতে বাধাগ্রস্ত হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে, কারণ চিয়াং কাই-সেক সরকার জাপানি আক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় হুয়াংহো নদীর দক্ষিণের বাঁধ খুলে দিয়ে নিম্নাঞ্চল সম্পূর্ণরূপে প্লাবিত করে দেয়। হুয়াংহো নদী পরবর্তী ৯ বছর ধরে উক্ত বাঁধের ফাটল ধরে প্রবাহিত হয়, যা হুয়াই নদীর প্রবাহকে ব্যাপকভাবে বাঁধাগ্রস্ত করে।
এই পরিবর্তনসমূহের কারণে হুয়াই নদীর পানি হংজ হ্রদ পর্যন্ত উঠে যায় এবং পরে ইয়াংৎজে নদীর দক্ষিণ বরাবর প্রবাহিত হতে থাকে। ছোট-বড়-মাঝারি মানের বন্যা প্রায়শই এই অঞ্চলে হয়ে থাকে, যা তীব্র দুর্ভোগের সৃষ্টি করে। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত শেষ ৪৫০ বছরে হুয়াই নদী প্রতি শতকে প্রায় ৯৪টি বড়মাপের বন্যার সৃষ্টি করেছে।
হুয়াই নদীর সমস্যার সমাধান করতে হুয়াই নদী থেকে ইয়াংৎজে নদী ও সমুদ্র পর্যন্ত নির্মাণে কিছু ভিন্নতা আনার প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। বর্তমানে, নদীর একটি বিশাল অংশ হংজ হ্রদ হয়ে ইয়াংৎজে নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়। উত্তর জিয়াংসু পানিসেচ খাল এর কিছু অংশের পানিকে সমুদ্রে যাবার পুরনো পথকে পৃথক করেছে এবং একই সাথে একটি সমান্তরাল চ্যানেল তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে। একই সাথে কিছু সংখ্যক উপনদীও পানির একটি অংশকে সমুদ্রে নিয়ে যায়।
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ "Huai River"। Encyclopædia Britannica। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৪।
বহিঃসংযোগ