রিভার গড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৩ নং লাইন: ২৩ নং লাইন:
| preceded_by =
| preceded_by =
| followed_by = [[দ্য সেভেন্থ স্ক্রোল]]}}
| followed_by = [[দ্য সেভেন্থ স্ক্রোল]]}}
'''রিভার গড''' দক্ষিন আফ্রিকান লেখক [[উইলবার স্মিথ]] রচিত উপন্যাস। এতে সুচতুর নপুংসক দাস টাইটার বর্ণনায় প্রাচিন মিসরীয় জীবন আচরন, হিক্সসের আক্রমণ থেকে মিশরীয় ফারাওএর জনসাধারণ সহ পলায়ন ও ফিরে এসে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। উপন্যাস টি উইলবার স্মিথএর [[প্রাচীন মিশর]] সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। অন্য বই গুলোর মধ্যে রয়েছে দ্য সেভেন্থ স্ক্রোল, ওয়ারলক, দ্য কোয়েস্ট, ডেজাড গড। উপন্যাসটি ১৯৯৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
'''রিভার গড''' দক্ষিন আফ্রিকান লেখক [[উইলবার স্মিথ]] রচিত উপন্যাস। এতে নপুংসক দাস টাইটার বর্ণনায় প্রাচIন মিসরীয় জীবন, হিক্সসের আক্রমনে মিশরীয় ফারাও সম্রাজ্যের পতন অতঃপর পলায়ন ও ফিরে এসে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। উপন্যাস টি উইলবার স্মিথএর [[প্রাচীন মিশর]] সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। অন্য বই গুলোর মধ্যে রয়েছে দ্য সেভেন্থ স্ক্রোল, ওয়ারলক, দ্য কোয়েস্ট, ডেজাড গড। উপন্যাসটি ১৯৯৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।


== কাহিনী সংক্ষেপ ==
== কাহিনী সংক্ষেপ ==

১৪:৩৯, ২০ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রিভার গড
চিত্র:River-god-cover.jpg
লেখকউইলবার স্মিথ
ভাষাইংরেজি
ধারাবাহিকপ্রাচীন মিশর সিরিজ
বিষয়প্রাচীন মিশর
ধরনFiction
প্রকাশকপ্যান
প্রকাশনার তারিখ
১৯৯৪
পৃষ্ঠাসংখ্যা৬৬২
আইএসবিএন০-৩৩০-৩৩১৯৭-৩
ওসিএলসি৩১০৭৮১৮১
পরবর্তী বইদ্য সেভেন্থ স্ক্রোল 

রিভার গড দক্ষিন আফ্রিকান লেখক উইলবার স্মিথ রচিত উপন্যাস। এতে নপুংসক দাস টাইটার বর্ণনায় প্রাচIন মিসরীয় জীবন, হিক্সসের আক্রমনে মিশরীয় ফারাও সম্রাজ্যের পতন অতঃপর পলায়ন ও ফিরে এসে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। উপন্যাস টি উইলবার স্মিথএর প্রাচীন মিশর সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। অন্য বই গুলোর মধ্যে রয়েছে দ্য সেভেন্থ স্ক্রোল, ওয়ারলক, দ্য কোয়েস্ট, ডেজাড গড। উপন্যাসটি ১৯৯৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।

কাহিনী সংক্ষেপ

রিভার গড উপন্যাসে দাস টাইটার দৃষ্টিতে দেখা মিসরীয় ফারাওএর রাজত্ব ও তার পরিনতির গল্প, যে নিজে একজন নপুংসক ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। টাইটা ছিল প্রভু ইনটেফ এর দাস যে তার মেয়ে লস্ট্রিস এর দেখাশোনা করত। আদতে প্রভু ইনটেফের প্রাসাদের সকল কর্মকাণ্ডই টাইটা দেখাশোনা করত। 

সেই সময় মিশরের ফারাও এর কোন ছেলে উত্তরাধিকারি ছিল না । ওরিসিস উৎসবের নাটকে মহান ফারাও লস্ট্রিসকে দেখে মোহিত হন। লস্ট্রিস ঐ সময় বীর সৈনিক ট্যানাসের প্রেমে পড়ে। ঘটনা চক্রে ফারাওের সাথে লস্ট্রিসের বিয়ে হয়ে যায় এবং লর্ড ইনটেফ টাইটাকে যৌতুক হিসেবে দিতে বাধ্য হন।

একপর্যায়ে সৈনিক ট্যানাস মহান ফারাওকে মিসরের প্রধান সমস্যা শ্রাইক্ দস্যুদের সম্পর্কে অবহিত করেন ও প্রতিকার প্রার্থনা করেন যা ফারাও কে ক্ষুব্ধ করে । তিনি ট্যানাসকে দুই বছরের মধ্যে শ্রাইক্ দস্যুদের নির্মূল করার আদেশ দেন অন্যথায় তার মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। 

ট্যানাস, টাইটার সাহায্যে শ্রাইক্ দস্যুদের নির্মূল করতে সক্ষম হন এবং তাদের সর্দার যে লর্ড ইনটেফ তা প্রমান করেন। দুর্ভাগ্যক্রমে লর্ড ইনটেফ পালাতে সক্ষম হন। এদিকে ফারাও তার পরিষদ নিয়ে শিকারে গেলে মরু ঝড়ের কবলে পরেন। সেখানে এক গুহায় আটকে পরে ট্যানাস ও লস্ট্রিস মিলিত হন। তাদের মিলনের ফসল ফারাও পুত্র ম্যামোস নামে ভুমিষ্ট হয়। যার আসল পিতৃ পরিচয় একমাত্র লস্ট্রিস, ট্যানাস ও টাইটাই জানেন।

রাজ্যের জন্য নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দেয় বহিরাগত হিস্কক বাহিনী। তাদের সামরিক ঘোড়া, রথ, বাঁকানো ধনুক সবই যান্ত্রিক ভাবে এতই উত্কৃষ্ট যে পদাতিক মিসরীয় বাহিনিকে মুহূর্তে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলে । ফারাও নিহত হন। রানী লস্ট্রিস, ট্যানাস ও টাইটাই, শিশু ম্যামোস, সম্মানিত সভাসদ্দের ও বাকি সৈন্যদের নিয়ে কি নিয়ে নীল নদ দিয়ে মিসর ছেড়ে পালিয়ে যান।

 তাদের নির্বাসনে থাকার সময় রানী লস্ট্রিস আরো দুইটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেয়, কিন্তু টাইতা কৌশলে তাদের পিতৃ পরিচয় গোপন রাখেন। এই সময় টাইটা ঘোড়া ধরে এনে ঘোড়সওয়ার বাহিনী, রথের চাকার উন্নতি সাধন করে যা পরে হিস্ককদের সাথে যুদ্ধ জয়ে প্রধান ভুমিকা পালন করে। 

 ফারাওএর সমাধির জন্য উপযুক্ত জায়গা খোজার সময় নৃশংস ইথিওপিয়ার সর্দার আরকুন টাইটাকে বন্দি করে ।সেখানে বন্দিদশায় প্রতিদ্বন্দ্বী সর্দারদের মেয়ে মাসারার সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হয় টাইটার। টাইটা পালিয়ে গিয়ে তার পিতা(মাসারার) কে খুজে বের করে আর তার মেয়েকে উদ্ধার করে দেবার চুক্তি করে। বিনিময়ে তারা প্রচুর ঘোড়া ও নীল তলোয়ার দাবি করে। মিসরিয়দের সাথে যুদ্ধে আরকুন বাহিনী পরাজিত হয়। যুদ্ধে বীর ট্যানাস মারা যায়। মাসারা ও মেমন প্রেমে পরে তাদের বিয়ে হয়। নতুন সম্রাট ফারাও মেমনের নেতৃত্বে তারা মরুভুমি পারি দিয়ে মিসরে ফিরে আসে। তাদের নবাবিষ্কৃত অস্ত্রসম্ভার, যুদ্ধ কৌশল, নতুন ধরনের রথ নিয়ে তারা হিক্সস বাহিনির মোকাবেলা করে এবং থিবেস থেকে বিতারিত করে হারানো সম্রাজ্যের আংশিক ফিরে পায়

চরিত্র

  • টাইটা- একজন দাস, উপন্যাসটি যার জবানিতে লেখা। 
  • লস্ট্রিস- লর্ড ইনটেফের কন্যা, পরে ফারাও এর স্ত্রী। 
  • ট্যানাস- বীর যোদ্ধা, লস্ট্রিসের প্রেমিক। 
  • মামোস- লস্ট্রিস আর ট্যানাসের সন্তান, যাকে মহান ফারাওএর পুত্র মনে করা হয়। 
  • মাসারা- ইথিওপিয়ার সর্দারের কন্যা, ফারাও মামোসের স্ত্রী 
  • লর্ড ইনটেফ- দুর্নীতিবাজ রাজ উজির, শ্রাইক্ দস্যুদের গোপন সর্দার। 
  • র‍্যাসফার- লর্ড ইনটেফের জল্লাদ। 
  • ফারাও- লস্ট্রিসের স্বামী, মিসরের মহান সম্রাট। 

পটভূমি

স্মিথ এই বইটি লেখার পেছনে অনুপ্রেরনার কথা যে ভাবে বর্ণনা করেনঃ সূর্যাস্তের সময় আমি একাকী নীলনদের ধারে কারনাকের মন্দির বসে ছিলাম। বড় প্রার্থনা কক্ষটি যেন প্রাচীন কায়া আর প্রেতে পরিপূর্ণ ছিল। এমন সময় আমি ক্ষীন কণ্ঠটি শুনলাম “আমার নাম টাইটা, আমার কাহিনীটি লিখুন।” এবং তা যদি বিশ্বাস করেন তাহলে সকল কিছুই বিশ্বাস করবেন।

তিনি আরো বলেছেন যে, ১৯৮৮ সালে এক প্রাচীন অখ্যাত মিসরীয় রানীর সমাধি আবিস্কার হলে তিনি এই আইডিয়া পান। যিনি আনুমানিক ১৭৮০ খ্রিস্টপূর্বে মৃত্যু বরন করেন। যে প্রত্ন দলটি মিসরের নীলনদের পশ্চিম ধারে খনন কার্য পরিচালনা করছিলেন তাদের আমন্ত্রনেই স্মিথ তখন স্ক্রোল গুলি অনুবাদে সাহায্য করছিলেন।

ঐতিহাসিক সত্যতা

বইটির শেষে দুই পাতা উপসংহারে স্মিথ দাবী করেন যে তার কাহিনী ১৭৮০ খ্রিস্টপূর্বে লিখিত স্ক্রোলের কাহিনি অনুসারে লেখা হয়েছে যা প্রাচীন মিসরীয় সমাধি খননের সময় আবিষ্কৃত হয়। স্ক্রোল গুলি আবিস্কার করেন ইজিপ্টোলজিষ্ট ডঃ দুরাইদ আল সিমা, যিনি তা অনুবাদের পর স্মিথকে বই লেখার জন্য প্রদান করেন। এটি একটি ভ্রান্ত দাবী ছিল যা স্মিথ পরের বই দ্য সেভেন্থ স্ক্রোলে জানিয়ে দেন।

বইএর প্রধান বিভ্রান্তি ছিল হিক্সসদের আগমন নিয়ে। যা বইয়ে দাবি করা সময়ের প্রায় ১০০ বছর পরের ঘটনা। অর্থাৎ ১৭৮০ খ্রিস্টপূর্বে মিসরের ত্রয়োদশ ডাইনেষ্টির সময়ে নয় প্রকৃত পক্ষে পঞ্চদশ ডাইনেষ্টির সময়ে মিশরে হিক্সসদের আগমন ঘটে। বইয়ের ঘটনা ও চরিত্রের সাথে যা সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়।

বইয়ের আরেকটি বিভ্রান্তিকর তথ্য হচ্ছে আরকূনের নীল তরবারি। যা স্টিলের তৈরী বলে লেখক দাবী করেন। প্রকৃত পক্ষে স্টিল আবিষ্কৃত হয় ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে। আর যদি ধরেও নেই যে তরবারিটি লোহার তৈরী তাহলেও বিভ্রান্তি কারন ১২০০ খ্রিস্টপূর্বের আগে লোহার ব্যবহার আবিষ্কৃত হয়নি যা কাহিনীর সময়কালের অন্তত ৪০০ বছর পরের ঘটনা।

তবে হিক্সসদের মাধ্যমে মিসরীয়রা সর্ব প্রথম ঘোড়ার সাথে পরিচিত হয় লেখকের এই দাবি সঠিক। এছাড়া বাঁকানো ধনুকের আবিস্কার নিয়ে করা লেখকের দাবিটিও সঠিক।

সমালোচনা

"গতি হচ্ছে উইলবার স্মিথের খেলা আর এই খেলায় সে একজন মাষ্টার"—the Washington Post Book World

রেফারেন্স