জামালপুর জিলা স্কুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৯৫ নং লাইন: ৯৫ নং লাইন:


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==
*[http://www.jzs.edu.bd/ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট]


{{জিলা স্কুল |state=collapsed}}
{{জিলা স্কুল |state=collapsed}}

০৬:৩০, ৩১ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জামালপুর জিলা স্কুল
অবস্থান
মানচিত্র

তথ্য
ধরনসরকারী বিদ্যালয়
নীতিবাক্য"জ্ঞানই শক্তি"
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৮১ (1881)
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা
শ্রেণীতৃতীয় - দশম
লিঙ্গবালক বিদ্যালয়
শিক্ষার্থী সংখ্যা১৫০০+
ভাষাবাংলা
ক্যাম্পাসের ধরনশহুরে
রং        
ক্রীড়াক্রিকেট, ফুটবল
ডাকনামJZS
বিশেষ প্রকল্পব্রিটিশ কাউন্সিল এর অধীনে ক্লাস পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।
ওয়েবসাইটwww.jzs.edu.bd

জামালপুর জিলা স্কুল (ইংরেজি: Jamalpur Zilla School) বাংলাদেশের একটি প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৮১ সালে ডনো হাই স্কুল নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৯ সালে জামালপুর জেলা মর্যাদা পেলে বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে জামালপুর জিলা স্কুল রাখা হয়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে প্রভাতী ও দিবা দুটি শাখায় তৃতীয় শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।

ইতিহাস

১৮৫৬ সালে তৎকালীন জামালপুর মহকুমা প্রশাসক টি.এ ডনো স্থানীয়দের মাঝে ইংরেজী শিক্ষাপ্রসারের লক্ষ্যে নিজ বাসভবনে একটি পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয়দের কাছে এটি ডনো সাহেবের পাঠশালা নামে পরিচিত ছিল। ছোট ছোট ছেলেদের নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে এ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। কয়েক বছর পরে পাঠশালাটি মাইনর স্কুলে পরিণত হয়। ১৮৮১ সালে মাইনর স্কুলটিকে এন্ট্রান্স স্কুলে (বর্তমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়) উন্নীত করে ‘‘ডনো হাই স্কুল’’ নামকরণ করা হয় । ১৮৮২ সালে স্যার রিচার্ড টেম্পল বিদ্যালয়টিকে সরকারি সাহায্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। এ সময় নামকরণ করা হয় ‘জামালপুর ডনো ইংলিশ হাই স্কুল’। এই সময়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ছিল ২২৩ জন। ১৯১২ সালে স্কুলটির পরিপূর্ন জাতীয়করণ হয় এবং বিদ্যালয়ের নাম হয় ‘‘জামালপুর সরকারি বিদ্যালয়’’। ১৯৭৯ সালে জামালপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ‘‘জামালপুর জিলা স্কুল’’ হিসেবে এর নতুন নামকরণ হয়।

১৮৯০ থেকে ১৯০৮ সালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য দুটি ছাত্রাবাস নির্মান করা হয়। এর মধ্যে একটি ছিল হিন্দু ছাত্রদের জন্য হিন্দু বোডিং। বর্তমানে এ ছাত্রাবাসটির অস্তিত্ব নেই, সেখানে রয়েছে খেলার মাঠ ও বিদ্যালয় ভবন। অপরটি মুসলিম ছাত্রদের জন্য ম্যাক্সি মোহামেডান হোস্টেল। ১৯০৮ সালে তৎকালীন জামালপুরের মহকুমা প্রশাসক মি. এফ. এ. মাক্সি ছিলেন এই ছাত্রাবাসটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি এখনো চালু রয়েছে।

অবকাঠামো

জামালপুর শহরে অবস্থিত এ বিদ্যালয়টি ১২.০৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে তিনটি তিনতলা একাডেমিক ভবন, একটি দোতলা ভবন, দুটি একতলা ভবন, ১টি ছাত্রাবাস, মসজিদ সহ ১৩ টি স্থাপনা রয়েছে।

শিক্ষা কার্যক্রম

১৯৯০ সাল থেকে জামালপুর জিলা স্কুলে প্রভাতী ও দিবা দুইটি শাখায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রভাতী শাখা সকাল ৭ টা ১৫ মিনিট থেকে ১১ টা ৩০ মিনিট ও দিবা শাখায় ১১ টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকেল ৫.০০ টা পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।

বর্তমানে বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র সংখ্যা ১,৫৭০ এবং শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫০ জন। এ ছাড়া অফিস সহকারী, এমএলএস ও নৈশ প্রহরী মিলে ১৪ জন প্রশাসনিক কর্মচারীর রয়েছে। বিদ্যালয়ে ছাত্রদের সুযোগ-সুবিধার মধ্যে আছে গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ও ল্যাবরেটরি। এই বিদ্যালয়ে সহপাঠ কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, বার্ষিক মিলাদ মাহফিল, আন্তঃকক্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং স্কাউটিং, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট কর্মসূচি।

শিক্ষার্থীদের পোশাক

স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাক হল সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট ও সাদা জুতো। শার্ট ফুল হাতা বা হাফ হাতা দুটোই গ্রহণযোগ্য। এছাড়া শীতকালে নীল রঙের সোয়েটারও ইউনিফরমের অন্তর্ভুক্ত। শার্টের পকেটে স্কুলের মনোগ্রামযুক্ত ব্যাজ থাকা আবশ্যক।

শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রম

  • বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
  • জামালপুর জিলা স্কুল বিতর্ক ক্লাব
  • জামালপুর জিলা স্কুল বিজ্ঞান ক্লাব
  • ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব
  • সাংস্কৃতিক সংগঠন
  • বাংলাদেশ স্কাউটস
  • বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বি,এন,সি,সি)
  • বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট

উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী

  • মনোরঞ্জন সরকার
  • আব্দুল করিম, সাবেক পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের প্রথম স্পিকার
  • গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ, সাবেক প্রাদেশিক খাদ্য ও মৎস্য মন্ত্রী
  • খান বাহাদুর ফজলুর রহমান, সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের চিফ হুইপ
  • মনীষ চন্দ্র দত্ত, পশ্চিম বঙ্গের প্রাক্তন গনপূর্ত অধিদপ্তর প্রধান
  • সফি সামী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা
  • মতিউল ইসলাম, প্রাক্তন সচিব
  • ডঃ এ.কে.এম গোলাম রব্বানী
  • নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর
  • আবু তাহা মিয়া, প্রাক্তন বিভাগীয় কমিশনার
  • ওস্তাদ ফজলুল হক, সঙ্গীতজ্ঞ
  • আব্দুল্লাহ আল মামুন, অভিনেতা
  • এডভোকেট আব্দুল হাকিম,
  • এডভোকেট হায়দার আলী মল্লিক, সাবেক সংসদ সদস্য
  • মির্জা সুলতান রাজা, রাজনীতিবিদ

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ