শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
|||
২৭ নং লাইন: | ২৭ নং লাইন: | ||
== সাহিত্যজীবন == |
== সাহিত্যজীবন == |
||
ব্যোমকেশ বক্সী শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্ট সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। ব্যোমকেশ একজন ডিটেকটিভ। নিজেকে তিনি সত্যান্বষী বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। ১৯৩২ এ 'পথের কাঁটা' উপন্যাসে ব্যোমকেশের আত্মপ্রকাশ। প্রথমে শরদিন্দু অজিতের কলমে লিখতেন। কিন্তু পরে তিনি তৃতীয়পুরুষে লিখতে শুরু করেন। এছাড়া উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে আছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উপন্যাস। যেমন 'কালের মন্দিরা', 'গৌর মল্লার', 'তুমি সন্ধ্যার মেঘ', 'তুঙ্গভদ্রার তীরে', ইত্যাদি। সামাজিক উপন্যাস যেমন 'বিষের ধোঁয়া' বা অতিপ্রাকৃত নিয়ে তার 'বরদা সিরিজ' ও অন্যান্য গল্প এখনো বেস্টসেলার। |
|||
== শরদিন্দু ও সিনেমা == |
== শরদিন্দু ও সিনেমা == |
০৭:৪৫, ২৯ আগস্ট ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় | |
---|---|
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় | |
জন্ম | ৩ মার্চ ১৮৯৯ জৌনপুর, উত্তরপ্রদেশ, বৃটিশ ভারত |
মৃত্যু | ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ পুনে, ভারত |
পেশা | লেখক, সাহিত্যিক |
ভাষা | বাংলা |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | ব্যোমকেশ বক্সি, ঝিন্দের বন্দী, তুঙ্গভদ্রার তীরে, ভূমিকম্পের পটভূমি, |
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ইংরেজি Sharadindu Bandyopadhyay, (মার্চ ৩০, ১৮৯৯ - সেপ্টেম্বর ২২, ১৯৭০) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক । তাঁর জন্ম উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর শহরে। তাঁর রচিত প্রথম সাহিত্য প্রকাশিত হয় তাঁর ২০ বছর বয়সে, যখন তিনি কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে আইন নিয়ে পড়াশুনো করছিলেন। পড়াশুনোর সাথেই তিনি সাহিত্য চর্চাও করতে থাকেন। তার সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী আত্মপ্রকাশ করে ১৯৩২ সালে।
শরদিন্দু ১৯৩৮ সালে বম্বের বম্বে টকিজ এ চিত্রনাট্যকাররুপে কাজ শুরু করেন। ১৯৫২এ সিনেমার কাজ ছেড়ে স্থায়ীভাবে পূনায় বসবাস করতে শুরু করেন। পরবর্তী ১৮ বছর তিনি সাহিত্য চর্চায় অতিবাহিত করেন। ১৯৭০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
সাহিত্যজীবন
ব্যোমকেশ বক্সী শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্ট সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। ব্যোমকেশ একজন ডিটেকটিভ। নিজেকে তিনি সত্যান্বষী বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। ১৯৩২ এ 'পথের কাঁটা' উপন্যাসে ব্যোমকেশের আত্মপ্রকাশ। প্রথমে শরদিন্দু অজিতের কলমে লিখতেন। কিন্তু পরে তিনি তৃতীয়পুরুষে লিখতে শুরু করেন। এছাড়া উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে আছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উপন্যাস। যেমন 'কালের মন্দিরা', 'গৌর মল্লার', 'তুমি সন্ধ্যার মেঘ', 'তুঙ্গভদ্রার তীরে', ইত্যাদি। সামাজিক উপন্যাস যেমন 'বিষের ধোঁয়া' বা অতিপ্রাকৃত নিয়ে তার 'বরদা সিরিজ' ও অন্যান্য গল্প এখনো বেস্টসেলার।
শরদিন্দু ও সিনেমা
শরদিন্দুর জীবনে সিনেমার, বিশেষ করে বম্বের সিনেমার, খুব বড় ভূমিকা ছিল। তিনি যে ছবিগুলিতে চিত্রনাট্যকারের কাজ করেছেন সেগুলি হ্ল দূর্গা (১৯৩৯), কঙ্গন(১৯৩৯), নবজীবন(১৯৩৯) ও আজাদ(১৯৪০)। তাঁর বিভিন্ন রচনা থেকেও সিনেমা প্রস্তুত হয়েছে, যেমন নিম্নলিখিত বাংলা সিনেমাগুলি
- চিড়িয়াখানা - নির্দেশক সত্যজিত রায়
- ঝিন্দের বন্দী - নির্দেশক তপন সিংঘ
- বিষের ধোঁয়া
- দাদার কীর্তি - নির্দেশক তরুণ মজুমদার
'তিশগ্নি' নামে একটি পুরস্কারপ্রাপ্ত হিন্দি ছবি লেখকের ঐতিহাসিক ছোটগল্প 'মরু ও সঙ্ঘ'র চিত্ররুপ।
তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার (উপন্যাস 'তুঙ্গভদ্রার তীরে'র জন্য), শরৎস্মৃতি পুরস্কার, মতিলাল পুরস্কার প্রভৃতি পুরস্কার লাভ করেন।
সাহিত্যকর্ম
ব্যোমকেশ বক্সী সিরিজ
- ব্যোমকেশের ডায়েরী (১৯৩৩)
- ব্যোমকেশের কাহিনী (১৯৩৩)
- ব্যোমকেশের গল্প (১৯৩৭)
- দুর্গরহস্য (১৯৫২)
- চিড়িয়াখানা (১৯৫৩)
- আদিম রিপু (১৯৫৫)
- বহ্নি-পতঙ্গ (১৯৫৬)
- সসেমিরা (১৯৫৯)
- কহেন কবি কালিদাস (১৯৬১)
- ব্যোমকেশের ছ'টি (১৯৬২)
- ব্যোমকেশের ত্রিনয়ন (১৯৬২)
- মগ্নমৈনাক (১৯৬৩)
- শজারুর কাঁটা (১৯৬৭)
- বেণীসংহার (১৯৬৮)
- সংকলন
- শরদিন্দু অমনিবাস: প্রথম খণ্ড (১৯৭০)
- শরদিন্দু অমনিবাস: দ্বিতীয় খণ্ড (১৯৭১)
- ব্যোমকেশ সমগ্র (১৯৯৫)
ঐতিহাসিক উপন্যাস
- কালের মন্দিরা (১৯৫৩)
- গৌড়মল্লার (১৯৫৪)
- তুমি সন্ধ্যার মেঘ (১৯৫৮)
- কুমারসম্ভবের কবি (১৯৬৩)
- তুঙ্গভদ্রার তীরে (১৯৬৫)
গল্প-সংকলন
- জাতিস্মর (১৯৩২)
- চুয়াচন্দন (১৯৩৫)
- বুমের্যাং (১৯৩৮)
- বিষকন্যা (১৯৪০)
- কাঁচামিঠে (১৯৪২)
- শাদা পৃথিবী (১৯৪৮)
- এমন দিনে (১৯৬২)
- শঙ্খ-কঙ্কণ (১৯৬৩)