কবুল হ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৪৭ নং লাইন: ৪৭ নং লাইন:


== অভিনয়ে রয়েছেন ==
== অভিনয়ে রয়েছেন ==
===বর্তমান চরিত্রে (৬১৭ এপিসোড - বর্তমান)===
===বর্তমান চরিত্রে (এপিসোড ৬১৭ - বর্তমান)===
====প্রধান চরিত্রে====
====প্রধান চরিত্রে====
* [[সুরভি জ্যোতি]] - সানাম আহমেদ খান ইব্রাহিম / জান্নাত সাদ আফতাব খান
* [[সুরভি জ্যোতি]] - সানাম আহমেদ খান ইব্রাহিম / জান্নাত সাদ আফতাব খান

১৪:৪৭, ১৪ আগস্ট ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কবুল হ্যায়
চিত্র:Qubool Hai 17th Break Bumper Poster.png
কুবোল হে
ধরনইন্ডিয়ান সোপ অপেরা
লেখকজৈনেশ এজরদার
ফয়জাল আকতার
দিব্যা শরমা
অপরাজিতা শরমা
পরিচালকঅমনদীপ সিংহ
আরিফ আলী
অজয় এস মিত্র
অভিনয়েনিচে দেখুন
আবহ সঙ্গীত রচয়িতারাজু সিং
উদ্বোধনী সঙ্গীতকবুল হে
মূল দেশভারত
মূল ভাষাহিন্দি , উর্দু
পর্বের সংখ্যা৭০৭ [১]
নির্মাণ
প্রযোজকগুল খান
নিসার পারবেজ़
কারিশমা জৈন
নির্মাণের স্থানভোপাল , মুম্বাই , আজমীর , তাজমহল
ক্যামেরা সেটআপ৪ লায়ন্স
মুক্তি
মূল নেটওয়ার্কজি টিভি
মূল মুক্তির তারিখ২৯ অক্টোবর ২০১২ –
বর্তমান
বহিঃসংযোগ
ওয়েবসাইট

কবুল হ্যায় (জাপানি: কবুল করলাম) ৪ লায়ন্স ফিল্মস প্রযোজিত এবং জি টিভিতে প্রচারিত একটি সোপ অপেরা। কাহিনীটি মুসলমান সমাজকে নিয়ে রচিত।[২][৩] কাহিনী শুরু হয় ভোপাল, মধ্য প্রদেশ, ভারতে। এপ্রিল ২০১৪ তে কাহিনী কিছুদিনের জন্য পাঞ্জাবে নিয়ে যাওয়া হয় যখন আসাদ জুয়ার মৃত্যুর ২০ বছর পরে তাদের মেয়ে সানামের কাহিনী শুরু হয়।[৪] কাহিনী পুনরায় বোপালে ফিরে আসে যখন সানাম বোপালের যে বাড়ি তার মা বাবার ছিল সেখানে আসে এবং তার যমজ বোন সেহের আহমেদ খানের অধ্যায় শুরু হয় (জুয়া, সানাম, সেহের তিন জনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুরভি জ্যোতি)।[৫][৬]

সময়

কবুল হ্যায় 'শুরু হয় ২৯ অক্টোবর ২০১২ সালে জি টিভিতে।প্রচারিত হয় সোমবার - শুক্রবার ভারতের সময়ে রাত ৯:৩০ টায়।পড়ে সময় পরিবর্তন করা হয়।২৭ জুলাই ২০১৫ থেকে কবুল হ্যায় প্রচারিত হয় সোমবার - শুক্রবার রাত ৭:৩০ টায়।'

কাহিনীসংক্ষেপ

জয়া এবং আসাদের কাহিনী নিয়ে কুবুল হ্যায়র কাহিনীর সূচনা। জয়া একজন আধুনিক নারী। আসাদ সুশৃঙ্খল এবং ধার্মিক। সে জোয়ার চালচলন,আচার আচরণ পছন্দ করত না। আসাদের ছোটবেলার সঙ্গী তানভীর বেগমের আসাদের জীবনে আগমন এক নতুন অধ্যায় এর সূচনা করে। তানভীর সবসময় ধনী স্বামী খুঁজত। আসাদ তার জন্য মানানসই ছিল।তাই সে আসাদকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে জয়া তানভীরের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ আসাদ এবং জয়া একে অপরকে ভালবেসে ফেলে এবং আসাদের আম্মি দিলশাদ আসাদ এবং জয়ার বিয়ে ঠিক করে। জয়া মনে করত তার বাবা বেঁচে আছেন এবং তিনি ভারতে আছেন। পরে জয়া জানতে পারে যে গফুর আহমেদ সিদ্দিকী তার বাবা। সিদ্দিকীর বাড়িতে যাওয়ার পর জয়া জানতে পারে বহু বছর পূর্বে রাজিয়া রাশেদ খানের গুড়িয়া ফ্যাক্টরিতে (পুতুল ফ্যাক্টরি/ডল ফ্যাক্টরি) এক মহিলাকে হত্যা করে। ঐ মহিলা ছিল জয়ার আম্মি।রাশেদ খানকে হত্যা করে তানভীর সমস্ত দোষ সিদ্দিকী সাহেবের উপর চাপিয়ে দেয়।পরে জয়া ও তার সৎ বোন হুমাইরা সব জানতে পারে এবং সত্যি সবার সামনে আনে।তানভীরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।নিখাত,শিরিন ইউকে তে আয়ানের কাছে চলে যায়। হায়দার আর হুমাইরা দুবাই চলে যায়।

২ বছর পর

আসাদ এবং জয়ার দুই যমজ মেয়ের জন্ম হয়।সানাম আহমেদ খান এবং সেহের আহমেদ খান।নাজমা আর ইমরানের এক মেয়ে হয় হায়া ইমরান কুরাইশী।সেদিন ছিল আসাদ এবং জয়ার দুই যমজ মেয়ে সানাম এবং সেহেরের জন্মদিন।তারা স্কাইফের মাধ্যমে হুমাইরা এবং হায়দার ও নিখাতদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলে।এদিকে তানভীর পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পায়।পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে তানভীর আসাদ,জয়া,নাজমা এবং সিদ্দিকী সাহেবকে হত্যা করে।

২০ বছর পর

পাঞ্জাব,ভারত

ভাগ্যক্রমে দিলশাদ এবং জয়ার যমজ মেয়ে সানাম,নাজমার মেয়ে হায়া বেঁচে যায় এবং সেহের হারিয়ে যায়।তারা পাঞ্জাব চলে যায়।সানাম কাজের সন্ধানে বোপাল আসে এবং ঐ বাড়িতে কাজ নেয় যে বাড়ি প্রথমে তার আম্মি আব্বুর ছিল।বর্তমানে সেখানে তানভীরের পরিবার বাস করে। বহু বছর পূর্বে তানভীর আহিলের বাবা নবাব সাহেবকে তার সম্পত্তি তানভীরের পুত্র রেহানের নামে করতে বলে।কিন্তু নবাব তার পত্র আহিলের নামে সব সম্পত্তি লিখে দেওয়ায় তানভীর নবাবকে খুন করে।কিন্তু দলিল পায় নি।কি করবে বুঝতে না পেরে আহিলের বিছানায় বন্দুক রেখে দিয়ে আহিলকে খুনি বলে।আহিলকে তানভীর বলে যে আহিল খুন করেছে কিন্তু সমস্ত দায়ভার তানভীর নিয়ে জেলে যাবে।তানভীর আহিলের মনে ভুল ধারণা ডুকয়ে দেয় যে সে নিজের আব্বুর খুনি এবং তানভীর ওকে নিজের ছেলের মত ভালবাসে।এই ভুল ধারণায় আহিল বড় হয়।তানভীর মুক্তি পায় এবং বাড়িতে আসে।তানভীরের একচোখ ছোট থেকে নষ্ট ছিল।আসাদ মারা যাওয়ার সময় তার অন্য চোখটি অন্ধ করে দেয়।ফলে সে সানামকে দেখতে পারে না।কিন্তু সানামের কথাবার্তায় তানভীরের মনে হত জয়া কথা বলছে।সানাম জানতে পারে না যে বাড়িটা তাদের ছিল এবং তানভীর তার পরিবারকে শেষ করে দিয়েছিল।কিছুদিন পর তানভীর সম্পত্তির জন্য সানামকে আহিলের সাথে ৩ মাসের জন্য বিয়ে করার কন্ট্রাক্ট করে।সানাম জানতে পারে তানভীর আহিলের সৎ মা এবং সে নবাব সাহেবের সম্পত্তির জন্য সব করছে।তানভীরকে দেখে দিলশাদ অসুস্থ হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে।তাকে সিমলা নেওয়ার অজুহাতে দিলশাদ তাকে মেরে ফেলতে চায়।কারণ দিলশাদ বেঁচে থাকলে তানভীরের ২০ বছর আগের রহস্য সানাম জেনে যাবে। ইতিমধ্যে সানামের যমজ বোন সেহের বোপাল আসে যে বহুবর্ষ পূর্বে তার আম্মি আব্বুর হত্যার সময় হারিয়ে গিয়েছিল। সেহের নিজের আসল পরিচয় জানত না।সে নিজেকে সুনেরী নামের হিন্দু মহিলা পরিচয় দেয়।সানামও জানত না যে তার নিজের কোন যমজ বোন আছে।সেহের বোপাল আসে।সানাম আহিল সত্যিকারের ভালবেসে ফেলে এবং সিন্ধান্ত নেয় তারা নিকা (আক্দ) করবে।

রাজিয়া সানামকে কিটনাপ করে এবং সেহেরকে ৫০ লাখ রুপির বিনময়ে সানামের চরিত্রে অভিনয় করে সকল সম্পত্তি রাজিয়ার নামে করতে বলে।সেহের রাজি হয়।কিন্তু কিছুদিন পর সানাম পালিয়ে যায়।সানাম বাড়িতে আসে।কিন্তু সবাই সানামের বোন হায়া এবং রাহাতের আক্দতেতে যায়।সানাম রাজিয়ার কাছে জানতে পারে যে সুনেরীর চেহারা তার সাথে মিল আছে কারণ তারা যমজ বোন।দিলশাদকে সিমলা নেওয়ার সময় রাজিয়া তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং রাজিয়ার বোন বলে তাকে রাখে।দিলশাদ সুস্থ হয়ে উঠে এবং সেহেরকে সব সত্যি বলে।সেহের সানামকে বাঁচাতে যায়।কিন্তু রাজিয়া তাকেও সানামের সাথে বন্দি করে রাখে।তৎক্ষণাৎ রাজিয়া বিদ্যুতের শক খেয়ে মারা যায়।এদিকে সানাম এবং আহিলের রিয়েল নিকা শুরু হয়।দুলহান পালিয়ে গেছে ভেবে তানভীর আরেক সানামকে নিয়ে আসে।নতুন সানাম ছিল এক ছায়া যার হৃদয় নেই।যে এক কাল যাদুর অধিকারী।তানভীর এবং নতুন সানাম মিলে সানামকে মারতে চায়।তানভীর আহিলকে গুলি করতে চায়।কিন্তু গুলি গিয়ে তানভীর এবং ইমরানের নিজ পুত্র রেহানের বুকে লাগে এবং সে মারা যায়।তানভীর সেহেরকে কিটনাপ করে।সানাম বাঁচাতে গেলে ওকে সহ কিটনাপ করে এবং দুই যমজ বোনকে রাশেদ খানের গুরিয়া ফেক্টরিতে(পুতুল ফেক্টরি/ডল ফেক্টরি)নিয়ে যায়।সুলায়মানকে নতুন সানাম হত্যা করে।কিন্তু সুলায়মানের শেষ একটা চিঠি আহিলের কাছে পৌঁছে।চিঠিতে লেখা আছে আহিলের বাবার হত্যা রহস্য গুরিয়া ফেক্টরিতে আছে।আহিল ইন্টারনেটে গুরিয়া ফেক্টরি সম্পর্কে জানতে চার্চ করে।সেখানে সানামের বাবা আসাদ এবং মা জুয়ার ছবি থাকে।আহিল গুরিয়া ফেক্টরি যায়।সব সত্য আহিলের সামনে আসে।গুরিয়া ফেক্টরিতে আহিলের বাবা নবাব সাহেবকে বেঁচে আছে দেখে।

তানভীরের মৃত্যু হয়।মৃত্যুর পূর্বে সে জানতে পারে যে তার মেয়ে বেঁচে আছে।সে সানামকে বলে যে ওর মেয়ে আসবে প্রতিশোধ নিতে। কিছুদিন পর নতুন সানামের তৈরি জালে সেহের এক এক্সিডেন্টে মারা যায়।সেহেরকে বাঁচাতে গিয়ে সানাম আরেক এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হয় এবং সে ভাগ্যক্রমে এক্সিডেন্টে পাকিস্তানে পৌঁছে যায়। উচ্চিপ্রদেশ পাকিস্তান

অভিনয়ে রয়েছেন

বর্তমান চরিত্রে (এপিসোড ৬১৭ - বর্তমান)

প্রধান চরিত্রে

  • সুরভি জ্যোতি - সানাম আহমেদ খান ইব্রাহিম / জান্নাত সাদ আফতাব খান
  • অদিতি গুপ্তা - সানাম/নতুন সানাম(আহিলের দ্বিতীয় স্ত্রী)
  • অলকা কৌশল - রাজিয়া গফুর আহমেদ সিদ্দিকী/মুমানি/রাজিয়া বি/পানকি দোকান/সার জুদা

অন্যান্য চরিত্র

  • অংকিতা বুঙ্গনা - নাজিয়া রেজা ইব্রাহীম/নাজিয়া উদ্দীন
  • ভিশালী নাজরাত - খালা/গাজালা
  • নিরমল সনি - লতিফ

=

  • [[

পুরানো চরিত্রে

সিজন ১ (১ এপিসোড - ৩৮৫ এপিসোড)

সিজন ২

সিজন ৩ (৬১৭ এপিসোড - বর্তমান)

ব্যাকগ্রাউন্ড থিমস

কবুল হের ব্যাকগ্রাউন্ড থিমসমূহে সঞ্জীব শ্রীবাস্তব এবং রাজু সিং কন্ঠ প্রদান করেছেন।

ব্যাকগ্রাউন্ড থিমসগুলোর লিস্ট
নং.শিরোনামসুরকারদৈর্ঘ্য
১."মিতওয়া ইশক পে জোড় নেহি"সঞ্জীব শ্রীবাস্তব৩:১৯
২."আসাদ এনট্রি থিম"সঞ্জীব শ্রীবাস্তব১:০০
৩."জয়া এনট্রি থিম"সঞ্জীব শ্রীবাস্তব১:০০
৪."বিল্লু রানী ভিলেন থিম"সঞ্জীব শ্রীবাস্তব০:৫৮
৫."আয়ান এবং হুমাইরা লাভ থিম"সঞ্জীব শ্রীবাস্তব১:০০
৬."দিলশাদ এবং রাশেদ লাভ থিম"সঞ্জীব শ্রীবাস্তব১:০২
৭."হায়দার এনট্রি থিম"সঞ্জীব শ্রীবাস্তব১:০৫
৮."হায়দার ভিলেন থিম"সঞ্জীব শ্রীবাস্তব১:০০
৯."জুনুন তেরে ইশক কা"রাজু সিং১:৩৯
১০."আহিল এনট্রি থিম"রাজু সিং১:৩৫

পুরস্কার এবং মনোনয়ন

কবুল হ্যায়ের প্রাপ্ত পুরস্কার এবং মনোনয়ন তালিকা

তথ্যসূত্র

  1. "Qubool Hai : Episode Guide"। Zee TV। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  2. Times News Network. "Breaking stereotypes: Qubool Hai"The Times of India। ২৯ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৩ 
  3. Times News Network (৭ ফেব্রু ২০১৪)। "Qubool Hai brings Muslim community in trend on TV - The Times of India"The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৪ 
  4. Maheshwri, Neha (২৪ মার্চ ২০১৪)। "Qubool Hai to take two time-leaps"The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রু ২০১৫ 
  5. Bhadani, Priyanka (১৫ আগস্ট ২০১৪)। "Surbhi Jyoti to play a double role in Qubool Hai"The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানু ২০১৫ 
  6. Indo-Asian News Service (১১ নভেম্বর ২০১৪)। "It's a challenge that needs keen observation: Surbhi Jyoti on her double role in 'Qubool Hai'"CNN-IBN। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ

: