জুয়েল আইচ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী বাঁশী বাদক যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
বিষয়শ্রেণী:বরিশালের ব্যক্তিত্ব যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
৬১ নং লাইন: ৬১ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী বাঁশী বাদক]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী বাঁশী বাদক]]
[[বিষয়শ্রেণী:বরিশালের ব্যক্তিত্ব]]

০৭:২৯, ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জুয়েল আইচ
পেশাযাদুশিল্পী এবং বাঁশী বাদক
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারএকুশে পদক পুরস্কার
দাম্পত্যসঙ্গীবিপাশা আইচ
সন্তানখেয়া আইচ

জুয়েল আইচ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত যাদুশিল্পী, বাঁশী বাদক ও চিত্রশিল্পী। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাড়ি বরিশাল জেলার সমুদয়কাঠি। ভালো তবলা ও বাঁশি বাদন ছাড়াও তিনি অসাধারণ বাজি বানাতে পারেন। দেশের শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি ইউনিসেফের অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করছেন।[১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

বাবা বি. কে. আইচ ও মা সরযু আইচের পুত্র জুয়েল আইচের জন্ম ১০ এপ্রিল বরিশালে হলেও ছেলেবেলা কেটেছে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার সমদেকাঠির গ্রামের বাড়িতে। সেই সুবাদে সমদেকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ সম্পন্ন হয়। পরে তিনি পিরোজপুর শহরে চলে আসেন। সেখানকার সরকারি হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং স্থানীয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এছাড়াও শিক্ষকতার সুবাদে তিনি ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে বিএড কোর্স সমাপ্ত করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম বিপাশা আইচ[২] (বিয়ে হয় ১৩ জুলাই) এবং একমাত্র কন্যার নাম খেয়া আইচ।

কর্মজীবন

খুব ছোটবেলা বাড়িতে বেদেবহর এসেছিল, তাদের কাছেই প্রথম যাদু দেখে ভালো লেগে যায় জুয়েল আইচের। সেই ভালোলাগা ভালোবাসায় পরিণত হয় বানারীপাড়া সার্কাস দলের এক যাদুকরের গলা কাটার যাদু দেখে। পরে ওই যাদুটা এক বন্ধুর ওপর প্র্যাকটিস করে কিছুটা সফলও হন। যাদুর প্রতি তাঁর ভালোবাসাটা উন্মাদনায় পরিণত হয় সিরাজগঞ্জের যাদুকর আবদুর রশিদের যাদু দেখে, আর বন্দে আলী মিয়ার রূপকথা পড়ে। একটু একটু করে যাদু শিখতে লাগলেন তখন থেকেই, বিভিন্নজনের কাছে। তাঁর বিখ্যাত যাদু — কাগজ থেকে ডলার বানানো, চোখ বেঁধে গাড়ি চালানো, কাটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জোড়া লাগানো ইত্যাদি।[৩] মঞ্চে প্রথম যাদু প্রদর্শন করেন ১৯৭২ সালে। এছাড়া মিডিয়ায় প্রথম যাদু প্রদর্শন করেন ১৯৭৯ সালে।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ৯ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। জগন্নাথ কলেজের ছাত্র সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলের নেতৃত্বে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

  • একুশে পদক
  • কাজী মাহমুদুল্লাহ স্বর্ণপদক
  • বাংলাদেশ টেলিভিশন অ্যাওয়ার্ড
  • যুক্তরাষ্ট্রের সেরা জাতীয় পুরস্কার 'বেস্ট ম্যাজিশিয়ান অব দ্যা ইয়ার'
  • সোসাইটি অফ অ্যামেরিকান ম্যাজিশিয়ান ১৯৮১
  • সিজেএফবির আজীবন সম্মাননা (২০০৮) [৪]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ