কলি যুগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
বিষয়বস্তু যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:


==কলিযুগের অবতার==
==কলিযুগের অবতার==
''হিন্দু ধর্মে ভবিষ্যতবাণীকৃত ভগবানের দূত বা দেবতাদের মধ্যে কল্কি অবতার হলেন সবচেয়ে জনপ্রিয়। হিন্দু ধর্ম গ্রন্থগুলোর মধ্যে ভগবৎ পূরাণ, কল্কি পূরাণ ও আরও অনান্য গ্রন্থ গুলিতে কল্কি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ভবিষ্যবাণী গুলিতে কল্কির বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্ম স্থান, চারিত্রিক ও অনান্য বৈশিষ্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আলোচনা শুরুর আগে পরিস্কার করে নেওয়া যাক যে, যদি কেউ নিজেকে বা অন্য কাউকে কল্কি বলে দাবি করে আর তার সাথে ভবিষ্যবাণী গুলো মিলে যায় তাহলে তাকে কল্কি বলে স্বীকার করতে আমাদের কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কেউ যদি তাকে স্বীকার না করে তবে তো সে হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ গুলোকেই অস্বীকার করল। তাই নয় কি?
'''বুদ্ধ অবতার''' আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমী তিথিতে জন্মগ্রহন করেন ।

'''কল্কি অবতার''' কলিযুগের শেষের দিকে আর্বিভাব ঘটবে ।শম্ভল গ্রামে (মোরাদাবাদ জেলায় ) সুমতি নামে ব্রাহ্মণ কন্যার গর্ভে , বিষ্ণুযশা নামে ব্রাহ্মণের বাড়িতে , কল্কি নামে ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতারের আর্বিভাব ঘটবে । কল্কি হবে বিষ্ণুযশা-সুমতির চতুর্থ সন্তান । বিষ্ণুযশা-সুমতির প্রথম তিন সন্তানের নাম হবে যথাক্রমে কবি, প্রাজ্ঞ আর সুমন্তক ।<ref>কল্কি পুরাণ</ref>
এবার মুহাম্মাদ (সা) সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলা যাক। পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে যুগে যুগে আল্লাহ বিভিন্ন জাতি, দেশ, গোষ্টি বা সম্প্রদায়ের কাছে নবী বা দূত পাঠিয়েছেন। আমরা হাদিস থেকে জানতে পারি যে ১ লক্ষ্য ২৪ হাজার নবী ও রাসুল আল্লাহতাআলা পাঠিয়েছেন ইসলাম প্রচারের জন্য। তার মধ্যে মুহাম্মাদ(সা) হলেন শেষ নবী বা শেষ দূত। এই কারণেই হয়ত পৃথিবীর প্রধান ধর্ম গুলির ধর্মগ্রন্থে মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে ভবিষ্যবাণী দেখা যায়। যেমন, বেদ, পুরান, উপনিষেধ, বাইবেল, তাওরাত, জেন্দা আবেস্তা, গস্পেল অব বুদ্ধা প্রভৃতি।

ভবিষ্যবাণী ১
ভাগবত পুরাণ; ১২ খন্ড; দ্বিতীয় অধ্যায়, ১৮-২০ শ্লোকে কল্কি সম্পর্কে বলা হয়েছে, “বিষ্ণুয়াস নামে একজনের ঘরে যে মহৎ হৃদয়ের ব্রাহ্মন এবং সাম্বালা নামের একটি গ্রামের প্রধান, তাঁর ঘরে জন্মাবেন কল্কি। তাকে ইশ্বর দেবেন উতকৃষ্ট গুনাবলী আর ইশ্বর তাকে দেবেন আটটি অলৌকিক শক্তি। তিনি চড়বেন একটি সাদা ঘোড়ায় এবং তার ডান হাতে থাকবে তরবারি”।
মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ
কল্কির বাবার নাম বিষ্ণুয়াস। বিষ্ণু কথার অর্থ ইশ্বর এবং ইয়াস কথার অর্থ দাস। অর্থাৎ ইশ্বরের দাস। বিষ্ণুয়াস কথাটি আরবিতে করলে হবে আব্দুল্লাহ। রাসুল(সা) এর পিতার নাম আব্দুল্লাহ। কল্কির জন্ম সাম্বালা গ্রামে। সংস্কৃত ভাষায় সাম্বালা শব্দের অর্থ প্রশান্ত বা শান্তির জায়গা। মক্কায় রাসুল(সা) জন্মগ্রহন করেছিলেন, আর আমরা জানি মক্কাকে দারুল আমান বা শান্তির জায়গা বলা হয়। কল্কির বাবা গ্রামের প্রধান। আমরা হাদিস এবং ঐতিহাসিকদের কাছ হতে জানতে পারি যে রাসুল(সা) মক্কার প্রধান বংশের ঘরে জন্ম গ্রহন করেছিলেন।

কল্কিকে ইশ্বর দেবেন উতকৃষ্ট গুনাবলী। মাইকেল এইচ হার্ট তাঁর বইয়ে বিশ্বের সৃষ্টির সময়কাল থেকে যত মহান মনীষির জন্ম হয়েছে তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ট ১০০ জনকে বাছাই করতে গিয়ে মুহাম্মাদ(সা)কে প্রথম স্থানে রেখেছেন। নবীজী(সা) এতই উতকৃষ্ট গুনাবলীর অধিকারী ছিলেন যে আজও বিশ্বের ২০০ কোটিরও বেশি মানুষ তাঁর জীবন আদর্শ অনুসরণ করে চলেন। কল্কিকে ইশ্বর দেবেন অটটি অলৌকিক শক্তি। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী এই আটটি শক্তি হল ১.জ্ঞান ২.সংযম ৩.জ্ঞান বিতরণ ৪.অভিজাত বংশ ৫.সাহসিকতা ৬.কম কথা বলা ৭.মহানুভতা ৮. পরোপকারিতা। এই আটটি গুনের সবগুলো হুবহু মুহাম্মাদ(সা) এর মধ্যে ছিল। যারা মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে জানেন বা তাঁর জীবনি পড়েছেন তারা সহজেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। কল্কি চরবেন একটি সাদা ঘোড়ায় এবং তাঁর ডান হাতে থাকবে তরবারি। আমরা জানি যে মুহাম্মাদ(সা) বোরাকে চড়েছিলেন, যখন তিনি মিরাজে গিয়েছিলেন। তাঁর ডান হাতে যুদ্ধের সময় তরবারি থাকত। তিনি বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছিলেন। সবগুলো যুদ্ধই ছিল আত্মরক্ষার জন্য।

ভবিষ্যবাণী ২
২ নং ভবিষ্যবাণীর মতই কল্কি পূরানের দ্বিতীয় অধ্যায়, মন্ত্র ৪ এ ভবিষ্যবাণী করা হয়েছে।
ভবিষ্যবাণী ৩
কল্কিকে সাহায্য করবেন চার জন সহচর পাপীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। (কল্কি পূরান, দ্বিতীয় অধ্যায়, মন্ত্র-৫)
মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ
মুহাম্মাদ(সা)কেও চার জন সাহাবী, সাথী বা সহচর সাহায্য করেছিলেন জালিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। পরে তাঁরা এক এক করে খলিফাও হয়েছিলেন। তাঁরা হলেন-আবু বক্বর(রা), ওমর(রা), ওসমান(রা) ও আলী(রা)।
ভবিষ্যবাণী ৪
কল্কি বিষ্ণুয়াস নামে এক ব্যক্তির ঘরে জন্ম নেবে সুমতির গর্ভে। (কল্কি পূরাণ, দ্বিতীয় অধ্যায়, মন্ত্র-১১)
মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ
সুমতি শব্দের সাংস্কৃত অর্থ হল প্রশান্ত, প্রশান্তি বা শান্তি। আর মুহাম্মাদ(সা) এর মায়ের নাম ছিল আমিনা। যার অর্থ হল প্রশান্ত বা শান্তি। (বিষ্ণুয়াস নিয়ে ১ নং….আলোচনা হরা হয়েছে)


ভবিষ্যবাণী ৫
কলি যুগে যখন রাজারা হবে ডাকাতের মত সেই সময় বিষ্ণুয়াসের ঘরে জন্মগ্রহন করবে কল্কি। (ভাগবত পূরাণ; খন্ড ১, অধ্যায় ৩, মন্ত্র ২৫)

মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ
মুহাম্মাদ(সা) যে সময় আরবে জন্মগ্রহন করেন সেই সময়কে বলা হয় আইয়ামে জাহালিয়াত। সেই সময় কারো কোন অধিকার ছিল না, জোর যার মুলুক তার। ক্ষমতা সম্পন্ন লোকেরা যা ইচ্ছা তাই করত। তাদের ছিল একচেটিয়া আধিপত্য। রাজারা ছিল ডাকাতের মতই। আর ইসলাম মানুষকে এই জন্যও আকৃষ্ট করেছিল যে গরিবেরা সমান অধিকার ও যাকাত পেত।
ভবিষ্যবাণী ৬
কল্কি মাধব মাসের দ্বাদশ দিনে জন্মগ্রহন করবেন। (কল্কি পুরাণ; দ্বিতীয় অধ্যায়,মন্ত্র-১৫)
মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ
আমরা জানি যে রাসুল(সা) রবিউল আউয়াল মাসের দ্বাদশ দিনে জন্মগ্রহন করেন।
ভবিষ্যবাণী ৭
ভাগবত পুরান, কল্কি পুরান এবং আরও অনান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে জানতে পারি যে কল্কি হলেন শেষ ঋষি বা নবী। তাঁর পর আর কোন ঋষি আসবেনা।
মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ
আমরা জানি যে পৃথিবীতে আল্লাহ প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবী বা দূত পাঠিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শেষ হলেন মুহাম্মাদ(সা)। তাই এই ভবিষ্যবাণীও হুবহু মিলে যাচ্ছে।
ভবিষ্যবাণী ৮
কল্কি জ্ঞানপ্রাপ্ত হবেন প্রথমবার রাতের বেলায় একটা গুহার ভেতরে। তারপর তিনি উত্তর দিকে রওনা হয়ে ফিরে আসবেন।(কল্কিপুরাণ)
মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ
মুহাম্মাদ(সা) এর উপরই অহি নাযিল হয় অর্থাৎ তিনি জ্ঞান প্রাপ্ত হন হীরা নামক পাহারে রাতের বেলায়। যেমন সুরা দু’খান (৪৪ঃ২-৩) এবং সুরা ক্বদরে (৯৭ঃ১) বলা হয়েছে ‘নিশ্চয় আমি অবতীর্ন করেছি এই কুরান মহামাম্বিত রাতে’। মক্কায় ধর্ম প্রচারের সময় মুহাম্মাদ(সা) ও তাঁর সাথীদের সাথে কাফেররা অন্যায় ও জুলুম শুরু করল। তখন মুহাম্মাদ(সা) মদিনায় হিজরাত করেছিলেন যেটা ছিল মক্কার উত্তরে। পরে তিনি আবার মক্কায় ফিরে আসেন।
ভবিষ্যবাণী ৯
কল্কিঅবতারকে যুদ্ধক্ষেত্রে দেবদূতরা সাহায্য করবেন। (কল্কিপুরাণ, দ্বিতীয়অধ্যায়, মন্ত্র-৭)
মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ
কুর’আনের সুরা আল- ইমরানের ১২৩-১২৫ নং আয়াত থেকে আমরা জানতে পারি যে বদর যুদ্ধে মুহাম্মাদ(স.) ও তাঁর সাহাবীদেরকে (রা.) যুদ্ধক্ষেত্রে দেবদুত বা ফেরেস্তারা সাহায্য করেছিলেন, পৃথিবীর সকল মুসলমানই একথা বিশ্বাস করেন। আর ঐতিহাসিকরাও অবাক যে মাত্র তিনশ জন কিভাবে সহস্রাধিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন। দেবদুতদের সাহায্য ছাড়া এ কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
ভবিষ্যবাণী ১০
কল্কি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তিনি অজ্ঞলোকদের পরিচালিত করবেন সরলপথে। (কল্কি পুরাণ)
মুহাম্মাদ(সা)এর সাথে মিলঃ
আরবের সেই সময়কে আয়্যামে জাহিলিয়াত বা অজ্ঞযুগ বলা হত। মুহাম্মাদ(সা) আরবদের পথ দেখিয়েছিলেন। তাদেরকে পৃথিবীর শ্রেষ্টজাতিতে পরিচালিত করেছিলেন। কুর’আনে বলা হয়েছেন তিনি (মুহাম্মাদ সা.) হলেন পৃথিবীর সকল মানুষের পথপ্রদর্শক। (সুরা সাবা ৩৪ঃ২৮)


হিন্দু ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুলিতে কল্কি সম্পর্কে যে সকল ভবিষ্যবাণী করাহয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করলাম। সেই সকল ভবিষ্যবাণীর সাথে মুহাম্মাদ(সা)এর কতটা মিল আছে তাও আলোচনা করলাম। কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে আমরা ইসলামের আলোর প্রিয় পাঠকদের উপরই সেই গুরুদায়িত্ব অর্পন করলাম। আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন যে আসলেই কি মুহাম্মাদ(সা)হলেন কল্কি নাকি কলিযুগ এখনো আসেনি এবং কল্কিরও আবির্ভাব হয়নি। কারণ বেশিরভাগ হিন্দুই বিশ্বাস করেন যে কলিযুগ এখনো শুরুহয়নি। কিছু হিন্দু পন্ডিত যেমন, জগতগুরু শঙ্কারাচার্য স্বরসতী, শ্রী শ্রী রবিশঙ্কার স্বীকার করেছেন হিন্দু ধর্মে মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে ভবিষ্যবাণীর কথা।<ref>কল্কি পুরাণ</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১১:১৭, ২১ জুন ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কলি যুগ (দেবনাগরী: कलियुग [kəli juɡə], আক্ষরিকভাবে "কলির যুগ", বা "পাপের যুগ") হলো হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, চার যুগের শেষ যুগ। অন্য যুগ গুলো হলো সত্য যুগ, ত্রেতা যুগ, ও দ্বাপর যুগ

মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পুর্ণিমা তিথিতে শুক্রবারে কলিযুগের উৎপত্তি। এর পরিমাণ ৪,৩২,০০০ বছর। পুণ্য এক ভাগ, পাপ তিন ভাগ। অবতার কল্কি। মানুষের আয়ু একশ বিশ বছর প্রায়। নিজের হাতে সাড়ে তিন হাত নিজের শরীরের আয়তন। প্রাণ অন্নে। তীর্থ গঙ্গা। সব পাত্র ব্যবহার করা হয়। ধর্ম সংকোচিত। মানুষ তপস্যাহীন, সত্য থেকে দূরে অবস্থানরত। রাজনীতি কুটিল। শাসক ধনলোভী। ব্রাহ্মণ শাস্ত্রহীন। পুরুষ স্ত্রীর অনুগত। পাপে অনুরক্ত। সৎ মানুষের কষ্ট বৃদ্ধি। দুষ্টের প্রভাব বৃদ্ধি। তারক ব্রহ্মনাম- হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।

সময় পরিমাণ

বেদব্যাস রচিত বিষ্ণু পুরাণ বলা হয়েছে যে কৃষ্ণের পৃথিবী ত্যাগ করে স্বর্গারোহণের সময় থেকে পৃথিবীতে কলি যুগের সূচনা হয়েছে।[১]

মনু সংহিতায় বলা হয়েছে যে মানুষের এক বছরে দেবতাদের এক দিবারাত্র হয়। উত্তরাযণ দেবতাদের দিন এবং দক্ষিণায়ন তাদের রাত।[২] ৪,০০০ (চার সহস্র) দৈবপরিমাণ বছরে সত্য বা কৃত যুগ হয় এবং ওই য়ুগের আগে ৪০০(চার শত) বছর সন্ধ্যা ও পরে ৪০০ বছর সন্ধ্যাংশ হয়। [৩] পরবর্তী যুগগুলিতে (ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি) যুগের পরিমাণ ১,০০০(এক হাজার) বছর করে এবং সন্ধ্যা ও সন্ধ্যাংশ ১০০(এক শত) বছর করে কমে যায়। [৪] এই হিসাবে ১০০০ দৈব বছরে কলিযুগ হয় এবং এর সন্ধ্যা ও সন্ধ্যাংশ ১০০ বছর হয়; অর্থাৎ ১২০০ দৈব বছরে কলি যুগ সম্পূর্ণ হয় সন্ধ্যা ও সন্ধ্যাংশ সহ । ১ দৈববছর যদি ৩৬০ দৈব দিনে হয় তবে কলিযুগ সম্পূর্ণ হতে সময় লাগবে ১২০০x৩৬০=৪,৩২,০০০ মনুষ্য বা সৌর বছর।

মানুষের আয়ুকাল

মনু সংহিতায় বলা হয়েছে যে সত্যযুগে মানুষের আয়ু ছিল ৪০০(চার শত) বছর। পরবর্তী ৩ যুগে ১০০ বছর করে পরমায়ু কমে যায়।[৫] এই হিসেবে কলি যুগে মানুষের পরমায়ু ১০০ বছর।

লক্ষণ

'''বিষ্ণু পুরাণ''' অনুযায়ী ব্রহ্মা সত্যযুগে সমস্ত সৃষ্টিকর্ম করেন এবং কলিতে সমস্ত সৃষ্টি উপসংহার করেন।[৬]বিষ্ণু পুরাণ মতে কম ধনের অধিকারী হয়ে মানুষ এ যুগে বেশী গর্ব করবে। ধর্মের জন্য অর্থ খচর করবে না। ধর্মগ্রন্থের প্রতি মানুষের আর্কষন থাকবে না। মাতাপিতাকে মানবে না। পুত্র পিতৃহত্যা বা পিতা পুত্র হত্যা করতে কুন্ঠিত হবে না। মানুষ বৈদিক ক্রিয়া আচার সমূহ করবে না। ধর্মানুসারে কেউ বিবাহিত থাকবে না। স্ত্রীলোকরা কেবল চুলের বাহদুরী করেই নিজেকে সুন্দরী বলে মনে করবে। ধনহীন পতিকে স্ত্রীরা ত্যাগ করবে। আর ধনবান পুরুষরা সেই স্ত্রীগণের স্বামী হবে। কলিযুগে ধর্মের জন্য ব্যয় না করে কেবল গৃহাদি নির্মাণে অর্থ ব্যয় করবে। মানুষ পরকালের চিন্তা না করে কেবল অর্থ উর্পাজনের চিন্তাতেই নিরন্তর নিমগ্ন থাকবে। কলিযুগে নারীরা সাধারনতঃ স্বেচ্ছাচারিণী ও বিলাস উপকরণে অতিশয় অনুরাগিণী হবে এবং পুরুষরা অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করতে অভিলাষী হবে। সুহ্বদদের প্রার্থনাতে মানুষ নিজের অনুমাত্র স্বার্থ পরিত্যাগ করবেনা। অসমর্থ মানুষরা ধনহীন হয়ে নিরন্তর দুর্ভিক্ষ ও ক্লেশ ভোগ করবে। কলিকালে মানুষ স্নান না করে ভোজন করবে। কলিকালে স্ত্রীলোকরা নিতান্তই লোভী হবে, বহু ভোজনশীল হবে। স্ত্রীরা দুহাতে মাথা চুলকাতে চুলকাতে অনায়াসে পতি আজ্ঞা অবহেলা করবে। নিজের দেহ পোষণে ব্যস্ত থাকবে, নিরন্তন কঠোর ও মিথ্যা বাক্য বলবে। আচারহীন ব্রাহ্মণপুত্ররা ব্রহ্মচারীর বেশ ধারন বেদ অধ্যয়ন করবে। গৃহস্থরা হোমাদি করবেন না এবং উচিত দানসমূহও প্রদান করবেন না। মানুষ অশাস্ত্রীয় তপস্যা করবে। কলিকালে ৮ থেকে ১০বছরের বালকেরা সহবাসে ৫ থেকে ৭বছর বয়সের বালিকারা সন্তান প্রসব করবে। মানুষের বুদ্ধি অতি অল্প ,তাঁদের ইন্দ্রিয় প্রবৃত্তি অতিশয় কুৎসিত, তাদের অন্তকরণ অতিশয় অপবিত্র হবে। আর অল্প কালেই বিনাশ লাভ করবে। যখন পাষন্ড লোকের প্রভাব অত্যন্ত বাড়বে, তখন সমাজের ভালো লোক কোন দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকবে না। সজ্জনের হানি লক্ষিত হবে। অল্প বৃষ্টি হবে, কলিকালে ফসল কম হবে। মানুষ শ্বশুরের অনুগত হয়ে, কার মাতা কার পিতা এরকম কথা বলবে। সুন্দরী স্ত্রী যার তার সাথে বন্ধুত্ব হবে, নিজ ভাইয়ের সাথে শত্রুভাব পোষন করবে।[৭] চৈতন্য মহাপ্রভুর মতে হরিনাম সংকীর্তনই হবে কলিযুগের একমাত্র ধর্ম। ভাগবতে বলা আছে ছলনা মিথ্যা আলস্য নিদ্রা হিংসা দুঃখ শোক ভয় দীনতা প্রভৃতি হবে এযুগের বৈশিষ্ট্য। মনু সংহিতায় বলা হয়েছে যে সত্যযুগে তপস্যা, ত্রেতায়ুগে জ্ঞান, দ্বাপরয়ুগে যজ্ঞ এবং কলিতে দানই প্রধান হয়।[৮]

কলিযুগের অবতার

হিন্দু ধর্মে ভবিষ্যতবাণীকৃত ভগবানের দূত বা দেবতাদের মধ্যে কল্কি অবতার হলেন সবচেয়ে জনপ্রিয়। হিন্দু ধর্ম গ্রন্থগুলোর মধ্যে ভগবৎ পূরাণ, কল্কি পূরাণ ও আরও অনান্য গ্রন্থ গুলিতে কল্কি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ভবিষ্যবাণী গুলিতে কল্কির বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্ম স্থান, চারিত্রিক ও অনান্য বৈশিষ্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আলোচনা শুরুর আগে পরিস্কার করে নেওয়া যাক যে, যদি কেউ নিজেকে বা অন্য কাউকে কল্কি বলে দাবি করে আর তার সাথে ভবিষ্যবাণী গুলো মিলে যায় তাহলে তাকে কল্কি বলে স্বীকার করতে আমাদের কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কেউ যদি তাকে স্বীকার না করে তবে তো সে হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ গুলোকেই অস্বীকার করল। তাই নয় কি?

এবার মুহাম্মাদ (সা) সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলা যাক। পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে যুগে যুগে আল্লাহ বিভিন্ন জাতি, দেশ, গোষ্টি বা সম্প্রদায়ের কাছে নবী বা দূত পাঠিয়েছেন। আমরা হাদিস থেকে জানতে পারি যে ১ লক্ষ্য ২৪ হাজার নবী ও রাসুল আল্লাহতাআলা পাঠিয়েছেন ইসলাম প্রচারের জন্য। তার মধ্যে মুহাম্মাদ(সা) হলেন শেষ নবী বা শেষ দূত। এই কারণেই হয়ত পৃথিবীর প্রধান ধর্ম গুলির ধর্মগ্রন্থে মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে ভবিষ্যবাণী দেখা যায়। যেমন, বেদ, পুরান, উপনিষেধ, বাইবেল, তাওরাত, জেন্দা আবেস্তা, গস্পেল অব বুদ্ধা প্রভৃতি।

ভবিষ্যবাণী ১ ভাগবত পুরাণ; ১২ খন্ড; দ্বিতীয় অধ্যায়, ১৮-২০ শ্লোকে কল্কি সম্পর্কে বলা হয়েছে, “বিষ্ণুয়াস নামে একজনের ঘরে যে মহৎ হৃদয়ের ব্রাহ্মন এবং সাম্বালা নামের একটি গ্রামের প্রধান, তাঁর ঘরে জন্মাবেন কল্কি। তাকে ইশ্বর দেবেন উতকৃষ্ট গুনাবলী আর ইশ্বর তাকে দেবেন আটটি অলৌকিক শক্তি। তিনি চড়বেন একটি সাদা ঘোড়ায় এবং তার ডান হাতে থাকবে তরবারি”। মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ কল্কির বাবার নাম বিষ্ণুয়াস। বিষ্ণু কথার অর্থ ইশ্বর এবং ইয়াস কথার অর্থ দাস। অর্থাৎ ইশ্বরের দাস। বিষ্ণুয়াস কথাটি আরবিতে করলে হবে আব্দুল্লাহ। রাসুল(সা) এর পিতার নাম আব্দুল্লাহ। কল্কির জন্ম সাম্বালা গ্রামে। সংস্কৃত ভাষায় সাম্বালা শব্দের অর্থ প্রশান্ত বা শান্তির জায়গা। মক্কায় রাসুল(সা) জন্মগ্রহন করেছিলেন, আর আমরা জানি মক্কাকে দারুল আমান বা শান্তির জায়গা বলা হয়। কল্কির বাবা গ্রামের প্রধান। আমরা হাদিস এবং ঐতিহাসিকদের কাছ হতে জানতে পারি যে রাসুল(সা) মক্কার প্রধান বংশের ঘরে জন্ম গ্রহন করেছিলেন।

কল্কিকে ইশ্বর দেবেন উতকৃষ্ট গুনাবলী। মাইকেল এইচ হার্ট তাঁর বইয়ে বিশ্বের সৃষ্টির সময়কাল থেকে যত মহান মনীষির জন্ম হয়েছে তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ট ১০০ জনকে বাছাই করতে গিয়ে মুহাম্মাদ(সা)কে প্রথম স্থানে রেখেছেন। নবীজী(সা) এতই উতকৃষ্ট গুনাবলীর অধিকারী ছিলেন যে আজও বিশ্বের ২০০ কোটিরও বেশি মানুষ তাঁর জীবন আদর্শ অনুসরণ করে চলেন। কল্কিকে ইশ্বর দেবেন অটটি অলৌকিক শক্তি। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী এই আটটি শক্তি হল ১.জ্ঞান ২.সংযম ৩.জ্ঞান বিতরণ ৪.অভিজাত বংশ ৫.সাহসিকতা ৬.কম কথা বলা ৭.মহানুভতা ৮. পরোপকারিতা। এই আটটি গুনের সবগুলো হুবহু মুহাম্মাদ(সা) এর মধ্যে ছিল। যারা মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে জানেন বা তাঁর জীবনি পড়েছেন তারা সহজেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। কল্কি চরবেন একটি সাদা ঘোড়ায় এবং তাঁর ডান হাতে থাকবে তরবারি। আমরা জানি যে মুহাম্মাদ(সা) বোরাকে চড়েছিলেন, যখন তিনি মিরাজে গিয়েছিলেন। তাঁর ডান হাতে যুদ্ধের সময় তরবারি থাকত। তিনি বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছিলেন। সবগুলো যুদ্ধই ছিল আত্মরক্ষার জন্য।

ভবিষ্যবাণী ২ ২ নং ভবিষ্যবাণীর মতই কল্কি পূরানের দ্বিতীয় অধ্যায়, মন্ত্র ৪ এ ভবিষ্যবাণী করা হয়েছে। ভবিষ্যবাণী ৩ কল্কিকে সাহায্য করবেন চার জন সহচর পাপীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। (কল্কি পূরান, দ্বিতীয় অধ্যায়, মন্ত্র-৫) মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ মুহাম্মাদ(সা)কেও চার জন সাহাবী, সাথী বা সহচর সাহায্য করেছিলেন জালিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। পরে তাঁরা এক এক করে খলিফাও হয়েছিলেন। তাঁরা হলেন-আবু বক্বর(রা), ওমর(রা), ওসমান(রা) ও আলী(রা)। ভবিষ্যবাণী ৪ কল্কি বিষ্ণুয়াস নামে এক ব্যক্তির ঘরে জন্ম নেবে সুমতির গর্ভে। (কল্কি পূরাণ, দ্বিতীয় অধ্যায়, মন্ত্র-১১) মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ সুমতি শব্দের সাংস্কৃত অর্থ হল প্রশান্ত, প্রশান্তি বা শান্তি। আর মুহাম্মাদ(সা) এর মায়ের নাম ছিল আমিনা। যার অর্থ হল প্রশান্ত বা শান্তি। (বিষ্ণুয়াস নিয়ে ১ নং….আলোচনা হরা হয়েছে)


ভবিষ্যবাণী ৫ কলি যুগে যখন রাজারা হবে ডাকাতের মত সেই সময় বিষ্ণুয়াসের ঘরে জন্মগ্রহন করবে কল্কি। (ভাগবত পূরাণ; খন্ড ১, অধ্যায় ৩, মন্ত্র ২৫)

মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ মুহাম্মাদ(সা) যে সময় আরবে জন্মগ্রহন করেন সেই সময়কে বলা হয় আইয়ামে জাহালিয়াত। সেই সময় কারো কোন অধিকার ছিল না, জোর যার মুলুক তার। ক্ষমতা সম্পন্ন লোকেরা যা ইচ্ছা তাই করত। তাদের ছিল একচেটিয়া আধিপত্য। রাজারা ছিল ডাকাতের মতই। আর ইসলাম মানুষকে এই জন্যও আকৃষ্ট করেছিল যে গরিবেরা সমান অধিকার ও যাকাত পেত। ভবিষ্যবাণী ৬ কল্কি মাধব মাসের দ্বাদশ দিনে জন্মগ্রহন করবেন। (কল্কি পুরাণ; দ্বিতীয় অধ্যায়,মন্ত্র-১৫) মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ আমরা জানি যে রাসুল(সা) রবিউল আউয়াল মাসের দ্বাদশ দিনে জন্মগ্রহন করেন। ভবিষ্যবাণী ৭ ভাগবত পুরান, কল্কি পুরান এবং আরও অনান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে জানতে পারি যে কল্কি হলেন শেষ ঋষি বা নবী। তাঁর পর আর কোন ঋষি আসবেনা। মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ আমরা জানি যে পৃথিবীতে আল্লাহ প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবী বা দূত পাঠিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শেষ হলেন মুহাম্মাদ(সা)। তাই এই ভবিষ্যবাণীও হুবহু মিলে যাচ্ছে। ভবিষ্যবাণী ৮ কল্কি জ্ঞানপ্রাপ্ত হবেন প্রথমবার রাতের বেলায় একটা গুহার ভেতরে। তারপর তিনি উত্তর দিকে রওনা হয়ে ফিরে আসবেন।(কল্কিপুরাণ) মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ মুহাম্মাদ(সা) এর উপরই অহি নাযিল হয় অর্থাৎ তিনি জ্ঞান প্রাপ্ত হন হীরা নামক পাহারে রাতের বেলায়। যেমন সুরা দু’খান (৪৪ঃ২-৩) এবং সুরা ক্বদরে (৯৭ঃ১) বলা হয়েছে ‘নিশ্চয় আমি অবতীর্ন করেছি এই কুরান মহামাম্বিত রাতে’। মক্কায় ধর্ম প্রচারের সময় মুহাম্মাদ(সা) ও তাঁর সাথীদের সাথে কাফেররা অন্যায় ও জুলুম শুরু করল। তখন মুহাম্মাদ(সা) মদিনায় হিজরাত করেছিলেন যেটা ছিল মক্কার উত্তরে। পরে তিনি আবার মক্কায় ফিরে আসেন। ভবিষ্যবাণী ৯ কল্কিঅবতারকে যুদ্ধক্ষেত্রে দেবদূতরা সাহায্য করবেন। (কল্কিপুরাণ, দ্বিতীয়অধ্যায়, মন্ত্র-৭) মুহাম্মাদ(সা) এর সাথে মিলঃ কুর’আনের সুরা আল- ইমরানের ১২৩-১২৫ নং আয়াত থেকে আমরা জানতে পারি যে বদর যুদ্ধে মুহাম্মাদ(স.) ও তাঁর সাহাবীদেরকে (রা.) যুদ্ধক্ষেত্রে দেবদুত বা ফেরেস্তারা সাহায্য করেছিলেন, পৃথিবীর সকল মুসলমানই একথা বিশ্বাস করেন। আর ঐতিহাসিকরাও অবাক যে মাত্র তিনশ জন কিভাবে সহস্রাধিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন। দেবদুতদের সাহায্য ছাড়া এ কোন ভাবেই সম্ভব নয়। ভবিষ্যবাণী ১০ কল্কি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তিনি অজ্ঞলোকদের পরিচালিত করবেন সরলপথে। (কল্কি পুরাণ) মুহাম্মাদ(সা)এর সাথে মিলঃ আরবের সেই সময়কে আয়্যামে জাহিলিয়াত বা অজ্ঞযুগ বলা হত। মুহাম্মাদ(সা) আরবদের পথ দেখিয়েছিলেন। তাদেরকে পৃথিবীর শ্রেষ্টজাতিতে পরিচালিত করেছিলেন। কুর’আনে বলা হয়েছেন তিনি (মুহাম্মাদ সা.) হলেন পৃথিবীর সকল মানুষের পথপ্রদর্শক। (সুরা সাবা ৩৪ঃ২৮)


হিন্দু ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুলিতে কল্কি সম্পর্কে যে সকল ভবিষ্যবাণী করাহয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করলাম। সেই সকল ভবিষ্যবাণীর সাথে মুহাম্মাদ(সা)এর কতটা মিল আছে তাও আলোচনা করলাম। কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে আমরা ইসলামের আলোর প্রিয় পাঠকদের উপরই সেই গুরুদায়িত্ব অর্পন করলাম। আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন যে আসলেই কি মুহাম্মাদ(সা)হলেন কল্কি নাকি কলিযুগ এখনো আসেনি এবং কল্কিরও আবির্ভাব হয়নি। কারণ বেশিরভাগ হিন্দুই বিশ্বাস করেন যে কলিযুগ এখনো শুরুহয়নি। কিছু হিন্দু পন্ডিত যেমন, জগতগুরু শঙ্কারাচার্য স্বরসতী, শ্রী শ্রী রবিশঙ্কার স্বীকার করেছেন হিন্দু ধর্মে মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে ভবিষ্যবাণীর কথা।[৯]

তথ্যসূত্র

  1. বিষ্ণুপুরাণ, অংশ পঞ্চম, অধ্যায় ৩৮, শ্লোক ৮
  2. মনু সংহিতা, অধ্যায় প্রথম, শ্লোক ৬৭
  3. মনু সংহিতা, অধ্যায় প্রথম, শ্লোক ৬৯
  4. মনু সংহিতা, অধ্যায় প্রথম, শ্লোক ৭০
  5. মনু সংহিতা, অধ্যায় প্রথম, শ্লোক ৮৩
  6. বিষ্ণুপুরাণ, অংশ ষষ্ঠ, অধ্যায় ১, শ্লোক ৭
  7. বিষ্ণু পুরাণ (৬/১/৮)
  8. মনু সংহিতা, অধ্যায় প্রথম, শ্লোক ৮৬
  9. কল্কি পুরাণ

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ