পূর্ববঙ্গ আইনসভা নির্বাচন, ১৯৫৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Politics of Bangladesh}}
{{Politics of Bangladesh}}
'''পূর্ব পাকিস্তান আইন নির্বাচন ১৯৫৪''' বা '''পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচন ১৯৫৪''', [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দী দল দুটি ছিল [[মুসলিম লীগ]] ও [[যুক্তফ্রন্ট]]। তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে [[আওয়ামী মুসলিম লীগ]] ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর তারিখে [[কৃষক শ্রমিক পার্টি]], [[পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল]] ও [[পাকিস্তান খেলাফত পার্টির]] সঙ্গে মিলে [[যুক্তফ্রন্ট]] গঠন করে। তাই এ নির্বাচনকে '''যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনও''' বলা হয়ে থাকে। সাথে আরো ছিল মৌওলানা আতাহার আলীর [[নেজামে ইসলাম পার্টি]]।<ref>http://www.azadiserver.com/annan_details.php?cont_id=58</ref> যুক্তফ্রন্টের প্রধার তিন নেতা ছিলেন [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী|মওলানা ভাসানী]], [[আবুল কাশেম ফজলুল হক|শেরে বাংলা একে ফজলুল হক]] এবং [[হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]]। নির্বাচনে [[যুক্তফ্রন্ট]] জয়লাভ করে ও [[আবুল কাশেম ফজলুল হক|শেরে বাংলা একে ফজলুল হক]] পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রাদেশিক সরকারকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ও গভর্নরের শাসণ চালু করে।<ref>http://bangla.irib.ir/index.php?option=com_content&task=view&id=10067&Itemid=79/</ref>
'''পূর্ব পাকিস্তান আইন নির্বাচন ১৯৫৪''' বা '''পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচন ১৯৫৪''', [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দী দল দুটি ছিল [[মুসলিম লীগ]] ও [[যুক্তফ্রন্ট]]। তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে [[আওয়ামী মুসলিম লীগ]] ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর তারিখে [[কৃষক শ্রমিক পার্টি]], [[পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল]] ও [[পাকিস্তান খেলাফত পার্টির]] সঙ্গে মিলে [[যুক্তফ্রন্ট]] গঠন করে। তাই এ নির্বাচনকে '''যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনও''' বলা হয়ে থাকে। সাথে আরো ছিল মৌওলানা আতাহার আলীর [[নেজামে ইসলাম পার্টি]]।<ref>http://www.azadiserver.com/annan_details.php?cont_id=58</ref> যুক্তফ্রন্টের প্রধান তিন নেতা ছিলেন [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী|মওলানা ভাসানী]], [[আবুল কাশেম ফজলুল হক|শেরে বাংলা একে ফজলুল হক]] এবং [[হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]]। নির্বাচনে [[যুক্তফ্রন্ট]] জয়লাভ করে ও [[আবুল কাশেম ফজলুল হক|শেরে বাংলা একে ফজলুল হক]] পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রাদেশিক সরকারকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ও গভর্নরের শাসণ চালু করে।<ref>http://bangla.irib.ir/index.php?option=com_content&task=view&id=10067&Itemid=79/</ref>


== নির্বাচনের ফলাফল ==
== নির্বাচনের ফলাফল ==

১৩:৪০, ৯ জুন ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পূর্ব পাকিস্তান আইন নির্বাচন ১৯৫৪ বা পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচন ১৯৫৪, পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দী দল দুটি ছিল মুসলিম লীগযুক্তফ্রন্ট। তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর তারিখে কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দলপাকিস্তান খেলাফত পার্টির সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। তাই এ নির্বাচনকে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনও বলা হয়ে থাকে। সাথে আরো ছিল মৌওলানা আতাহার আলীর নেজামে ইসলাম পার্টি[১] যুক্তফ্রন্টের প্রধান তিন নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে ও শেরে বাংলা একে ফজলুল হক পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রাদেশিক সরকারকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ও গভর্নরের শাসণ চালু করে।[২]

নির্বাচনের ফলাফল

১৯৫৪ সালের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন অর্জ্জন করে। তন্মধ্যে ১৪৩টি পেয়েছিল মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ, ৪৮টি পেয়েছিল শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামী ইসলাম পার্টি লাভ করেছিল ২২, গণতন্ত্রী দল লাভ করেছির ১৩টি এবং খেলাফত-ই-রাব্বানী নামক দলটি ১টি আসন। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ সম্পূর্ণরূপে এ নির্বাচনে পরাভূত হয় ; তারা কেবল ৯টি আসন লাভ করতে সমর্থ হয়।

এ নির্বাচনে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য ৭২টি আসন সংরক্ষিত ছিল। এগুলোর মধ্যে কংগ্রেস লাভ করেছিল ২৪টি আসন, কমিউনিস্ট পার্টি ৪টি, শিডিউল্ড কাস্ট ফাউন্ডেশন ২৭টি, গণতন্ত্রী দল ৩টি এবং ইউনাইটেড পগ্রেসিভ পার্টি ১৩টি আসন লাভ করেছিল। একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী একটি আসনে জয়ী হয়েছিলেন।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র