চর রাজিবপুর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৫°২৩′৫৩″ উত্তর ৮৯°৪১′২০″ পূর্ব / ২৫.৩৯৮০৬° উত্তর ৮৯.৬৮৮৮৯° পূর্ব / 25.39806; 89.68889
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট বিষয়শ্রেণী ঠিক করেছে
JackieBot (আলোচনা | অবদান)
Fix URL prefix
১১ নং লাইন: ১১ নং লাইন:
| area_total = ১১১.০৩
| area_total = ১১১.০৩
| literacy_rate = ২৬.৪৭%
| literacy_rate = ২৬.৪৭%
| website = http://charrajibpur.kurigram.gov.bd/
| website = charrajibpur.kurigram.gov.bd/
| website_caption = উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট
| website_caption = উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট
| footnotes =
| footnotes =

১৩:২৫, ২২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চর রাজিবপুর উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৫°২৩′৫৩″ উত্তর ৮৯°৪১′২০″ পূর্ব / ২৫.৩৯৮০৬° উত্তর ৮৯.৬৮৮৮৯° পূর্ব / 25.39806; 89.68889 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাকুড়িগ্রাম জেলা
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৫৬৫০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৪৯ ০৮
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

চর রাজীবপুর বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

অবস্থান[১]

উত্তরে রৌমারী ও চিলমারী উপজেলা এবং ব্রহ্মপুত্র নদ, দক্ষিণে দেওয়ানগঞ্জ ও গাইবান্দার সদর উপজেলা এবং ব্রহ্মপুত্র নদ, পূর্বে ভারতের কুচবিহার এবং আসাম রাজ্য, পশ্চিমে গাইবান্দার সুন্দগঞ্জ উপজেলা।

  • আয়তন: ১১১.০৩২ বর্গ কি. মি.

প্রশাসন

রাজিবপুর থানা গঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। বর্তমানে এটি উপজেলা। ইউনিয়ন ৩, গ্রাম ১০২। ১টি মৌজা নিয়ে গঠিত। আয়তন ৯.১৩ বর্গ কিমি।

প্রশাসনিক এলাকা

  • উপজেলা: ১টি
  • ইউনিয়ন পরিষদ: ৩টি
  • গ্রাম: ১০২টি
  • সংসদীয় এলাকা: ১টি, কুড়িগ্রাম ৪ (রৌমারী, রাজীবপুর)

ইতিহাস

ঐতিহাসিক ঘটনাবলি

১৯৭১ সালে কোদালকাটিতে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে অনেক পাকসেনা নিহত এবং ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। বীর প্রতীক তারামন বিবির জন্মস্থান শংকর মাধবপুর গ্রামে একদিনে প্রায় ৪০ জন পাকবাহিনীকে হত্যা করা হয়। এছাড়া ১৯৬০ সালে ঘুর্ণিঝড়ে রাজিবপুরের জামালপুর সীমান্তে ২১ জন লোক নিহত হয়।

জনসংখ্যার

মোট ৬৪০২৮; পুরূষ ৪৮.৫৯%, মহিলা ৫১.৪১%; মুসলমান ৯৯.৫১%, হিন্দু ০.৪৯%; জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমি ৫২৩ জন। ভোটার সংখ্যা মোট ৪২৫৪৮; পুরূষ ২১০৮৬, মহিলা ২১৪৬২। জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা সমূহ : কৃষি ৫০.৫৭%, ব্যবসা ৩.৯৩%, চাকরি ২.৬২%, কৃষি শ্রমিক ৩০.২৭%, অকৃষি শ্রমিক ১.৫৫%, অন্যান্য ১১.০৬%।

শিক্ষা

গড় হার ২৬.৪৭%; কলেজ ৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৩, মাদ্রাসা ৬।

নারীশিক্ষা

রাজিবপুরে নারীশিক্ষার সূচনা করেন শংকরমাধবপুর গ্রামের আমিনা বেগম। তিনি চরনেওয়াজী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে প্রথম মেট্রিক পাশ করেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

রাজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজিবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, চরনেওয়াজী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, রাজিবপুর কলেজ।মোহন গঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এই বিদ্যালয়ের ২০১২ শতবার্ষিকী পালন করে।

অর্থনীতি

  • মোট আবাদী জমি: ১৫৪৫০ একর
  • অর্থকরী ফসল: ধান, পাট, সরিষা,বাদাম, কাউন প্রভৃতি
  • শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: মোট ৭টি, কুটির শিল্প- ৭টি
  • পাকা রাস্তা: ১৪ কি. মি.
  • কাঁচা রাস্তা: ১৫০ কি. মি.
  • হাটবাজার ৫ টি । উল্লেখযোগ্য হাট: রাজিবপুর হাট ও বর্ডার হাট এবং নয়ারচর বাজার।
  • প্রধান রপ্তানি দ্রব্য ধান, পাট, গুড়, বাদাম
  • শিল্প ও কলকারখানা ওয়েল্ডিং ৫, চাল ও আটা মিল
  • কুটিরশিল্প কুমার ২২, বাঁশ ও বেত শিল্প ৩০, স্বর্ণকার ১০, কাঠের কাজ ১২, সেলাই কাজ ২০

ভূমি ব্যবহার

চাষযোগ্য জমি ১৫৪৫০ একর। এক ফসলি ২০%, দো ফসলি ৫২%, তিন ফসলি ২৮%; সেচের আওতায় আবাদি জমি ৩০%। ভূমিহীন ১১%, প্রান্তিক চাষি ৪৪.৫%, মধ্যম চাষি ২০%, বড় চাষি ১২%; মাথাপিছু আবাদি জমি ০.০৭ হেক্টর।

প্রধান কৃষি ফসল

ধান, গম, পাট, আলু, আখ, কাউন, শাকসবজি, চিনাবাদাম, রসুন, সরিষা, মসুর।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় কৃষি ফসল

চিনা, আউশ ধান, অড়হর।

প্রধান ফল-ফলাদি

আম, কাঁঠাল, কুল, সুপারি, জাম, কলা, তরমুজ।

মৎস্য, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগির খামার

গবাদি পশু ৯২, হাঁস-মুরগি ৪

কৃতী ব্যক্তিত্ব

রীর প্রতীক তারামন বিবি ।তিনি ১৯৭১ সালে ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এবং বাংলাদেশ সরকার তাকে রীর প্রতীক উপাধি দেয়।

প্রধান নদী

ব্রহ্মপুত্র, হলহলিয়া, জিঞ্জিরাম।

দর্শনীয় স্থান

  • বেহুলার চর এবং এই উপজেলা প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ নদী আর এই নদী গুলোর কোল ঘেষা গ্রাম গুলো দেখতে অনেক সুন্দর আরো রয়েছে ছোট বড় অনেক চর যা মনে হয় এক একটা দ্বীপ আর এই চর গুলো কে কাশফুল আরো বহু গুন সৌন্দর্য বাড়ায়।আর এই নদী গুলো পাহাদেওয়ার জন্য রয়েছে একটা জলথানা যা বাংলাদেশের দুই টি জলথানার একটি আরো রয়েছে পাহাড়িয়া নদী যে নদী মাঝে মাঝে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছে। আর বিশেষ করে সূর্য অস্তের সময় চর গুলো কে অনেক সুন্দর পরিবেশ থাকে এবং খালি পায়ে বালির উপর দিয়ে হাটতে অনেক ভালোলাগে।

বিবিধ

  • মসজিদ: ১০২টি
  • মন্দির: ১টি
  • গির্জা: নাই

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

  • মসজিদ ১১০।

যোগাযোগ ব্যাবস্থা

পাকা রাস্তা ১৪ কিমি, কাঁচা রাস্তা ১৫০ কিমি; নৌপথ ১৪ নটিক্যাল মাইল। পালতোলা নৌকা, পাল্কি, গরু, মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ি।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র

উপজেলা স্বস্থ্যকেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১, পশু হাসপাতাল ১, যক্ষা ও কুষ্ঠ নিরাময় কেন্দ্র ১।

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. জেলা উন্নয়ন পরিক্রমা। ২০০১-২০০৫, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য মন্ত্রণালয়, ডিসেম্বর ২০০৫