ফেনী নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
নতুন নিবন্ধ |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
০৭:৩৭, ১৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ফেনী নদী |
---|
ফেনী নদী ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত একটি আন্তর্জাতিক নদী। এর দৈর্ঘ্য ১১৫.৮৫ কিমি এবং উৎসস্থল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থিত পর্বত শ্রেণি। উত্তর অক্ষাংশ ও পূর্ব দ্রাঘিমাংশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা পতিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরে।[১]
প্রবাহপথ
ফেনী নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থিত পর্বত শ্রেণিতে ২৩°২০´ উত্তর অক্ষাংশ ও ৯১°৪৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে উৎপন্ন হয়ে রামগড় পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে ত্রিপুরা রাজ্য ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে সীমান্তরেখা এঁকে দিয়েছে। পরবর্তীতে পশ্চিমে আলীগঞ্জ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে ত্রিপুরা ও চট্টগ্রামের মধ্যকার সীমান্ত তৈরি করেছে। পাহাড়ি নিবাস ত্যাগ করে নোয়াখালী জেলা থেকে চট্টগ্রামকে বিভক্তকারী এই নদী সমভূমি ধরে প্রবাহিত হয়ে ২২°৫০´ উত্তর অক্ষাংশ ও ৯১°২৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।[১]
বর্ণনা
উৎসমূল থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ফেনী নদীর দৈর্ঘ্য ১১৫.৮৫ কিমি এবং বঙ্গোপসাগর থেকে রামগড় পর্যন্ত ৮০.৪৫ কিমি অংশ বছরের গোটা সময় ধরে ছোট নৌকা চলাচলের উপযোগী। বর্ষা মৌসুমে ফেনী নদী কানায়-কানায় ভরে ওঠে এবং ভারি বর্ষণের পর প্রবল স্রোত আর ঘূর্ণিপাকে এই নদীর প্রতিটি বাঁক প্রমত্ত ও উত্তাল হয়ে ওঠে। নোয়াখালী জেলার মুহুরী নদী, যা ছোট ফেনী নদী নামেও পরিচিত, ফেনী নদীর মোহনায় এসে মিলিত হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম জেলা থেকে কোন উপনদী এটির সঙ্গে এসে মিলিত হয়নি। পাহাড়ি ঢাল থেকে যথেচ্ছভাবে গাছপালা কেটে নেওয়ায় পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যাপক ধস ও ভাঙনের কারণে নদীটি ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে আসছে এবং পাহাড়ি ঢল জনিত বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।[১]
বিতর্ক
চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে সীমানা চিহ্নিতকারী ফেনী নদী মূলত বাংলাদেশের অন্তর্গত। তবে ১৯৬০ সাল থেকে ভারত সরকার এই নদীর মধ্যভাগ পর্যন্ত ভারতের অধিনে দাবি করে আসছে।[১]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ ঘ সিফাতুল কাদের চৌধুরী (জানুয়ারি ২০০৩)। "ফেনী নদী"। সিরাজুল ইসলাম। ফেনী নদী[[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৫। ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)