অভিজিৎ রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Trinanjon (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যুক্ত।
২৮ নং লাইন: ২৮ নং লাইন:
| signature =
| signature =
| signature_alt =
| signature_alt =
| website =
| website = http://www.mukto-mona.com/
| portaldisp =
| portaldisp =
}}
}}
'''অভিজিৎ রায়''' (১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ - ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী, লেখক ও ব্লগার। তিনি বাংলাদেশের মুক্ত চিন্তার আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী কিন্তু তিনি তার স্ব-প্রতিষ্ঠিত সাইট ''মুক্তমনা''য় লেখালেখির জন্য পরিচিত। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলা থেকে বেরোনোর সময় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে আহত করে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=ব্লগার অভিজিৎ​ রায়কে কুপিয়ে হত্যা|url=http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/462685/ব্লগার-অভিজিত-রায়কে-কুপিয়ে-হত্যা |website=http://www.prothom-alo.com|accessdate=26 ফেব্রুয়ারি 2015}}</ref>
'''অভিজিৎ রায়''' (১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ - ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী, লেখক ও ব্লগার। তিনি বাংলাদেশের মুক্ত চিন্তার আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী কিন্তু তিনি তার স্ব-প্রতিষ্ঠিত সাইট ''মুক্তমনায়'' লেখালেখির জন্য পরিচিত। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলা থেকে বেরোনোর সময় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে আহত করে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=ব্লগার অভিজিৎ​ রায়কে কুপিয়ে হত্যা|url=http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/462685/ব্লগার-অভিজিত-রায়কে-কুপিয়ে-হত্যা |website=http://www.prothom-alo.com|accessdate=26 ফেব্রুয়ারি 2015}}</ref>


==পরিবার ও কর্মজীবন==
==পরিবার ও কর্মজীবন==
৫৩ নং লাইন: ৫৩ নং লাইন:


==মৃত্যু==
==মৃত্যু==
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত্রি ৮:৩০-এ [[অমর একুশে গ্রন্থমেলা|বইমেলা]] থেকে ফেরার পথে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] মসজিদের উল্টো দিকের [[সোহরাওয়ার্দী উদ্যান]] সংলগ্ন সড়কে [[সন্ত্রাসবাদ|সন্ত্রাসীদের]] হামলার শিকার হন।<ref name="bdnews24.com">{{cite web|url=http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article931281.bdnews|title=বইমেলার বাইরে হামলায় লেখক অভিজিৎ নিহত|work=bdnews24.com|accessdate=২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫}}</ref> তাঁর মাথা ও গলায় কোপ মারা হয়। স্ত্রী বন্যা বাধা দিতে গেলে তাঁকেও এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। তার পর অস্ত্রগুলি ফেলে রেখেই দুষ্কৃতীরা উধাও হয়ে যায়।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত্রি ৮:৩০ নাগাদ [[অমর একুশে গ্রন্থমেলা|বইমেলা]] থেকে ফেরার পথে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] মসজিদের উল্টো দিকের [[সোহরাওয়ার্দী উদ্যান]] সংলগ্ন সড়কে [[সন্ত্রাসবাদ|সন্ত্রাসীদের]] হামলার শিকার হন।<ref name="bdnews24.com">{{cite web|url=http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article931281.bdnews|title=বইমেলার বাইরে হামলায় লেখক অভিজিৎ নিহত|work=bdnews24.com|accessdate=২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫}}</ref> তাঁর মাথা ও গলায় কোপ মারা হয়। স্ত্রী বন্যা বাধা দিতে গেলে তাঁকেও এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। তার পর অস্ত্রগুলি ফেলে রেখেই দুষ্কৃতীরা উধাও হয়ে যায়।
অভিজিৎ ও তাঁর স্ত্রীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান অভিজিৎ।<ref name="bdnews24.com"/> চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চাপাতির ঘায়ে তাঁর মাথা ঘাড় থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের তোড়জোড় করতে করতেই সব শেষ হয়ে যায়।
অভিজিৎ ও তাঁর স্ত্রীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান অভিজিৎ।<ref name="bdnews24.com"/> চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চাপাতির ঘায়ে তাঁর মাথা ঘাড় থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের তোড়জোড় করতে করতেই সব শেষ হয়ে যায়।

==ভবিষ্যৎ ফল==
২৭-এ ফেব্রুয়ারি "আনসারুল্লাহ বাংলা টিম" নামক একটি অন্ধবিশ্বাসী ও উগ্রবাদী সন্ত্রাসবাদী সংস্থা এই হামলাটির দায় নেয়। "আনসারুল্লাহ বাংলা টিম" তাদের [[টুইটার]] পেজের মাধ্যমে অভিজিত রায কে হত্যা করার অভিপ্রায় জানায়।
তাদের কাছ থেকে শুক্রবার, ২৭-এ ফেব্রুয়ারি এই টুইট-টি আসে: "অভিজিত রায় কে ইসলামের বিরুদ্ধে তার অপরাধের জন্যে লক্ষ্যবস্তু করা হল।"<ref name="timesofindia.indiatimes.com">{{cite web|url=http://http://timesofindia.indiatimes.com/world/rest-of-world/US-based-Bangla-blogger-hacked-to-death-in-Dhaka/articleshow/46402996.cms|title=US-based Bangla blogger hacked to death in Dhaka|work=http://timesofindia.indiatimes.com/|accessdate=২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫}}</ref>

==আরও দেখুন==
* [[হুমায়ুন আজাদ]]


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১৩:৩৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অভিজিৎ রায়
চিত্র:Avijit Roy.jpg
জন্ম১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২
মৃত্যু২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
ঢাকা, বাংলাদেশ
পেশাসমালোচক, বিজ্ঞান লেখক, সমকামী অধিকার আদায়ের অগ্রপথিক
ভাষাবাংলা, ইংরেজি
জাতীয়তাবাংলাদেশি, মার্কিন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
সাহিত্য আন্দোলনমুক্তচিন্তা, সমকামী আন্দোলন
দাম্পত্যসঙ্গীরাফিদা আহমেদ বন্যা
আত্মীয়অজয় রায় (পিতা)
ওয়েবসাইট
http://www.mukto-mona.com/

অভিজিৎ রায় (১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ - ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী, লেখক ও ব্লগার। তিনি বাংলাদেশের মুক্ত চিন্তার আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী কিন্তু তিনি তার স্ব-প্রতিষ্ঠিত সাইট মুক্তমনায় লেখালেখির জন্য পরিচিত। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলা থেকে বেরোনোর সময় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে আহত করে। [১]

পরিবার ও কর্মজীবন

অভিজিৎ রায়ের পিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক ড. অজয় রায়। তিনি পেশায় প্রকৌশলী ছিলেন। অভিজিৎ পড়াশুনা করেছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট), পি.এইচ.ডি করেছেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে (এন.ইউ.এস)। বসবাস করতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা শহরে।

মুক্তমনা ব্লগ

২০০১ সালের দিকে সমমনা কয়েকজন লেখকদের নিয়ে তৈরি করেন মুক্তমনা সাইট। ২০০৭ সালে মুক্তবুদ্ধি, বিজ্ঞানমনস্কতার প্রসার আর মানবাধিকার ও সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্যক অবদান রাখার প্রেক্ষিতে তার মুক্তমনা সাইট অর্জন করেছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি পদক। তবে ধর্মের অসারতা, মৌলবাদিতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কারের লেখালেখির কারনে তিনি যথেষ্ট সমালোচিত। একারনে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনেকে ধারনা করেন।

চিত্র:Cover Obishwaser Darshan AvijitRoyBook.jpg
অবিশ্বাসের দর্শন বইয়ের প্রচ্ছদ

লেখালেখি

ইন্টারনেটে, ম্যাগাজিনে আর দৈনিক পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন তিনি। লেখার বিষয় ছিলো আধুনিক বিজ্ঞান, নাস্তিকতা, সমকামিতা এবং দর্শন। তার প্রকাশিত বইগুলো হল-

  • আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ (২০০৫)
  • মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে (২০০৭)
  • স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি (২০০৮)
  • সমকামিতা: বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান (২০১০)
  • অবিশ্বাসের দর্শন (২০১১)
  • বিশ্বাস ও বিজ্ঞান (২০১২)
  • ভালবাসা কারে কয় (২০১২)
  • শূন্য থেকে মহাবিশ্ব (২০১৪)

মৃত্যু

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত্রি ৮:৩০ নাগাদ বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের উল্টো দিকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন সড়কে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন।[২] তাঁর মাথা ও গলায় কোপ মারা হয়। স্ত্রী বন্যা বাধা দিতে গেলে তাঁকেও এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। তার পর অস্ত্রগুলি ফেলে রেখেই দুষ্কৃতীরা উধাও হয়ে যায়। অভিজিৎ ও তাঁর স্ত্রীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান অভিজিৎ।[২] চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চাপাতির ঘায়ে তাঁর মাথা ঘাড় থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের তোড়জোড় করতে করতেই সব শেষ হয়ে যায়।

ভবিষ্যৎ ফল

২৭-এ ফেব্রুয়ারি "আনসারুল্লাহ বাংলা টিম" নামক একটি অন্ধবিশ্বাসী ও উগ্রবাদী সন্ত্রাসবাদী সংস্থা এই হামলাটির দায় নেয়। "আনসারুল্লাহ বাংলা টিম" তাদের টুইটার পেজের মাধ্যমে অভিজিত রায কে হত্যা করার অভিপ্রায় জানায়। তাদের কাছ থেকে শুক্রবার, ২৭-এ ফেব্রুয়ারি এই টুইট-টি আসে: "অভিজিত রায় কে ইসলামের বিরুদ্ধে তার অপরাধের জন্যে লক্ষ্যবস্তু করা হল।"[৩]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "ব্লগার অভিজিৎ​ রায়কে কুপিয়ে হত্যা"http://www.prothom-alo.com। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫  zero width space character in |title= at position 14 (সাহায্য); |website= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  2. "বইমেলার বাইরে হামলায় লেখক অভিজিৎ নিহত"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  3. "US-based Bangla blogger hacked to death in Dhaka"http://timesofindia.indiatimes.com/। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫  |work= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)