সত্রপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
তথ্যযোগ
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:


==ইতিহাস==
==ইতিহাস==
খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে মিডিয় সাম্রাজ্যের আমলেই সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলি প্রদেশ বা অঞ্চলে ভাগ করার ধারণাটির উদ্ভব ঘটে। তখন থেকেই ''সত্রপি'' বা প্রদেশগুলির উৎপত্তি শুরু হয়।<ref>[http://www.livius.org/sao-sd/satrap/satrap.htm Satraps and satrapies.] ''livius.org.'' সংগৃহীত ১৬ জানুয়ারি, ২০১৫।</ref> অন্তত ৬৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আগেই এর শুরু বলে আমরা জানতে পারি। কিন্তু এই প্রক্রিয়া [[হাখমানেশী সাম্রাজ্য|হাখমানেশি সম্রাট]] [[মহান কুরুশ|মহান কুরুশের]] আমলে ৫৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ ব্যাপকভাবে বাস্তবায়িত হতে শুরু করে।
খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে মিডিয় সাম্রাজ্যের আমলেই সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলি প্রদেশ বা অঞ্চলে ভাগ করার ধারণাটির উদ্ভব ঘটে। তখন থেকেই ''সত্রপি'' বা প্রদেশগুলির উৎপত্তি শুরু হয়।<ref>[http://www.livius.org/sao-sd/satrap/satrap.htm Satraps and satrapies.] ''livius.org.'' সংগৃহীত ১৬ জানুয়ারি, ২০১৫।</ref> অন্তত ৬৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আগেই এর শুরু বলে আমরা জানতে পারি। কিন্তু এই প্রক্রিয়া [[হাখমানেশী সাম্রাজ্য|হাখমানেশি সম্রাট]] [[মহান কুরুশ|মহান কুরুশের]] আমলে [খ্রিস্টপূর্ব ৫৭৬ (সম্ভবত) - ৫৩০]<ref>Dandamaev, M. A.. ''A political history of the Achaemenid empire''. Leiden: Brill, 1989. ISBN 90-04-09172-6. পৃঃ ৩৭৩।</ref> ৫৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ ব্যাপকভাবে বাস্তবায়িত হতে শুরু করে।<ref>Dandamaev, M. A.. ''A political history of the Achaemenid empire''. Leiden: Brill, 1989. ISBN 90-04-09172-6. পৃঃ ৪২।</ref> এর আগে পর্যন্ত এই প্রদেশগুলির অস্তিত্ব গড়ে ওঠে ঠিকই, কিন্তু সেখানে সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত শাসকরা বাস্তবে ছিল প্রায় স্বাধীন রাজা। কিন্তু হাখমানেশি আমলে যে নতুন পারসিক ঐতিহ্যর জন্ম হয়, তা অনুযায়ী 'রাজা' পদটির একটি দৈব অনুমোদন রয়েছে বলে মনে করা হত। ফলে এই সময় থেকে প্রদেশগুলির শাসকনিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রাজবংশজাত সদস্যদেরই মনোনয়ন করা শুরু হয়। এই শাসকরা সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত হত, পারসিক রাজপরিবারেরই সদস্য হত এবং বার্ষিক একটি নির্দিষ্ট করের বিনিময়ে সম্রাটের কাছে দায়বদ্ধ থাকত। সম্রাট প্রথম দারিয়ুসের আমলে (৫২২ - ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলি প্রদেশে ভাগ করে শাসনের এই প্রক্রিয়াটি অনেকটা নির্দিষ্টরূপ ধারণ করে। এই সময় সাম্রাজ্যকে মোট ২০টি সত্রপিতে ভাগ করা হয় বলে আমরা জানতে পারি।<ref name="Britannica">[http://www.britannica.com/EBchecked/topic/525034/satrap "Satrap".] ''Encyclopaedia Britannica''. সংগৃহীত ১৭ জানুয়ারি, ২০১৫।</ref>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

০৩:১৪, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হাখমানেশি সাম্রাজ্যের কিছু সত্রপ

সত্রপ বা ক্ষত্রপ (প্রাচীন পারসিক ভাষায় xšaçapāvān, উচ্চারণ ক্ষত্রপওন, অর্থাৎ প্রদেশরক্ষক) বলতে প্রাচীন পারস্যের প্রাদেশিক গভর্নরকে বোঝানো হত।[১] প্রাচীন পারস্যের একেকটি বড় প্রদেশের প্রধান হিসেবে তাদের প্রশাসনিক প্রধান ও সামরিক নেতৃত্ব উভয় দায়িত্বই পালন করতে হত। প্রাচীন মিডিয় (মোটামুটি ৬৭৮ - ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) ও হাখমানেশি সাম্রাজ্যের (৫৫০ - ৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) সময়েই এই প্রশাসনিক ও সামরিক পদটির উদ্ভব ঘটে। পরবর্তীকালে ব্যাকট্রিয় গ্রিক (২৪৫ - ১৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), পার্থিয় (২৪৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ - ২২৪ খ্রিস্টাব্দ) ও সাসানিদদের (২২৪ - ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ) শাসনকালেও পদটি বজায় ছিল। কিন্তু আরবদের পারস্যবিজয় তথা ইসলামের আগমণের পর (মধ্য ৭ম শতাব্দী) পদটি অবলুপ্ত হয়।

ব্যুৎপত্তি

সত্রপ শব্দটি প্রাচীন পারসিক শব্দ ক্ষত্রপওন'এর গ্রিক রূপ। ঐ একই শব্দ সংস্কৃতে ক্ষত্রপ বা ক্ষত্রপম হিসেবে উচ্চারিত হত। শব্দটি বাস্তবে xšaça (প্রদেশ বা অঞ্চল) ও pāvan (রক্ষক) শব্দদুটির সন্ধিবদ্ধ রূপ। পারসিক সভ্যতার সাথে প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার সুপ্রাচীন যোগাযোগের ভিত্তিতে শব্দটি গ্রিক ভাষায় প্রথমে σατράπης (সত্রপেস) রূপে প্রবেশ করে ও পরে লাতিন ভাষাতেও একই রূপে গৃহীত হয়। বর্তমান পার্শি ভাষায় শব্দটির রূপ পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছে شهربان (শহরবান); কিন্তু সাথে সাথে এর অর্থেরও পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে এর মানে শহরের রক্ষক বা শহর-প্রধান।

ইতিহাস

খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে মিডিয় সাম্রাজ্যের আমলেই সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলি প্রদেশ বা অঞ্চলে ভাগ করার ধারণাটির উদ্ভব ঘটে। তখন থেকেই সত্রপি বা প্রদেশগুলির উৎপত্তি শুরু হয়।[২] অন্তত ৬৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আগেই এর শুরু বলে আমরা জানতে পারি। কিন্তু এই প্রক্রিয়া হাখমানেশি সম্রাট মহান কুরুশের আমলে [খ্রিস্টপূর্ব ৫৭৬ (সম্ভবত) - ৫৩০][৩] ৫৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ ব্যাপকভাবে বাস্তবায়িত হতে শুরু করে।[৪] এর আগে পর্যন্ত এই প্রদেশগুলির অস্তিত্ব গড়ে ওঠে ঠিকই, কিন্তু সেখানে সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত শাসকরা বাস্তবে ছিল প্রায় স্বাধীন রাজা। কিন্তু হাখমানেশি আমলে যে নতুন পারসিক ঐতিহ্যর জন্ম হয়, তা অনুযায়ী 'রাজা' পদটির একটি দৈব অনুমোদন রয়েছে বলে মনে করা হত। ফলে এই সময় থেকে প্রদেশগুলির শাসকনিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রাজবংশজাত সদস্যদেরই মনোনয়ন করা শুরু হয়। এই শাসকরা সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত হত, পারসিক রাজপরিবারেরই সদস্য হত এবং বার্ষিক একটি নির্দিষ্ট করের বিনিময়ে সম্রাটের কাছে দায়বদ্ধ থাকত। সম্রাট প্রথম দারিয়ুসের আমলে (৫২২ - ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলি প্রদেশে ভাগ করে শাসনের এই প্রক্রিয়াটি অনেকটা নির্দিষ্টরূপ ধারণ করে। এই সময় সাম্রাজ্যকে মোট ২০টি সত্রপিতে ভাগ করা হয় বলে আমরা জানতে পারি।[৫]

তথ্যসূত্র

  1. "Satrap - Definition and More from the Free Merriam-Webster Dictionary"। Merriam-webster.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২৬ 
  2. Satraps and satrapies. livius.org. সংগৃহীত ১৬ জানুয়ারি, ২০১৫।
  3. Dandamaev, M. A.. A political history of the Achaemenid empire. Leiden: Brill, 1989. ISBN 90-04-09172-6. পৃঃ ৩৭৩।
  4. Dandamaev, M. A.. A political history of the Achaemenid empire. Leiden: Brill, 1989. ISBN 90-04-09172-6. পৃঃ ৪২।
  5. "Satrap". Encyclopaedia Britannica. সংগৃহীত ১৭ জানুয়ারি, ২০১৫।


আরোও পড়ুন

  • A. T. Olmstead, History of the Persian Empire, 1948.
  • Pauly-Wissowa (comprehensive encyclopaedia on Antiquity; in German).
  • Robert Dick Wilson. The Book of Daniel: A Discussion of the Historical Questions, 1917. Available on home.earthlink.net.
  • Rüdiger Schmitt, "Der Titel 'Satrap'", in Studies Palmer ed. Meid (1976), 373–390.
  • Public Domain এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনেচিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। .
  • Cormac McCarthy, All the Pretty Horses, 1992.
  • Ashley, James R. (২০০৪) [First published 1998]। "Appendix H: Kings and Satraps"। The Macedonian Empire: The Era of Warfare Under Philip II and Alexander the Great, 359–323 B.C.। Jefferson, NC: McFarland। পৃষ্ঠা 385–391। আইএসবিএন 978-0-7864-1918-0 

বহিঃসংযোগ