যকৃৎ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
Jishnudatta (আলোচনা | অবদান) |
||
৩৬ নং লাইন: | ৩৬ নং লাইন: | ||
== রক্ত প্রবাহ == |
== রক্ত প্রবাহ == |
||
যকৃৎ প্রধানত দুই উপায়ে প্রবাহিত হয়।[[পোর্টাল শিরা]] এবং [[হেপাটিক ধমনী]] ।৭৫ ভাগেরও বেশিরভাগ [[রক্ত]] আসে পোর্টাল শিরা থেকে।অক্সিজেনের সরবরাহ দুই উৎস থেকেই নিশ্চিত হয়। |
যকৃৎ প্রধানত দুই উপায়ে প্রবাহিত হয়।[[পোর্টাল শিরা]] এবং [[হেপাটিক ধমনী]] ।৭৫ ভাগেরও বেশিরভাগ [[রক্ত]] আসে পোর্টাল শিরা থেকে।অক্সিজেনের সরবরাহ দুই উৎস থেকেই নিশ্চিত হয়। |
||
===প্রতিস্থাপন=== |
|||
প্রতি বছর সারা বিশ্বে এক লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র লিভারের রোগে মারা যান। অথচ ‘রিজেনারেটিভ’ অঙ্গ হওয়ায় খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করে মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন এইমস-এর গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুব্রতকুমার আচার্য। |
|||
<ref>{{cite web | url=http://www.anandabazar.com/health/brief-story-1.95651 | title=লিভারের অসুখ রোধে আলোচনা | accessdate=15 December 2014}}</ref> |
|||
== সংশ্লেষণ == |
== সংশ্লেষণ == |
২১:১০, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
যকৃৎ (ইংরেজি: Liver) মেরুদণ্ডী ও অন্যান্য কিছু প্রাণীদেহে অবস্থিত একটি অঙ্গ। এটি প্রাণীদেহেরবিপাকে ও অন্যান্য কিছু শারীরিক কাজে প্রধান ভূমিকা পালন করে। গ্লাইকোজেনের সঞ্চয়, প্লাজমা প্রোটিন সংশ্লেষণ, ওষুধ বা অন্যান্য রাসায়নিক নির্বিষকরণে এর ভূমিকা অপরিহার্য। যকৃৎ দেহের বৃহত্তম গ্রন্থি। এটি মধ্যচ্ছদার নিচের অংশে অবস্থিত। যকৃতে পিত্ত উৎপন্ন হয়; পিত্ত একধরনের ক্ষারীয় যৌগ যা পরিপাকে সহায়তা করে, বিশেষত স্নেহজাতীয় খাদ্যের ইমালসিফিকেশন। এছাড়াও যকৃৎ দেহের আরও বিভিন্ন জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। যকৃত. ২টি খন্ডে বিভক্ত,ডান এবং বাম।
লিভারের ওজনের পাঁচ থেকে দশ ভাগের বেশি চর্বি দিয়ে পূরণ হলে যে রোগটি হয় তাকে ফ্যাটি লিভার বলে।পশ্চিমা বিশ্বে সাধারণত মদ্যপানের কারণে ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে। তবে বহুমূত্র ,শর্করা জাতীয় খাদ্যের আধিক্য,রক্তে চর্বির আধিক্য, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ইত্যাদি কারণে ফ্যাটি লিভার হয়। লিভারে জমা চর্বি অনেক সময় স্থানীয় প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং এ প্রদাহ থেকে কিছুসংখ্যক রোগীর লিভার সিরোসিস, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে লিভার ক্যান্সারও হতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না, অন্য রোগের পরীক্ষা করার সময় সাধারণত রোগটি ধরা পড়ে।কখনো কখনো পেটের উপরিভাগের ডানদিকে ব্যাথা,অবসন্নতা, ক্ষুধামান্দ্য ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
কোষের ধরন
দুই ধরনের কোষ দিয়ে যকৃৎ গঠিত।প্যারেনকাইমাল এবং নন প্যারেনকাইমাল।যকৃতের প্যারেনকাইমাল কোষকে হেপাটোসাইট বলে ,যা আয়তনের ৮০%। নন প্যারেনকাইমাল কোষের মাঝে রয়েছে হেপাটিক স্টিলেট কোষ,কাপফার কোষ এবং সাইনুসয়ডাল এন্ডোথেলিয়াল কোষ যা লিভার সাইনুসয়েড এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।এরা সমস্ত কোষের ৪০% হলেও আয়তনের মাত্র ৬.৫%।
রক্ত প্রবাহ
যকৃৎ প্রধানত দুই উপায়ে প্রবাহিত হয়।পোর্টাল শিরা এবং হেপাটিক ধমনী ।৭৫ ভাগেরও বেশিরভাগ রক্ত আসে পোর্টাল শিরা থেকে।অক্সিজেনের সরবরাহ দুই উৎস থেকেই নিশ্চিত হয়।
প্রতিস্থাপন
প্রতি বছর সারা বিশ্বে এক লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র লিভারের রোগে মারা যান। অথচ ‘রিজেনারেটিভ’ অঙ্গ হওয়ায় খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করে মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন এইমস-এর গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুব্রতকুমার আচার্য। [২]
সংশ্লেষণ
-অ্যামিনো এসিড সংশ্লেষণ -রক্ত তঞ্চন উপাদান সংশ্লেষণ -পিত্ত সংশ্লেষণ -ইউরিয়া সংশ্লেষণ
তথ্যসূত্র
- ↑ Physiology at MCG 6/6ch2/s6ch2_30
- ↑ "লিভারের অসুখ রোধে আলোচনা"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪।