প্রথম হিশাম (কর্ডোবা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা: {{for|খলিফার জন্য|হিশাম ইবনে আবদুল মালিক}} {{Infobox royalty | type = রাজা | name...
 
৪৫ নং লাইন: ৪৫ নং লাইন:
হিশাম ৭৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এসময় তার বয়স ছিল ৪০ বছর। তিনি অনেকটা [[দ্বিতীয় উমর|দ্বিতীয় উমরের]] মত ছিলেন এবং ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান। তিনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন এবং জাঁকজমক এড়িয়ে চলতেন। তিনি আল্লাহভীরু ব্যক্তি ছিলেন এবং তার ন্যায়বিচার ও সুশাসনের জন্য পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর আবদুল্লাহ পলাতক অবস্থা থেকে ফিরে আসেন এবং [[ভেলেন্সিয়া|ভেলেন্সিয়ার]] অধিকার দাবি করেন। অন্যদিকে সুলায়মান [[তানজাহ|তানজাহর]] দাবি করেন।
হিশাম ৭৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এসময় তার বয়স ছিল ৪০ বছর। তিনি অনেকটা [[দ্বিতীয় উমর|দ্বিতীয় উমরের]] মত ছিলেন এবং ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান। তিনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন এবং জাঁকজমক এড়িয়ে চলতেন। তিনি আল্লাহভীরু ব্যক্তি ছিলেন এবং তার ন্যায়বিচার ও সুশাসনের জন্য পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর আবদুল্লাহ পলাতক অবস্থা থেকে ফিরে আসেন এবং [[ভেলেন্সিয়া|ভেলেন্সিয়ার]] অধিকার দাবি করেন। অন্যদিকে সুলায়মান [[তানজাহ|তানজাহর]] দাবি করেন।


==তথ্যসূত্র==
==References==
{{reflist}}
{{reflist}}



১২:৪৫, ১৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্রথম হিশাম
কর্ডো‌বার দ্বিতীয় আমির
রাজত্ব৭৮৮–৭৯৬
পূর্বসূরিপ্রথম আবদুর রহমান
উত্তরসূরিপ্রথম আল হাকাম
জন্ম৭৫৬
কর্ডো‌বা
মৃত্যু৭৯৬
কর্ডো‌বা
রাজবংশউমাইয়া
পিতাপ্রথম আবদুর রহমান
মাতাহালুল
ধর্মইসলাম

প্রথম হিশাম (আরবি: هشام بن عبد الرحمن الداخل) ছিলেন কর্ডোবার আমির। ৭৮৮ থেকে ৭৯৬ পর্যন্ত তিনি আন্দালুসে উমাইয়া আমির হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।

হিশাম ৭৫৬ সালে কর্ডোবায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথম আবদুর রহমান ও তার স্ত্রী হালুলের প্রথম পুত্র।

আভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ

শাসনের শুরুতে ৭৮৮ সালে তাকে তার ভাই সুলায়মান ও আবদুল্লাহ কর্তৃক সংঘটিত বিদ্রোহ মোকাবেলা করতে হয়।

সেপ্টিমেনিয়া অভিযান

কারোলিনগিয়ান অঞ্চল থেকে দক্ষিণের দিকে হুমকি অনুভূত হওয়ায় ৭৯৩ সালে তিনি ফ্রাঙ্কদের বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা দেন এবং গিরোনা ও নারবোনে সেনাপ্রেরণ করেন। কিন্তু এ স্থানগুলো দখল করা সম্ভব হয়নি। উমাইয়া সেনাপতি আবদুল মালিক ইবনে আবদুল ওয়াহিদ ইবনে মুগিস কারকাসোনের দিকে অগ্রসর হয়ে সফল হন। সেখানে তিনি লুইস দ্য পাইওসকে পরাজিত করেন। তবে কারোলিনগিয়ানের বেশি ভেতরে অভিযান চালান না হলেও বিপুল পরিমাণ সম্পদ তাদের হাতে আসে। পরবর্তীতে কর্ডোবা মসজিদসহ আরো অনেক মসজিদ তৈরী করা হয়।

অস্টুরিয়ান ও বাস্কদের বিরুদ্ধে অভিযান

৭৯৪ সালে তার সেনাপতি আবদুল মালিক ও তার ভাই আবদুল করিম উত্তরের রাজ্য আলাভা, পুরনো কাস্টিল, অস্টুরাস এসব অঞ্চলে অভিযান চালান। এই অঞ্চলের নবগঠিত রাজধানী আক্রমণ করা হয়। অস্টুরিয়ার দ্বিতীয় আলফোনসো পালিয়ে যান এবং শার্লেমাইনের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। এসব অভিযানে উত্তরের খ্রিষ্টান রাজ্যগুলোকে ধ্বংস করা উদ্দেশ্য ছিল না বরং কর্ডোভার সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এর লক্ষ্য ছিল।

মৃত্যু

হিশাম ৭৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এসময় তার বয়স ছিল ৪০ বছর। তিনি অনেকটা দ্বিতীয় উমরের মত ছিলেন এবং ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান। তিনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন এবং জাঁকজমক এড়িয়ে চলতেন। তিনি আল্লাহভীরু ব্যক্তি ছিলেন এবং তার ন্যায়বিচার ও সুশাসনের জন্য পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর আবদুল্লাহ পলাতক অবস্থা থেকে ফিরে আসেন এবং ভেলেন্সিয়ার অধিকার দাবি করেন। অন্যদিকে সুলায়মান তানজাহর দাবি করেন।

তথ্যসূত্র

প্রথম হিশাম (কর্ডোবা)
বনু কুরাইশ এর ক্যাডেট শাখা
পূর্বসূরী
প্রথম আবদুর রহমান
কর্ডো‌বার আমির
৭৮৮–৭৯৬
উত্তরসূরী
প্রথম আল হাকাম

টেমপ্লেট:Persondata