এয়ারবাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→ইতিহাস: + |
→ইতিহাস: + |
||
৪০ নং লাইন: | ৪০ নং লাইন: | ||
==ইতিহাস== |
==ইতিহাস== |
||
এয়ারবাসের সূচনা হয় কয়েকটি ইউরোপীয় বিমান নির্মাণ সংস্থার একত্রীকরণের ফলে। এর উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন বিমান নির্মাণকারী [[বোয়িং]], [[ম্যাকডোনেল ডগলাস]] এবং [[লকহিড]]-এর সাথে প্রতিযোগিতা করা। যদিও অনেক ইউরোপীয় বিমান কৌশলের দিক থেকে সৃজনশীল ও উন্নত ছিল, কিন্তু তাদের উৎপাদন ছিল কম। ১৯৯১ সালে জিয়ান পিয়ারসন, এয়ারবাসের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মার্কিন বিমান নির্মাণ কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত প্রভাবের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র্বের বিশাল ভূ-খন্ডের কারণে সেদেশে বিমান পরিবহণ অনেক বেশি এবং ফলে বিমান উৎপাদনও বেশি। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি লাভজনক, শক্তিশালী এবং কাঠামোগত বিমান নির্মাণ শিল্প গড়ে উঠে। |
এয়ারবাসের সূচনা হয় কয়েকটি ইউরোপীয় বিমান নির্মাণ সংস্থার একত্রীকরণের ফলে। এর উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন বিমান নির্মাণকারী [[বোয়িং]], [[ম্যাকডোনেল ডগলাস]] এবং [[লকহিড]]-এর সাথে প্রতিযোগিতা করা।<ref name="USAirbushisite">{{cite web |title=Airbus Industrie |url = http://www.centennialofflight.gov/essay/Aerospace/Airbus/Aero52.htm |accessdate=5 October 2009 |author=T. A. Heppenheimer |publisher=US Centennial of Flight Commission| archiveurl= http://web.archive.org/web/20090825124308/http://centennialofflight.gov/essay/Aerospace/Airbus/Aero52.htm| archivedate= 25 August 2009 <!--DASHBot-->| deadurl= no}}</ref> যদিও অনেক ইউরোপীয় বিমান কৌশলের দিক থেকে সৃজনশীল ও উন্নত ছিল, কিন্তু তাদের উৎপাদন ছিল কম।<ref name="airlinerworldspec">{{cite book |first= |editor=Mark Nicholls |title=Airbus Jetliners: The European Solution|accessdate=22 August 2007|series=Classic Aircraft Series No.6 |year=2001 |publisher=Key Publishing |location=Stamford |isbn=0-946219-53-2}}</ref> ১৯৯১ সালে জিয়ান পিয়ারসন, এয়ারবাসের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মার্কিন বিমান নির্মাণ কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত প্রভাবের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র্বের বিশাল ভূ-খন্ডের কারণে সেদেশে বিমান পরিবহণ অনেক বেশি এবং ফলে বিমান উৎপাদনও বেশি। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি লাভজনক, শক্তিশালী এবং কাঠামোগত বিমান নির্মাণ শিল্প গড়ে উঠে।<ref name="airlinerworldspec"/> |
||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
১১:৫৮, ১৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ধরন | সহযোগী প্রতিষ্ঠান |
---|---|
শিল্প | বিমান নির্মাণ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭০ (এয়ারবাস ইন্ডাস্ট্রি) 2001 (এয়ারবাস এসএএস) |
প্রতিষ্ঠাতা | বার্নাড ল্যাথিয়ের, রজার বেটেলি, হেনরি জিগলার |
সদরদপ্তর | তোলুস, ফ্রান্স , ফ্রান্স |
প্রধান ব্যক্তি | ফেব্রিক্স ব্রেগ্রিয়ার (প্রধান নির্বাহী) গান্টার বাটশেক সিওও |
পণ্যসমূহ | বাণিজ্যিক ও সামরিক বিমান |
আয় | €৩৩.১০ বিলিয়ন (২০১১)[১] |
৪,২৫,৩০,০০,০০০ ইউরো (২০১৭) | |
€১.৫৯৭ বিলিয়ন (২০০৮) | |
মোট সম্পদ | ১,১১,১৩,০০,০০,০০০ ইউরো (২০১৬) |
কর্মীসংখ্যা | ৬৩,০০১০[২] |
মাতৃ-প্রতিষ্ঠান | এয়ারবাস গ্রুপ |
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান | এয়ারবাস কর্পোরেট জেট |
ওয়েবসাইট | www.airbus.com |
এয়ারবাস (ইংরেজি: Airbus) (/ˈɛərbʌs/, ফরাসি : [ɛʁbys] (ⓘ), জার্মান: [ˈɛːɐbʊs], স্পেনীয়: [ˈerβus]) এয়ারবাস গ্রুপের অধীন একটি ইউরোপীয় বিমান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির মূল অফিস ফ্রান্সের ব্লাগন্যাকে অবস্থিত এবং এর উৎপাদন ব্যবস্থা ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থিত। ২০১৩ সালে এয়ারবাস ৬২৬টি বিমান তৈরি করেছে। এয়ারবাসের শুরু হয় মহাকাশযান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ইন্ডাসট্রি-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে। ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশযান নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর একত্রীকরণের ফলে একটি যৌথ কারবারী প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। এর মালিকানার ৮০% ইএডিএস এবং ২০% বিএই সিস্টেমসের ছিল। পরবর্তিতে বিএই ২০০৬ এর অক্টোবরে তার শেয়ার ইএডিএস-এর কাছে বিক্রয় করে।
চারটি দেশের ১৬টি শহরজুড়ে প্রায় ৬৩,০০০ কর্মচারি এয়ারবাসে চাকরি করে। এদেশগুলো হল ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন এবং যুক্তরাজ্য। তবে বিমানের বিভিন্ন অংশ চূড়ান্ত পর্যায়ে একত্রীকরণের ব্যবস্থা ফ্রান্সের তোলুস, জার্মানির হামবুর্গ এবং স্পেনের সেভিলেতে অবস্থিত। ২০০৯ সালে চীনের তিয়ানজিনেও এয়ারবাস এরকম একটি কারখানা স্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান এবং ভারতে এয়ারবাসের সহযোগী সংস্থা রয়েছে।
এয়ারবাস বিশ্বের প্রথম ফ্লাই-বাই-ওয়্যার বিমান এয়ারবাস এ৩২০ তৈরি করেছে। এছাড়া এয়ারবাস বিশ্বের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী বিমান এ৩৮০ তৈরি ও বাজারজাত করছে।
ইতিহাস
এয়ারবাসের সূচনা হয় কয়েকটি ইউরোপীয় বিমান নির্মাণ সংস্থার একত্রীকরণের ফলে। এর উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন বিমান নির্মাণকারী বোয়িং, ম্যাকডোনেল ডগলাস এবং লকহিড-এর সাথে প্রতিযোগিতা করা।[৩] যদিও অনেক ইউরোপীয় বিমান কৌশলের দিক থেকে সৃজনশীল ও উন্নত ছিল, কিন্তু তাদের উৎপাদন ছিল কম।[৪] ১৯৯১ সালে জিয়ান পিয়ারসন, এয়ারবাসের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মার্কিন বিমান নির্মাণ কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত প্রভাবের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র্বের বিশাল ভূ-খন্ডের কারণে সেদেশে বিমান পরিবহণ অনেক বেশি এবং ফলে বিমান উৎপাদনও বেশি। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি লাভজনক, শক্তিশালী এবং কাঠামোগত বিমান নির্মাণ শিল্প গড়ে উঠে।[৪]
তথ্যসূত্র
- ↑ "Annual Results 2011" (PDF)। EADS। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১২।
- ↑ "Airbus – Company – People & Culture"। Airbus। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ T. A. Heppenheimer। "Airbus Industrie"। US Centennial of Flight Commission। ২৫ আগস্ট ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০০৯।
- ↑ ক খ Mark Nicholls, সম্পাদক (২০০১)। Airbus Jetliners: The European Solution। Classic Aircraft Series No.6। Stamford: Key Publishing। আইএসবিএন 0-946219-53-2।