নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বট: 1 টি আন্তঃউইকি সংযোগ স্থানান্তর করেছে, যা এখন উইকিউপাত্তের - d:q13653605 এ রয়েছে |
+ |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
:''এই নিবন্ধটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী নামক ব্যক্তি সংক্রান্ত। অন্যান্য ব্যবহারের জন্য দেখুন [[নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী]]।'' |
|||
{{তথ্যছক লেখক |
|||
| bgcolour = lightgray |
|||
| name = নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী |
|||
| image = |
|||
| caption = |
|||
| birthdate = [[২ কার্ত্তিক]] [[১৩৩১]][[১৯ অক্টোবর]] [[১৯২৪]] |
|||
| birthplace = [[চন্দ্রগ্রাম]] [[ফরিদপুর]], [[বাংলাদেশ]], [[ব্রিটিশ ভারত]] |
|||
| deathdate = |
|||
| deathplace = |
|||
| occupation = [[কবিতা|কবি]], [[গল্প|গল্পকার]] |
|||
| awards = {{awd|[[সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার]]|(১৯৭৪)}}[[তারাশঙ্কর-স্মৃতি]],[[আনন্দ শিরমণি]] |
|||
{{expand}} |
{{expand}} |
||
'''নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী''' ([[১৯ অক্টোবর]] [[১৯২৪]]-) একজন বাঙ্গালি কবি। আধুনিক বাংলা কবিদের অন্যতম।'উলঙ্গ রাজা' তাঁর অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্হ। এই কাব্যগ্রন্হ লেখার জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান। কবি পশ্চিমবঙ্গে বাংলা আকাদেমির সাথে দীর্ঘকাল যুক্ত। |
'''নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী''' ([[১৯ অক্টোবর]] [[১৯২৪]]-) একজন বাঙ্গালি কবি। আধুনিক বাংলা কবিদের অন্যতম।'উলঙ্গ রাজা' তাঁর অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্হ। এই কাব্যগ্রন্হ লেখার জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান। কবি পশ্চিমবঙ্গে বাংলা আকাদেমির সাথে দীর্ঘকাল যুক্ত। |
||
==== শৈশব ও কৈশোর ==== |
|||
শৈশবের পুরোটাই কেটেছে [[পূর্ববঙ্গে]] বর্তমান[[বাংলাদেশ]], ঠাকুরদা আর ঠাকুমার কাছে। কবির ঠাকুরদা কর্মজীবন কাটিয়েছেন কলকাতায়। কর্মজীবন শেষে ৫০ বছর বয়সে কলকাতার পাট চুকিয়ে [[বাংলাদেশের]] [[ফরিদপুর]] বাড়ি [[চান্দ্রা]] গ্রামে চলে আসেন। তার বাবা কলকাতাতেই ছিলেন। কলকাতার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কাজ করতেন। যখন দুই বছর বয়সে কবির মা বাবার কর্মস্থল কলকাতায় গেলে তিনি থেকে যান ঠাকুরদার নাম লোকনাথ চক্রবর্তীর কাছে। |
|||
গ্রামে কাটিয়েছেন মহা স্বাধীনতা—ইচ্ছেমতো দৌড়ঝাঁপ করে। কখনো গাছে উঠছেন; কখনো আপন মনে ঘুরেছে গ্রামের এই প্রাপ্ত থেকে অন্যপ্রাপ্তে। |
|||
চার বছর বয়সে কবির কাকিমা বলছিলেন, তুই তো দেখছি কবিদের মতোন কথা বলছিস!' মুখস্থ ছিল গ্রামে কবিয়ালরা, কবিগান,রামায়ণ গান। |
|||
গ্রামের দিনগুলো খুব সুন্দর কেটেছেন তাই তিনি এ গ্রামের বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় যেতে চাইতেন না। তবে ঠাকুরদার মৃত্যুর পর গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। এখন তিনি কলকাতায় থাকেন। |
|||
=== জনপ্রিয় কবিতা === |
|||
[[অমলকান্তি]] |
|||
অমলকান্তি আমার বন্ধু, |
|||
ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম। |
|||
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসত, পড়া পারত না, |
|||
শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে |
|||
এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো যে, |
|||
দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের। |
|||
আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল। |
|||
অমলকান্তি সে সব কিছু হতে চায়নি। |
|||
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল ! |
|||
ক্ষান্তবর্ষণ কাক-ডাকা বিকেলের সেই লাজুক রোদ্দুর, |
|||
জাম আর জামরূলের পাতায় |
|||
যা নাকি অল্প-একটু হাসির মতন লেগে থাকে। |
|||
আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল। |
|||
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি। |
|||
সে এখন অন্ধকার একটা ছাপাখানায় কাজ করে। |
|||
মাঝে মধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে, |
|||
চা খায়, এটা ওটা গল্প করে, তারপর বলে, উঠি তা হলে'। |
|||
আমি ওকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি। |
|||
আমাদের মধ্যে যে এখন মাষ্টারি করে, |
|||
অনায়াসে সে ডাক্তার হতে পারত, |
|||
যে ডাক্তার হতে চেয়েছিল, |
|||
উকিল হলে তার এমন কিছু ক্ষতি হত না। |
|||
অথচ, সকলেরই ইচ্ছাপূরণ হল, এক অমলকান্তি ছাড়া। |
|||
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি। |
|||
সেই অমলকান্তি - রোদ্দুরের কথা ভাবতে-ভাবতে |
|||
ভাবতে-ভাবতে |
|||
যে একদিন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল। |
|||
== বহিঃসংযোগ == |
== বহিঃসংযোগ == |
||
*[http://www.prothom-alo.com/art_and_literature/article/189739/%E2%80%98%E0%A6%9B%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6_%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B_%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81_%E0%A6%9B%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B_%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E2%80%99‘ছন্দ জানা ভালো কিন্তু ছন্দের দাসবৃত্তি ভালো নয়’] |
|||
* [http://www.milansagar.com/kobi-nirendranathchakraborty.html মিলন সাগরে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতা] |
* [http://www.milansagar.com/kobi-nirendranathchakraborty.html মিলন সাগরে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতা] |
||
১৭:২৩, ১১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
- এই নিবন্ধটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী নামক ব্যক্তি সংক্রান্ত। অন্যান্য ব্যবহারের জন্য দেখুন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
{{তথ্যছক লেখক
| bgcolour = lightgray
| name = নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
| image =
| caption =
| birthdate = ২ কার্ত্তিক ১৩৩১১৯ অক্টোবর ১৯২৪
| birthplace = চন্দ্রগ্রাম ফরিদপুর, বাংলাদেশ, ব্রিটিশ ভারত
| deathdate =
| deathplace =
| occupation = কবি, গল্পকার
| awards = সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার
(১৯৭৪)
তারাশঙ্কর-স্মৃতি,আনন্দ শিরমণি
অনুগ্রহ করে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করে এর উন্নতিতে সহায়তা করুন। অতিরিক্ত তথ্যের জন্য আলাপ পাতা দেখতে পারেন।
|
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (১৯ অক্টোবর ১৯২৪-) একজন বাঙ্গালি কবি। আধুনিক বাংলা কবিদের অন্যতম।'উলঙ্গ রাজা' তাঁর অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্হ। এই কাব্যগ্রন্হ লেখার জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান। কবি পশ্চিমবঙ্গে বাংলা আকাদেমির সাথে দীর্ঘকাল যুক্ত।
শৈশব ও কৈশোর
শৈশবের পুরোটাই কেটেছে পূর্ববঙ্গে বর্তমানবাংলাদেশ, ঠাকুরদা আর ঠাকুমার কাছে। কবির ঠাকুরদা কর্মজীবন কাটিয়েছেন কলকাতায়। কর্মজীবন শেষে ৫০ বছর বয়সে কলকাতার পাট চুকিয়ে বাংলাদেশের ফরিদপুর বাড়ি চান্দ্রা গ্রামে চলে আসেন। তার বাবা কলকাতাতেই ছিলেন। কলকাতার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কাজ করতেন। যখন দুই বছর বয়সে কবির মা বাবার কর্মস্থল কলকাতায় গেলে তিনি থেকে যান ঠাকুরদার নাম লোকনাথ চক্রবর্তীর কাছে।
গ্রামে কাটিয়েছেন মহা স্বাধীনতা—ইচ্ছেমতো দৌড়ঝাঁপ করে। কখনো গাছে উঠছেন; কখনো আপন মনে ঘুরেছে গ্রামের এই প্রাপ্ত থেকে অন্যপ্রাপ্তে। চার বছর বয়সে কবির কাকিমা বলছিলেন, তুই তো দেখছি কবিদের মতোন কথা বলছিস!' মুখস্থ ছিল গ্রামে কবিয়ালরা, কবিগান,রামায়ণ গান। গ্রামের দিনগুলো খুব সুন্দর কেটেছেন তাই তিনি এ গ্রামের বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় যেতে চাইতেন না। তবে ঠাকুরদার মৃত্যুর পর গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। এখন তিনি কলকাতায় থাকেন।
জনপ্রিয় কবিতা
অমলকান্তি অমলকান্তি আমার বন্ধু, ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম। রোজ দেরি করে ক্লাসে আসত, পড়া পারত না, শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো যে, দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের। আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল। অমলকান্তি সে সব কিছু হতে চায়নি। সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল ! ক্ষান্তবর্ষণ কাক-ডাকা বিকেলের সেই লাজুক রোদ্দুর, জাম আর জামরূলের পাতায় যা নাকি অল্প-একটু হাসির মতন লেগে থাকে।
আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল। অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি। সে এখন অন্ধকার একটা ছাপাখানায় কাজ করে। মাঝে মধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে, চা খায়, এটা ওটা গল্প করে, তারপর বলে, উঠি তা হলে'। আমি ওকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি।
আমাদের মধ্যে যে এখন মাষ্টারি করে, অনায়াসে সে ডাক্তার হতে পারত, যে ডাক্তার হতে চেয়েছিল, উকিল হলে তার এমন কিছু ক্ষতি হত না। অথচ, সকলেরই ইচ্ছাপূরণ হল, এক অমলকান্তি ছাড়া। অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি। সেই অমলকান্তি - রোদ্দুরের কথা ভাবতে-ভাবতে ভাবতে-ভাবতে যে একদিন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।