হারুন আহমেদ চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
Hasive (আলোচনা | অবদান)
বাড়তি তথ্যসূত্র যোগ করে ট্যাগ অপসারন করা হলো
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Refimprove|নিবন্ধে|{{subst:DATE}}|talk=y}}
{{Orphan|date=নভেম্বর ২০১২}}

{{Infobox person
{{Infobox person
|name= হারুন আহমেদ চৌধুরী
|name= হারুন আহমেদ চৌধুরী
| image =Replace this image male bn.svg
| image = Harun Ahmed Chowdhury.Bir Uttom.jpg
| office =
| office =
| order =
| order =
২২ নং লাইন: ১৯ নং লাইন:
| children =
| children =
| residence =
| residence =
| citizenship = {{BAN}}
| citizenship = [[বাংলাদেশ]] [[চিত্র:Flag of Bangladesh.svg|20px]]
| nationality = বাংলাদেশী
| nationality = বাংলাদেশী
| ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]]
| ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]]
৪১ নং লাইন: ৩৮ নং লাইন:


== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম]]-[[কক্সবাজার জেলা]] সড়কে কর্ণফুলী নদীর তীরে কালুরঘাট। সেখানে উত্তর দিক থেকে হালদা এবং দক্ষিণ দিক থেকে সাঙ্গু নদী এসে মিলিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় এখানে ছিল অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর ও ছাত্র-যুবক সমন্বয়ে গড়া মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রতিরক্ষা অবস্থান। মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন কয়েকটি দলে বিভক্ত। নদীর পশ্চিম পূর্ব তীরের একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন হারুন আহমেদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম শহর দখলের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বড় দল অগ্রসর হয় কালুরঘাট অভিমুখে। [[এপ্রিল ১১|১১ এপ্রিল]] সকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আর্টিলারি, মর্টার ও নৌবাহিনীর গান ফায়ারের সাপোর্ট নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর তুমুল আক্রমণ শুরু করে। কালুরঘাটের পশ্চিমে চট্টগ্রামের দিকে রাস্তা এবং আশপাশে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ দল পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধ করতে থাকে। কিন্তু পাকিস্তানি আক্রমণ ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত, ব্যাপক ও সুবিন্যস্ত। সম্মুখভাগে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। আক্রমণের তীব্রতায় তাঁরা পেছনে কালুরঘাট সেতুতে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো খবর দিতে পারেননি। এরপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী দ্রুত অগ্রসর হয় সেতুর দিকে। হারুন আহমেদ চৌধুরী তাঁর দল নিয়ে ছিলেন সেতু এলাকায়। তাঁরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আকস্মিক আক্রমণের শিকার হন। একদম কাছাকাছি দূরত্বে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। হারুন আহমেদ চৌধুরী কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ডান দিকে ছিলেন। এ সময় তিনি প্রতিরক্ষা অবস্থান ছেড়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছিলেন। তখন হঠাৎ করে তাঁর একেবারে সামনে শত্রু পাকিস্তানি সেনারা দৃশ্যমান হয়। ভয়াবহ এক পরিস্থিতি। মুক্তিযোদ্ধা সেখানে মাত্র ৩৫ জন। অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনা কমপক্ষে ১০০ জন। হারুন আহমেদ চৌধুরী বিচলিত হলেন না। সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে থাকলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ পারলেন না। পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া একটি গুলি এসে লাগল তাঁর পেটে। সেতুর ওপর তিনি লুটিয়ে পড়েন। হারুন আহমেদ চৌধুরী সৌভাগ্যক্রমে সেদিন বেঁচে যান।
মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম]]-[[কক্সবাজার জেলা]] সড়কে কর্ণফুলী নদীর তীরে কালুরঘাট। সেখানে উত্তর দিক থেকে হালদা এবং দক্ষিণ দিক থেকে সাঙ্গু নদী এসে মিলিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় এখানে ছিল অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর ও ছাত্র-যুবক সমন্বয়ে গড়া মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রতিরক্ষা অবস্থান। মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন কয়েকটি দলে বিভক্ত। নদীর পশ্চিম পূর্ব তীরের একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন হারুন আহমেদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম শহর দখলের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বড় দল অগ্রসর হয় কালুরঘাট অভিমুখে। [[এপ্রিল ১১|১১ এপ্রিল]] সকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আর্টিলারি, মর্টার ও নৌবাহিনীর গান ফায়ারের সাপোর্ট নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর তুমুল আক্রমণ শুরু করে। কালুরঘাটের পশ্চিমে চট্টগ্রামের দিকে রাস্তা এবং আশপাশে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ দল পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধ করতে থাকে। কিন্তু পাকিস্তানি আক্রমণ ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত, ব্যাপক ও সুবিন্যস্ত। সম্মুখভাগে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। আক্রমণের তীব্রতায় তাঁরা পেছনে কালুরঘাট সেতুতে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো খবর দিতে পারেননি। এরপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী দ্রুত অগ্রসর হয় সেতুর দিকে। হারুন আহমেদ চৌধুরী তাঁর দল নিয়ে ছিলেন সেতু এলাকায়। তাঁরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আকস্মিক আক্রমণের শিকার হন। একদম কাছাকাছি দূরত্বে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। হারুন আহমেদ চৌধুরী কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ডান দিকে ছিলেন। এ সময় তিনি প্রতিরক্ষা অবস্থান ছেড়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছিলেন। তখন হঠাৎ করে তাঁর একেবারে সামনে শত্রু পাকিস্তানি সেনারা দৃশ্যমান হয়। ভয়াবহ এক পরিস্থিতি। মুক্তিযোদ্ধা সেখানে মাত্র ৩৫ জন। অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনা কমপক্ষে ১০০ জন। হারুন আহমেদ চৌধুরী বিচলিত হলেন না। সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে থাকলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ পারলেন না। পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া একটি গুলি এসে লাগল তাঁর পেটে। সেতুর ওপর তিনি লুটিয়ে পড়েন। হারুন আহমেদ চৌধুরী সৌভাগ্যক্রমে সেদিন বেঁচে যান। <ref>{{cite book |title= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খন্ড)|last= |first= |authorlink= |coauthors= |year=মার্চ ২০১৩ |publisher= প্রথমা প্রকাশন |location= |isbn= 9789849025375|page= ৬৬|pages= |accessdate= |url=}}</ref>



== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==

১২:৫৯, ৩১ মার্চ ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হারুন আহমেদ চৌধুরী
চিত্র:Harun Ahmed Chowdhury.Bir Uttom.jpg
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর উত্তম

হারুন আহমেদ চৌধুরী (জন্ম: অজানা) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। [১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

হারুন আহমেদ চৌধুরীর জন্ম সিলেট জেলায়। তাঁর বাবার নাম আবদুস সোবহান চৌধুরী এবং মায়ের নাম জাহানারা বেগম চৌধুরী। তাঁর স্ত্রীর নাম নিঘাত হারুন। তাঁদের দুই মেয়ে।

কর্মজীবন

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হিসেবে হারুন আহমেদ চৌধুরী প্রেষণে ইপিআরে ছিলেন। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন চট্টগ্রাম ইপিআর সেক্টরের অধীন ১৭ নম্বর উইংয়ের সহ-উইং কমান্ডার হিসেবে। ২৫ মার্চ রাতেই ১৭ উইংয়ে কর্মরত বাঙালি ইপিআর সদস্যরা তাঁর নেতৃত্বে বিদ্রোহ করে কালুরঘাটে সমবেত হন। কালুরঘাট যুদ্ধে আহত হারুন আহমেদ চৌধুরীকে প্রথমে পটিয়ায়, পরে কক্সবাজার জেলার উখিয়াতে নেওয়া হয়। এর পর তিনি মিয়ানমারে যান। মক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ১ নম্বর সেক্টরে যোগ দেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জেলা সড়কে কর্ণফুলী নদীর তীরে কালুরঘাট। সেখানে উত্তর দিক থেকে হালদা এবং দক্ষিণ দিক থেকে সাঙ্গু নদী এসে মিলিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় এখানে ছিল অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর ও ছাত্র-যুবক সমন্বয়ে গড়া মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রতিরক্ষা অবস্থান। মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন কয়েকটি দলে বিভক্ত। নদীর পশ্চিম পূর্ব তীরের একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন হারুন আহমেদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম শহর দখলের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বড় দল অগ্রসর হয় কালুরঘাট অভিমুখে। ১১ এপ্রিল সকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আর্টিলারি, মর্টার ও নৌবাহিনীর গান ফায়ারের সাপোর্ট নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর তুমুল আক্রমণ শুরু করে। কালুরঘাটের পশ্চিমে চট্টগ্রামের দিকে রাস্তা এবং আশপাশে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ দল পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধ করতে থাকে। কিন্তু পাকিস্তানি আক্রমণ ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত, ব্যাপক ও সুবিন্যস্ত। সম্মুখভাগে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। আক্রমণের তীব্রতায় তাঁরা পেছনে কালুরঘাট সেতুতে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো খবর দিতে পারেননি। এরপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী দ্রুত অগ্রসর হয় সেতুর দিকে। হারুন আহমেদ চৌধুরী তাঁর দল নিয়ে ছিলেন সেতু এলাকায়। তাঁরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আকস্মিক আক্রমণের শিকার হন। একদম কাছাকাছি দূরত্বে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। হারুন আহমেদ চৌধুরী কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ডান দিকে ছিলেন। এ সময় তিনি প্রতিরক্ষা অবস্থান ছেড়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছিলেন। তখন হঠাৎ করে তাঁর একেবারে সামনে শত্রু পাকিস্তানি সেনারা দৃশ্যমান হয়। ভয়াবহ এক পরিস্থিতি। মুক্তিযোদ্ধা সেখানে মাত্র ৩৫ জন। অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনা কমপক্ষে ১০০ জন। হারুন আহমেদ চৌধুরী বিচলিত হলেন না। সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে থাকলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ পারলেন না। পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া একটি গুলি এসে লাগল তাঁর পেটে। সেতুর ওপর তিনি লুটিয়ে পড়েন। হারুন আহমেদ চৌধুরী সৌভাগ্যক্রমে সেদিন বেঁচে যান। [২]


পুরস্কার ও সম্মাননা

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ১২-০৬-২০১২
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা ৬৬। আইএসবিএন 9789849025375 

বহি:সংযোগ