গগনচুম্বী অট্টালিকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:30_St_Mary_Axe_-_The_Gherkin_from_Leadenhall_St_-_Nov_2006.jpg|thumb|250px|লন্ডনে অবস্থিত [[৩০ সেন্ট ম্যারি এক্স]] আধুনিক পরিবেশবান্ধব গগনচুম্বী অট্টালিকা হিসেবে বিবেচিত]]
[[চিত্র:30 St Mary Axe - The Gherkin from Leadenhall St - Nov 2006.jpg|thumb|250px|লন্ডনে অবস্থিত [[৩০ সেন্ট ম্যারি এক্স]] আধুনিক পরিবেশবান্ধব গগনচুম্বী অট্টালিকা হিসেবে বিবেচিত]]


'''গগনচুম্বী অট্টালিকা''' ({{lang-en|Skyscraper}}) বলতে খুবই উঁচু ভবনকে বুঝায়। সচরাচর যে সকল ভবনের উচ্চতা ১৫২ মিটার বা ৫০০ ফুটের চেয়ে বেশী ঐ সকল [[ভবন]] গগনচুম্বী অট্টালিকা নামে সারাবিশ্বে পরিচিত। প্রধানতঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধান প্রধান নগরগুলোয় এ ধরনের অট্টালিকা দেখা যায়। বড় বড় মহানগরগুলোয় দুই বা ততোধিক গগনচুম্বী অট্টালিকার সন্ধান পাওয়া যায়। [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]] নিউইয়র্ক শহরে [[এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং|এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের]] জন্য জনপ্রিয় হয়ে আছে। গত ২০ বছরে [[লন্ডন|লন্ডনের]] [[নাগরিক|নাগরিকেরা]] অনেকগুলো অট্টালিকা দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছে গেছে যা অতীতে [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডে]] দেখা যায়নি।
'''গগনচুম্বী অট্টালিকা''' ({{lang-en|Skyscraper}}) বলতে খুবই উঁচু ভবনকে বুঝায়। সচরাচর যে সকল ভবনের উচ্চতা ১৫২ মিটার বা ৫০০ ফুটের চেয়ে বেশী ঐ সকল [[ভবন]] গগনচুম্বী অট্টালিকা নামে সারাবিশ্বে পরিচিত। প্রধানতঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধান প্রধান নগরগুলোয় এ ধরনের অট্টালিকা দেখা যায়। বড় বড় মহানগরগুলোয় দুই বা ততোধিক গগনচুম্বী অট্টালিকার সন্ধান পাওয়া যায়। [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]] নিউইয়র্ক শহরে [[এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং|এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের]] জন্য জনপ্রিয় হয়ে আছে। গত ২০ বছরে [[লন্ডন|লন্ডনের]] [[নাগরিক|নাগরিকেরা]] অনেকগুলো অট্টালিকা দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছে গেছে যা অতীতে [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডে]] দেখা যায়নি।

১৮:৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

লন্ডনে অবস্থিত ৩০ সেন্ট ম্যারি এক্স আধুনিক পরিবেশবান্ধব গগনচুম্বী অট্টালিকা হিসেবে বিবেচিত

গগনচুম্বী অট্টালিকা (ইংরেজি: Skyscraper) বলতে খুবই উঁচু ভবনকে বুঝায়। সচরাচর যে সকল ভবনের উচ্চতা ১৫২ মিটার বা ৫০০ ফুটের চেয়ে বেশী ঐ সকল ভবন গগনচুম্বী অট্টালিকা নামে সারাবিশ্বে পরিচিত। প্রধানতঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধান প্রধান নগরগুলোয় এ ধরনের অট্টালিকা দেখা যায়। বড় বড় মহানগরগুলোয় দুই বা ততোধিক গগনচুম্বী অট্টালিকার সন্ধান পাওয়া যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের জন্য জনপ্রিয় হয়ে আছে। গত ২০ বছরে লন্ডনের নাগরিকেরা অনেকগুলো অট্টালিকা দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছে গেছে যা অতীতে ইংল্যান্ডে দেখা যায়নি।

ইতিহাস

এক সময় স্কাইস্ক্রেপার বলতে পাল তোলা জাহাজের উঁচু পালকে বুঝানো হতো। এরপর শব্দটির অর্থ পরিবর্তিত হয়ে বর্তমানে সুউচ্চ ভবনকে নির্দেশ করছে। উনবিংশ শতক পর্যন্ত ছয় তলা ভবনের সন্ধান পাওয়া খুবই কষ্টকর ব্যাপার ছিল। দূর্বল ও নিম্নমানের নির্মাণ উপকরণের কারণে উচ্চ ভবনগুলো ভেঙ্গে যাবার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। তাছাড়া, জনগণও অনেকগুলো সিঁড়ি পেরিয়ে উপরে উঠতে ও বসবাস করতে পছন্দ করতো না। নদীর প্রবল ঢেউও সর্বোচ্চ ৫০ ফুট পর্যন্ত আছড়ে পড়তো।

আধুনিক ও উন্নততর প্রযুক্তির সাহায্যে বর্তমানে গগনচুম্বী অট্টালিকা তৈরী হবার সংবাদ খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শক্তিশালী ভিত ও আধুনিক নির্মাণশৈলীর ব্যবহার হিসেবে স্টীল, খোয়া, লোহা, সিমেন্টের ঢালাই এতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

প্রথম গগনচুম্বী অট্টালিকা দ্য হোম ইনস্যুরেন্স বিল্ডিং ইলিনয়িসের শিকাগো শহরে নির্মিত হয়েছিল। ভবনটি ছিল দশতলা উচ্চতাবিশিষ্ট। ১৮৮৪-৮৫ সালে এটির নির্মাণকার্য সম্পন্ন হয়। কিন্তু, ১৯৩১ সালে নতুন আরেকটি ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

সর্বোচ্চ গগনচুম্বী অট্টালিকা

সুউচ্চ ভবন এবং নগর আবাসন সংস্থা (সিটিবিইউএইচ) নামীয় অ-লাভজনক আন্তর্জাতিক সংগঠন ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি বিশ্বের সর্বোচ্চ গগনচুম্বী অট্টালিকার নাম ঘোষনা করে এবং কোন কোন ভবনগুলো নির্দিষ্ট মানদণ্ডের মাধ্যমে এ মর্যাদা পাবে তার সিদ্ধান্ত দেয়। এটি বিশ্বের নির্মাণ কাজ সম্পন্নকারী শীর্ষ ১০০ সর্বোচ্চ গগনচুম্বী অট্টালিকার নাম নির্দিষ্ট করে থাকে।[১]

সংগঠনটি বর্তমানে গগনচুম্বী অট্টালিকা হিসেবে বুর্জ খলিফাকে বিশ্বের সর্বোচ্চ অট্টালিকার মর্যাদা প্রদান করেছে। এর উচ্চতা ৮২৮ মি (২,৭১৭ ফু)।[১]

অবস্থান ভবন[২] নগর দেশ উচ্চতা (মিটার)[১] উচ্চতা (ফুট) তলার সংখ্যা নির্মাণকাল
বুর্জ খলিফা দুবাই  সংযুক্ত আরব আমিরাত ৮২৮ মিটার ২,৭১৭ ফুট ১৬৩ ২০১০
মক্কা রয়েল ক্লক টাওয়ার হোটেল মক্কা  সৌদি আরব ৬০১ মিটার[৩] ১,৯৭১ ফুট ১২০ ২০১২
তাইপে ১০১ তাইপে  তাইওয়ান ৫০৯ মিটার[৪] ১,৬৭০ ফুট ১০১ ২০০৪
সাংহাই ওয়ার্ল্ড ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার সাংহাই  চীন ৪৯২ মিটার ১,৬১৪ ফুট ১০১ ২০০৮
ইন্টারন্যাশনাল কমার্স সেন্টার হংকং  হং কং ৪৮৪ মিটার ১,৫৮৮ ফুট ১১৮ ২০১০
পেত্রোনাস টাওয়ার ১ কুয়ালালামপুর  মালয়েশিয়া ৪৫২ মিটার ১,৪৮৩ ফুট ৮৮ ১৯৯৮
পেত্রোনাস টাওয়ার ২ কুয়ালালামপুর  মালয়েশিয়া ৪৫২ মিটার ১,৪৮৩ ফুট ৮৮ ১৯৯৮
জাইফেং টাওয়ার নানজিং  চীন ৪৫০ মিটার ১,৪৭৬ ফুট ৮৯ ২০১০
উইলিস টাওয়ার (সাবেক সিয়ার্স টাওয়ার) শিকাগো  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪৪২ মিটার ১,৪৫০ ফুট ১০৮ ১৯৭৩
১০ কিংকি ১০০ শেনঝেন  চীন ৪৪২ মিটার ১,৪৪৯ ফুট ১০০ ২০১১

তথ্যসূত্র

  1. "100 tallest completed buildings in the world"CTBUH। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১২ 
  2. Adapted from Emporis - World's Tallest Skyscrapers
  3. Abraj Al-Bait Towers at CTBUH
  4. Taipei 101 at CTBUH

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:TBSW টেমপ্লেট:Developments

টেমপ্লেট:Link FA