মেলভিন শোয়ার্জ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ... |
অ বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা? |
||
১৩ নং লাইন: | ১৩ নং লাইন: | ||
|ethnicity = |
|ethnicity = |
||
|fields = [[কণা পদার্থবিজ্ঞান]] |
|fields = [[কণা পদার্থবিজ্ঞান]] |
||
|workplaces = [[Brookhaven National Laboratory]]<br>[[স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়য়]]<br>[[কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়]] |
|workplaces = [[Brookhaven National Laboratory]]<br />[[স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়য়]]<br />[[কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়]] |
||
|alma_mater = [[কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়]] |
|alma_mater = [[কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়]] |
||
|doctoral_advisor = |
|doctoral_advisor = |
২২:০৩, ৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মেলভিন শোয়ার্জ | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৮ আগস্ট ২০০৬ | (বয়স ৭৩)
জাতীয়তা | মার্কিন |
মাতৃশিক্ষায়তন | কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | neutrinos |
পুরস্কার | পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ১৯৮৮ |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | কণা পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | Brookhaven National Laboratory স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়য় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় |
মেলভিন শোয়ার্জ (ইংরেজি ভাষায়: Melvin Schwartz) (২রা নভেম্বর, ১৯৩২ - ২৮শে আগস্ট, ২০০৬) নোবেল বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী এবং উদ্যোক্তা। ১৯৮৮ সালে লিয়ন ম্যাক্স লেডারম্যান এবং জ্যাক স্টাইনবার্গারের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। মিউওন নিউট্রিনো আবিষ্কারের মাধ্যমে লেপ্টনের ডাবলেট গঠন প্রদর্শন এবং নিউট্রিনো রশ্মি প্রক্রিয়া উদ্ভাবনের জন্য তারা এই পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।
জীবনী
শোয়ার্জ নিউ ইয়র্ক সিটিতে বেড়ে উঠেন এবং এখানকার কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৮ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এই বছর থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত কলাম্বিয়াতে শিক্ষকতা করেন এবং এর পর ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন।
১৯৭০ সালে ডিজিটাল প্যাথওয়েস, ইনকরপোরেটেড নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন যা কম্পিউটার-নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরির কাজ করে। স্ট্যানফোর্ড থেকে চলে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালে ব্রুকহেভেন ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে সহযোগি পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এখানেই ছিলেন। এই ১৯৯১ সালেই আবার কলাম্বিয়াতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০০ সালে তাকে কলাম্বিয়াতে ইমেরিটাস অধ্যাপক পদ প্রদান করা হয়।
নোবেল বিজয়ী গবেষণা
শোয়ার্জ ব্রুকহেভেনে তার সহকর্মী লেডারম্যান ও স্টাইনবার্গারের সাথে একটি মৌলিক গবেষণা করেছিলেন যার জন্য তাদেরকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯৬০ থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে এই গবেষণা সম্পন্ন হয়েছিল। নিউট্রিনো সাধারণত কখনই সাধারণ পদার্থের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে না, এ কারণেই গবেষণাগারে নিউট্রিনো সনাক্ত করা খুব কষ্টকর। অনুমান করা হয়েছিল, পৃথিবী অতিক্রমকারী প্রতি ১০ বিলিয়ন নিউট্রিনোর মধ্যে মাত্র একটি পদার্থের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে। শোয়ার্জ এই মিথস্ক্রিয়া বৃদ্ধির চেষ্টা শুরু করেন। বুদ্ধিটা প্রথমে তার মাথায়ই আসে। এরপর তিনজনে মিলে নিউট্রিনো মিথস্ক্রিয়ার পরিসাংখ্যিক সম্ভাব্যতা বৃদ্ধির একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। তারা কয়েক শত বিলিয়ন নিউট্রিনো বিশিষ্ট রশ্মি তৈরি করে একে একটি কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে প্রেরণ করেন। পদার্থটি সনাক্তকারী হিসেবে কাজ করে।
তারা নিউট্রিনো রশ্মি তৈরি করেছিলেন কণা ত্বরক ব্যবহার করে। কণা ত্বরকের মাধ্যমে উচ্চ শক্তির অসংখ্য প্রোটনের একটি ধারা তৈরি করেন। এই প্রোটন ধারা বেরিলিয়াম দিয়ে তৈরি ধাতুতে আঘাত করে। এর ফলে বিভিন্ন কণার ধারা সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে ছিল পাইওন। পাউওন চলার পথে একসময় ক্ষয় হয়ে মিউওনে পরিণত হয় এবং মিউওন থেকে তৈরি হয় নিউট্রিনো। বেরিলিয়াম থেকে বিভিন্ন কণার যে স্রোত প্রবাহিত হচ্ছিল তাকে ১৩.৪ মিটার পুরু ধাতব পাতের মধ্য দিয়ে প্রেরণ করা হয়। এই ধাতব পাত নিউট্রিনো ছাড়া বাকি সব কণাকে আটকে দেয়। পাতের পেছনে কেবল নিউট্রিনোই পাওয়া যায়। এই বিশুদ্ধ নিউট্রিনো রশ্মি এরপর অ্যালুমিনিয়াম পাতের মধ্য দিয়ে যায়। বেশ কিছু নিউট্রিনো অ্যালুমিনিয়াম পরমাণুর সাথে মিথস্ক্রিয়া করে। এই মিথস্ক্রিয়াগুলো অধ্যয়ন করে বিজ্ঞানী ত্রয় এক নতুন ধরণের নিউট্রিনোর সন্ধান পান। এই নিউট্রিনোর নাম মিউওন নিউট্রিনো।
প্রাপ্ত পুরস্কারসমূহ
- পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার - ১৯৮৮
- Guggenheim Fellowship (১৯৬৫)
- ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এ নির্বাচিত (১৯৭৫)
তথ্যসূত্র
- Schwartz, Melvin; এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, সফ্টওয়্যার সংস্করণ ২০০৭