বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nirbochon (আলাপ)-এর সম্পাদিত 1505926 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
বানান
২০ নং লাইন: ২০ নং লাইন:
জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার এবং পাকিস্তান বিভক্তির বিরোধীতা করেছিল।<ref>জনতার আদালতে জামাতে ইসলামী- দিব্য প্রকাশ, ৩৮/২ ক, বাংলাবাজার, ঢাকা, পৃষ্ঠা-১৮</ref><ref> দৈনিক পাকিস্তান, ২৮শে নভেম্বর, ১৯৭১ , সাভারে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডারদের ট্রেনিং শেষে জেনারেল নিয়াজী বলেনঃ"একদিকে তাদের ভারতীয় চরদের সকল চিহ্ন মুছে ফেলতে হবে, অন্যদিকে বিপথগামী যুবকদের সঠিক পথে আনতে হবে।"</ref><ref>http://www.genocidebangladesh.org/?page_id=16 রাজাকার ও তাদের সহযোগীরা</ref><ref>http://www.genocidebangladesh.org/?page_id=246 তারা যা বলেছিল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে</ref> দলটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী, বুদ্ধিজীবী এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের হত্যায় সহযোগিতা করেছিল। দলটির অনেক নেতা-কর্মী সেসময় গঠিত অঅধা-সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেছিল<ref name="Rubin2010"/>, যারা গণহত্যা, বিশেষ করে হিন্দুদের ধর্ষণ এবং জোড়পূর্বক ইসলাম ধর্মে স্থানান্তরের মত যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল।<ref>{{cite news|title=Bangladesh party leader accused of war crimes in 1971 conflict|url=http://www.guardian.co.uk/world/2011/oct/03/bangladesh-party-leader-accused-war-crimes|accessdate=5 February 2013|newspaper=The Guardian|date=3 October 2011}}</ref><ref name=new_age_1>{{cite news|title=Charges pressed against Ghulam Azam|url=http://newagebd.com/newspaper1/archive_details.php?date=2011-12-12&nid=43333|accessdate=23 January 2013|newspaper=New Age|date=12 December 2011}}</ref><ref name=daily_star_1>{{cite news|title=Ghulam Azam was 'involved'|url=http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=208936|accessdate=23 January 2013|newspaper=[[The Daily Star (Bangladesh)|The Daily Star]]|date=2 November 2011}}</ref><ref>{{cite news|title=Bangladesh: Abdul Kader Mullah gets life sentence for war crimes|url=http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-21332622|accessdate=5 February 2013|newspaper=BBC News|date=5 February 2013}}</ref> জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা আধাসামরিক বাহিনী [[শান্তি কমিটি]], [[রাজাকার]] ও [[আলবদর]] গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিল।<ref name="Rubin2010">{{cite book|last=Rubin|first=Barry A.|title=Guide to Islamist Movements|url=http://books.google.com/books?id=wEih57-GWQQC&pg=PA59|accessdate=6 March 2013|year=2010|publisher=M.E. Sharpe|isbn=978-0-7656-4138-0|page=59}}</ref><ref>{{cite news|title=ভারতীয় চক্রান্ত বরদাস্ত করব না (We will never tolerate Indian conspiracy)|newspaper=[[The Daily Sangram]]|date=13 April 1971}}</ref><ref name="Fair2010">{{cite book|last=Fair|first=C. Christine|title=Pakistan: Can the United States Secure an Insecure State?|url=http://books.google.com/books?id=RC-ANwtR_SoC&pg=PA22|accessdate=6 March 2013|date=16 June 2010|publisher=Rand Corporation|isbn=978-0-8330-4807-3|pages=21–22}}</ref>
জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার এবং পাকিস্তান বিভক্তির বিরোধীতা করেছিল।<ref>জনতার আদালতে জামাতে ইসলামী- দিব্য প্রকাশ, ৩৮/২ ক, বাংলাবাজার, ঢাকা, পৃষ্ঠা-১৮</ref><ref> দৈনিক পাকিস্তান, ২৮শে নভেম্বর, ১৯৭১ , সাভারে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডারদের ট্রেনিং শেষে জেনারেল নিয়াজী বলেনঃ"একদিকে তাদের ভারতীয় চরদের সকল চিহ্ন মুছে ফেলতে হবে, অন্যদিকে বিপথগামী যুবকদের সঠিক পথে আনতে হবে।"</ref><ref>http://www.genocidebangladesh.org/?page_id=16 রাজাকার ও তাদের সহযোগীরা</ref><ref>http://www.genocidebangladesh.org/?page_id=246 তারা যা বলেছিল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে</ref> দলটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী, বুদ্ধিজীবী এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের হত্যায় সহযোগিতা করেছিল। দলটির অনেক নেতা-কর্মী সেসময় গঠিত অঅধা-সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেছিল<ref name="Rubin2010"/>, যারা গণহত্যা, বিশেষ করে হিন্দুদের ধর্ষণ এবং জোড়পূর্বক ইসলাম ধর্মে স্থানান্তরের মত যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল।<ref>{{cite news|title=Bangladesh party leader accused of war crimes in 1971 conflict|url=http://www.guardian.co.uk/world/2011/oct/03/bangladesh-party-leader-accused-war-crimes|accessdate=5 February 2013|newspaper=The Guardian|date=3 October 2011}}</ref><ref name=new_age_1>{{cite news|title=Charges pressed against Ghulam Azam|url=http://newagebd.com/newspaper1/archive_details.php?date=2011-12-12&nid=43333|accessdate=23 January 2013|newspaper=New Age|date=12 December 2011}}</ref><ref name=daily_star_1>{{cite news|title=Ghulam Azam was 'involved'|url=http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=208936|accessdate=23 January 2013|newspaper=[[The Daily Star (Bangladesh)|The Daily Star]]|date=2 November 2011}}</ref><ref>{{cite news|title=Bangladesh: Abdul Kader Mullah gets life sentence for war crimes|url=http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-21332622|accessdate=5 February 2013|newspaper=BBC News|date=5 February 2013}}</ref> জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা আধাসামরিক বাহিনী [[শান্তি কমিটি]], [[রাজাকার]] ও [[আলবদর]] গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিল।<ref name="Rubin2010">{{cite book|last=Rubin|first=Barry A.|title=Guide to Islamist Movements|url=http://books.google.com/books?id=wEih57-GWQQC&pg=PA59|accessdate=6 March 2013|year=2010|publisher=M.E. Sharpe|isbn=978-0-7656-4138-0|page=59}}</ref><ref>{{cite news|title=ভারতীয় চক্রান্ত বরদাস্ত করব না (We will never tolerate Indian conspiracy)|newspaper=[[The Daily Sangram]]|date=13 April 1971}}</ref><ref name="Fair2010">{{cite book|last=Fair|first=C. Christine|title=Pakistan: Can the United States Secure an Insecure State?|url=http://books.google.com/books?id=RC-ANwtR_SoC&pg=PA22|accessdate=6 March 2013|date=16 June 2010|publisher=Rand Corporation|isbn=978-0-8330-4807-3|pages=21–22}}</ref>


১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর, নতুন সরকার জামায়াতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে প্রথম রাষ্ট্রপতি [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিব]] হত্যাকান্ডের পর এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল [[জিয়াউর রহামান]] ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেদ্ধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দলটির নেতাকর্মীরা ফিরে আসার অনুমতি পান। জামায়াতে উদ্দেশ্য হলো শরীয়া ভিত্তিক একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যা পাকিস্তান ও সৌদি আরবের দেশসমূহে লক্ষ্য করা যায়। জামায়াতের বিরোদ্ধে হিন্দু ও বৌদ্ধ এবং আহমদীয়া মুসলমানদের উপর ধারাবাহিক আক্রমনের অভিযোগ করা হয়ে থাকে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর, নতুন সরকার জামায়াতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে প্রথম রাষ্ট্রপতি [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিব]] হত্যাকান্ডের পর এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল [[জিয়াউর রহমান]] ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেদ্ধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দলটির নেতাকর্মীরা ফিরে আসার অনুমতি পান। জামায়াতে উদ্দেশ্য হলো শরীয়া ভিত্তিক একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যা পাকিস্তান ও সৌদি আরবের দেশসমূহে লক্ষ্য করা যায়। জামায়াতের বিরোদ্ধে হিন্দু ও বৌদ্ধ এবং আহমদীয়া মুসলমানদের উপর ধারাবাহিক আক্রমনের অভিযোগ করা হয়ে থাকে।


১৯৮০-এর দশকে জামায়াত গণতন্ত্রের পুনুরুদ্ধারের জন্য বহুদলীয় জোটে যোগদান করে। এসময় দলটি [[আওয়ামী লীগ]] ও সমসাময়িক বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে পরবর্তীতে দলটি [[বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার|তত্ত্বাবধায়ক সরকার]] ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আন্দোলন করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে [[বিএনপি]]র সাথে মিলিত হয়ে আরো অন্য দুটি দলসহ চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট জয় লাভ করলে বেগম [[খালেদা জিয়া]] নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীন জামায়াতের দুজন সদস্য মন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৮ সাল থেকে দলটির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে এবং [[বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন, ২০০৮|নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে]] দলটি ৩০০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টি আসন লাভ করে। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার [[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল|আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের]] মাধ্যমে ১৯৭১ সালে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে; ২০১২ সালের মধ্যে দুজন বিএনপি নেতা ও জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান সদস্যসহ ৮ জন নেতার বিরোদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত জামায়াতের সাবেক সদস্যসহ মোট চার জনকে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড ঘোষণা ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাবেক আমীর [[গোলাম আযম|গোলাম আযমকে]] ৯০ বছর কারাদন্ড প্রদান করা হয়।<ref name="বিবিসিবাংলা১">{{cite news | url=http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/07/130715_an_ghulam_azam_verdit.shtml | title=গোলাম আযম দোষী প্রমাণিত, ৯০ বছরের কারাদণ্ড | work=বিবিসি বাংলা | date=১৫ জুলাই, ২০১৩ | accessdate=15 জুলাই 2013}}</ref><ref>http://bdnews24.com/bangladesh/2013/07/15/90-years-for-jamaat-guru-ghulam-azam</ref><ref name="সময়টিভি">{{cite news | url=http://www.somoynews.tv/details.php?id=15943 | title=গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড | work=সময় টিভি | date=১৫ জুলাই, ২০১৩ | accessdate=১৫ জুলাই, ২০১৩ | location=ঢাকা}}</ref><ref name="প্রথম১">{{cite news | url=http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-07-15/news/368067 | title=গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড | work=দৈনিক প্রথম আলো | date=১৫ জুলাই, ২০১৩ | accessdate=15 জুলাই 2013 | location=ঢাকা}}</ref> রায়গুলোর প্রতিবাদে জামায়াত দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংস প্রতিবাদ করে যাতে অনেক লোক নিহত হয় ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়।<ref name="BBC">[http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-22058462 BBC (2013)], Bangladesh PM Sheikh Hasina rejects blasphemy law .</ref>
১৯৮০-এর দশকে জামায়াত গণতন্ত্রের পুনুরুদ্ধারের জন্য বহুদলীয় জোটে যোগদান করে। এসময় দলটি [[আওয়ামী লীগ]] ও সমসাময়িক বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে পরবর্তীতে দলটি [[বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার|তত্ত্বাবধায়ক সরকার]] ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আন্দোলন করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে [[বিএনপি]]র সাথে মিলিত হয়ে আরো অন্য দুটি দলসহ চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট জয় লাভ করলে বেগম [[খালেদা জিয়া]] নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীন জামায়াতের দুজন সদস্য মন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৮ সাল থেকে দলটির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে এবং [[বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন, ২০০৮|নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে]] দলটি ৩০০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টি আসন লাভ করে। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার [[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল|আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের]] মাধ্যমে ১৯৭১ সালে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে; ২০১২ সালের মধ্যে দুজন বিএনপি নেতা ও জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান সদস্যসহ ৮ জন নেতার বিরোদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত জামায়াতের সাবেক সদস্যসহ মোট চার জনকে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড ঘোষণা ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাবেক আমীর [[গোলাম আযম|গোলাম আযমকে]] ৯০ বছর কারাদন্ড প্রদান করা হয়।<ref name="বিবিসিবাংলা১">{{cite news | url=http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/07/130715_an_ghulam_azam_verdit.shtml | title=গোলাম আযম দোষী প্রমাণিত, ৯০ বছরের কারাদণ্ড | work=বিবিসি বাংলা | date=১৫ জুলাই, ২০১৩ | accessdate=15 জুলাই 2013}}</ref><ref>http://bdnews24.com/bangladesh/2013/07/15/90-years-for-jamaat-guru-ghulam-azam</ref><ref name="সময়টিভি">{{cite news | url=http://www.somoynews.tv/details.php?id=15943 | title=গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড | work=সময় টিভি | date=১৫ জুলাই, ২০১৩ | accessdate=১৫ জুলাই, ২০১৩ | location=ঢাকা}}</ref><ref name="প্রথম১">{{cite news | url=http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-07-15/news/368067 | title=গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড | work=দৈনিক প্রথম আলো | date=১৫ জুলাই, ২০১৩ | accessdate=15 জুলাই 2013 | location=ঢাকা}}</ref> রায়গুলোর প্রতিবাদে জামায়াত দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংস প্রতিবাদ করে যাতে অনেক লোক নিহত হয় ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়।<ref name="BBC">[http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-22058462 BBC (2013)], Bangladesh PM Sheikh Hasina rejects blasphemy law .</ref>

২২:১৯, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
নেতামতিউর রহমান নিজামী
সদর দপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
ভাবাদর্শইসলামী
ওয়েবসাইট
jamaat-e-islami.org
বাংলাদেশের রাজনীতি
রাজনৈতিক দল
নির্বাচন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যার পূর্বনাম ছিলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ[১] বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী রাজনৈতিক দল।[২][৩] ১লা আগস্ট ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন সম্পর্কিত একটি রুলের রায়ে এই সংগঠনের নিবন্ধন অবৈধ এবং একে নির্বাচনে অংশগ্রহনের অযোগ্য ঘোষনা করে।[৪][৫][৬][৭]

জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার এবং পাকিস্তান বিভক্তির বিরোধীতা করেছিল।[৮][৯][১০][১১] দলটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী, বুদ্ধিজীবী এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের হত্যায় সহযোগিতা করেছিল। দলটির অনেক নেতা-কর্মী সেসময় গঠিত অঅধা-সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেছিল[১২], যারা গণহত্যা, বিশেষ করে হিন্দুদের ধর্ষণ এবং জোড়পূর্বক ইসলাম ধর্মে স্থানান্তরের মত যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল।[১৩][১৪][১৫][১৬] জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা আধাসামরিক বাহিনী শান্তি কমিটি, রাজাকারআলবদর গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিল।[১২][১৭][১৮]

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর, নতুন সরকার জামায়াতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব হত্যাকান্ডের পর এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেদ্ধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দলটির নেতাকর্মীরা ফিরে আসার অনুমতি পান। জামায়াতে উদ্দেশ্য হলো শরীয়া ভিত্তিক একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যা পাকিস্তান ও সৌদি আরবের দেশসমূহে লক্ষ্য করা যায়। জামায়াতের বিরোদ্ধে হিন্দু ও বৌদ্ধ এবং আহমদীয়া মুসলমানদের উপর ধারাবাহিক আক্রমনের অভিযোগ করা হয়ে থাকে।

১৯৮০-এর দশকে জামায়াত গণতন্ত্রের পুনুরুদ্ধারের জন্য বহুদলীয় জোটে যোগদান করে। এসময় দলটি আওয়ামী লীগ ও সমসাময়িক বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে পরবর্তীতে দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আন্দোলন করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে বিএনপির সাথে মিলিত হয়ে আরো অন্য দুটি দলসহ চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট জয় লাভ করলে বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীন জামায়াতের দুজন সদস্য মন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৮ সাল থেকে দলটির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে এবং নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি ৩০০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টি আসন লাভ করে। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে; ২০১২ সালের মধ্যে দুজন বিএনপি নেতা ও জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান সদস্যসহ ৮ জন নেতার বিরোদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত জামায়াতের সাবেক সদস্যসহ মোট চার জনকে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড ঘোষণা ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাবেক আমীর গোলাম আযমকে ৯০ বছর কারাদন্ড প্রদান করা হয়।[১৯][২০][২১][২২] রায়গুলোর প্রতিবাদে জামায়াত দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংস প্রতিবাদ করে যাতে অনেক লোক নিহত হয় ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়।[২৩]

ইতিহাস

ব্রিটিশ ভারত (১৯৪১-১৯৪৭)

সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট লাহোরের ইসলামীয়া পার্কে সামাজিক-রাজনৈতিক ইসলামী আন্দোলনের অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ নামে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। জামায়াত ভারতের মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধিতা করেছিল। জামায়াত ১৯৪৬ সালের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল মুসলিম লীগকে সমর্থন করেনি।

স্বাধীনতা ও ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর মওদুদী ভারত থেকে পাকিস্তান চলে যান। বর্তমান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মূলত পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় পার্টির অংশ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল।

পাকিস্তান সময়কাল (১৯৪৮-১৯৭১)

পাকিস্তান সৃাষ্টির পর জামায়াতে ইসলামী মূলত ভারত ও পাকিস্তান দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের শাখা থেকে সৃষ্টি হয়। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান প্রণিত মুসলিম পরিবার আইন অধ্যাদেশের বিরোধিতা করার কারণে ১৯৬৪ সালের ৪ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর কর্মকান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মওদুদী সহ ৬০ জন জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের ১৩ জন জামায়াত নেতা ছিলেন। অধ্যাপক গোলাম আযম তাদের একজন। ঐ বছর অক্টোবরেই আবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।

জামায়াতে ইসলামী, জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক আইন ঘোষণার সময় পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এবং ১৯৬৫ সালে সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক জোট গঠিত হয়।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ প্রদত্ত ছয় দফা এবং মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঘোষিত ১১ দফার তারা তীব্র বিরোধিতা করে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী পশ্চিম পাকিস্তানে ৪ টি আসন লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ডাঃ আব্দুল মালিক কে গভর্নর করে ১৭ই সেপ্টেম্বার একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয়। [২৪]সে সরকারের মন্ত্রী সভায় পরবর্তীকালে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।[২৫]

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা

১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করে। জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ প্রভৃতি বাহিনী গড়ে তোলেন। এরা পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে কাজ করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে এই দলের সদস্যরা হত্যা, ধর্ষন, লুটপাট, সংখ্যালঘু নির্যাতন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে জোড়পূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা, ১২ই ডিসেম্বর বুধিজীবী হত্যকান্ডে জড়িত থাকা[২৬] সহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে।[২৭]

২৫ মার্চ রাতে সংঘটিত অপারেশন সার্চলাইট এর ছয় দিন পর গোলাম আযম ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে একটি ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি ভারতের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, " ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানীদের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে।...আমি বিশ্বাস করি যে, এই অনুপ্রবেশকারীরা পূর্ব পাকিস্তানী মুসলমানদের নিকট হতে কোন প্রকার সাহায্য পাবে না। [২৮]

৩০ জুন লাহোরে সাংবাদিকদের কাছে গোলাম আযম বলেন, "তাঁর দল পূর্ব পাকিস্তানে দুস্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) তৎপরতা দমন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং এ কারণেই দুস্কৃতকারীদের হাতে বহু জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার উদ্দেশ্য ঢাকায় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্য ছিলেন পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা। গোলাম আযম ও এই কমিটির সদস্য ছিলেন।

১৯৭১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংগ্রাম এ গোলাম আযমের পশ্চিম পাকিস্তান সফরকালের একটি সাক্ষাৎকারের পূর্ণ বিবরণ দুই কিস্তিতে ছাপা হয়। এই সাক্ষাতকারে তিনি মুক্তিবাহিনীর সাথে তার দলের সদ্স্যদের সংঘর্ষের বিভিন্ন বিবরণ ও পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থতির ওপর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জামায়াতকে মনে করতো পহেলা নম্বরের দুশমন। তারা তালিকা তৈরি করেছে এবং জামায়াতের লোকদের বেছে বেছে হত্যা করছে, তাদের বাড়িঘর লুট করছে জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। এতদসত্বেও জামায়াত কর্মীরা রেজাকারে ভর্তি হয়ে দেশের প্রতিরক্ষায় বাধ্য। কেননা তারা জানে 'বাংলা দেশে' ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কোন স্থান হতে পারে না। জামায়াত কর্মীরা শহীদ হতে পারে কিন্তু পরিবর্তিত হতে পারে না। [২৯]

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কতৃক ইতোমধ্যেই এই সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ফাঁসি ও অন্যান্য দন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ অধ্যায়

১৯৭১ সালের পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে জামায়াত ও এর আওতায় পড়ে। ১৯৭৬ সালের আগস্টে জিয়াউর রহমান সরকার সকল ধরণের রাজনৈতিক দলের রাজনীতি উন্মুক্ত করে রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশ ঘোষণা করেন। এ সময় ইসলামিক ডেমোক্র‌্যাটিক পার্টি নামক একটি দলের সাথে জামায়াতে ইসলামী যুক্ত ছিল। পরে গোলাম আযম বাংলাদেশে ফিরে এলে ১৯৭৯ সালের মে মাসে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ গঠিত হয়। এর ভারপ্রাপ্ত আমীর পদ লাভ করেন আব্বাস আলি খান। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে এটি ৩০০ আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন লাভ করে।পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে গঠিত চার দলীয় ঐক্যজোটের অন্যতম শরিক হিসেবে সরকার গঠনে ভূমিকা পালন করে। এরপর ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২ টি আসন লাভ করে।

সংগঠনের মৌলিক বিশ্বাস

এই সংগঠনের সকল কার্যাবলীর প্রেরণা হল আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে, তাকে একমাত্র উপাস্য, কল্যাণকারী, আশ্রয়দাতা, সাহায্যকারী, রক্ষাকর্তা মেনে নেয়া এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরআনের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রে ইসলামের অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। [৩০]

তবে ২০১২ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংশোধন আনে। নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে দলটি গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ প্রদত্ত ও রসুল প্রদর্শিত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা উল্ল্যেখ করে।[৩১]

উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর গঠনতন্ত্র অনুসারে, কোরানে বর্নিত আল্লাহর আইন অনুসারে সমগ্র রাষ্ট্রে পরিপূর্ণ ইসলামী শাসনতন্ত্র কায়েম করা। ইসলামকে বিভক্তির হাত থেকে রক্ষা করে সমগ্র রাষ্ট্রে সম্পূর্ণরূপে কায়েম করিবার জন্য চেষ্টা ও সাধনা করা এবং আল্লাহর নির্দেশিত অবশ্য পালনীয় কর্তব্যসমূহ যেমন নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত ইত্যাদি পালনে নাগরিকদের সচেতন করা। এসবের মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সর্বপ্রকার আভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক হুমকি এবং বিশৃংখলা হইতে রক্ষা করিবার চেষ্টা করা। দায়িত্বশীল নাগরিক এবং চরিত্রবান ও যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে শোষনহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করে জনসাধারণের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন করা এবং বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সংগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা।[৩২]

তবে ২০১২ সালের অক্টোবরে গঠনতন্ত্রে আনীত সংশোধন অনুযায়ী এই দলটি ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা উল্ল্যেখ করে।[৩৩]

সাংগঠনিক কাঠামো

জামায়াতে ইসলামী বাঙলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সংগঠন নিম্নলিখিত পদের সমন্বয়ে গঠিত

  • কেন্দ্রীয় রুকন (সদস্য) সম্মেলন,
  • আমীরে জামায়াত,
  • কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা;
  • কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ এবং
  • কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ।[৩৪]

নিবন্ধন বাতিল

কয়েকটি ইসলামী সংগঠনের ২৫ জন সদস্য জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের হাই কোর্ট একটি রুল জারি করে। জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ এবং নির্বাচন কমিশন সচিবকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলে আদালতের বেঞ্চ। পরবর্তিতে ১লা আগস্ট ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রুলের রায় ঘোষনা করে এতে সংগঠনের নিবন্ধন অবৈধ এবং সংগঠনটিকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের অযোগ্য ঘোষনা করা হয়।[৩৫]

তথ্যসূত্র

  1. জামায়াত তার নাম পরিবর্তন করেছে। দ্য ডেইলি নিউ নেশন, ২১ অক্টোবর, ২০০৮
  2. The Tenacity of Hope
  3. Bangladesh and war crimes: Blighted at birth, The Economist
  4. Jamaat loses registration - bdnews24.com
  5. http://www.aljazeera.com/news/asia/2013/08/2013819424198348.html
  6. http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-23531826
  7. http://edition.cnn.com/2013/08/01/world/asia/bangladesh-islamist-verdict
  8. জনতার আদালতে জামাতে ইসলামী- দিব্য প্রকাশ, ৩৮/২ ক, বাংলাবাজার, ঢাকা, পৃষ্ঠা-১৮
  9. দৈনিক পাকিস্তান, ২৮শে নভেম্বর, ১৯৭১ , সাভারে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডারদের ট্রেনিং শেষে জেনারেল নিয়াজী বলেনঃ"একদিকে তাদের ভারতীয় চরদের সকল চিহ্ন মুছে ফেলতে হবে, অন্যদিকে বিপথগামী যুবকদের সঠিক পথে আনতে হবে।"
  10. http://www.genocidebangladesh.org/?page_id=16 রাজাকার ও তাদের সহযোগীরা
  11. http://www.genocidebangladesh.org/?page_id=246 তারা যা বলেছিল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে
  12. Rubin, Barry A. (২০১০)। Guide to Islamist Movements। M.E. Sharpe। পৃষ্ঠা 59। আইএসবিএন 978-0-7656-4138-0। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩ 
  13. "Bangladesh party leader accused of war crimes in 1971 conflict"The Guardian। ৩ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  14. "Charges pressed against Ghulam Azam"New Age। ১২ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৩ 
  15. "Ghulam Azam was 'involved'"The Daily Star। ২ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৩ 
  16. "Bangladesh: Abdul Kader Mullah gets life sentence for war crimes"BBC News। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  17. "ভারতীয় চক্রান্ত বরদাস্ত করব না (We will never tolerate Indian conspiracy)"। The Daily Sangram। ১৩ এপ্রিল ১৯৭১। 
  18. Fair, C. Christine (১৬ জুন ২০১০)। Pakistan: Can the United States Secure an Insecure State?। Rand Corporation। পৃষ্ঠা 21–22। আইএসবিএন 978-0-8330-4807-3। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩ 
  19. "গোলাম আযম দোষী প্রমাণিত, ৯০ বছরের কারাদণ্ড"বিবিসি বাংলা। ১৫ জুলাই, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ 15 জুলাই 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  20. http://bdnews24.com/bangladesh/2013/07/15/90-years-for-jamaat-guru-ghulam-azam
  21. "গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড"সময় টিভি। ঢাকা। ১৫ জুলাই, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই, ২০১৩  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  22. "গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড"দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা। ১৫ জুলাই, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ 15 জুলাই 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  23. BBC (2013), Bangladesh PM Sheikh Hasina rejects blasphemy law .
  24. http://profile-bengal.com/mnnews/sep01.html#dr_a_m_malik
  25. http://profile-bengal.com/mnnews/sep18.html#ten_member_council
  26. http://www.genocidebangladesh.org/?page_id=32
  27. http://www.genocidebangladesh.org/?page_id=36
  28. দৈনিক সংগ্রাম, ৭ এপ্রিল ১৯৭১
  29. দৈনিক সংগ্রাম ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
  30. http://shujan.org/2009/07/20/জামায়াতে-ইসলামী-বাংলাদেশ/
  31. [নিবন্ধন বাচাঁতে ‘আল্লাহ-রসুল’ বাদ দিল জামায়াত
  32. http://shujan.org/2009/07/20/জামায়াতে-ইসলামী-বাংলাদেশ/
  33. নিবন্ধন বাচাঁতে ‘আল্লাহ-রসুল’ বাদ দিল জামায়াত
  34. http://shujan.org/2009/07/20/জামায়াতে-ইসলামী-বাংলাদেশ/
  35. bangla.bdnews24.com/politics/article654192.bdnews

বহিঃসংযোগ