রিটা হেওয়ার্থ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
Suvray (আলোচনা | অবদান)
২০ নং লাইন: ২০ নং লাইন:
}}
}}
'''মার্গারেট কারম্যান ক্যানসিনো''' ({{lang-en|Margarita Carmen Cansino}}; [[জন্ম]]: [[১৭ অক্টোবর]], [[১৯১৮]] - [[মৃত্যু]]: [[১৪ মে]], [[১৯৮৭]]) নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট মার্কিন অভিনেত্রী ও নর্তকী ছিলেন। বৈশ্বিক চলিচ্চত্র জগতে তিনি মূলতঃ '''রিটা হেওয়ার্থ''' নামেই সমধিক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি স্পেনীয় ও আইরিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হিসেবে ১৯৪০-এর দশক থেকে ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত সময়কালে [[সেরা যৌন আবেদনময়ী]] হিসেবেও ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তাঁর কর্মজীবনে চূড়ায় পৌঁছে ''হলিউডের রাণী'' হিসেবে পরিচিত পান ও অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
'''মার্গারেট কারম্যান ক্যানসিনো''' ({{lang-en|Margarita Carmen Cansino}}; [[জন্ম]]: [[১৭ অক্টোবর]], [[১৯১৮]] - [[মৃত্যু]]: [[১৪ মে]], [[১৯৮৭]]) নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট মার্কিন অভিনেত্রী ও নর্তকী ছিলেন। বৈশ্বিক চলিচ্চত্র জগতে তিনি মূলতঃ '''রিটা হেওয়ার্থ''' নামেই সমধিক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি স্পেনীয় ও আইরিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হিসেবে ১৯৪০-এর দশক থেকে ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত সময়কালে [[সেরা যৌন আবেদনময়ী]] হিসেবেও ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তাঁর কর্মজীবনে চূড়ায় পৌঁছে ''হলিউডের রাণী'' হিসেবে পরিচিত পান ও অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

== প্রারম্ভিক জীবন ==
স্পেনীয়-বংশোদ্ভূত নৃত্যশিল্পী ''এডোয়ার্ডো ক্যানসিনো'' ও তাঁর অংশীদার ''ভল্গা হেওয়ার্থের'' সন্তান রিটা ক্যানসিনো পেশাদার শিশু নর্তকী হিসেবে বাবা-মায়ের সাথে নৈশক্লাবে অংশগ্রহণ করেন।


== কর্মজীবন ==
== কর্মজীবন ==
স্পেনীয়-বংশোদ্ভূত নৃত্যশিল্পী ''এডোয়ার্ডো ক্যানসিনো'' ও তাঁর অংশীদার ''ভল্গা হেওয়ার্থের'' সন্তান রিটা ক্যানসিনো পেশাদার শিশু নর্তকী হিসেবে বাবা-মায়ের সাথে নৈশক্লাবে অংশগ্রহণ করেন। কিশোরী অবস্থায় রিটা ক্যানসিনো নামে ''চার্লি চ্যান ইন ইজিপ্ট'' (১৯৩৫), ''দাঁন্তে’স ইনফার্নো'' (১৯৩৫) এবং ''মিট নিরো ওল্ফ'' (১৯৩৬) চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
কিশোরী অবস্থায় রিটা ক্যানসিনো নামে ''চার্লি চ্যান ইন ইজিপ্ট'' (১৯৩৫), ''দাঁন্তে’স ইনফার্নো'' (১৯৩৫) এবং ''মিট নিরো ওল্ফ'' (১৯৩৬) চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এডওয়ার্ড জনসন ১৯৩৭-১৯৪২ মেয়াদে তাঁর প্রথম স্বামী ছিলেন। জনসনের পরামর্শক্রমে রিটা তাঁর নাম পরিবর্তনসহ চুলে রং দেন। জনসন পরবর্তীকালে তাঁর ম্যানেজার হয়েছিলেন।

১৯৩৭ সালে হেওয়ার্থ কলম্বিয়া পিকচার্সের অধীনে পাঁচটি অনুল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ও স্বাধীনভাবে তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ন করেন। পরের বছর তাঁকে কলম্বিয়া পিকচার্সের খ শ্রেণীভূক্ত চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। স্টুডিও প্রধান [[হ্যারি কন]] পরিচালক [[হাওয়ার্ড হক্স|হাওয়ার্ড হক্সকে]] চাপ প্রয়োগ করে ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ''অনলি অ্যাঞ্জেলস হ্যাভ উইংস'' (১৯৩৯) নামের চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ দেন। এ চলচ্চিত্রে তিনি [[Cary Grant|ক্যারি গ্রান্ট]] এবং [[Jean Arthur|জোয়াও আর্থারের]] বিপরীতে একজন অবিশ্বাসী স্ত্রী’র চরিত্রে অভিনয় করেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে।<ref Name="Note"/> চলচ্চিত্রটি ব্যাপকভাবে দর্শক জনপ্রিয়তা লাভ করে ও হেওয়ার্থের কাছে [[সমর্থক|সমর্থকদের]] চিঠি আসতে শুরু করে ব্যাপকভাবে। কনও তাঁকে তাঁর প্রথম ও আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন চলচ্চিত্র তারকা হিসেবে ভাবতে শুরু করেন। জোয়াও আর্থার ছাড়া স্টুডিওটি কখনো কোন তারকার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়নি।


১৯৪০-এর দশকে রিটা বিভিন্ন সঙ্গীতানুষ্ঠানে তাঁর প্রাণবন্ত নৃত্যকলা প্রদর্শন করেন। পাশাপাশি ''গিল্ডা'' (১৯৪৬), ''অ্যাফেয়ার ইন ত্রিনিদাদ'' (১৯৫২)-এর ন্যায় উচ্চমার্গের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, লেখক এবং প্রযোজক [[অরসন ওয়েলস|অরসন ওয়েলসের]] সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। এ সময়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ছিল ''দ্য লেডি ফ্রম সাংহাই'' (১৯৪৮)।<ref Name="Note">{{harv|Ware|2005|p=281}}</ref>
১৯৪০-এর দশকে রিটা বিভিন্ন সঙ্গীতানুষ্ঠানে তাঁর প্রাণবন্ত নৃত্যকলা প্রদর্শন করেন। পাশাপাশি ''গিল্ডা'' (১৯৪৬), ''অ্যাফেয়ার ইন ত্রিনিদাদ'' (১৯৫২)-এর ন্যায় উচ্চমার্গের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, [[অভিনেতা]], [[লেখক]] এবং প্রযোজক [[অরসন ওয়েলস|অরসন ওয়েলসের]] সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। এ সময়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ছিল ''দ্য লেডি ফ্রম সাংহাই'' (১৯৪৮)।<ref Name="Note">{{harv|Ware|2005|p=281}}</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
৪৭ নং লাইন: ৫২ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:ব্রুকলিনের ব্যক্তিত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:ব্রুকলিনের ব্যক্তিত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্সে চুক্তিবদ্ধ অভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্সে চুক্তিবদ্ধ অভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন মঞ্চ অভিনেত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন টেলিভিশন অভিনেত্রী]]

১৩:৩৭, ১৭ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রিটা হেওয়ার্থ
জন্ম
মার্গারেট কারম্যান ক্যানসিনো

(১৯১৮-১০-১৭)১৭ অক্টোবর ১৯১৮
মৃত্যুমে ১৪, ১৯৮৭(1987-05-14) (বয়স ৬৮)
নিউইয়র্ক সিটি, নিউইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যুর কারণAlzheimer's disease
সমাধিহলিক্রস সিমেট্রি, কালভার সিটি
জাতীয়তাআমেরিকান
পেশাঅভিনেত্রী, নর্তকী
কর্মজীবন১৯৩৪-১৯৭২
দাম্পত্য সঙ্গীএডওয়ার্ড সি. জাডসন (১৯৩৭-১৯৪২)
অরসন ওয়েলস (১৯৪৩-১৯৪৮)
প্রিন্স অ্যালি খান (১৯৪৯-১৯৫৩)
ডিক হেমেস (১৯৫৩-১৯৫৫)
জেমস হিল (১৯৫৮-১৯৬১)
সন্তানরেবেকা ওয়েলেস (১৯৪৪-২০০৪)
ইয়াসমিন আগা খান (২৮ ডিসেম্বর, ১৯৪৯-)
পিতা-মাতাএডুয়ার্ডো ক্যানসিনো, সিনিয়র
ভল্গা হেওয়ার্থ
আত্মীয়এডুয়ার্ডো ক্যানসিনো, জুনিয়র (ভাই)
স্বাক্ষর

মার্গারেট কারম্যান ক্যানসিনো (ইংরেজি: Margarita Carmen Cansino; জন্ম: ১৭ অক্টোবর, ১৯১৮ - মৃত্যু: ১৪ মে, ১৯৮৭) নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট মার্কিন অভিনেত্রী ও নর্তকী ছিলেন। বৈশ্বিক চলিচ্চত্র জগতে তিনি মূলতঃ রিটা হেওয়ার্থ নামেই সমধিক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি স্পেনীয় ও আইরিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হিসেবে ১৯৪০-এর দশক থেকে ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত সময়কালে সেরা যৌন আবেদনময়ী হিসেবেও ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তাঁর কর্মজীবনে চূড়ায় পৌঁছে হলিউডের রাণী হিসেবে পরিচিত পান ও অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

স্পেনীয়-বংশোদ্ভূত নৃত্যশিল্পী এডোয়ার্ডো ক্যানসিনো ও তাঁর অংশীদার ভল্গা হেওয়ার্থের সন্তান রিটা ক্যানসিনো পেশাদার শিশু নর্তকী হিসেবে বাবা-মায়ের সাথে নৈশক্লাবে অংশগ্রহণ করেন।

কর্মজীবন

কিশোরী অবস্থায় রিটা ক্যানসিনো নামে চার্লি চ্যান ইন ইজিপ্ট (১৯৩৫), দাঁন্তে’স ইনফার্নো (১৯৩৫) এবং মিট নিরো ওল্ফ (১৯৩৬) চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এডওয়ার্ড জনসন ১৯৩৭-১৯৪২ মেয়াদে তাঁর প্রথম স্বামী ছিলেন। জনসনের পরামর্শক্রমে রিটা তাঁর নাম পরিবর্তনসহ চুলে রং দেন। জনসন পরবর্তীকালে তাঁর ম্যানেজার হয়েছিলেন।

১৯৩৭ সালে হেওয়ার্থ কলম্বিয়া পিকচার্সের অধীনে পাঁচটি অনুল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ও স্বাধীনভাবে তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ন করেন। পরের বছর তাঁকে কলম্বিয়া পিকচার্সের খ শ্রেণীভূক্ত চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। স্টুডিও প্রধান হ্যারি কন পরিচালক হাওয়ার্ড হক্সকে চাপ প্রয়োগ করে ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অনলি অ্যাঞ্জেলস হ্যাভ উইংস (১৯৩৯) নামের চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ দেন। এ চলচ্চিত্রে তিনি ক্যারি গ্রান্ট এবং জোয়াও আর্থারের বিপরীতে একজন অবিশ্বাসী স্ত্রী’র চরিত্রে অভিনয় করেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে।[১] চলচ্চিত্রটি ব্যাপকভাবে দর্শক জনপ্রিয়তা লাভ করে ও হেওয়ার্থের কাছে সমর্থকদের চিঠি আসতে শুরু করে ব্যাপকভাবে। কনও তাঁকে তাঁর প্রথম ও আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন চলচ্চিত্র তারকা হিসেবে ভাবতে শুরু করেন। জোয়াও আর্থার ছাড়া স্টুডিওটি কখনো কোন তারকার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়নি।

১৯৪০-এর দশকে রিটা বিভিন্ন সঙ্গীতানুষ্ঠানে তাঁর প্রাণবন্ত নৃত্যকলা প্রদর্শন করেন। পাশাপাশি গিল্ডা (১৯৪৬), অ্যাফেয়ার ইন ত্রিনিদাদ (১৯৫২)-এর ন্যায় উচ্চমার্গের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, লেখক এবং প্রযোজক অরসন ওয়েলসের সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। এ সময়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ছিল দ্য লেডি ফ্রম সাংহাই (১৯৪৮)।[১]

তথ্যসূত্র

  1. (Ware 2005, পৃ. 281)

বহিঃসংযোগ