শ্রীনিকেতন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: 1 টি আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্তের - d:q7586440 এ রয...
Faizan (আলোচনা | অবদান)
সাধারণ ফিক্স using AWB
২৫ নং লাইন: ২৫ নং লাইন:
}}
}}


'''শ্রীনিকেতন''' [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[বীরভূম জেলা]]র [[বোলপুর মহকুমা]]য় অবস্থিত একটি শহর।
'''শ্রীনিকেতন''' [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[বীরভূম জেলা]]র [[বোলপুর মহকুমা]]য় অবস্থিত একটি শহর।


== ভূগোল ==
== ভূগোল ==
শ্রীনিকেতন {{coord|23.66|N|87.66|E|}} অক্ষ-দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এখানকার গড় উচ্চতা ৪৯ মিটার।<ref>{{cite web | url = http://www.fallingrain.com/world/IN/28/Sri_Niketan.html | title = Sri Niketan, India Page | accessdate = 2009-03-05 | last = | first = | work =West Bengal | publisher = Falling Rain Genomics}}</ref>
শ্রীনিকেতন {{coord|23.66|N|87.66|E|}} অক্ষ-দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এখানকার গড় উচ্চতা ৪৯ মিটার।<ref>{{cite web | url = http://www.fallingrain.com/world/IN/28/Sri_Niketan.html | title = Sri Niketan, India Page | accessdate = 2009-03-05 | last = | first = | work =West Bengal | publisher = Falling Rain Genomics}}</ref>


বোলপুর&ndash;শ্রীনিকেতন সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের প্রধান কার্যালয় শ্রীনিকেতনে অবস্থিত।<ref name=BDOaddresses>{{cite web | url = http://wbdemo5.nic.in/html/asp/bdo_contact.asp?cd=DG | title = Contact details of Block Development Officers | publisher = Panchayats and Rural Development Department, Government of West Bengal | work = Birbhum district | accessdate = 2009-03-05}}</ref>
বোলপুর&ndash;শ্রীনিকেতন সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের প্রধান কার্যালয় শ্রীনিকেতনে অবস্থিত।<ref name=BDOaddresses>{{cite web | url = http://wbdemo5.nic.in/html/asp/bdo_contact.asp?cd=DG | title = Contact details of Block Development Officers | publisher = Panchayats and Rural Development Department, Government of West Bengal | work = Birbhum district | accessdate = 2009-03-05}}</ref>


বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকটি নিম্নলিখিত পঞ্চায়েতগুলি নিয়ে গঠিত: বাহিরি-পাঁচশোয়া, রায়পুর-সুপুর, সরপলেহানা-আলবাঁধা, সিংঘি, [[কঙ্কালিতলা]], রূপপুর, কসবা, সাত্তোর, ও সিয়ান মুলুক।<ref name=blocdir>{{cite web| url = http://wbdemo5.nic.in/writereaddata/Directoryof_District_Block_GPs(RevisedMarch-2008).doc| title = Directory of District, Sub division, Panchayat Samiti/ Block and Gram Panchayats in West Bengal, March 2008| date = 2008-03-19|format=PDF| accessdate = 2009-04-03| work = West Bengal | publisher = National Informatics Centre, India}}</ref><ref>{{cite web | url = http://www.wbphed.gov.in/applications/Phedweb/Block2Villpdf.php?State_Cd=19&Dist_Cd=08&Blk_Cd=0016 | title = Census Data District Name: Birbhum(08) Block Name: Bolpur-Sriniketan (0016) |format=PDF| publisher = Government of West Bengal| work = | accessdate = 2009-04-03}}</ref>
বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকটি নিম্নলিখিত পঞ্চায়েতগুলি নিয়ে গঠিত: বাহিরি-পাঁচশোয়া, রায়পুর-সুপুর, সরপলেহানা-আলবাঁধা, সিংঘি, [[কঙ্কালিতলা]], রূপপুর, কসবা, সাত্তোর, ও সিয়ান মুলুক।<ref name=blocdir>{{cite web| url = http://wbdemo5.nic.in/writereaddata/Directoryof_District_Block_GPs(RevisedMarch-2008).doc| title = Directory of District, Sub division, Panchayat Samiti/ Block and Gram Panchayats in West Bengal, March 2008| date = 2008-03-19|format=PDF| accessdate = 2009-04-03| work = West Bengal | publisher = National Informatics Centre, India}}</ref><ref>{{cite web | url = http://www.wbphed.gov.in/applications/Phedweb/Block2Villpdf.php?State_Cd=19&Dist_Cd=08&Blk_Cd=0016 | title = Census Data District Name: Birbhum(08) Block Name: Bolpur-Sriniketan (0016) |format=PDF| publisher = Government of West Bengal| work = | accessdate = 2009-04-03}}</ref>


== ইতিহাস ==
== ইতিহাস ==
১৯১২ সালে [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] রায়পুরের জমিদার কর্নেল নরেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের কাছ থেকে [[সুরুল]] গ্রাম সন্নিহিত কুঠিবাড়িটি দশ হাজার টাকায় কেনেন। সুরুল গ্রামটি ছিল [[শান্তিনিকেতন]] থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে [[বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়|ব্রহ্মবিদ্যালয়]] স্থাপনের পর থেকেই রবীন্দ্রনাথ পল্লিসংস্কার নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন। সুরুল কুঠিবাড়িটি কেনার পর সেই মত অল্পবিস্তর কাজও শুরু হয়। ১৯২১ সালের শেষভাগে রবীন্দ্রনাথ এখানে স্থাপন করেন “পল্লীসংগঠন কেন্দ্র”। ১৯২২ সালে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে এসে [[লেনার্ড নাইট এলমহার্স্ট]] এই সংস্থার পরিচালনভার গ্রহণ করেন। তাঁর সঙ্গে কাজে যোগ দেন কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সন্তোষচন্দ্র মজুমদার, গৌরগোপাল ঘোষ, কালীমোহন ঘোষ, সচ্চিদানন্দ রায়, কিম তারো কাসাহারা প্রমুখ কয়েকজন শিক্ষক এবং সুবীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কুলপ্রসাদ সেন, দেবব্রত ভট্টাচার্য, হরিহরণ প্রমুখ শান্তিনিকেতনের দশ জন ছাত্র। এই সময় এটিকে বলা হত ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার, শান্তিনিকেতন।<ref name=gov>{{cite web | url= http://birbhum.gov.in/birtour4.htm | title = Santiniketan-Bolpur | accessdate = 2009-03-05 | last = | first = | work = | publisher =}}</ref><ref name=Basak>Basak, Tapan Kumar, ''Rabindranath-Santiniketan-Sriniketan, An Introduction'', pp. 6&ndash;8, BB Publication</ref>
১৯১২ সালে [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] রায়পুরের জমিদার কর্নেল নরেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের কাছ থেকে [[সুরুল]] গ্রাম সন্নিহিত কুঠিবাড়িটি দশ হাজার টাকায় কেনেন। সুরুল গ্রামটি ছিল [[শান্তিনিকেতন]] থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে [[বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়|ব্রহ্মবিদ্যালয়]] স্থাপনের পর থেকেই রবীন্দ্রনাথ পল্লিসংস্কার নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন। সুরুল কুঠিবাড়িটি কেনার পর সেই মত অল্পবিস্তর কাজও শুরু হয়। ১৯২১ সালের শেষভাগে রবীন্দ্রনাথ এখানে স্থাপন করেন “পল্লীসংগঠন কেন্দ্র”। ১৯২২ সালে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে এসে [[লেনার্ড নাইট এলমহার্স্ট]] এই সংস্থার পরিচালনভার গ্রহণ করেন। তাঁর সঙ্গে কাজে যোগ দেন কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সন্তোষচন্দ্র মজুমদার, গৌরগোপাল ঘোষ, কালীমোহন ঘোষ, সচ্চিদানন্দ রায়, কিম তারো কাসাহারা প্রমুখ কয়েকজন শিক্ষক এবং সুবীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কুলপ্রসাদ সেন, দেবব্রত ভট্টাচার্য, হরিহরণ প্রমুখ শান্তিনিকেতনের দশ জন ছাত্র। এই সময় এটিকে বলা হত ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার, শান্তিনিকেতন।<ref name=gov>{{cite web | url= http://birbhum.gov.in/birtour4.htm | title = Santiniketan-Bolpur | accessdate = 2009-03-05 | last = | first = | work = | publisher =}}</ref><ref name=Basak>Basak, Tapan Kumar, ''Rabindranath-Santiniketan-Sriniketan, An Introduction'', pp. 6&ndash;8, BB Publication</ref>


শ্রীনিকেতন নামটির উল্লেখ পাওয়া যায় ১৯২৩ সাল থেকে। পল্লীসংগঠন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৩ সালেই। তবে সুরুল সমিতির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আগেই। বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় শিক্ষাপ্রাঙ্গন শ্রীনিকেতনের কাজের উদ্দেশ্য ছিল কৃষির উন্নতি, রোগ নিবারণ, সমবায় প্রথায় ধর্মগোলা স্থাপন, চিকিৎসার সুব্যবস্থা, ও স্বাস্থ্য বিষয়ে গ্রামবাসীদের সচেতন করে তোলা। পল্লী সংগঠন বিভাগ থেকে শিল্পভবন, শিক্ষাসত্র ও শিক্ষাচর্চাসদন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড শান্তিনিকেতনের পাশাপাশি শ্রীনিকেতনেও বিস্তার লাভ করে।<ref name=gov/>
শ্রীনিকেতন নামটির উল্লেখ পাওয়া যায় ১৯২৩ সাল থেকে। পল্লীসংগঠন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৩ সালেই। তবে সুরুল সমিতির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আগেই। বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় শিক্ষাপ্রাঙ্গন শ্রীনিকেতনের কাজের উদ্দেশ্য ছিল কৃষির উন্নতি, রোগ নিবারণ, সমবায় প্রথায় ধর্মগোলা স্থাপন, চিকিৎসার সুব্যবস্থা, ও স্বাস্থ্য বিষয়ে গ্রামবাসীদের সচেতন করে তোলা। পল্লী সংগঠন বিভাগ থেকে শিল্পভবন, শিক্ষাসত্র ও শিক্ষাচর্চাসদন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড শান্তিনিকেতনের পাশাপাশি শ্রীনিকেতনেও বিস্তার লাভ করে।<ref name=gov/>
৪৪ নং লাইন: ৪৪ নং লাইন:


== বর্তমান শ্রীনিকেতন ==
== বর্তমান শ্রীনিকেতন ==
বর্তমানে পল্লীসংগঠন বিভাগের অধীনে রয়েছে “পল্লী সম্প্রসারণ কেন্দ্র”, “শিল্পসদন”, “পল্লীচর্চাকেন্দ্র”, “সংগীত-বিভাগ” ও “গ্রামীণ গ্রন্থাগার”। “পল্লীশিক্ষাভবন” (ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার) একটি স্বতন্ত্র ভবনের মর্যাদা পেয়েছে। এছাড়াও রয়েছে “শিক্ষাসত্র”, “শিক্ষাচর্চা” ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান ও অঙ্গনওয়াড়ি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথ যে কুঠিবাড়িটি কিনেছিলেন তারও সংস্কার করা হয়েছে। এই বাড়িতেই বর্তমানে শ্রীনিকেতন জনসংযোগ দপ্তর, ডাকঘর ও পল্লীচর্চাকেন্দ্রের দপ্তর। শ্রীনিকেতনের বার্ষিক উৎসব পালিত হয় প্রতি বছর ৬-৯ ফেব্রুয়ারি।<ref>অনাথনাথ দাস, শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন: সংক্ষিপ্ত পরিচয়, পৃ. ৫৪-৫৫</ref>
বর্তমানে পল্লীসংগঠন বিভাগের অধীনে রয়েছে “পল্লী সম্প্রসারণ কেন্দ্র”, “শিল্পসদন”, “পল্লীচর্চাকেন্দ্র”, “সংগীত-বিভাগ” ও “গ্রামীণ গ্রন্থাগার”। “পল্লীশিক্ষাভবন” (ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার) একটি স্বতন্ত্র ভবনের মর্যাদা পেয়েছে। এছাড়াও রয়েছে “শিক্ষাসত্র”, “শিক্ষাচর্চা” ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান ও অঙ্গনওয়াড়ি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথ যে কুঠিবাড়িটি কিনেছিলেন তারও সংস্কার করা হয়েছে। এই বাড়িতেই বর্তমানে শ্রীনিকেতন জনসংযোগ দপ্তর, ডাকঘর ও পল্লীচর্চাকেন্দ্রের দপ্তর। শ্রীনিকেতনের বার্ষিক উৎসব পালিত হয় প্রতি বছর ৬-৯ ফেব্রুয়ারি।<ref>অনাথনাথ দাস, শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন: সংক্ষিপ্ত পরিচয়, পৃ. ৫৪-৫৫</ref>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==
৫২ নং লাইন: ৫২ নং লাইন:
{{রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর}}
{{রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর}}


[[Category:বীরভূম জেলার শহরাঞ্চল]]
[[বিষয়শ্রেণী:বীরভূম জেলার শহরাঞ্চল]]
[[Category:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
[[বিষয়শ্রেণী:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
[[Category:বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়]]
[[বিষয়শ্রেণী:বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়]]

১০:৪১, ২১ জুলাই ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শ্রীনিকেতন
শ্রীনিকেতন
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪০′ উত্তর ৮৭°৪০′ পূর্ব / ২৩.৬৬° উত্তর ৮৭.৬৬° পূর্ব / 23.66; 87.66
ওয়েবসাইটvisva-bharati.ac.in/

শ্রীনিকেতন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর মহকুমায় অবস্থিত একটি শহর।

ভূগোল

শ্রীনিকেতন ২৩°৪০′ উত্তর ৮৭°৪০′ পূর্ব / ২৩.৬৬° উত্তর ৮৭.৬৬° পূর্ব / 23.66; 87.66 অক্ষ-দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এখানকার গড় উচ্চতা ৪৯ মিটার।[১]

বোলপুর–শ্রীনিকেতন সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের প্রধান কার্যালয় শ্রীনিকেতনে অবস্থিত।[২]

বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকটি নিম্নলিখিত পঞ্চায়েতগুলি নিয়ে গঠিত: বাহিরি-পাঁচশোয়া, রায়পুর-সুপুর, সরপলেহানা-আলবাঁধা, সিংঘি, কঙ্কালিতলা, রূপপুর, কসবা, সাত্তোর, ও সিয়ান মুলুক।[৩][৪]

ইতিহাস

১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার কর্নেল নরেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের কাছ থেকে সুরুল গ্রাম সন্নিহিত কুঠিবাড়িটি দশ হাজার টাকায় কেনেন। সুরুল গ্রামটি ছিল শান্তিনিকেতন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় স্থাপনের পর থেকেই রবীন্দ্রনাথ পল্লিসংস্কার নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন। সুরুল কুঠিবাড়িটি কেনার পর সেই মত অল্পবিস্তর কাজও শুরু হয়। ১৯২১ সালের শেষভাগে রবীন্দ্রনাথ এখানে স্থাপন করেন “পল্লীসংগঠন কেন্দ্র”। ১৯২২ সালে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে এসে লেনার্ড নাইট এলমহার্স্ট এই সংস্থার পরিচালনভার গ্রহণ করেন। তাঁর সঙ্গে কাজে যোগ দেন কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সন্তোষচন্দ্র মজুমদার, গৌরগোপাল ঘোষ, কালীমোহন ঘোষ, সচ্চিদানন্দ রায়, কিম তারো কাসাহারা প্রমুখ কয়েকজন শিক্ষক এবং সুবীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কুলপ্রসাদ সেন, দেবব্রত ভট্টাচার্য, হরিহরণ প্রমুখ শান্তিনিকেতনের দশ জন ছাত্র। এই সময় এটিকে বলা হত ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার, শান্তিনিকেতন।[৫][৬]

শ্রীনিকেতন নামটির উল্লেখ পাওয়া যায় ১৯২৩ সাল থেকে। পল্লীসংগঠন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৩ সালেই। তবে সুরুল সমিতির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আগেই। বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় শিক্ষাপ্রাঙ্গন শ্রীনিকেতনের কাজের উদ্দেশ্য ছিল কৃষির উন্নতি, রোগ নিবারণ, সমবায় প্রথায় ধর্মগোলা স্থাপন, চিকিৎসার সুব্যবস্থা, ও স্বাস্থ্য বিষয়ে গ্রামবাসীদের সচেতন করে তোলা। পল্লী সংগঠন বিভাগ থেকে শিল্পভবন, শিক্ষাসত্র ও শিক্ষাচর্চাসদন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড শান্তিনিকেতনের পাশাপাশি শ্রীনিকেতনেও বিস্তার লাভ করে।[৫]

শান্তিনিকেতনে ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাসত্রটি ১৯২৭ সালে শ্রীনিকেতনে উঠে আসে। ১৯৩৬ সালে দরিদ্রসাধারণের শিক্ষার সুযোগকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য স্থাপিত হয় লোক-শিক্ষা সংসদ। পরের বছর গ্রামীণ স্কুল শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য চালু হয় শিক্ষাচর্চা।[৫] ১৯৬৩ সালে একটি কৃষি মহাবিদ্যালয় “পল্লীশিক্ষাসদন” এবং ১৯৭৭ সালে “পল্লীচর্চাকেন্দ্র” স্থাপিত হয় শ্রীনিকেতনে।[৬]

১৯৪১ সালে সরকারি সহযোগিতায় শ্রীনিকেতনে প্রতিষ্ঠিত হয় “শিশু ও মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র”। ১৯৫১ সালে “পল্লী সংগঠন কেন্দ্র” ও “শিল্পসদন” সংযুক্ত হয়ে “পল্লীসংগঠন বিভাগ” গঠিত হয়। এই বিভাগের অন্তর্গত ছিল স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প-প্রশিক্ষণ ও উৎপাদন, গো-পালন ইত্যাদি। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে “শিক্ষাসত্র” বিদ্যালয়টি শান্তিনিকেতনের “পাঠভবন” বিদ্যালয়ের অনুরূপে একটি বিদ্যালয়ে পরিণত হয় পল্লীসংগঠন বিভাগের অধীনে আসে।[৭]

বর্তমান শ্রীনিকেতন

বর্তমানে পল্লীসংগঠন বিভাগের অধীনে রয়েছে “পল্লী সম্প্রসারণ কেন্দ্র”, “শিল্পসদন”, “পল্লীচর্চাকেন্দ্র”, “সংগীত-বিভাগ” ও “গ্রামীণ গ্রন্থাগার”। “পল্লীশিক্ষাভবন” (ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার) একটি স্বতন্ত্র ভবনের মর্যাদা পেয়েছে। এছাড়াও রয়েছে “শিক্ষাসত্র”, “শিক্ষাচর্চা” ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান ও অঙ্গনওয়াড়ি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথ যে কুঠিবাড়িটি কিনেছিলেন তারও সংস্কার করা হয়েছে। এই বাড়িতেই বর্তমানে শ্রীনিকেতন জনসংযোগ দপ্তর, ডাকঘর ও পল্লীচর্চাকেন্দ্রের দপ্তর। শ্রীনিকেতনের বার্ষিক উৎসব পালিত হয় প্রতি বছর ৬-৯ ফেব্রুয়ারি।[৮]

তথ্যসূত্র

  1. "Sri Niketan, India Page"West Bengal। Falling Rain Genomics। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৫ 
  2. "Contact details of Block Development Officers"Birbhum district। Panchayats and Rural Development Department, Government of West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৫ 
  3. "Directory of District, Sub division, Panchayat Samiti/ Block and Gram Panchayats in West Bengal, March 2008" (PDF)West Bengal। National Informatics Centre, India। ২০০৮-০৩-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০৩ 
  4. "Census Data District Name: Birbhum(08) Block Name: Bolpur-Sriniketan (0016)" (PDF)। Government of West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০৩ 
  5. "Santiniketan-Bolpur"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৫ 
  6. Basak, Tapan Kumar, Rabindranath-Santiniketan-Sriniketan, An Introduction, pp. 6–8, BB Publication
  7. অনাথনাথ দাস, শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন: সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, ১৯৮৮, পৃ. ৫৪
  8. অনাথনাথ দাস, শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন: সংক্ষিপ্ত পরিচয়, পৃ. ৫৪-৫৫