ব্ল্যাকবিয়ার্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+ 8টি বিষয়শ্রেণী হটক্যাটের মাধ্যমে
৭৪ নং লাইন: ৭৪ নং লাইন:
| PLACE OF DEATH = ওকরাকুক, উত্তর ক্যারোলিনা
| PLACE OF DEATH = ওকরাকুক, উত্তর ক্যারোলিনা
}}
}}

[[বিষয়শ্রেণী:১৬৮০-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৭১৮-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ জলদস্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ প্রাইভেটিয়ার]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৭১৮-এর অপরাধ]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৭১৭-এর অপরাধ]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৭১৬-এর অপরাধ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইংরেজি লোকাচারবিদ্যা]]

২০:০২, ১৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এ্যাডওয়ার্ড টীচ
— জলদস্যু —
ব্ল্যাকবিয়ার্ড (সি. ১৭৩৬ জনসনের সাধারন ইতিহাস থেকে খোদাই করা চিত্র)
ডাকনামব্ল্যাকবিয়ার্ড
জন্মসি. ১৬৮০
জন্মস্থান(আনুমানিক) ব্রিস্টল, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২২ নভেম্বর ১৭১৮
মৃত্যুর স্থানওক্রাকুক, ক্যারোলিনা প্রদেশ
কার্যকাল১৭১৬-১৭১৮
স্থানক্যাপ্টেন
অপারেশনের বেজআটলান্টিক
কমান্ডকুইন এ্যানি’স রিভেঞ্জ, অ্যাডভ্যাঞ্চার

এ্যাডওয়ার্ড টীচ (সি. ১৬৮০ - ২২ নভেম্বর, ১৭১৮), (ব্ল্যাকবিয়ার্ড নামেই অধিক পরিচিত) ছিলেন একজন কুখ্যাত ইংরেজ জলদস্যু যিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পূর্ব উপকূলে আমেরিকান উপনিবেশে বিচরন করতেন। তার প্রারম্ভিক জীবন সম্পর্কে খুব অল্প জানা যায়। মনে করা হয় তিনি ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে জন্মগ্রহন করেন। প্রথম দিকে তিনি সম্ভবত রাণী অ্যানর যুদ্ধের সময় জাহাজের প্রাইভেটিয়ার (শত্রু-জাহাজ আক্রমণ ও লুণ্ঠনের অধিকারপ্রাপ্ত বেসরকারী জাহাজ) ছিলেন। যুদ্ধের পর তিনি ১৭১৬ সালের দিকে বাহামেইন দ্বীপপুঞ্জের ক্যাপ্টেন হর্নিগোল্ডের বেসে জাহাজের কর্মী হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে হার্নিগোল্ড তাকে দখল করা একটি পল তোলা ছোট জাহাজের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করে। এই দুইজন জলদস্যুতার অনেক ঘটনায় জড়িত। পরবর্তীতে তারা আরো দুটি জাহাজের মালিক হন যার মধ্যে একটি স্টিডি বোনেটের অধীনে ছিল। কিন্তু ১৭১৭-এর শেষ দিকে হর্নিগোল্ড তার সঙ্গে দুটি জাহাজ নিয়ে জলদস্যুতা থেকে অবসর গ্রহন করে।

টীচ একটি ফরাসি বণিক জাহাজ দখল করে ও ৪০টি বন্দুকে সজ্জিত করে জাহাজটিকে কুইন এ্যানি’স রিভেঞ্জ নামকরন করেন। ক্রমেই তিনি বিখ্যাত জলদস্যুতে পরিণত হন এবং তার ব্ল্যাকবিয়ার্ড নামটি দেওয়া হয়েছিল তার লম্বা কালো দাড়ি ও ভীতিকর চেহারার জন্য। কিংবদন্তী প্রচলিত, তিনি তার বিখ্যাত দাড়িতে ঘষে আগুন ধরাতে পারতেন। তিনি দক্ষিন ক্যারোলিনার কার্লিস্টোন বন্দরে দস্যুদের একটি জোট গঠন করেন। এখানকার অধিবাসীদের কাছ থেকে সাফল্যের সাথে মুক্তিপন আদায়ের পর তিনি তার কুইন এ্যানা’স রিভেঞ্জ নিয়ে উত্তর ক্যারোলিনার বিউফোর্টের কাছে একটি জলায় আটকে যান। তিনি বাথ শহরে রাজকীয় ক্ষমা পান কিন্তু শীঘ্রেই তিনি সমুদ্রে জলদস্যুপনায় ফিরে যান এবং বিষয়টি ভার্জিনিয়ার শাষক আলেক্সজেন্ডার স্পটস্‌উডের দৃষ্টিতে আসে। স্পটস্‌উড নাবিক ও সৈন্যদের সমন্বয়ে একটি বাহিনী গঠন করে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে ধরতে অভিযান চালায়। অবশেষে ২২ নভেম্বর ১৭১৮ সালে একটি হিংস্র যুদ্ধে লেফটেনান্ট রবার্ট ম্যানার্ডের নেতৃত্বে একটি ছোট নাবিক দলরে হাতে ব্ল্যাকবিয়ার্ড ও তার জাহাজের কিছু কর্মী নিহত হন।

প্ররম্ভিক জীবন

ব্ল্যাকবিয়ার্ডের প্রারম্ভিক জীবন সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। এটি প্রচলিত যে মৃত্যুর সময় তার বয়স ৩৫ কিংবা ৪০-এর কাছাকাছি ছিল ও তিনি ১৬৮০-এর দিকে জন্মগ্রহন করেন।[১][২] সমসাময়িক রেকর্ড থেকে পাওয়া তথ্যমতে, তিনি সচরাচর ব্ল্যাকবিয়ার্ড, এ্যাডোয়ার্ড টাস বা এ্যাডোয়ার্ড টীচ নামে পরিচিত ছিলেন। শেষের নামটিই বর্তমান সময়ে বহুল প্রচলিত। এছাড়াও তার কয়েকটি উপনাম ছিল যারমধ্যে থাচ, থাচি, থাক, টাক (ইংরেজি: Thatch, Thach, Thache, Thack, Tack, Thatche and Theach) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। প্রথমদিককার একটি উৎস থেকে জানা যায় তার উপাধি ড্রুমন্ড, কিন্তু এই নামের পেছনে তেমন জোড়ালো উৎস না থাকায় এটি তেমন পরিচিতি পায়নি। জলদস্যুতার পেশায় নিয়োজিত থাকার ফলেই তার এরকম কাল্পনিক নাম প্রচলিত রয়েছে তবে টীচ তার পারিবারিক নাম ছিল কিনা এটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।[৩][৪]

১৭-শতকে ব্রিটেনে আমেরিকান উপনিবেশ বৃদ্ধি পাওয়া ও ১৮-শতকে আটলান্টিক দাস বানিজ্যের চরম বিকাশ ঘটায় ব্রিস্টল একটি গুরত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দরে পরিনত হয় এবং টীচ সম্ভবত ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ব্রিস্টলের অন্য দশটি যুবকের মত সমুদ্রকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি প্রায় নিশ্চিতভাবেই পড়তে ও লিখতে পারতেন; তিনি বণিকদের সাথে যোগযোগ করতেন ও মৃত্যুর সময় তার কাছে একটি চিঠি ছিল যা ক্যারোলিনা প্রদেশের প্রধান বিচারপতি ও সচিব তাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন। লেখক রবার্ট লি বলেছিলেন, ব্ল্যাকবিয়ার্ড সম্ভবত একটি সম্ভ্রন্ত ও ধনী পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন।[৫] তিনি সম্ভবত ১৭-শতকের শেষ বর্ষে একটি দাসদের জাহাজে করে ক্যারিবীয় অঞ্চলে পৌঁছেছিলেন।[৬] ১৮-শতকের লেখক চার্লস জনসন দাবি করেন ব্ল্যাকবিয়ার্ড কিছুদিন রাণী এ্যানার যুদ্ধের সময় জ্যামাইকার একটি প্রাইভেটিয়র জাহাজের নাবিকের কাজ করেছেন এবং তিনি তার অসাধারন সাহসিকতার জন্য নিজেকে সবার থেকে আলাদা মনে করতেন।[৭]

তথ্যসূত্র

পদটীকা

উদ্ধৃতি

  1. Perry 2006, পৃ. 14
  2. Konstam 2007, পৃ. 10–12
  3. Lee 1974, পৃ. 3–4
  4. Wood, Peter H (২০০৪), "Teach, Edward [Blackbeard] (d. 1718)", Oxford Dictionary of National Biography, Oxford University Press, সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০০৯, (সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  5. Lee 1974, পৃ. 4–5
  6. Konstam 2007, পৃ. 19
  7. Johnson 1724, পৃ. 70

গ্রন্থপঞ্জি

আরো পড়ুন

  • Duffus, Kevin (২০০৮), The Last Days of Blackbeard the Pirate, Looking Glass Productions, Inc, আইএসবিএন 978-1-888285-23-9 
  • Pendered, Norman C. (১৯৭৫), Blackbeard, The Fiercest Pirate of All, Manteo, NC: Times Printing Co. 
  • Shomette, Donald G. (১৯৮৫), Pirates on the Chesapeake: Being a True History of Pirates, Picaroons, and Raiders on Chesapeake Bay, 1610–1807, Maryland: Tidewater Publishers 

বহিঃসংযোগ


টেমপ্লেট:Persondata