মোশি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ... |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২৫ নং লাইন: | ২৫ নং লাইন: | ||
}} |
}} |
||
'''মোজেস''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Moses, [[হিব্রু ভাষা|হিব্রু]]: '''מֹשֶׁה''', <small>[[হিব্রু ভাষা#আধুনিক হিব্রু|আধুনিক]]</small> ''Mošə''<small>[[তিবেরিয়ান vocalization|তিবেরিয়ান]]</small> ''Mōšeh''; [[আরবি ভাষা|আরবি]]: '''موسى''', ''Mūsa''; [[Ge'ez language|Ge'ez]]: ሙሴ''Musse'') [[ইহুদি ধর্ম|ইহুদি]], [[খ্রিস্ট ধর্ম|খ্রিস্ট]], এবং [[ইসলাম ধর্ম|ইসলাম ধর্মে]] স্বীকৃত [[পয়গম্বর]] । [[কোরআন|কোরআনে]] ''হযরত মূসা'' নামে অন্য নবীদের তুলনায় বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। ধারনা করা হয় যে মোজেস ১২০ বছর বেচে ছিলেন। মোজেসএর সম্প্রদায়ের নাম ছিল বনী-ইসরাইল। |
'''মোজেস''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Moses, [[হিব্রু ভাষা|হিব্রু]]: '''מֹשֶׁה''', <small>[[হিব্রু ভাষা#আধুনিক হিব্রু|আধুনিক]]</small> ''Mošə''<small>[[তিবেরিয়ান vocalization|তিবেরিয়ান]]</small> ''Mōšeh''; [[আরবি ভাষা|আরবি]]: '''موسى''', ''Mūsa''; [[Ge'ez language|Ge'ez]]: ሙሴ''Musse'') [[ইহুদি ধর্ম|ইহুদি]], [[খ্রিস্ট ধর্ম|খ্রিস্ট]], এবং [[ইসলাম ধর্ম|ইসলাম ধর্মে]] স্বীকৃত [[পয়গম্বর]] । [[কোরআন|কোরআনে]] ''হযরত মূসা'' নামে অন্য নবীদের তুলনায় বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। ধারনা করা হয় যে মোজেস ১২০ বছর বেচে ছিলেন। মোজেসএর সম্প্রদায়ের নাম ছিল বনী-ইসরাইল। |
||
== জন্ম ও শৈশব == |
|||
একবার কয়েকজন জ্যোতিষী গণনা করে তাকে বলেছিলেন, ইহুদি পরিবারের মধ্যে এমন এক সন্তান জন্মগ্রহণ করবে যে ভবিষ্যতে মিসরের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। জ্যোতিষীদের কথা শুনে ভীত হয়ে পড়লেন ফ্যারাও। তাই ‘ফেরাউন’ আদেশ দিলেন কোনো ইহুদি পরিবারে সন্তান জন্মগ্রহণ করলেই যেন তাকে হত্যা করা হয়। |
|||
ফেরাউনের গুপ্তচররা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াত। যখনই কোনো পরিবারে সন্তান জন্মানোর সংবাদ পেত তখনই গিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করত। |
|||
ইহুদি মহল্লায় বাস করতেন আসরাম আর জোশিবেদ নামে এক সদ্যবিবাহিত দম্পতি। যথাসময়ে জোশিবেদের একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করল। সন্তান জন্মানোর পরই স্বামী-স্ত্রীর মনে হলো যেমন করেই হোক এই সন্তানকে রক্ষা করতেই হবে। কে বলতে পারে এই সন্তানই হয়তো ইহুদি জাতিকে সমস্ত নির্যাতন থেকে রক্ষা করবে একদিন। |
|||
সকলের চোখের আড়ালে সম্পূর্ণ গোপনে শিশুসন্তানকে বড় করে তুলতে লাগলেন আসরাম আর জোশিবেদ। কিন্তু বেশিদিন এই সংবাদ গোপন রাখা গেল না। স্বামী-স্ত্রী বুঝতে পারলেন যেকোনো মুহূর্তে ফেরাউনের সৈনিকরা এসে তাদের সন্তানকে তুলে নিয়ে যাবে। ঈশ্বর আর ভাগ্যের হাতে শিশুকে সঁপে দিয়ে দুজন বেরিয়ে পড়লেন। নীল নদের তীরে এক নির্জন ঘাটে এসে শিশুকে শুইয়ে দিয়ে তারা বাড়ি ফিরে গেলেন। |
|||
সেই নদীর ঘাটে প্রতিদিন গোসল করতে আসত ‘ফেরাউনের’ কন্যা। ফুটফুটে সুন্দর একটা বাচ্চাকে একা পড়ে থাকতে দেখে তার মায়া হলো। তাকে তুলে নিয়ে এলো রাজপ্রাসাদে। তারপর সেই শিশুসন্তানকে নিজের সন্তানের মতো স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানুষ করে তুলতে লাগল। রাজকন্যা শিশুর নাম রাখল মুসা। |
|||
এ বিষয়ে আরেকটি কাহিনী প্রচলিত। মুসার মা জোশিবেদ জানতেন প্রতিদিন ফেরাউনের কন্যা সখীদের নিয়ে নদীতে স্নান করতে আসেন। একদিন ঘাটের কাছে পথের ধারে শিশু মুসাকে একটা ঝুড়িতে করে শুইয়ে রেখে দিলেন। নিজে গাছের আড়ালে লুকিয়ে রইলেন। কিছুক্ষণ পর রাজকুমারী সেই পথ দিয়ে স্নান করতে যাওয়ার সময় দেখতে পেল মুসাকে। পথের পাশে ফুটফুটে একটা শিশুকে পড়ে থাকতে দেখে তার মায়া হলো। তাড়াতাড়ি মুসাকে কোলে তুলে নিল। জোশিবেদকেই মুসার ধাত্রী হিসেবে নিয়োগ করে রাজকুমারী। নিজের পরিচয় গোপন করে রাজপ্রাসাদে মুসাকে দেখাশোনা করতে থাকে জোশিবেদ। মা ছাড়া মুসা কোনো নারীর স্তন্যপান করেনি। |
|||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১০:১৬, ৭ জুলাই ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
Moses | |
---|---|
Prophet, Lawgiver | |
জন্ম | Goshen, Lower Egypt |
মৃত্যু | Mount Nebo, Moab |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | Judaism Christianity Islam |
যাদের প্রভাবিত করেন | Many Jews, Christians and Muslims |
মোজেস (ইংরেজি: Moses, হিব্রু: מֹשֶׁה, আধুনিক Mošəতিবেরিয়ান Mōšeh; আরবি: موسى, Mūsa; Ge'ez: ሙሴMusse) ইহুদি, খ্রিস্ট, এবং ইসলাম ধর্মে স্বীকৃত পয়গম্বর । কোরআনে হযরত মূসা নামে অন্য নবীদের তুলনায় বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। ধারনা করা হয় যে মোজেস ১২০ বছর বেচে ছিলেন। মোজেসএর সম্প্রদায়ের নাম ছিল বনী-ইসরাইল।
জন্ম ও শৈশব
একবার কয়েকজন জ্যোতিষী গণনা করে তাকে বলেছিলেন, ইহুদি পরিবারের মধ্যে এমন এক সন্তান জন্মগ্রহণ করবে যে ভবিষ্যতে মিসরের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। জ্যোতিষীদের কথা শুনে ভীত হয়ে পড়লেন ফ্যারাও। তাই ‘ফেরাউন’ আদেশ দিলেন কোনো ইহুদি পরিবারে সন্তান জন্মগ্রহণ করলেই যেন তাকে হত্যা করা হয়। ফেরাউনের গুপ্তচররা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াত। যখনই কোনো পরিবারে সন্তান জন্মানোর সংবাদ পেত তখনই গিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করত। ইহুদি মহল্লায় বাস করতেন আসরাম আর জোশিবেদ নামে এক সদ্যবিবাহিত দম্পতি। যথাসময়ে জোশিবেদের একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করল। সন্তান জন্মানোর পরই স্বামী-স্ত্রীর মনে হলো যেমন করেই হোক এই সন্তানকে রক্ষা করতেই হবে। কে বলতে পারে এই সন্তানই হয়তো ইহুদি জাতিকে সমস্ত নির্যাতন থেকে রক্ষা করবে একদিন। সকলের চোখের আড়ালে সম্পূর্ণ গোপনে শিশুসন্তানকে বড় করে তুলতে লাগলেন আসরাম আর জোশিবেদ। কিন্তু বেশিদিন এই সংবাদ গোপন রাখা গেল না। স্বামী-স্ত্রী বুঝতে পারলেন যেকোনো মুহূর্তে ফেরাউনের সৈনিকরা এসে তাদের সন্তানকে তুলে নিয়ে যাবে। ঈশ্বর আর ভাগ্যের হাতে শিশুকে সঁপে দিয়ে দুজন বেরিয়ে পড়লেন। নীল নদের তীরে এক নির্জন ঘাটে এসে শিশুকে শুইয়ে দিয়ে তারা বাড়ি ফিরে গেলেন। সেই নদীর ঘাটে প্রতিদিন গোসল করতে আসত ‘ফেরাউনের’ কন্যা। ফুটফুটে সুন্দর একটা বাচ্চাকে একা পড়ে থাকতে দেখে তার মায়া হলো। তাকে তুলে নিয়ে এলো রাজপ্রাসাদে। তারপর সেই শিশুসন্তানকে নিজের সন্তানের মতো স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানুষ করে তুলতে লাগল। রাজকন্যা শিশুর নাম রাখল মুসা। এ বিষয়ে আরেকটি কাহিনী প্রচলিত। মুসার মা জোশিবেদ জানতেন প্রতিদিন ফেরাউনের কন্যা সখীদের নিয়ে নদীতে স্নান করতে আসেন। একদিন ঘাটের কাছে পথের ধারে শিশু মুসাকে একটা ঝুড়িতে করে শুইয়ে রেখে দিলেন। নিজে গাছের আড়ালে লুকিয়ে রইলেন। কিছুক্ষণ পর রাজকুমারী সেই পথ দিয়ে স্নান করতে যাওয়ার সময় দেখতে পেল মুসাকে। পথের পাশে ফুটফুটে একটা শিশুকে পড়ে থাকতে দেখে তার মায়া হলো। তাড়াতাড়ি মুসাকে কোলে তুলে নিল। জোশিবেদকেই মুসার ধাত্রী হিসেবে নিয়োগ করে রাজকুমারী। নিজের পরিচয় গোপন করে রাজপ্রাসাদে মুসাকে দেখাশোনা করতে থাকে জোশিবেদ। মা ছাড়া মুসা কোনো নারীর স্তন্যপান করেনি।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
এই নিবন্ধটি এখন পাবলিক ডোমেইনের একটি প্রকাশনার পাঠ্য অন্তর্ভুক্ত করে: Singer, Isidore; ও অন্যান্য, সম্পাদকগণ (১৯০১–১৯০৬)। "Moses"। The Jewish Encyclopedia। New York: Funk & Wagnalls।
- The Geography, Book XVI, Chapter II The entire context of the cited chapter of Strabo's work
মোশি
| ||
পূর্বসূরী NA |
Lawgiver | উত্তরসূরী Joshua |