মেসোপটেমিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:প্রাচীন ইতিহাস]]
[[বিষয়শ্রেণী:প্রাচীন ইতিহাস]]


<!-- '''পাথর যুগের মেসোপটেমিয়া''' -->
'''পাথর যুগের মেসোপটেমিয়া'''


নগরসভ্যতা গড়ার আগেও মেসোপটেমীয় অঞ্চলে মানুষের বসতি ছিল। সভ্যতার আগের এই অংশটিকে বলা হয় প্রাগৈতিহাসিক যুগ। এ যুগের মানুষ সব কাজে প্রধানত পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতো। এই যুগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম ভাগটির নাম পুরোনো পাথরের যুগ। আর শেষেরটি নতুন পাথরের যুগ।
নগরসভ্যতা গড়ার আগেও মেসোপটেমীয় অঞ্চলে মানুষের বসতি ছিল। সভ্যতার আগের এই অংশটিকে বলা হয় প্রাগৈতিহাসিক যুগ। এ যুগের মানুষ সব কাজে প্রধানত পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতো। এই যুগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম ভাগটির নাম পুরোনো পাথরের যুগ। আর শেষেরটি নতুন পাথরের যুগ।

০৫:৩৯, ৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার মানচিত্র।

প্রাচীন মেসোপটেমিয়া বর্তমান ইরাকের টাইগ্রিসইউফ্রেটিস নদী-বিধৌত উপত্যকায় দোয়ার অঞ্চলে অবস্থিত। অধুনা ইরাক, সিরিয়ার উত্তরাংশ, তুরষ্কের উত্তরাংশ এবং ইরানের খুযেস্তান প্রদেশের অঞ্চল গুলোই প্রাচীন কালে মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত ছিল বলে মনে করা হয় । মেসোপটেমিয় সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ হতে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের মধ্যে মেসোপটেমিয়ায় অতি উন্নত এক সভ্যতার উম্মেষ ঘটেছিল। সভ্যতার আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত এই অঞ্ছলে ব্রোঞ্জ যুগে আক্কাদীয়, ব্যবিলনীয় এবং অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল । পরে লৌহ যুগে নব্য-অ্যাসিরীয় এবং নব্য-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্য গড়ে উঠে । সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চল পারসিক শাসনে থাকে, এরপর মুসলিম শাসনামল শুরু হয় । মুসলিম খিলাফত শাসনে এই অঞ্চল পরবর্তীতে ইরাক নামে পরিচিতি লাভ করে ।

পাথর যুগের মেসোপটেমিয়া

নগরসভ্যতা গড়ার আগেও মেসোপটেমীয় অঞ্চলে মানুষের বসতি ছিল। সভ্যতার আগের এই অংশটিকে বলা হয় প্রাগৈতিহাসিক যুগ। এ যুগের মানুষ সব কাজে প্রধানত পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতো। এই যুগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম ভাগটির নাম পুরোনো পাথরের যুগ। আর শেষেরটি নতুন পাথরের যুগ। নতুন পাথরের যুগে ফোরাত নদীর উর্বর তীরে মানুষ বসবাস শুরু করেছিলো। আল ইউবেইদ নামের অঞ্চলে প্রথম গ্রাম গড়ে উঠে। তাই এই যুগের মানুষের সংস্কৃতিকে বলা হয় ইউবেইদ সংস্কৃতি। আজ থেকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার বছর আগে গড়ে ওঠা এই সংস্কৃতির মানুষেরা গাছগাছালি আর কাদামাটি দিয়ে ঘর বানাতো। ইউবেইদ অঞ্চলের আরো দক্ষিণে আরেকটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিলো। এই অঞ্চলের নাম ওয়ারকা। এই জন্য সংস্কৃতিটির নাম দেয়া হয়েছে ইউরুক সংস্কৃতি