শঙ্খচূড়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MerlIwBot (আলোচনা | অবদান)
বট যোগ করছে: ceb:Ophiophagus hannah
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ...
৪১ নং লাইন: ৪১ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সরীসৃপ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সরীসৃপ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের সরীসৃপ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের সরীসৃপ]]

[[ar:الكوبرا الملك]]
[[az:Kral kobrası]]
[[be:Каралеўская кобра]]
[[be-x-old:Каралеўская кобра]]
[[bg:Кралска кобра]]
[[ca:Cobra reial]]
[[ceb:Ophiophagus hannah]]
[[cs:Kobra královská]]
[[da:Kongekobra]]
[[de:Königskobra]]
[[en:King cobra]]
[[es:Ophiophagus hannah]]
[[eu:Errege-kobra]]
[[fa:شاه کبرا]]
[[fi:Kuningaskobra]]
[[fr:Cobra royal]]
[[he:רב פתן מלכותי]]
[[hi:नागराज (सांप)]]
[[hu:Királykobra]]
[[id:Ular anang]]
[[it:Ophiophagus hannah]]
[[ja:キングコブラ]]
[[jv:Ula anang]]
[[ka:სამეფო კობრა]]
[[kk:Патша кеңалқым жылан]]
[[kn:ಕಾಳಿಂಗ ಸರ್ಪ]]
[[ko:킹코브라]]
[[lt:Karališkoji kobra]]
[[ml:രാജവെമ്പാല]]
[[mn:Хаан наж могой]]
[[mr:नागराज]]
[[ms:Ular Tedung Selar]]
[[nl:Koningscobra]]
[[no:Kongekobra]]
[[pl:Kobra królewska]]
[[pt:Cobra-real]]
[[ro:Cobra regală]]
[[ru:Королевская кобра]]
[[sa:काळिङ्गसर्पः]]
[[simple:King Cobra]]
[[sk:Ophiophagus]]
[[sl:Kraljeva kobra]]
[[srn:Kownukronsneki]]
[[sv:Kungskobra]]
[[ta:கருநாகம்]]
[[te:కింగ్ కోబ్రా]]
[[th:งูจงอาง]]
[[tr:Kral kobra]]
[[uk:Королівська кобра]]
[[vi:Rắn hổ mang chúa]]
[[zh:眼镜王蛇]]
[[zh-yue:過山烏]]

০২:১০, ৯ মার্চ ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শঙ্খচূড়
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Reptilia
বর্গ: Squamata
উপবর্গ: Serpentes
পরিবার: Elapidae
গণ: Ophiophagus
প্রজাতি: O. hannah
দ্বিপদী নাম
Ophiophagus hannah
ক্যান্টর, ১৮৩৬
  শঙ্খচূড়ের বিস্তৃতির মানচিত্র

শঙ্খচূড় (ইংরেজি: King Cobra) (বৈজ্ঞানিক নাম — Ophiophagus hannah) হচ্ছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বিষধর সাপ। যার দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৫.৬ মিটার (১৮.৫ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে।[১] এটি মূলত সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার বনাঞ্চল জুড়ে দেখা যায়। ইংরেজি নামে কোবরা শব্দটি থাকলেও এটি কোবরা বা গোখরা নয়। এটি সম্পূর্ণ আলাদা গণের একটি সাপ। এই সাপের আকার পর্যবেক্ষণ এবং ফণার পেছনের অংশ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গোখরার সাথে এটির পার্থক্য খুব সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব। গোখরার তুলনায় শঙ্খচূড় আকৃতিতে যথেষ্ট পরিমাণ বড়। এর ফণার পেছনে প্রচলিত গোখরা বা খড়মপায়া গোখরার মতো চশমা বা গোক্ষুর আকৃতি চিহ্ন থাকে না। শঙ্খচূড়ের গণের নাম হচ্ছে Ophiophagus, যার আক্ষরিক অর্থ "সাপ খাদক", এবং প্রাথমিকভাবে এটি অন্যান্য সাপ ভক্ষণ করেই তার খাদ্য চাহিদা মেটায়। যেসকল সাপ এটি ভক্ষণ করে তার মধ্যে আছে র‌্যাট সাপ, এবং ছোট আকৃতির অজগর। এছাড়াও অন্যান্য বিষধর সাপও এটি ভক্ষণ করে, যেমন: ক্রেইট, গোখরা, এবং নিজ প্রজাতিভুক্ত অন্যান্য ছোট সাপ। এই সাপের বিষ মূলত নিউরোটক্সিক, অর্থাৎ এটির বিষ আক্রান্ত প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে। শঙ্খচূড়ের একটি সাধারণ দংশন-ই যেকোনো মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট।[২] এর কামড়ের ফলে সৃষ্ট মৃত্যু হার প্রায় ৭৫%।[২][৩][৪] বাংলাদেশের সুন্দরবনের গভীরে এই সাপ দেখতে পাওয়া যায়।[৫]

প্রজনন

ডিম পাড়ার আগে স্ত্রী শঙ্খচূড় তা শরীর পাকিয়ে কুণ্ডুলী তৈরি করে, এবং তা মৃত পাতা ব্যবহার করে উঁচু ঢিপির মতো তৈরি করেন। পরবর্তীকালে সেখানে ২০ থেকে ৪০টির মতো ডিম পাড়া হয়। কুন্ডুলী পাকানো দেহটি ইউকিউবেটরের মতো কাজ করে। বাচ্চা ফোটার আগ পর্যন্ত শঙ্খচূড় তাঁর ঢিপিটিকে বিরামহীনভাবে পাহার দিতে থাকে, এবং কোনো প্রাণী যেনো কাছে আসতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখে।[৬]

ঢিপির মধ্যে প্রায় ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ডিমগুলোকে তা দেওয়া হয়। বাচ্চা ফোটার পর তা নিজে নিজেই ডিমের খোলস ভেঙে বেরিয়ে যায় এবং নিজেই নিজের শিকার খুঁজতে থাকে, এজন্য মাকে তাঁর নিজের বাচ্চা ভক্ষণ করতে হয় না।[৭] শিশু শঙ্খচূড়ের দৈর্ঘ হয় প্রায় ৫৫ সেন্টিমিটার এবং এদের বিষ প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই মৃত্যুঘাতী।

সম্পর্কিত প্রজাতি

শঙ্খচূড় এলাপিডি পরিবারভুক্ত একটি সাপ। ইউরোপএন্টার্কটিকা ব্যতীত এই পরিবারে সারা পৃথিবীতে প্রায় ২০০-এর বেশি প্রজাতি দেখা যায়। এদের সবগুলোই বিষধর, এবং এদের সবারই ছোট, স্থায়ী বিষদাঁত রয়েছে। কিন্তু অঞ্চলভেদে এদের মধ্যে বাসস্থান, আচরণ, এবং বর্ণ ও গঠনগত অনেক পার্থক্য দেখা যায়। এলাপিডি পরিবারভুক্ত চারটি খুবই প্রচলিত সাপ হচ্ছে কোরাল সাপ, ডেথ অ্যাডার, ব্ল্যাক মাম্বা, এবং শঙ্খচূড়।

তথ্যসূত্র

  1. Mehrtens, John (১৯৮৭)। Living Snakes of the World। New York: Sterling। আইএসবিএন 0806964618 
  2. Capula, Massimo (১৯৮৯)। Simon & Schuster's Guide to Reptiles and Amphibians of the World। New York: Simon & Schuster। আইএসবিএন 0671690981  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  3. "Ophitoxaemia (venomous snake bite)"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-০৫ 
  4. Sean Thomas। "One most Dangerous Snakes in the World"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-০৫mortality varies sharply with amount of venom involved, most bites involve nonfatal amounts 
  5. সুন্দরবনের প্রাণী বৈচিত্রপ্রথম আলো
  6. Piper, Ross (2007). Extraordinary Animals: An Encyclopedia of Curious and Unusual Animals. Westport, Conn.: Greenwood Press. ISBN 978-0-313-33922-6.
  7. National Geographic Program 17 May 2009

বহিঃসংযোগ