সার্জিও অ্যাগুয়েরো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Makecat-bot (আলোচনা | অবদান)
r2.6.5) (বট যোগ করছে: ka:სერხიო აგუერო
৩৫১ নং লাইন: ৩৫১ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়]]


[[ar:سيرخيو أغويرو]]
[[an:Sergio Agüero]]
[[an:Sergio Agüero]]
[[ar:سيرخيو أغويرو]]
[[be-x-old:Сэрхіё Агуэра]]
[[be-x-old:Сэрхіё Агуэра]]
[[bg:Серхио Агуеро]]
[[bg:Серхио Агуеро]]
[[ca:Sergio Agüero]]
[[ca:Sergio Agüero]]
[[ckb:سێرخیۆ ئەگوێرۆ]]
[[cs:Sergio Agüero]]
[[cs:Sergio Agüero]]
[[da:Sergio Agüero]]
[[da:Sergio Agüero]]
[[de:Sergio Agüero]]
[[de:Sergio Agüero]]
[[et:Sergio Agüero]]
[[el:Σέρχιο Αγουέρο]]
[[el:Σέρχιο Αγουέρο]]
[[en:Sergio Agüero]]
[[en:Sergio Agüero]]
[[es:Sergio Agüero]]
[[es:Sergio Agüero]]
[[et:Sergio Agüero]]
[[eu:Sergio Agüero]]
[[eu:Sergio Agüero]]
[[fa:سرخیو آگوئرو]]
[[fa:سرخیو آگوئرو]]
[[fi:Sergio Agüero]]
[[fr:Sergio Agüero]]
[[fr:Sergio Agüero]]
[[gl:Sergio Agüero]]
[[gl:Sergio Agüero]]
[[he:סרחיו אגוארו]]
[[ko:세르히오 아궤로]]
[[hy:Սերխիո Ագուերո]]
[[hr:Sergio Agüero]]
[[hr:Sergio Agüero]]
[[hu:Sergio Agüero]]
[[hy:Սերխիո Ագուերո]]
[[id:Sergio Agüero]]
[[id:Sergio Agüero]]
[[it:Sergio Agüero]]
[[it:Sergio Agüero]]
[[ja:セルヒオ・アグエロ]]
[[he:סרחיו אגוארו]]
[[jv:Sergio Agüero]]
[[jv:Sergio Agüero]]
[[ka:სერხიო აგუერო]]
[[ko:세르히오 아궤로]]
[[la:Sergius Agüero]]
[[la:Sergius Agüero]]
[[lt:Sergio Agüero]]
[[lv:Serhio Agvero]]
[[lv:Serhio Agvero]]
[[mn:Серхио Агуэро]]
[[lt:Sergio Agüero]]
[[hu:Sergio Agüero]]
[[mr:सर्गियो आगुएरो]]
[[mr:सर्गियो आगुएरो]]
[[mn:Серхио Агуэро]]
[[nl:Sergio Agüero]]
[[nl:Sergio Agüero]]
[[ja:セルヒオ・アグエロ]]
[[no:Sergio Agüero]]
[[no:Sergio Agüero]]
[[pl:Sergio Agüero]]
[[pl:Sergio Agüero]]
৩৮৮ নং লাইন: ৩৯১ নং লাইন:
[[ru:Агуэро, Серхио]]
[[ru:Агуэро, Серхио]]
[[simple:Sergio Agüero]]
[[simple:Sergio Agüero]]
[[ckb:سێرخیۆ ئەگوێرۆ]]
[[sr:Серхио Агверо]]
[[sr:Серхио Агверо]]
[[fi:Sergio Agüero]]
[[sv:Sergio Agüero]]
[[sv:Sergio Agüero]]
[[th:เซร์คีโอ อะกูเอโร]]
[[th:เซร์คีโอ อะกูเอโร]]
৩৯৬ নং লাইন: ৩৯৭ নং লাইন:
[[uk:Серхіо Агуеро]]
[[uk:Серхіо Агуеро]]
[[vi:Sergio Agüero]]
[[vi:Sergio Agüero]]
[[zh-yue:阿古路]]
[[zh:塞尔希奥·阿奎罗]]
[[zh:塞尔希奥·阿奎罗]]
[[zh-yue:阿古路]]

১১:৩৮, ৩ মার্চ ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সার্জিও অ্যাগুয়েরো
আর্জেন্টিনার হয়ে খেলছেন অ্যাগুয়েরো
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম সার্জিও লেওনেল অ্যাগুয়েরো দেল ক্যাস্তিলো[১]
জন্ম (1988-06-02) ২ জুন ১৯৮৮ (বয়স ৩৫)
জন্ম স্থান কিলমেস, আর্জেন্টিনা
উচ্চতা ১.৭২ মিটার (৫ ফুট + ইঞ্চি)[২]
মাঠে অবস্থান ফরোয়ার্ড
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
ম্যানচেস্টার সিটি
জার্সি নম্বর ১৬
যুব পর্যায়
১৯৯৭–২০০৩ ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তে
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
২০০৩–২০০৬ ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তে ৫৪ (২৩)
২০০৬–২০১১ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ১৭৫ (৭৫)
২০১১– ম্যানচেস্টার সিটি ৫৮ (৩২)
জাতীয় দল
২০০৪ আর্জেন্টিনা অনুর্ধ্ব ১৭ (৩)
২০০৫–২০০৭ আর্জেন্টিনা অনুর্ধ্ব ২০ (৬)
২০০৮ আর্জেন্টিনা অলিম্পিক দল (২)
২০০৬– আর্জেন্টিনা ৪২ (১৭)
অর্জন ও সম্মাননা
 আর্জেন্টিনা-এর প্রতিনিধিত্বকারী
ছেলেদের ফুটবল
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক দলীয় প্রতিযোগীতা
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক।
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

সার্জিও লেওনেল ‘‘কুন’’ অ্যাগুয়েরো দেল ক্যাস্তিলো (স্পেনীয়: ˈseɾxjoaˈɣweɾo; জন্ম: ২ জুন ১৯৮৮) একজন আর্জেন্টাইন ফুটবলার যিনি স্ট্রাইকার হিসেবে প্রিমিয়ার লীগের দল ম্যানচেস্টার সিটি এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে খেলছেন। তিনি আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তী মারাদোনার জামাতা।

ক্লাব ক্যারিয়ার

ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তে

৯ বছর বয়সে অ্যাগুয়েরো ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তে’র যুব প্রকল্পে যোগদান করেন। ২০০৩ সালের ৫ জুলাই, মাত্র ১৫ বছর এবং ৩৫ দিন বয়সে আর্জেন্টাইন লীগের প্রথম বিভাগের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় তার অভিষেক হয়। আগের রেকর্ডটি ছিল দিয়েগো মারাদোনার। এরপর অনেক দিন যাবত্‍ তাকে আর মাঠে নামতে দেখা যায়নি। সাত মাস পর, ২০০৪ কোপা লিবেরতাদোরেস-এর গ্রুপ পর্বের খেলায় প্যারাগুয়ের ক্লাব সিনসিআনোর বিপক্ষে অ্যাগুয়েরো প্রথম দলে জায়গা পান। খেলায় ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তে ৪–২ ব্যবধানে জয় লাভ করে। এক মাস পর, ইকুয়েডরের ক্লাব এল ন্যাসিওনালের বিপক্ষে কোপা লিবেরতাদোরেসের খেলায় আবারও মাঠে নামেন তিনি। ২০০৪ সালের ১৯ জুন, তরেনো ক্লাসুরাতে রাফায়েলার বিপক্ষে ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তের হয়ে তিনি সম্পূর্ণ ৯০ মিনিট খেলেন।[৩] ২০০৪ সালের ২৬ নভেম্বর, ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তের হয়ে অ্যাগুয়েরো তার প্রথম গোল করেন। এস্তুদিয়ান্তেসের বিপক্ষে খেলার ২২তম মিনিটে পেনাল্টি এরিয়ার বাহিরে থেকে গোলটি করেন তিনি। খেলাটি শেষ হয় ২–২ সমতায়।[৪][৫] ২০০৫ ফিফা অনুর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপের জন্য আজেন্টিনা অনুর্ধ্ব ২০ দলে তিনি ডাক পান। আর্জেন্টিনা এই শিরোপা জেতে। অ্যাগুয়েরো ক্লাবের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিনত হন। ২০০৫–০৬ মৌসুমে তিনি ৩৬টি খেলায় মাঠে নামেন এবং ১৮টি গোল করেন। সাসপেনশনের কারনে তিনি দুইটি খেলায় নামতে পারেননি। ১১ সেপ্টেম্বর, রেসিং-এর বিপক্ষে খেলায় মাঠের অর্ধেকেরও বেশি পরিমান বল কাটিয়ে বাম পায়ের শটে তিনি দলের হয়ে খেলার চতুর্থ গোলটি করেন। খেলাটিতে ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তে ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৫][৬]

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ

২০০৬–০৭ মৌসুম

২০০৬ সালের মে মাসে, প্রায় ২৩ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্পেনীয় ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন অ্যাগুয়েরো।[৭][৮] ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, অ্যাথলেতিক বিলবাও এর বিপক্ষে লা লিগায় অ্যাগুয়েরো তার প্রথম গোল করেন। খেলায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ৪–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে। ১৪ অক্টোবর, হুয়েলভার বিপক্ষে তিনি হাত দিয়ে গোল করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন।[৯] অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৭ গোল নিয়ে মৌসুম শেষ করেন অ্যাগুয়েরো।

২০০৭–০৮ মৌসুম

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে অ্যগুয়েরো

২০০৭ সালের গ্রীষ্মে ফের্নান্দো তোরেসের প্রস্থানের পর তিনি দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিনত হন এবং মাত্র ১৯ বছর বয়সেই তিনি দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিনত হন। ২০০৭–০৮ মৌসুমে তিনি ১৯ গোল নিয়ে লা লিগার তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে মৌসুম শেষ করেন এবং ত্রফিও অ্যালফ্রেদো দি স্তিফানো পুরস্কারে রানার-আপ হন।[১০]

২০০৮ সালের মার্চে, বার্সেলোনার বিপক্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ৪–২ ব্যবধানে জয় লাভ করে। খেলায় অ্যাগুয়েরো জোড়া গোল করেন, একটি গোলে সহায়তা করেন এবং একটি পেনাল্টি জেতেন। খেলায় তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়।[১১][১২] এছাড়া তিনি রিয়াল মাদ্রিদ, ভ্যালেন্সিয়া, সেভিয়া এবং ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ গোল করেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ লা লিগায় চতুর্থ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে এবং দশ বছরেরও বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশগ্রহন করার যোগ্যতা অর্জন করে।[১৩] মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় অ্যাগুয়েরো ২৭টি গোল করেন।

২০০৮–০৯ মৌসুম

এই মৌসুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার দিয়েগো ফরলান। ফলে দলের আক্রমনভাগ সজ্জিত হয় অ্যাগুয়েরো এবং ফরলানকে নিয়ে। ২০০৮–০৯ মৌসুমেও অ্যাগুয়েরো নিজেকে দলের নিয়মিত গোলদাতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। ২০০৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসভি এর বিপক্ষে তার প্রথম গোল করেন। খেলায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ৩–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে এবং দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করে।[১৪]

২০০৯ সালের মার্চে, বার্সেলোনার বিপক্ষে অ্যাগুয়েরো এবং ফরলান উভয়েই জোড়া গোল করেন। খেলায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ৪–৩ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[১৫] মৌসুমে লা লিগায় তিনি ১৭ গোল করেন এবং পিচিচি ট্রফির দশজন দাবিদারের মধ্যে তিনিও ছিলেন, যা তার ক্লাব সতীর্থ ফরলান জেতেন। লা লিগায় চতুর্থ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

২০০৯–১০ মৌসুম

বেশি গোল করতে না পারলেও, অ্যাগুয়েরোর এই মৌসুম মোটামুটি ভালভাবেই কাটে। এটি ছিল এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্য অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সেরা মৌসুম।[১৬] ২০০৯ সালের ৩ নভেম্বর, চেলসির বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন। খেলাটি ২–২ সমতায় শেষ হয়। অ্যাটলেটিকো প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নিলেও, তারা উয়েফা ইউরোপা লীগে স্থান করে নেয় এবং ফাইনালে পৌছায়। ফুলহ্যামের বিপক্ষে খেলাটি ১–১ সমতায় শেষ হলে, অতিরিক্ত সময়ে ফরলানের গোলে ২–১ ব্যবধানে জয় পায় অ্যাটলেটিকো। প্রথম গোলটিও করেন ফরলান এবং উভয় গোলেই সহায়তা করেন অ্যাগুয়েরো।[১৭] এছাড়া তিনি দলকে কোপা দেল রে’র ফাইনালে পৌছাতেও সাহায্য করেন, যদিও ১৯ মে ক্যাম্প ন্যুতে ফাইনালে সেভিয়ার বিপক্ষে হেরে শিরোপা হাতাছাড়া হয় তাদের।[১৮]

২০১০ সালের ২৭ আগস্ট, ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ইউরোপীয়ান সুপার কাপের ফাইনালে ২–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে অ্যাটলেটিকো। অ্যাগুয়েরো একটি গোল করেন এবং একটি গোলে সহায়তা করেন।[১৯] ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে ক্লাবের সাথে অ্যাগুয়েরোর নতুন চুক্তি নিশ্চিত করা হয়, যার মেয়াদ ছিল ২০১৪ সাল পর্যন্ত।[২০] এর পরের দিনই তাকে দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।[২১]

২০১০–১১ মৌসুম

লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলায় অ্যাগুয়েরো।

২০১০–১১ মৌসুম অ্যাটলেটিকোতে অ্যাগুয়েরোর সবচেয়ে সফল মৌসুম ছিল। এই মৌসুমে লীগে তিনি ২০ গোল করেন। ২০১১ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত টানা ৭টি লীগের খেলায় তিনি গোল করেন। যা ঐ মৌসুমে ইউরোপের কোন লীগের খেলোয়াড়ই করতে পারেননি। ২১ মে মায়োর্কার বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন অ্যাগুয়েরো এবং দলকে ৪–৩ ব্যবধানের জয় এনে দেন। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাট্রিক এবং হ্যাট্রিকের দ্বিতীয় গোলটি ছিল অ্যাটলেটিকোর হয়ে তার ১০০তম গোল।[২২]

২০১১ সালের ২৩ মে, অ্যাগুয়েরো তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন যে তিনি অ্যাটলেটিকো থেকে চলে যেতে চান।[২৩][২৪] ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্‍কারে অ্যাগুয়েরো বলেন যে তিনি আর অ্যাটলেটিকোতে ফিরবেন না।[২৫] ঐ দিনই অ্যাগুয়েরো অফিসিয়ালভাবে ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়ে পরিনত হন। তার স্থানান্তর ফী প্রকাশ না করা হলেও তা প্রায় ৩৮ মিলিয়ন পাউন্ডের কাছাকাছি ছিল। অ্যাগুয়েরোর প্রস্থানের পর তার স্থান পূরণের জন্য ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রাদামেল ফ্যালকাওকে ক্রয় করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ[২৬]

ম্যানচেস্টার সিটি

২০১১–১২ মৌসুম

২০১১ সালের ২৮ জুলাই, ম্যানচেস্টার সিটি অ্যাগুয়েরোর পাঁচ বছরের চুক্তি নিশ্চিত করে।[২৭] তার স্থানান্তরণ ফী ছিল প্রায় £৩৮ মিলিয়ন (€৪৫ মিলিয়ন)।[২৮][২৯][৩০] সিটিতে তাকে ১৬ নম্বর শার্ট দেওয়া হয়[২৭] এবং শার্টে তার নাম লেখা হয় “Kun Agüero”

২০১১ সালের ১৫ আগস্ট, সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে অ্যাগুয়েরোর অভিষেক হয়। খেলার ৬৯তম মিনিটে তিনি বদলি হিসেবে নামেন এবং নয় মিনিটের মধ্যেই একটি গোল করেন। এরপর ইনজুরি সময়ে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে তিনি আরো একটি গোল করেন। খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৩১] অনেক ফুটবল সাংবাদিকের মতে তার ৩০ মিনিটের এই অভিষেক ছিল ইংরেজ ফুটবলে সেরা অভিষেকগুলোর একটি।[৩২][৩৩][৩৪]

২৮ আগস্ট, টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে অ্যাগুয়েরো তার তৃতীয় লীগ গোল করেন। খেলায় সিটি ৫–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৩৫] ১০ সেপ্টেম্বর, উইগান অ্যাথলেটিকের বিপক্ষে সিটির হয়ে অ্যাগুয়েরো তার প্রথম হ্যাট্রিক করেন এবং দলকে ৩–০ ব্যবধানের জয় এনে দেন।[৩৬] ১৮ সেপ্টেম্বর, ফুলহ্যামের বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন, কিন্তু খেলাটি ২–২ সমতায় শেষ হয়।[৩৭] ১ অক্টোবর, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষে খেলার ২৯তম মিনিটে ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে অ্যাগুয়েরোকে মাঠ ছাড়তে হয়।

ইনজুরি সারিয়ে ১৮ অক্টোবর চ্যাম্পিয়নস লিগে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলার ৬২তম মিনিটে দি জং এর বদলি হিসেবে নামেন এবং ৯৩ মিনিটে দলের হয়ে জয়সূচক গোল করেন অ্যাগুয়েরো।[৩৮] ২৩ অক্টোবর অ্যাগুয়েরো ম্যানচেস্টার ডার্বিতে অংশগ্রহন করেন এবং খেলার ৬৯তম মিনিটে একটি গোল করেন। খেলায় সিটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৬–১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে।[৩৯] ১ নভেম্বর, ফিফা ব্যালোন দি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় অ্যাগুয়েরোর নামও ঘোষনা করা হয়।

এমিরেট্‌স স্টেডিয়ামে আর্সেনালের বিপক্ষে খেলায় লীগ কাপে অ্যাগুয়েরোর অভিষেক হয়। খেলার ৮৩তম মিনিটে তিনি একটি গোল করেন। ২১ ডিসেম্বর, স্টোক সিটির বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন এবং দলকে ৩–০ ব্যবধানের জয় এনে দেন।[৪০]২০১২ সালের ৩ জানুয়ারি, লিভারপুলের বিপক্ষে তিনি খেলার প্রথম গোলটি করেন এবং দলকে ৩–০ ব্যবধানের জয় এনে দেন।[৪১] ১৬ ফেব্রুয়ারি, ইউরোপা লীগে পোর্তোর বিপক্ষে রাউন্ড অব ৩২ এর ১ম লেগের খেলায় ৭৮তম মিনিটে মারিও বালোতেল্লির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন অ্যাগুয়েরো। ৮৫তম মিনিটে তিনি সিটির হয়ে জয়সূচক গোল করেন। এটি ছিল ইউরোপা লীগে তার প্রথম গোল।[৪২] ২২ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় লেগে খেলা শুরুর মাত্র ১৯ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করেন অ্যাগুয়েরো। খেলায় সিটি ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষে সিটির ৩–০ ব্যবধানে জয়ের খেলায় অ্যাগুয়েরো লীগে তার ১৬তম গোল করেন।[৪৩] ১৫ মার্চ, ইউরোপা লীগে রাউন্ড অব ১৬ এর দ্বিতীয় লেগের খেলায় স্পোর্তিং ক্লাব দু পর্তুগালের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলকে ৩–২ ব্যবধানে জয় এনে দেন অ্যাগুয়েরো। কিন্তু দুই লেগ মিলিয়ে মোট গোলে ৩–৩ সমতা থাকলেও এওয়ে গোলে এগিয়ে থাকার কারনে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায় স্পোর্তিং ক্লাব। ২১ মার্চ, চেলসির বিপক্ষে লীগে নিজের ১৭তম গোল করেন অ্যাগুয়েরো। খেলায় সিটি ২–১ ব্যবধানে জয় পায়।[৪৪] ২৯ মার্চ, পায়ের সমস্যার কারনে অ্যাগুয়েরোকে ১০ থেকে ১৫ দিনের জন্য মাঠের বাহিরে থাকতে হয়।[৪৫][৪৬][৪৭]

১১ এপ্রিল, ওয়েস্ট ব্রমউইচের বিপক্ষে অ্যাগুয়েরো জোড়া গোল করেন এবং দেভিদ সিলভা ও কার্লোস তেবেসের গোলে সহায়তা করেন। খেলায় সিটি ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৪৮] ১৪ এপ্রিল, নরউইচ সিটির বিপক্ষে তিনি পুনরায় জোড়া গোল করেন। খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ৬–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে এবং লীগে অ্যাগুয়েরোর মোট গোল সংখ্যা হয় ২১।[৪৯] পরের খেলায় উল্ভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে তিনি একটি গোল করেন এবং দলকে ২–০ ব্যবধানে জয় এনে দেন।[৫০] ৪ মে, অ্যাগুয়েরোকে ম্যানচেস্টার সিটির বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করা হয় এবং নরউইচের বিপক্ষে তার করা প্রথম গোলটি মৌসুমের সেরা গোল নির্বাচিত হয়।[৫১]

মৌসুমের শেষ খেলা
অ্যগুয়েরো এবং সামির নাসরি প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা নিয়ে বিজয় উদযাপন করছেন।

টানা পাঁচ খেলায় জয় লাভের ফলে সিটির আট পয়েন্টের ঘাটতি পূরণ হয়। ফলে সিটি এবং ইউনাইটেডের পয়েন্ট সমান হলেও, গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থানে ছিল সিটি। এমন অবস্থায় লীগের শেষ খেলায় সিটি মুখোমুখি হয় অবনমন শঙ্কায় থাকা কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের। সিটির প্রয়োজন ছিল ইউনাইটেডের সমান বা তার চেয়ে ভাল ফলাফল। খেলায় ৩৯তম মিনিটে পাবলো জাবালেতা গোল করে সিটিকে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান। অন্যদিকে ইউনাইটেড বনাম সান্ডারল্যান্ডের খেলায় ২০তম মিনিটে ওয়েইন রুনির গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড এবং খেলার প্রথমার্ধ ১–০ তেই শেষ হয়। কিন্তু এদিকে কুইন্স পার্ক খেলার ৪৮তম মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে। এর কিছুক্ষন পরই কুইন্স পার্কের জোয়ি বার্টনকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়। তা সত্ত্বেও খেলার ৬৬তম মিনিটে জেইমি ম্যাকির গোলে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় কুইন্স পার্ক। ফলে সিটির শিরোপা স্বপ্ন হ্রাস পেতে শুরু করে এবং কুইন্স পার্ক রক্ষনশীল কায়দায় খেলতে শুরু করে। ম্যানেজার রবের্তো মানচিনি গোলের আশায় স্ট্রাইকার মারিও বালোতেল্লি এবং এডিন ডেকোকে মাঠে নামান। খেলার ৯০মিনিট শেষ হলে পাঁচ মিনিটের ইনজুরি সময় দেওয়া হয় এবং সিটির দুই গোলের সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ৯১তম মিনিটে ডেভিড সিলভার কর্ণার থেকে গোল করেন ডেকো। ফলে একটি ক্ষীণ আশার সৃষ্টি হয়। ৯৪তম মিনিটে গোলপোস্টের ৩৫গজ দূর থেকে অ্যাগুয়েরো কুইন্স পার্কের পেনাল্টি বক্সের বাহিরে থাকা বালোতেল্লিকে পাস দেন এবং পেনাল্টি বক্সের দিকে নিজের দৌড় অব্যহত রাখেন। বালোতেল্লি পুনরায় অ্যাগুয়েরোকে পাস দেন এবং অ্যাগুয়েরো দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দূর্দান্ত গোল করেন এবং সিটির প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করেন।[৫২] অ্যাগুয়েরোর গোল এতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি করে। গোল উদযাপনের সময় তার সতীর্থরা তাকে মাটিতে টেনে নেয়। তার সতীর্থ ভিনসেন্ট কোম্পানি পরবর্তীতে বলেন যে অ্যাগুয়েরো তখন কাঁদছিলেন।[৫৩] ম্যানচেস্টার সিটি প্যারেডে, অ্যাগুয়েরোকে গোল উদযাপনের সময় তিনি কেঁদেছিলেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, সামান্য একটু”।[৫৪]

২০১২–১৩ মৌসুম

প্রাক মৌসুমের পর, ঘরের মাঠে সাউদ্যাম্পটনের বিপক্ষে খেলার ১৩তম মিনিটে হাঁটুর ইনজুরির কারনে অ্যাগুয়েরোকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হয়।[৫৫] ২৯ সেপ্টেম্বর, ফুলহ্যামের বিপক্ষে অ্যাগুয়েরো মৌসুমে তার প্রথম গোল করেন। খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ১–২ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৫৬] ৬ অক্টোবর, সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে সিটির ৩–০ ব্যবধানে জয়ের খেলায়ও তিনি একটি গোল করেন।[৫৭] এরপর অ্যাগুয়েরো ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলায় আয়াক্স এবং রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষেও গোল করেন।[৫৮][৫৯] ২০১৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, অ্যাগুয়েরো এফএ কাপের খেলায় লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন। খেলায় সিটি ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে এবং কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছায়।[৬০]

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

আর্জেন্টিনার সিনিয়র দলের হয়ে অ্যাগুয়েরোর অভিষেক হয় ২০০৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের বিপক্ষে একটি প্রীতি খেলায়।[৬১] একজন টিনএজার হিসেবে তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে ফিফা যুব চ্যাম্পিয়নশীপগুলোতেও অংশগ্রহন করেন। লিওনেল মেসি এবং ফেরন্যান্দো গ্যাগোর সাথে তিনি ২০০৫ ফিফা যুব চ্যাম্পিয়নশীপ জিতেন। এছাড়া ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকেও তারা বিজয়ী হয়।

২০০৪ দক্ষিন আমেরিকান অনুর্ধ্ব ১৬ চ্যাম্পিয়নশীপ

২০০৪ দক্ষিন আমেরিকান অনুর্ধ্ব ১৬ চ্যাম্পিয়নশীপে অংশগ্রহন করার জন্য আর্জেন্টিনা অনুর্ধ্ব ১৭ দলে ডাক পান অ্যাগুয়েরো। গ্রুপ পর্বের সবকয়টি খেলায়ই তিনি মাঠে নামেন। যুক্তরাষ্ট্র (২–১) এবং ইকুয়েডরের (২–১) বিপক্ষে খেলায় তিনি গোল করেন। কোয়ার্টার ফাইনালে পেরুর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অ্যাগুয়েরো। কিন্তু সেমি ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২–০ ব্যবধানে হেরে আর্জেন্টিনাকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয়।

২০০৭ ফিফা অনুর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ

কানাডায় অনুষ্ঠিত ২০০৭ ফিফা অনুর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত আর্জেন্টিনা দলে জায়গা পান অ্যাগুয়েরো। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় খেলায় পানামার বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন এবং তিনটি গোলে সহায়তা করেন। তৃতীয় খেলায় উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে তিনি ফ্রি কিক থেকে একটি গোল করেন। রাউন্ড অব ১৬ এর খেলায় পোল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন এবং দলকে ৩–১ ব্যাবধানের জয় এনে দেন। আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালে মেক্সিকো এবং সেমি ফাইনালে চিলিকে হারায়। ফাইনালে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয় চেক রিপাবলিকের, যাদের সাথে গ্রুপ পর্বে তারা ০–০ গোলে ড্র করেছিল। অ্যাগুয়েরো খেলায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। খেলার ৬২তম মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে সমতাসূচক গোল করেন অ্যাগুয়েরো। ৮৬তম মিনিটে জারাতের গোলে ২–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে আর্জেন্টিনা। প্রতিযোগিতায় ৭ খেলায় ৬ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেন অ্যাগুয়েরো এবং প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বলের পুরস্কারও জিতেন তিনি।

২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক

২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন অ্যাগুয়েরো। সেমি ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেন এবং দলকে ৩–১ ব্যবধানের জয় এনে দেন।[৬২] ফাইনালে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণপদক জেতে আর্জেন্টিনা।

২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ

২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনা দলে জায়গা পান অ্যাগুয়েরো। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় খেলায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে তার অভিষেক হয়। খেলার ৭৫তম মিনিটে কার্লোস তেবেসের বদলি হিসেবে নামেন তিনি। খেলায় গঞ্জালো হিগুয়েইনের তৃতীয় গোলে তিনি সহায়তা করেন। আর্জেন্টিনা খেলায় ৪–১ ব্যবধানে জয়লাভ করে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে হেরে যাবার ফলে আর্জেন্টিনাকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয়।

২০১১ কোপা আমেরিকা

২০১১ কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা দলে ডাক পান অ্যাগুয়েরো। আর্জেন্টিনা গ্রুপ ভাগাভাগি করে কলম্বিয়া, বলিভিয়া এবং কোস্টা রিকার সাথে সাথে। ১ জুলাই, গ্রুপ পর্বের প্রথম খেলায় ৭১তম মিনিটে ইজেকুয়েল ল্যাভেজ্জির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন অ্যাগুয়েরো এবং ৭৬তম মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে সমতাসূচক গোল করেন। খেলাটি ১–১ সমতায় শেষ হয়।[৬৩][৬৪][৬৫][৬৬] ৬ জুলাই, কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলায় ৬৪তম মিনিটে ল্যাভেজ্জির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। খেলাটি ০–০ সমতায় শেষ হয়।[৬৭] গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার তৃতীয় খেলায় কোস্টা রিকার বিপক্ষে অ্যাগুয়েরো জোড়া গোল করেন এবং দলকে ৩–০ ব্যবধানের জয় এনে দেন।[৬৮] ফলে আর্জেন্টিনা গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছায়। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে পেনাল্টিতে ৫–৪ ব্যবধানে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে তাদের বিদায় নিতে হয়।

খেলার ধরন

অ্যাগুয়েরো মুলত একজন স্ট্রাইকার। তবে তাকে সম্পূর্ণরূপে একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবেও অ্যাখ্যায়িত করা হয়।[৬৯] তিনি একজন দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবেও খেলতে পারেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে থাকাকালে দিয়েগো ফরলানের সাথে তিনি প্রায়ই এই দায়িত্ব পালন করতেন।[৭০] অ্যাগুয়েরো কিছুটা বলিষ্ঠ এবং খাটো গঠনের অধিকারী। ফলে তাকে আরেক সিটি স্ট্রাইকার কার্লোস তেবেসের সাথে তুলনা করা হয়।[৭১] এছাড়াও তাকে মারাদোনা এবং রোমারিওর মত প্রাক্তন স্ট্রাইকারদের সাথেও তুলনা করা হয়। কেউ কেউ মনে করেন অ্যাগুয়েরো সিটিতে তেবেসের যোগ্য উত্তরসূরি[৭২] এবং তার চেয়ে অধিকতর ভাল।[৭৩] ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার রবের্তো মানচিনি অ্যাগুয়েরোকে প্রাক্তন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার রোমারিওর সাথে তুলনা করেছেন।[৭৪] তার আন্তর্জাতিক সতীর্থ লিওনেল মেসি মনে করেন, অ্যাগুয়েরো অপরিমেয় ক্ষমতা, শক্তি এবং অবিশ্বাস্য কার্য নীতির অধিকারী।[৭৫] বল নিয়ন্ত্রন এবং ধরে রাখার দূর্দান্ত ক্ষমতার কারণে তাকে ডি বক্সে প্রতিপক্ষ দলের জন্য হুমকি সরূপ দেখা যায়।[৭০]

ব্যক্তিগত জীবন

অ্যাগুয়েরো জিনিনা মারাদোনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি ফুটবল কিংবদন্তী দিয়েগো মারাদোনার কনিষ্ঠ কন্যা। ২০০৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, জিনিনা মাদ্রিদে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন এবং তার নাম রাখেন বেনজামিন।[৭৬] প্রথম দৌহিত্রের জন্মের জন্য মারাদোনা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অ্যাগুয়েরো অ্যাটলেটিকোর ঐ দিনের প্রশিক্ষন সেশনে উপস্থিত থাকতে পারেননি। অ্যাটলেটিকো তাদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতির মাধ্যমে অভিনন্দন জানায়।[৭৭] ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে, অ্যাগুয়েরো এবং জিনিনা আলাদা হয়ে যান।[৭৮][৭৯] অ্যাগুয়েরোর পুত্র তার মা’র সাথে স্থায়িভাবে আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে থাকে।

অ্যাগুয়েরোর বাম হাতে একটি ট্যাটু রয়েছে, যাতে তার পুত্রের নাম এবং জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে।[৮০]

ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান

ক্লাব

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ অনুযায়ী।[৮১]

ক্লাব মৌসুম লীগ কাপ[৮২] লীগ কাপ মহাদেশীয়[৮৩] অন্যান্য[৮৪] মোট
উপস্থিতি গোল সহায়তা উপস্থিতি গোল সহায়তা উপস্থিতি গোল সহায়তা উপস্থিতি গোল সহায়তা উপস্থিতি গোল সহায়তা উপস্থিতি গোল সহায়তা
ইন্দিপেনদিয়েন্তে ২০০২–০৩
২০০৩–০৪
২০০৪–০৫ ১২ ১২
২০০৫–০৬ ৩৬ ১৮ ৩৬ ১৮
আর্জেন্টিনা ৫৪ ২৩ ৫৬ ২৩
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২০০৬–০৭ ৩৮ ৪২
২০০৭–০৮ ৩৭ ১৯ ৫০ ২৭
২০০৮–০৯ ৩৭ ১৭ ৪৭ ২১ ১০
২০০৯–১০ ৩১ ১২ ১৬ ৫৪ ১৯ ১০
২০১০–১১ ৩২ ২০ ৪১ ২৭
স্পেন ১৭৫ ৭৪ ২১ ২০ ৩৮ ১৯ ১১ ২৩৪ ১০১ ৩৭
ম্যানচেস্টার সিটি ২০১১–১২ ৩৪ ২৩ ১০ ৪৮ ৩০ ১০
২০১২–১৩ ২২ ৩১ ১৩
ইংল্যান্ড ৫৬ ৩২ ১২ ১৫ ৭৯ ৪৩ ১৫
ক্যারিয়ারে সর্বমোট ২৮২ ১২৯ ৩৯ ২৩ ১০ ৫৫ ২৬ ১৩ ৩৬৬ ১৬৭ ৫৮

জাতীয় দল

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ অনুসারে।

আর্জেন্টিনা জাতীয় দল
সাল উপস্থিতি গোল
২০০৬
২০০৭
২০০৮
২০০৯
২০১০
২০১১
২০১২
২০১৩
মোট ৪২ ২১


আন্তর্জাতিক গোল

আর্জেন্টিনার গোলের হিসাব প্রথমে

# তারিখ ভেন্যু প্রতিপক্ষ স্কোর ফলাফল প্রতিযোগিতা
১৭ নভেম্বর ২০০৭ এল মনুমেন্তাল, বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা  বলিভিয়া – ০ ৩–০ ২০১০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
২৬ মার্চ ২০০৮ কায়রো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, কায়রো, মিশর  মিশর – ০ ২–০ প্রীতি খেলা
৪ জুন ২০০৮ কোয়ালকম স্টেডিয়াম, স্যান ডিয়েগো, যুক্তরাষ্ট্র  মেক্সিকো – ১ ৪–১
৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮ এল মনুমেন্তাল, বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা  প্যারাগুয়ে – ১ ১–১ ২০১০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
১১ অক্টোবর ২০০৮  উরুগুয়ে – ০ ২–১
২৮ মার্চ ২০০৯  ভেনেজুয়েলা – ০ ৪–০
১২ আগস্ট ২০০৯ লোকোমটিভ স্টেডিয়াম, মস্কো, রাশিয়া  রাশিয়া – ১ ৩–২ প্রীতি খেলা
২৪ মে ২০১০ এল মনুমেন্তাল, বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা  কানাডা – ০ ৫–০
৭ সেপ্টেম্বর ২০১০  স্পেন – ১ ৪–১
১০ ২০ জুন ২০১১  আলবেনিয়া – ০ ৪–০
১১ ১ জুলাই ২০১১ ইস্তাদিও কিউদাদ দি লা প্লাতা, লা প্লাতা, আর্জেন্টিনা  বলিভিয়া – ১ ১–১ ২০১১ কোপা আমেরিকা
১২ ১১ জুলাই ২০১১ ইস্তাদিও মারিও অ্যালবার্তো কেম্পেস, কর্দোবা, আর্জেন্টিনা  কোস্টা রিকা – ০ ৩–০
১৩  কোস্টা রিকা – ০
১৪ ১৫ নভেম্বর ২০১১ ইস্তাদিও মেত্রোপলিতানো, বারানকুইলা, কলম্বিয়া  কলম্বিয়া – ১ ২–১ ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
১৫ ২ জুন ২০১২ এল মনুমেন্তাল, বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা  ইকুয়েডর – ০ ৪–০
১৬ ১২ অক্টোবর ২০১২ ইস্তাদিও মালভিনাস আর্জেন্টিনাস, মেনদোজা, আর্জেন্টিনা  উরুগুয়ে – ০ ৩–০
১৭ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ফ্রেন্ডস এরিনা, সলনা, সুইডেন  সুইডেন – ১ ৩–২ প্রীতি খেলা

অলিম্পিক গোল

# তারিখ ভেনু প্রতিপক্ষ স্কোর ফলাফল প্রতিযোগিতা
১৯ আগস্ট ২০০৮ বেইজিং ওয়ার্কার্স স্টেডিয়াম, বেইজিং, চীন  ব্রাজিল
–০
৩–০
২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক
 ব্রাজিল
–০

সম্মাননা

ক্লাব

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
ম্যানচেস্টার সিটি

আন্তর্জাতিক

আর্জেন্টিনা

একক

তথ্যসূত্র

  1. "Sergio Aguero"। Sergio Aguero official website। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৩ 
  2. "Sergio Aguero Player Profile"। mcfc.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৩ 
  3. "Deportes › Torneo Clausura 2004" (Spanish ভাষায়)। Terra। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৩ 
  4. "Deportes › Torneo Apertura 2004" (Spanish ভাষায়)। Terra। ২৬ নভেম্বর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৩ 
  5. "Biografía de Sergio Kun Agüero" (Spanish ভাষায়)। ABCpedia.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৩ 
  6. "Sergio Agüero, El Demonio Rojo"। Independiente1905.com.ar। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৩ 
  7. "Atlético agree fee for Independiente starlet"। ESPN Soccernet। ২৯ মে ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  8. "Atlético sign Argentine prodigy Agüero"। ESPN Soccernet। ৩১ মে ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  9. "Atlético Madrid 2–1 Recreativo Huelva"। ESPN Soccernet। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  10. R.Anchuelo, David (২০ মে ২০০৮)। "Marca names the Madridista captain the best player of the league"রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  11. Lowe, Sid (৩ মার্চ ২০০৮)। "A masterclass from Atlético Madrid's Sergio Agüero dented Barcelona's title hopes and made several Catalan headline-writers look very foolish indeed"। London: The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  12. "Sergio Aguero – Readers Q&A"BBC। ৭ মে ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  13. "Atletico de Madrid confirm return to Europe's elite"Soccerway.com। ১২ মে ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  14. Bailey, Graeme (১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "Argentine grabs brace as Madrid beat PSV"। Sky Sports। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  15. "Atletico stun Barcelona as Real close up"। CNN। ১ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০০৯ 
  16. "Quique Sánchez Flores and Diego Forlán prefer Sergio Agüero to Lionel Messi" (স্পেনীয় ভাষায়)। Marca। ৭ এপ্রিল ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  17. Doyle, Paul (১২ মে ২০১০)। "Atlético Madrid v Fulham - as it happened"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  18. "Atlético Madrid 0–2 Sevilla – Match Report"। London: The Daily Telegraph। ১৯ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  19. Madden, Paul (২৭ আগস্ট ২০১০)। "Atletico Madrid Goal Heroes José Antonio Reyes & Kun Agüero Praise Team After Inter Win"। Goal.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  20. "Agüero agrees Atlético stay"। Sky Sports। ৪ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  21. "Agüero named Atlético vice-captain"অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ৫ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  22. Sinanan, Keeghann (২১ মে ২০১১)। "Mallorca 3-4 AtleticoMadrid: Balearic Islanders survive relegation despite defeat in thriller"। Goal.com।  অজানা প্যারামিটার |accesdate= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  23. Wright, Chris (২৪ মে ২০১১)। "'The Time Has Come' – Sergio Aguero Asks Atletico Madrid to Tear Up His Contract » Who Ate all the Pies"। Whoateallthepies.tv। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  24. "La Hora de Partir"। সার্জিও অ্যাগুয়েরো অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। ২৩ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  25. Rosenow, Martin (১৩ জুলাই ২০১১)। "Agüero: "I will not be returning to Atlético""। Atleticofans.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  26. "Atletico Madrid to use Aguero cash to land Porto star Falcao"। Tribalfootball.com। ৩ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  27. Oscroft, Tim (২৮ জুলাই ২০১১)। "Sergio Aguero joins Manchester City"ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  28. Dominic, King (২৮ জুলাই ২০১১)। "£85m Aguero! Man City complete amazing deal to land Argentina striker"। London: Daily Mail। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  29. Edwards, Luke (২৮ জুলাই ২০১১)। "Sergio Aguero completes £35 milliontransfer to ManchesterCity"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  30. Markham, Carl (২৯ জুলাই ২০১১)। "Manchester City move 'felt right' says Sergio Aguero"। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  31. Bailey, Chris (১৫ আগস্ট ২০১১)। "Man City versus Swansea Premier League match report – Manchester City FC"ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  32. Myall, Steve (১৯ আগস্ট ২০১১)। "£38million Manchester City striker Sergio Aguero: from the gutter to the stars"Daily Mirror। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  33. "Top 20 greatest football debuts"। Yahoo Sports। ১৬ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩Sergio Aguero's stunning first outing for Manchester City on Monday night – in which he scored two goals and set up another – is undoubtedly one of the best Premier League debuts ever seen. 
  34. Wilson, Steve (১৬ আগস্ট ২০১১)। "Top 10 debuts in football to rival Manchester City's Sergio Agüero's"। The Telegraph (London)। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  35. "Tottenham 1–5 Man City"বিবিসি। ২৮ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  36. Magowan, Alistair (১০ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Man City 3–0 Wigan"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  37. Magowan, Alistair (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Fulham 2–2 Man City"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  38. "Blackburn Rovers vs. Manchester City – 1 October 2011 – Soccerway"। Au.soccerway.com। ১ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  39. McNulty, Phil (২৩ অক্টোবর ২০১১)। "Man Utd 1 - 6 Man City"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  40. Magowan, Alistair (২১ ডিসেম্বর ২০১১)। "Two goals from SergioAguero helped Manchester City to a comfortable win over Stoke and ensured they will be top of the Premier League at Christmas"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  41. McNulty, Phil (৩ ডিসেম্বর ২০১২)। "Man City 3–0 Liverpool"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  42. "UEFA Europa League 2011/12 – History – Porto-Man. City"উয়েফা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  43. Kellard, Daniel (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Manchester City 3-0 Blackburn: Balotelli, Aguero & Dzeko fire hosts five points clear at top of Premier League"। Goal.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  44. Ankers, George (২১ মার্চ ২০১২)। "Manchester City 2-1 Chelsea: Tevez sets up late Nasri winner as hosts come from behind to reignite title challenge"। Goal.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  45. "Mystery over Sergio Aguero's 'stupid' foot injury"। The Telegraph। ৩১ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  46. Reuters/Eurosport (৩০ মার্চ ২০১২)। "'Stupid' injury sidelines Aguero"। Yahoo Sports। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  47. "Manchester City's Sergio Agüero forced to miss Sunderland match"। The Guardian। ৩০ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  48. "Manchester City vs. West Bromwich Albion 4 - 0"। Soccerway। ১১ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  49. "Norwich City vs. Manchester City 1 - 6"। Soccerway। ১৪ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  50. McKeown, Tom (২২ এপ্রিল ২০১২)। "Wolves 0-2 Manchester City: Aguero & Nasri efforts relegate hosts as Mancini's men move within three points of United"। Goal.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  51. Lightfoot, Michael (৪ মে ২০১২)। "Aguero voted Manchester City Player of the Year"। Goal.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  52. McNulty, Phil (১৩ মে ২০১২)। "Man City snatch dramatic Premier League title win"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  53. "'Sergio was crying': Kompany relives the moments after City's last-gasp winner"। Mirror Football। ১৩ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  54. "Sun shines on City's victory parade"। Reuters। ১৪ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  55. Goss, Nicholas (১৯ আগস্ট ২০১২)। "Sergio Aguero Injury: Updates on Manchester City Star's Knee Injury"। Bleacher Report। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  56. Bevan, Chris (২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Edin Dzeko scored a minute after coming off the bench to give Manchester City a dramatic late win overFulham"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  57. Ornstein, David (৬ অক্টোবর ২০১২)। "Manchester City 3-0 Sunderland"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  58. McNulty, Phil (৬ নভেম্বর ২০১২)। "Man City 2–2 Ajax"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  59. McNulty, Phil (২২ নভেম্বর ২০১২)। "Man City 1–1 Real Madrid"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  60. McNulty, Phil (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "Man City 4–0 Leeds"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  61. "Sergio Agüero"। Sergio Agüero Official Website। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  62. Harris, Nick (২০ আগস্ট ২০০৮)। "Argentina 3 Brazil 0: Argentina in final after routing arch rivals"। লন্ডন: The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রয়ারি ২০১৩  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  63. Edwards, Daniel (২ জুলাই ২০১১)। "Super-sub Sergio Aguero rescues Argentina as Lavezzi, Tevez & Messi combination fails to ignite"। Goal.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  64. "Ficha del partido"। Conmebol.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  65. "AFP: Argentine media round on Copa America flops"। Google.com। ১ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  66. "Aguero rescues Argentina"। Sky Sports। ২ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  67. "Ficha del partido"। Conmebol.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  68. "Ficha del partido"। Conmebol.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  69. Cruise, Ian (১৬ আগস্ট ২০১১)। "Ardiles: 'Aguero lives to score goals'"। Talksport। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  70. Smith, Rory (২৮ জুলাই ২০১১)। "Manchester City's Sergio Agüero 'only needs a millisecond to make a difference. He is that dangerous'"The Telegraph (London)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  71. "Sergio Aguero and Carlos Tevez: Head-to-head"। Manchester Evening News। ২৮ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  72. Smith, Rory (১৮ জুলাই ২০১১)। "Sergio Aguero is heir apparent to Carlos Tevez and can write golden chapter in City's rise to riches story"। The Telegraph (London)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  73. Lowe, Sid (২৭ জুলাই ২০১১)। "Sergio Agüero is so much more than Carlos Tevez Mark 2"The Guardian (London)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  74. "Man City boss Mancini compares Sergio Aguero to Romario"বিবিসি। ১৬ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  75. "Aguero is 'incredible' and will spark City, insists Barcelona superstar Messi"Daily Mail (London)। ১৪ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  76. Elkington, Mark (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "Maradona a grandfather thanks to Atletico's Agüero"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  77. "Benjamín Agüero Maradona is born on Thursday 19 February and weighs 3.660 kilos"অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  78. Veevers, Lauren (৪ জানুয়ারি ২০১৩)। "Aguero split with his wife"। The Sun। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  79. Byrne, Paul (৪ জানুয়ারি ২০১৩)। "Manchester City star Sergio Aguero splits from Diego Maradona's daughter"। Daily Mirror। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  80. "Sergio Agüero Tattoos"। Vanishing Tattoo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  81. "Sergio Agüero's stats, News – Atletico Madrid"। ESPN Soccernet। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  82. এর মধ্যে রয়েছে কোপা দেল রে এবং এফএ কাপ
  83. এর মধ্যে রয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা ইউরোপা লীগ, উয়েফা ইন্তারতোতো কাপ এবং কোপা লিবার্তাদোরেস
  84. এর মধ্যে রয়েছে এফএ কমিউনিটি শিল্ড, স্পেনীয় সুপার কাপ এবং ইউরোপীয়ান সুপার কাপ
  85. J. Gato (১৩ নভেম্বর ২০০৭)। "Tuttosport 'Golden Boy' award winner" (স্পেনীয় ভাষায়)। El Mundo Deportivo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  86. "Sergio Agüero, Golden Boy"। Aguero10.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ

পুরস্কার ও স্বীকৃতি
পূর্বসূরী
লিওনেল মেসি
ফিফ অনুর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল
২০০৭
উত্তরসূরী
দমিনিক আদিয়াহ