২০১৩-র শাহবাগ আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৪′১৮″ উত্তর ৯০°২৩′৪৫″ পূর্ব / ২৩.৭৩৮৩৩° উত্তর ৯০.৩৯৫৮৩° পূর্ব / 23.73833; 90.39583
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shafaet (আলোচনা | অবদান)
Shafaet (আলোচনা | অবদান)
৩৭ নং লাইন: ৩৭ নং লাইন:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ১৯৭১ সালে তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রসংঘ পাকিস্তানী বাহিনীকে সমর্থন করেছিল। পরবর্তীতে ছাত্রসংঘ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নাম ধারণ করে। একাত্তরে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ছিল যা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তে এবং তাদের আটককৃত ব্যক্তির তালিকা থেকে প্রমাণিত হয়েছে। প্রথমে যে ৯ জনের বিচার করা হয় তাদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর সদস্য। জামায়াত এবং শিবিরের নেতাকর্মীরা ১৯৭১ সালে যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তেমনি ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিচার প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করতে থাকে। শাহবাগ আন্দোলনকে বানচাল করতে তাদের কিছু চেষ্টাও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ১৯৭১ সালে তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রসংঘ পাকিস্তানী বাহিনীকে সমর্থন করেছিল। পরবর্তীতে ছাত্রসংঘ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নাম ধারণ করে। একাত্তরে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ছিল যা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তে এবং তাদের আটককৃত ব্যক্তির তালিকা থেকে প্রমাণিত হয়েছে। প্রথমে যে ৯ জনের বিচার করা হয় তাদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর সদস্য। জামায়াত এবং শিবিরের নেতাকর্মীরা ১৯৭১ সালে যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তেমনি ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিচার প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করতে থাকে। শাহবাগ আন্দোলনকে বানচাল করতে তাদের কিছু চেষ্টাও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়।


[[বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী]] এই রায় ঘোষণার দিন ও রায় ঘোষণার পরের দিনই রায় বাতিলের দাবিতে সারা দেশে হরতাল পালন করে। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই শিবির ও জামায়াত কর্মীরা ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শাহবাগ আসতে থাকা মানুষকে বাঁধা দিতে চেষ্টা করে। রামপুর, মগবাজার এবং মালিবাগে শিবিরকর্মীরা অহিংস আন্দোলনকারীদের লাঠি দিয়ে ধাওয়া করে। তবে তাদের বাঁধা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি।<ref name="palo.8.2.13"/>
[[বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী]] এই রায় ঘোষণার দিন ও রায় ঘোষণার পরের দিনই রায় বাতিলের দাবিতে সারা দেশে হরতাল পালন করে। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই শিবির ও জামায়াত কর্মীরা ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শাহবাগ আসতে থাকা মানুষকে বাঁধা দিতে চেষ্টা করে। রামপুর, মগবাজার এবং মালিবাগে শিবিরকর্মীরা অহিংস আন্দোলনকারীদের লাঠি দিয়ে ধাওয়া করে। তবে তাদের বাঁধা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি।<ref name="palo.8.2.13"/><ref>[http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article588079.bdnews শাহবাগগামী মিছিলে শিবিরের ধাওয়া]</ref>


শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থনে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে যে বাংলাদেশী বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিলেন তারাও জামায়াতের বাঁধার সম্মুখীন হন। পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের ভাষা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাবেশ করার সময় স্থানীয় জামায়াত সমর্থকেরা সমাবেশকারীদের ঘেরাও করে। জামায়াতের এই সমর্থকেরা পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই বন্ধের দাবী জানায়।<ref name="london">[http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-02-08/news/327804 লন্ডনে শাহবাগ সমর্থকদের ঘেরাও], ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, প্রথম আলো</ref>
শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থনে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে যে বাংলাদেশী বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিলেন তারাও জামায়াতের বাঁধার সম্মুখীন হন। পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের ভাষা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাবেশ করার সময় স্থানীয় জামায়াত সমর্থকেরা সমাবেশকারীদের ঘেরাও করে। জামায়াতের এই সমর্থকেরা পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই বন্ধের দাবী জানায়।<ref name="london">[http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-02-08/news/327804 লন্ডনে শাহবাগ সমর্থকদের ঘেরাও], ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, প্রথম আলো</ref>

০৫:০৬, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

২০১৩ সালের শাহবাগ অবরোধ
চিত্র:প্রজন্ম বিপ্লব.jpg
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির শাহবাগ অবরোধকালের গণসমাবেশ
তারিখ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ (2013-02-05)
অবস্থান
ঢাকা 23°44'18" N, 90°23'45" E

কারণ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত সকলের সর্ব্বোচ্চ সাজা প্রদানের দাবীতে

২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন (বা শাহবাগ অবরোধ, শাহবাগ গণ-অবরোধ, "প্রজন্ম চত্বর" গণসমাবেশ, যুদ্ধপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে আন্দোলন) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শাহবাগে ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ শুরু হয়। এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত আসামী আব্দুল কাদের মোল্লার বিচারের রায় ঘোষণা করে। কবি মেহেরুন্নেসাকে হত্যা, আলুব্দি গ্রামে ৩৪৪ জন মানুষ হত্যা সহ মোট ৬টি অপরাধের ৫টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। কিন্তু এতোগুলো হত্যা, ধর্ষণ, সর্বোপরী গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ মেনে নিতে পারেনি। রায়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকার শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করে এবং এর অনুসরণে একসময় দেশটির অনেক স্থানেই সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।[১][২]

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। ২৫শে মার্চ রাতে ও ২৬শে মার্চ ভোর রাত জুড়ে পাকিস্তানী বাহিনী বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৬শে মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করে। প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত এবং প্রচুর নারীর ধর্ষণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ যুদ্ধে জয়লাভ করে। তবে বাংলাদেশেরই কিছু মানুষ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং পাকিস্তানী বাহিনীকে বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে সক্রিয়ভাবে সহায়তা প্রদান করেছিল, যার মধ্যে ছিল গণহত্যা, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন ইত্যাদি। ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ এ সকল অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। ২০১৩ সালের ২১শে জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে আবুল কালাম আযাদ (বাচ্চু রাজাকার)-কে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।[৩]

এরপর ৫ই ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে কাদের মোল্লাকে ৩টি অপরাধের জন্য ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ২টির জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু এতো বড় সব অপরাধের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে যারা মেনে নিতে পারেননি তারা শাহবাগে অহিংস বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। একসময় তা দেশব্যাপী বিক্ষোভে রূপ নেয়। দেশের অন্য যেসব স্থানে উল্লেখযোগ্য বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, চট্টগ্রামের প্রেসক্লাব চত্বর, রাজশাহীর আলুপট্টি মোড়, খুলনার শিববাড়ি মোড়, বরিশালের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বগুড়ার সাতমাথা, যশোরের চিত্রা মোড়, কুমিল্লার কান্দিরপাড়া, কুষ্টিয়ার থানা মোড় ইত্যাদি। শাহবাগের অনেকে বলেছেন তারা মৃত্যুদণ্ডের রায় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চত্বর ছেড়ে যাবেন না।[৪] অন্যদিকে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আনিসুল হক বলেছেন কাদের মোল্লার সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সুযোগ এখনো রয়েছে।[৫]

"প্রজন্ম চত্বর"

এই আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। শাহবাগ মোড় বা শাহবাগ চত্বরে বিপুল সংখ্যক মানুষের বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মানুষের সমাবেশের কারণে এই চত্বরকে অনেকে "প্রজন্ম চত্বর" বলে ডেকেছেন। এই চত্বরে নির্ঘুম রাত কাটান অনেকে। পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনীর কাছে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করেছিল, পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে "শহীদ জননী"-খ্যাত লেখিকা ও সমাজকর্মী জাহানারা ইমাম সোহরাওয়ার্দি উদ্যানেই গণআদালতের মাধ্যমে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী বিচার করেন। প্রজন্ম চত্বর বা শাহবাগ চত্বর এই উদ্যানের বেশ কাছেই অবস্থিত।[৪]

আন্দোলনের প্রকৃতি

এটি মূলত বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন। এতে কোন রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্ব বা কর্তৃত্ব দেখা যায়নি। রাজনৈতিক নেতাদের সংহতি প্রকাশের সুযোগ দেয়া হলে বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব-উল আলম হানিফ এবং সাজেদা চৌধুরী বক্তৃতা দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন।[৬] সমাবেশে বিক্ষোভ ও আন্দোলনের উপায় হিসেবে আন্দোলনকারীরা বেছে নিয়েছেন স্লোগান, গান, কবিতা, নাটক ইত্যাদি। পোড়ানো হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের কুশপুত্তলিকা। আন্দোলনকারীদের দাবীগুলো ছিল- কাদের মোল্লাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি প্রদান[৭][৮], যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সকলকে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি প্রদান[৯][১০][১১], জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা[১২][১৩], জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান বয়কট করা[১৪]

শাহবাগ থেকে টিএসসি-র মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশের দেয়ালে চারুকলার শিক্ষার্থীরা ছবি এঁকে জনতার সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসী কামনা করেছেন। তারা বন্দি যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আব্দুল কাদের মোল্লা সহ অনেকের ব্যঙ্গচিত্র আঁকেন। তিরন্দাজ নামের একটি নাটকের দল অনৈতিহাসিক নামক একটি নাটক মঞ্চস্থ করে।[৪]

প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশের জনগণ

আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি দাবি করে সারা বাংলাদেশে আন্দোলন শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে পাচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। শাহবাগে এই আন্দোলন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা শুরু করলেও খুব দ্রুতই এই আন্দোলন সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, সাংসদ, মন্ত্রী ও সেলিব্রিটিরাও সংহতি প্রকাশ করে।

রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতিক্রিয়া

আওয়ামী লীগ এই রায়ে অসন্তুষ্ট হয়।

সারা বিশ্বে

বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডায়ও আন্দোলন সংগঠিত হতে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের সংগীত শিল্পী কবীর সুমন এই আন্দোলনকে নিয়ে একটি গান রচনা করেন। [১৫]

জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ১৯৭১ সালে তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রসংঘ পাকিস্তানী বাহিনীকে সমর্থন করেছিল। পরবর্তীতে ছাত্রসংঘ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নাম ধারণ করে। একাত্তরে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ছিল যা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তে এবং তাদের আটককৃত ব্যক্তির তালিকা থেকে প্রমাণিত হয়েছে। প্রথমে যে ৯ জনের বিচার করা হয় তাদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর সদস্য। জামায়াত এবং শিবিরের নেতাকর্মীরা ১৯৭১ সালে যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তেমনি ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিচার প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করতে থাকে। শাহবাগ আন্দোলনকে বানচাল করতে তাদের কিছু চেষ্টাও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই রায় ঘোষণার দিন ও রায় ঘোষণার পরের দিনই রায় বাতিলের দাবিতে সারা দেশে হরতাল পালন করে। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই শিবির ও জামায়াত কর্মীরা ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শাহবাগ আসতে থাকা মানুষকে বাঁধা দিতে চেষ্টা করে। রামপুর, মগবাজার এবং মালিবাগে শিবিরকর্মীরা অহিংস আন্দোলনকারীদের লাঠি দিয়ে ধাওয়া করে। তবে তাদের বাঁধা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি।[৪][১৬]

শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থনে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে যে বাংলাদেশী বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিলেন তারাও জামায়াতের বাঁধার সম্মুখীন হন। পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের ভাষা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাবেশ করার সময় স্থানীয় জামায়াত সমর্থকেরা সমাবেশকারীদের ঘেরাও করে। জামায়াতের এই সমর্থকেরা পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই বন্ধের দাবী জানায়।[১৭]

ছবিতে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে আন্দোলন

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Protesters demand death for Bangladesh war crimes Islamist"Reuters। 6 February, 2013। সংগ্রহের তারিখ 8 February 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Thousands in Bangladesh war crimes protest"Aljazeera। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  3. প্রথম রায়ে আযাদের ফাঁসি, ২১ জানুয়ারি ২০১৩, বিডিনিউজ২৪ ডট কম
  4. প্রতিবাদের সুতোয় গাঁথা বাংলাদেশ, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, প্রথম আলো
  5. সাক্ষাৎকারে আনিসুল হক: মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সুযোগ এখনো রয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, প্রথম আলো
  6. [১]
  7. "Huge Bangladesh rally seeks death penalty for Islamists"BBC। 8 February, 2013। সংগ্রহের তারিখ 9 February 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  8. "Protesters continue to demand death penalty for Bangladesh war criminal Abdul Quader Mollah"newstrackindia। 8 February, 2013। সংগ্রহের তারিখ 9 February 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  9. "Teeming thousands chant 'Hang them all'"Bdnews24.com। 8 February, 2013। সংগ্রহের তারিখ 9 February 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  10. "Bangladesh Protest Calls for Death for War Crimes"ABC News। 8 February, 2013। সংগ্রহের তারিখ 9 February 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  11. "Nationwide protests in B'desh; death for war criminals demanded"zeenews। 9 February, 2013। সংগ্রহের তারিখ 9 February 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  12. "Shahbagh grand rally demands ban on Jamaat"The Daily Star। 9 February, 2013। সংগ্রহের তারিখ 9 February 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  13. "Cry for Jamaat ban"Bdnews24.com। 8 February, 2013। সংগ্রহের তারিখ 9 February 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  14. "Vow to boycott Jamaat institutions"The Daily Star। 9 February, 2013। সংগ্রহের তারিখ 9 February 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  15. সুমনের গানে ‘গণদাবি’
  16. শাহবাগগামী মিছিলে শিবিরের ধাওয়া
  17. লন্ডনে শাহবাগ সমর্থকদের ঘেরাও, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, প্রথম আলো