আসাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ r2.7.3) (Robot: Modifying ka:ასამი (შტატი) to ka:ასამის შტატი |
|||
১২১ নং লাইন: | ১২১ নং লাইন: | ||
[[ka:ასამის შტატი]] |
[[ka:ასამის შტატი]] |
||
[[ko:아삼 주]] |
[[ko:아삼 주]] |
||
[[la: |
[[la:Asama]] |
||
[[lt:Asamas]] |
[[lt:Asamas]] |
||
[[lv:Asama]] |
[[lv:Asama]] |
০৩:১৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
আসাম আসাম অসম | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: ২৬°০৯′ উত্তর ৯১°৪৬′ পূর্ব / ২৬.১৫° উত্তর ৯১.৭৭° পূর্ব | |
এলাকার ক্রম | 16th |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ২,৬৬,৫৫,৫২৮ |
• ক্রম | 14th |
ওয়েবসাইট | assam.gov.in |
† Assam had a legislature since 1937 |
আসাম (অসমীয়া: অসম অখ়ম্) ভারতের একটি উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য। এটি হিমালয়ের দক্ষিণে অবস্থিত এবং এর অভ্যন্তরে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ, বরাক উপত্যকা এবং উত্তর কাছাড় পর্বতমালা। উত্তর পূর্ব ভারতের আরও সাতটি রাজ্য যথা, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, এবং মেঘালয় দ্বারা আসাম বেষ্টিত এবং আসামসহ প্রতিটি রাজ্যই উত্তরবঙ্গের একটি সংকীর্ণ অংশ দ্বারা ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত। এছাড়াও আসামের আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভূটান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে।
১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে ইয়ানদাবু চুক্তির মাধ্যমে আসাম প্রথম ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। আসাম মূলত চা, রেশম, পেট্রোলিয়াম এবং জীববৈচিত্রের জন্য বিখ্যাত। আসাম সাফল্যের সঙ্গে একশৃঙ্গ গন্ডার সংরক্ষণ করে তাদের অবলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছে। এছাড়াও আসামে বাঘ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সংরক্ষিত হয়েছে, এবং এশীয় হাতির একটি অন্যতম বাসস্থান হল আসাম। এই রাজ্যটি বণ্যপ্রাণী পর্যটনের ক্ষেত্রে ক্রমেই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হয়ে উঠছে।
নামের উৎপত্তি
মহাভারতে প্রাগ্জ্যোতিষপুর হিসাবে আসামের নামোল্লেখ পাওয়া যায়। এতদ্ব্যতীত খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে কামরূপ নামে এই অঞ্চলের পরিচিতি ছিল। এই অঞ্চলে আহোম সাম্রাজ্য (১২২৮-১৮২৬) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে এই রাজ্য "আসাম" নামে পরিচিত হয়।
ভৌগোলিক অবস্থান
ইতিহাস
প্রাগৈতিহাসিক যুগ
আসাম এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলসমূহে প্রস্তর যুগ থেকেই মানুষের বসবাসের প্রমাণ পাওয়া যায়। সপ্তদশ থেকে অষ্টাদশ শতকের মধ্যে রচিত কালিকাপুরাণ অনুসারে আসামের প্রাচীনতম শাসক ছিলেন মহীরঙ্গ।
আদিযুগ এবং মধ্যযুগ
ব্রিটিশ আসাম
ব্রিটিশ শাসনোত্তর আসাম
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই আসাম সহ সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতে অর্থনৈতিক সমস্যা প্রকট হতে শুরু করে। যার ফলে ওই অঞ্চলে সার্বভৌমত্ব দাবী করে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকেই আসামে অধুনা বাংলাদেশ (তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান) থেকে শরণার্থীরা আসতে শুরু করে। ১৯৬১ সালে আসামের তৎকালীন সরকার বিধানসভায় একটি বিল পাশ করে, যার দ্বারা সমগ্র আসামে একমাত্র সরকারি ভাষা হিসাবে অসমীয়াকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে আসামের কাছাড় অঞ্চলের বঙ্গভাষীদের ভাষা আন্দোলনের পরে বিলটি প্রত্যাহৃত হয়।
বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকের পর থেকে আসামে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী যথা, ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (আলফা) এবং ন্যাশনাল ডেমক্রেটিক ফ্রন্ট অব বোরোল্যান্ড জন্ম নেয়।
বর্তমান অবস্থা
চা-এর ইতিহাস
উপবিভাগসমূহ
জনসংখ্যা
ধর্ম
আসামের প্রধান ধর্মগুলি হল হিন্দুধর্ম (৬৪.৯%) এবং ইসলাম (৩০.৯%)। এছাড়া অন্যান্য ধর্মগুলির মধ্যে রয়েছে খ্রিস্ট ধর্ম (৩.৭%), শিখ ধর্ম (১%), বৌদ্ধ ধর্ম, ইত্যাদি।
হিন্দুধর্ম
ব্রাহ্ম সমাজ
ইসলাম
খ্রিস্ট ধর্ম
বৌদ্ধ ধর্ম
সাংস্কৃতিক বিবর্তন
উৎসব
আসাম বিভিন্ন উত্সব আর মেলার ভূমি। এই রাজ্যের প্ৰধান উত্সবঃ বিহু, মেদাম-মে-ফি, ঈদ, মহরম, শঙ্করদেবের জন্মোত্সব, বৈচাগু, আলি-আই-লিগাং, বাইখু, রংকের, অম্বুবাচী মেলা, জোনবিল মেলা ইত্যাদি। এই রাজ্যের বাসিন্দারা ভারতের অন্য প্ৰান্তরের মতো দূৰ্গা পূজা, কালি পূজা,দীপান্বিতা আদি পালন করে। বিহুঃ বিহু আসামের প্ৰধান উত্সব। জাতি, ধৰ্ম, বৰ্ণ নির্বিশেষে অসমবাসী বিহু পালন করে। বিহু তিনটি- ব'হাগ (রঙালি) বিহু, মাঘ (ভোগালী) বিহু আর কাতি (কঙালি) বিহু।