ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[অপরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
অ r2.7.3) (বট যোগ করছে: bpy, de, en, es, hi, id, la, ms, new, pt, ru, uk |
|||
১৮৮ নং লাইন: | ১৮৮ নং লাইন: | ||
===== '''পরিসংখ্যান বিভাগ''' ===== |
===== '''পরিসংখ্যান বিভাগ''' ===== |
||
বাংলাদেশের প্রথম একাডেমিক ভাবে স্বীকৃত পরিসংখ্যানবিদ ও সাহিত্যিক অধ্যাপক [[কাজী মোতাহার হোসেন|ডঃ কাজী মোতাহার হোসেন]] বাংলাদেশে পরিসংখ্যান শিক্ষা ও গবেষণা বিস্তারে সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করে মাত্র একজন সুদক্ষ পরিসংখ্যানবিদ শহীদ অধ্যাপক এ.এন.এম. মুনিরুজ্জামানকে নিয়ে [[১৯৫০]] সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের গোড�% |
বাংলাদেশের প্রথম একাডেমিক ভাবে স্বীকৃত পরিসংখ্যানবিদ ও সাহিত্যিক অধ্যাপক [[কাজী মোতাহার হোসেন|ডঃ কাজী মোতাহার হোসেন]] বাংলাদেশে পরিসংখ্যান শিক্ষা ও গবেষণা বিস্তারে সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করে মাত্র একজন সুদক্ষ পরিসংখ্যানবিদ শহীদ অধ্যাপক এ.এন.এম. মুনিরুজ্জামানকে নিয়ে [[১৯৫০]] সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের গোড�% |
||
[[bpy:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] |
|||
[[de:University of Dhaka]] |
|||
[[en:University of Dhaka]] |
|||
[[es:Universidad de Daca]] |
|||
[[hi:ढाका विश्वविद्यालय]] |
|||
[[id:Universitas Dhaka]] |
|||
[[la:Universitas Daccae]] |
|||
[[ms:Universiti Dhaka]] |
|||
[[new:ढाका विश्वविद्यालय]] |
|||
[[pt:Universidade de Daca]] |
|||
[[ru:Университет Дакки]] |
|||
[[uk:Даккський університет]] |
০৮:৩৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
আপনাকে অবশ্যই এই পরিষ্করণ টেমপ্লেটে একটি |reason=
প্যারামিটার যোগ করতে হবে - এটি {{পরিষ্করণ|date=এপ্রিল ২০১২|reason=<এখানে কারণ লিখুন>}}
-এর সাথে প্রতিস্থাপন করুন, অথবা পরিষ্করণ টেমপ্লেটটি সরান।
পরিষ্করণের কোন কারণ ছাড়াই নিবন্ধসমূহ ট্যাগ করা হয়েছে
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। (এপ্রিল ২০১২) |
উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্মত অবস্থায় আনতে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদের উইকিফাই প্রয়োজন। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত আন্তঃসংযোগ প্রয়োগের মাধ্যমে নিবন্ধের উন্নয়নে সহায়তা করুন। |
চিত্র:Dhaunilogo.jpg | |
লাতিন: University of Dhaka | |
নীতিবাক্য | সত্যের জয় সুনিশ্চিত Truth Shall Prevail |
---|---|
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯২১ |
আচার্য | জিল্লুর রহমান |
উপাচার্য | অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক |
ডিন | ৬ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৮০৫[১] [২] |
শিক্ষার্থী | প্রায় ৩৩৫০০[৩] [৪] |
ঠিকানা | রমনা, ঢাকা- ১০০০ , ঢাকা , বাংলাদেশ |
শিক্ষাঙ্গন | ৬০০ একর[৫] [৬] |
সংক্ষিপ্ত নাম | ঢাবি (DU) |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | www.univdhaka.edu |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়। এটি একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এখানে প্রায় ৩৩৫০০ ছাত্রছাত্রী এবং ১৮০৫ জন শিক্ষক রয়েছে৷ [৭] [৮]এটি ১৯২১ সালে স্থাপিত হয়৷ প্রতি বছর এখানে প্রায় ৬০০০ ছাত্র ভর্তি হয়৷ বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিত সম্প্রদায়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলাদেশ বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি পদক লাভ করেছেন।[৯] [১০]
অবস্থান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এর উত্তর দিকে নিউ এলিফ্যান্ট রোড এবং শাহবাগ। পশ্চিমে ইডেন কলেজ, দক্ষিণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, পূর্বে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অবস্থিত।
ইতিহাস
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্ত্বার বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ব্রিটিশ ভারতে তত্কালীন শাসকদের অন্যায্য সিদ্ধান্তে পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতিবাদের ফসল হচ্ছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ সম্পর্কে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী গ্রন্থে লিখেছেন, “বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। লর্ড লিটন যাকে বলেছিলেন ‘স্পেল্নডিড ইম্পিরিয়াল কমপেনসেশন’। পূর্ববঙ্গ শিক্ষাদীক্ষা, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিল। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পর এ অবস্থার খানিকটা পরিবর্তন হয়েছিল, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে।[১১]১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিন দিন পূর্বে ভাইসরয় এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়ে ছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব করেন ব্যারিস্টার আর. নাথানের নেতৃত্বে ডি আর কুলচার, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নবাব সিরাজুল ইসলাম, ঢাকার প্রভাবশালী নাগরিক আনন্দচন্দ্র রায়, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ডব্লিউ.এ.টি. আচির্বল্ড, [[জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়|জগন্নাথ কলেজ-এর অধ্যক্ষ ললিত মোহন চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা মাদ্রাসার (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) তত্ত্বাবধায়ক শামসুল উলামা আবু নসর মুহম্মদ ওয়াহেদ, মোহাম্মদ আলী (আলীগড়), প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ এইচ.এইচ.আর.জেমস, প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সি.ডব্লিউ. পিক, এবং সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ সতীশ্চন্দ্র আচার্য। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং সে বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়। ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাশ করে 'দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০'। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে রফিকুল ইসলামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর গ্রন্থ থেকে জানা যায়, নাথান কমিটি রমনা অঞ্চলে ৪৫০ একর জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এই জায়গায় তখন ছিল ঢাকা কলেজ, গভর্নমেন্ট হাউস, সেক্রেটারিয়েট ও গভর্নমেন্ট প্রেসসমূহ। সৃষ্টির শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ে। কলকাতার তত্কালীন একটি শিক্ষিত মহল ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে। এ ছাড়া ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এর ফলে পূর্ব বাংলার মানুষ হতাশা প্রকাশ করে। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পেশের আহ্বান জানান। ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এ বিলে সম্মতি দেন। এ আইনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। এ আইনের বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই। সে সময়ের ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির উপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশের পরিত্যক্ত ভবনাদি এবং ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনসমূহের সমন্বয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার এই দিনটি প্রতিবছর "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস" হিসেবে পালন করা হয়।
তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারসী ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং আইন।
প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ (ইংরেজি বিভাগ; এমএ-১৯২৩)। যে সব প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন তারা হলেনঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ.সি. টার্নার, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, জি.এইচ.ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিউ.এ.জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, স্যার এ. এফ. রাহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও ভারত বিভক্তি আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা উজ্জীবিত হয়। নতুন উদ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড শুরু হয়। তৎকালীন পূর্ববাংলার ৫৫ টি কলেজ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। ১৯৪৭-৭১ সময়ের মধ্যে ৫টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সনের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। এতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রী সহ শহীদ হয়েছেন বহুজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের সরকার প্রবর্তিত অর্ডিন্যান্স বাতিলের জন্য ষাটের দশক থেকে শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ উক্ত অর্ডিন্যান্স বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডার-১৯৭৩ জারি করে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় এই অর্ডার দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।[১২]
১৯২১ সাল হতে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা
শিক্ষাবর্ষ | মুসলমান ছাত্র সংখ্যা | মোট ছাত্র সংখ্যা |
১৯২৯- '৩০ | ৪২৭ | ১৩০০ (ট্রেনিং কলেজ ও মেডিকেল স্কুলের ছাত্র বাদে) |
১৯৩০-৩১ | ৩৯৯ | ১৩০০ |
১৯৩০-[১৯৩৪[|৩৪]] | ১০২৭ | |
১৯৩৪-৩৫ | ৯৩৩ (৩৯ জন ছাত্রীসহ) | |
১৯৩৭-৩৮ | ৫৯৫ | ১৫২৭ |
১৯৩৯-৪০ | ৬৭৩ | ১৫২৭ |
১৯৪০-৪১ | ৬০০ | ১৬৩৩ |
১৯৪৫-৪৬ | ১০০০(৯০ জন ছাত্রীসহ) | |
১৯৪৬-৪৭ | ১০৯২(১০০জন ছাত্রীসহ) | |
১৯৪৭-৪৮ | ১৬৯৩(৭২জন ছাত্রীসহ) |
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত প্রতিষ্ঠান
দেশের সর্ব প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৩ টি অনুষদ, ৭০ টি বিভাগ, ১০ টি ইনস্টিটিউট এবং ৩৯ টি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্যে রয়েছে ২০ টি আবাসিক হল ও হোস্টেল।
অনুষদ সমূহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ও এর অন্তর্গত বিভাগ গুলো হল:
কলা অনুষদ
প্রতিষ্ঠা কাল: ১৯২১
বিভাগ সমূহ:
বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বাংলা বিভাগ এর কার্যক্রম শুরু করে। এ বিভাগের প্রথম অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ছিলেন মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। মুহম্মদ শহীদুল্লাহও (পরে ডক্টর) তখন থেকেই এই বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ডঃ মুহম্মদ শহিদুল্লাহের মত আরও অনেক মনীষী, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ এবং গবেষক এর বিভাগের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় এই বিভাগের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত (১৯৫৮ থেকে) "সাহিত্য পত্রিকা" বিভাগের গবেষণার গৌরবময় ঐতিহ্য এখন পর্যন্ত ধরে রেখেছে। ১৯৭১-এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে বাংলা বিভাগ সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে। এই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী ও আনোয়ার পাশা এবং কয়েকজন ছাত্র আত্মদান করে শহীদের মর্যাদা লাভ করেছে। অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী আবিষ্কৃত মুনীর অপটিমা" নামক টাইপরাইটার বাংলা বিভাগের আরেকটি অবদান। [১৪]।
ইংরেজি
ইংরেজি বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমবয়স্ক। বর্তমানে এই বিভাগে ৩৬ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক, ১ জন অনারারি অধ্যাপক, ১ জন খণ্ডকালীন অধ্যাপক এবং ১ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন। ইংরেজি বিভাগের ইতিহাসকে তিনটি সুনির্দিষ্ট পর্যায়ে ভাগ করা যায়। বৃটিশ পর্যায়ে প্রথম বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত হয়েছিলেন সি. এল. রেন। ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগের পর পুরোনো শিক্ষকদের অনেকে ইংরেজি বিভাগ ত্যাগ করেন। তবে পরবর্তীতে অধ্যাপক এ. জি. স্টক এর মত পণ্ডিত ব্যক্তি এই বিভাগে যোগ দেন। সাহিত্যের এবং ভাষার অন্যবিধ উন্নয়নে বড় অবদান রাখার মতো ছাত্র তৈরি করার ঐতিহ্যবাহী ভূমিকাও এ-বিভাগ সব সময় পালন করেছে। ইংরেজি বিভাগের অনেক শিক্ষক ও ছাত্র ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। দু'জন শিক্ষক ডঃ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা এবং জনাব রাশিদুল হাসান এবং ৭ জন ছাত্র ১৯৭১-এ শহিদ হন। [১৫]
ফারসী ও উর্দু
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে কয়টি বিভাগ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে ফারসী ও উর্দু তার অন্যতম। তখন ফার্সিতে স্নাতকোত্তর এবং উর্দু সাবসিডিয়ারি হিসেবে শিক্ষাদান করা হত। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর উর্দুতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্স শুরু হয়। এই বিভাগের প্রথম বিভাগীয় প্রধান খান বাহাদুর ফিদা আলী খান। বিভাগের উল্লেখযোগ্য শিক্ষকের মধ্যে ছিলেন ড: আন্দালিব শাদানী, ডঃ শওকত সবজওয়ারী, ড. হানিফ আফতাব আহমেদ সিদ্দিকী।। বাংলাদেশে ফার্সি ও উর্দু চর্চা এবং এর বিশাল ও বৈচিত্র্যময় সাহিত্য ভাণ্ডার থেকে রস আস্বাদনের ক্ষেত্রে এ বিভাগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। [১৬]
দর্শন
দর্শন বিভাগের শুরু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে। ১৯৫২-৫৩ শিক্ষাবর্ষে দর্শন বিভাগ "দর্শন ও মনোবিজ্ঞান" বিভাগ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৬৫ সালের আগস্ট মাসে মনোবিজ্ঞান বিভাগ দর্শন বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে যায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে শহীদ হন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব। প্রতিষ্ঠা লগ্নে এর বিভাগীয় প্রধান ছিলেন জর্জ হ্যারি ল্যাংলি। শহীদ ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব তার মৃত্যুর পূর্বে দর্শন গবেষণা, বিশেষ করে মানব কল্যাণ, সামাজিক প্রগতি, বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও বিশ্বশান্তির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অনুকূলে তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির ৫০% উইল করে দিয়ে যান। তার উইলকৃত অর্থে ১৯৮০ সালের ডিসেম্বর মাসে দর্শন বিভাগে প্রতিষ্ঠিত হয় "দেব সেন্টার ফর ফিলসফিক্যাল স্টাডিজ"। এই কেন্দ্রের উদ্যোগে নিয়মিত ভাবে "দর্শন ও প্রগতি" নামে একটি বাংলা এবং Phylosophy and Progress নামে একটি ইংরেজি জার্নাল প্রকাশিত হয়। কেন্দ্রের উদ্যোগে মাসিক সেমিনার এবং প্রতিবছর দেব স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।[১৭]
ইতিহাস
১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেই ইতিহাস বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে মাত্র ৭ জন স্নাতক সম্মান শ্রেণীর শিক্ষার্থী থাকলেও ১৯২৩ সালে স্নাতকোত্তর শেষ পর্বে ১৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। শুরুতে বিভাগে শিক্ষক ছিলেন মাত্র ৫ জন। বর্তমানে ২৯ জন নিয়মিত শিক্ষক ও ২ জন সংখ্যাতিরিক্ত শিক্ষক, ১ জন অনারারি শিক্ষক এবং ৫ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬০০ জন। শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ও খেলাধুলায় এ বিভাগের উজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। ত্রিশের দশক থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে এই বিভাগের ভূমিকা অপরিসীম। মুক্তিযুদ্ধে এই বিভাগের ৩ জন শিক্ষক ও ৩ জন ছাত্র শহীদ হন।[১৮]
আরবি
১৯২১ সালে আরবি ও ইসলামী স্টাডিজ বিভাগ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি শিক্ষা শুরু হয়। শামসুল ওলামা আবু নসর অহীদ ছিলেন আরবি বিভাগের প্রথম বিভাগীয় প্রধান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রদের মধ্য থেকে মধ্য থেকে প্রথম উপাচার্য এই বিভাগেরই ছাত্র ও শিক্ষক ডঃ এস.এম.হুসাইন। ১৯৮০ সালে আরবি বিভাগ স্বতন্ত্র বিভাগে পরিণত হয়। প্রতিষ্ঠাকালে বিভাগের শিক্ষক ছিলেন মাত্র চার জন। বর্তমানে (২০০৬) একুশ জন শিক্ষক আছেন এবং ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। [১৯]
ইসলামিক স্টাডিজ
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ১৯৮০ সালে বিভক্ত হয়ে স্বতন্ত্র "ইসলামিক স্টাডিজ" বিভাগ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে এই বিভাগে প্রায় ১৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। [২০]
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
মাত্র তিন জন শিক্ষক নিয়ে ১৯৪৮ সালে ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আব্দুল হালিম শুরুতে এই বিভাগের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৫০ সালে অধ্যাপক আবু মাহমেদ হাবিবুল্লাহ বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিলে পূর্ণাঙ্গ বিভাগ হিসেবে যাত্রা শুরু হয় এই বিভাগের। আবু মাহমেদ হাবিবুল্লাহ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এই বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন অধ্যাপক মমতাজুর রহমান তরফদার, অধ্যাপক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক এস এম ইমামুদ্দিন, অধ্যাপক আগা মাহদি হুসায়ন, অধ্যাপক এস. এ. কিউ. হুসায়নী প্রমুখ বিখ্যাত পণ্ডিতবর্গ। [২১]
সংস্কৃত ও পালি
সংস্কৃত ও পালি ভাষা-সাহিত্য এ উপ-মহাদেশের প্রাচীন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শন ও ইতিহাসের প্রধান বাহন। এ অঞ্চলের অতীত ঐতিহ্যময় সঙ্গে সংস্কৃত ও পালির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। ১৯২১ সাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত ও পালি বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তারপর বিভিন্ন নামে বিভিন্ন সময়ে এ বিভাগ পরিচিতি লাভ করে। ১৯৫০ সালে বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগ এবং ১৯৭০ সালে সংস্কৃত ও পালি বিভাগ। বর্তমানে শেষোক্ত নামই অব্যাহত আছে। এ উপমহাদেশের প্রথিতযশা পণ্ডিতদের অনেকেই এই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের মধ্যে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, ড. সুশিলকুমার দে, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। এই বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সাথে সাথে এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি ডিগ্রির কার্যক্রমও শুরু হয়।[২২]
তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা
তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সূচনা ১৯৫৯ সালে, যদিও তখন এর নাম ছিল 'গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিভাগ'। সে সময় এটি শুধু ডিপ্লোমা কোর্সে শিক্ষাদান করত। পরবর্তীকালে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে স্লাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান শুরু হয়। ১৯৮৭ সালে বিভাগের নাম পরিবর্তন করে 'গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ' রাখা হয় এবং এটি তিন বছরের স্নাতক ডিগ্রি প্রদান শুরু করে। পরবর্তী সময়ে বিভাগের নাম আবার পরিবর্তন করে রাখা হয় 'তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ'। ২০০৪ সালের জুলাই থেকে বিভাগে এম,এ (ইভনিং) ডিগ্রি প্রদান শুরু হয়।
ভাষাবিজ্ঞান
১৯৯২ সালে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যদিও ১৯৮০ সাল থেকে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করত। ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম ১৯৯৬-১৯৯৭ শিক্ষাবর্ষে শুরু হয়। ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ শুরু করার পর থেকেই এম. ফিল. ও পিএইচডি ডিগ্রি চালু আছে।
নাট্যকলা ও সঙ্গীত
১লা সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ সালে নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের অধীনে নাট্যকলা বিষয় ১৯৮৯ সালে, সঙ্গীত বিষয় ১৯৯৩ শিক্ষাবর্ষে সাবসিডিয়ারি কোর্স এবং ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষ হতে নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিষয়ে এম. এ. (প্রিলিমিনারী) কোর্স চালু হয়। ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষ হতে সঙ্গীত বিষয়ে এবং ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ হতে নাট্যকলা বিষয়ে এম. ফিল. কোর্স চালু হয়। বর্তমানে সঙ্গীত বিষয়ে পিএইচ. ডি. কোর্স চালু আছে। ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ হতে ৪ বছর মেয়াদী বি. এ. অনার্স কোর্স চালু হয়। ১৯৯৮ সালে নাট-মন্ডল নামে বিভাগের একটি মিলনায়তন প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব
বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের পরস্পরকে জানা ও উপলব্ধি করা এবং পারস্পরিক সৌহার্দের পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৯ সালে তুলনামূলক ধর্ম বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এক বছরের মধ্যেই এর নাম পরিবর্তন করে বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব রাখা হয়। ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষ হতে এম. এ. এবং ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষ হতে বি. এ. অনার্স কোর্স চালু হয়।
বিজ্ঞান অনুষদ
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিজ্ঞান অনুষদ এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত এই তিনটি বিভাগ নিয়ে এই অনুষদ যাত্রা শুরু করে। বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে কয়েকটি কেন্দ্র আছে। এগুলো হলঃ বোস সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ, সেমি কন্ডাক্টর টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার, রিনিউয়েবল এনার্জি রিসার্চ সেন্টার, ব-দ্বীপ গবেষণা কেন্দ্র, দু্র্যোগ গবেষণা প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র। [২৩]
বিভাগ সমূহ
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত বারটি বিভাগের একটি হল পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ। প্রায় জন্ম লগ্নেই এই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও প্রতিভাবান বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। দেশ বিভাগের সময় অধিকাংশ কৃতী শিক্ষক এই বিভাগ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। তারপরও পরবর্তীকালে তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান, নিউক্লীয় পদার্থ বিজ্ঞান, কঠিনাবস্থার পদার্থ বিজ্ঞান, জৈব ও চিকিৎসা পদার্থ বিজ্ঞান, সৌরশক্তি, ভূ-পদার্থ বিজ্ঞান, আবহাওয়া বিজ্ঞান ও লেজার পদার্থ বিজ্ঞানে ক্রমে ক্রমে সক্রিয় গবেষকের কর্মকাণ্ডে এই বিভাগ বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিজ্ঞান বিভাগে পরিণত হয়েছে এবং এর অবদান ও সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে। [২৪]
গণিত বিভাগ
১৯২১ সালে প্রখ্যাত গণিতবিদ অধ্যাপক ভূপতিমোহন সেন ও ডঃ নলিনীমোহন বসুর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে পূর্ব বাংলা সরকারের সচিবালয় ভবনের কক্ষে এবং কিছু কাল কার্জন হলের পশ্চিম দোতালায় গণিত বিভাগ অবস্থিত ছিল। তারপর বর্তমান প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নীচতলার পূর্বদিকের অর্ধাংশে বিভাগটি সাময়িক অবস্থিত ছিল। এরপর একই ভবনের তিন তলার পশ্চিম দিকের অর্ধেক অংশ গণিত বিভাগকে দেওয়া হয়। সর্বশেষ, ১৯৬৫ সালে সায়েন্স অ্যানেক্স ভবনের তিন তলা গণিত বিভাগের জন্য ঠিক করা হয়। ১৯৭৪-৭৫ শিক্ষাবর্ষে এম.ফিল. কোর্স এবং ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদী সমন্বিত সম্মান কোর্স চালু হয়। বর্তমানে এ বিভাগের শিক্ষকের সংখ্যা ৩৬ জন এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫৯৩ জন। [২৫]
রসায়ন বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ বাংলাদেশের একটি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বিভাগ। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাথেই এই বিভাগের শুরু। সম্মান, স্নাতক, এম.ফিল. ও পি.এইচ.ডি শল বর্তমানে এই বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৯১০ জন ও শিক্ষক ৩৬ জন। এই বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোকাররম হোসেন খন্দকারের নামানুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোকাররম হোসেন খন্দকার বিজ্ঞান ভবন নির্মিত হয়েছে। বিজ্ঞানী মোকাররম হোসেনের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্চ ১২, ১৯৮১ থেকে বিজ্ঞান ভিত্তিক স্মারক বক্তৃতা চালু হয়, যা আজও অব্যাহত রয়েছে। এই বিভাগে প্রাক্তন ছাত্র কর্তৃক বিভাগের ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য দুইটি অভ্যন্তরীণ বৃত্তি প্রচলিত রয়েছে। এগুলো হল যথাক্রমে ফাতেমা-তামিজউদ্দিন স্কলারশিপ এবং আব্দুল আজিজ পাটোয়ারী মেমোরিয়াল আন্ডারগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ। [২৬]
পরিসংখ্যান বিভাগ
বাংলাদেশের প্রথম একাডেমিক ভাবে স্বীকৃত পরিসংখ্যানবিদ ও সাহিত্যিক অধ্যাপক ডঃ কাজী মোতাহার হোসেন বাংলাদেশে পরিসংখ্যান শিক্ষা ও গবেষণা বিস্তারে সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করে মাত্র একজন সুদক্ষ পরিসংখ্যানবিদ শহীদ অধ্যাপক এ.এন.এম. মুনিরুজ্জামানকে নিয়ে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের গোড�%
- ↑ http://www.univdhaka.edu/the_university/index.php
- ↑ http://www.univdhaka.edu/international/index.php
- ↑ http://www.univdhaka.edu/the_university/index.php
- ↑ http://www.univdhaka.edu/international/index.php
- ↑ http://www.univdhaka.edu/the_university/index.php
- ↑ http://www.univdhaka.edu/international/index.php
- ↑ http://www.univdhaka.edu/the_university/index.php
- ↑ http://www.univdhaka.edu/international/index.php
- ↑ http://www.bas.org.bd/awards/gold-medal-award.html
- ↑ http://www.bas.org.bd/news/news-archive/256.html
- ↑ http://www.prothom-alo.com/detail/news/5587
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা ১৭-১৮
- ↑ সরদার ফজলুল করিম রচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ব বঙ্গীয় সমাজ:অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের আলাপচারিতা
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা-৩৪
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা-৩৫
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠাঃ৩৬-৩৭
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:৩৬
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:৩৫
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:৩৭
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:৩৭
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:৩৬
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:২১
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:৪৫
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:৪৫
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:৪৬