ভ্লাদিমির পুতিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্প্রসারণ |
অ r2.7.2) (বট পরিবর্তন করছে: lez:Владимир Владимирович Путин |
||
| ২০১ নং লাইন: | ২০১ নং লাইন: | ||
[[lb:Wladimir Wladimirowitsch Putin]] |
[[lb:Wladimir Wladimirowitsch Putin]] |
||
[[lbe:Владимир Путин]] |
[[lbe:Владимир Путин]] |
||
[[lez: |
[[lez:Владимир Владимирович Путин]] |
||
[[lt:Vladimiras Putinas]] |
[[lt:Vladimiras Putinas]] |
||
[[lv:Vladimirs Putins]] |
[[lv:Vladimirs Putins]] |
||
১৫:২৬, ২১ আগস্ট ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ভ্লাদিমির পুতিন Владимир Путин | |
|---|---|
 ভ্লাদিমির পুতিনের দাপ্তরিক স্থিরচিত্র | |
| রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
| অধিকৃত কার্যালয় ৮ মে, ২০০৮ | |
| রাষ্ট্রপতি | দিমিত্রি মেদভেদেভ |
| ডেপুটি | ভিক্টর জুবকভ ইগর শুভালভ |
| পূর্বসূরী | ভিক্টর জুবকভ |
| কাজের মেয়াদ ৯ আগস্ট, ১৯৯৯ – ৭ মে, ২০০০ | |
| রাষ্ট্রপতি | বরিস ইয়েলৎসিন |
| পূর্বসূরী | সার্গেই স্টেপাশিন |
| উত্তরসূরী | মিখাইল কাসিয়ানভ |
| রাশিয়ার ২য় প্রেসিডেন্ট | |
| কাজের মেয়াদ ৭ মে, ২০০০ – ৭ মে, ২০০৮ | |
| প্রধানমন্ত্রী | মিখাইল কাসিয়ানভ(২০০০-২০০৪) ভিক্টর খ্রিস্টেনকো(ভারপ্রাপ্ত, ২০০৪) মিখাইল ফ্রাদকভ(২০০৪-২০০৭) ভিক্টর জুবকভ(২০০৭-২০০৮) |
| পূর্বসূরী | বরিস ইয়েলৎসিন |
| উত্তরসূরী | দিমিত্রি মেদভেদেভ |
| রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট | |
| কাজের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ – ৭ মে, ২০০০ | |
| প্রধানমন্ত্রী | স্বয়ং |
| পূর্বসূরী | বরিস ইয়েলৎসিন(রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে) |
| উত্তরসূরী | নেই |
| রাষ্ট্রপতি | বরিস ইয়েলৎসিন |
| প্রধানমন্ত্রী | রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বয়ং |
| পূর্বসূরী | ভিক্টর খ্রিস্টেনকো |
| উত্তরসূরী | মিখাইল কাসিয়ানভ |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ৭ অক্টোবর ১৯৫২ লেনিনগ্রাদ, সোভিয়েত ইউনিয়ন |
| জাতীয়তা | রুশ |
| রাজনৈতিক দল | ইউনাইটেড রাশিয়া |
| অন্যান্য রাজনৈতিক দল | সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি(১৯৭৫ থেকে ১৯৯১) আওয়ার হোম - রাশিয়া(১৯৯৫) |
| দাম্পত্য সঙ্গী | লাইওদমিলা পুতিনা |
| সন্তান | মারিয়া ইয়েক্যাটারিনা |
| প্রাক্তন শিক্ষার্থী | লেনিনগ্রাদ স্টেট ইউনিভার্সিটি |
| পেশা | রাজনীতিবিদ |
| জীবিকা | আইনজীবি |
| ধর্ম | রাশিয়ান অর্থোডক্সি |
| স্বাক্ষর |  |
| ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
| সামরিক পরিষেবা | |
| আনুগত্য |  সোভিয়েত ইউনিয়ন |
| শাখা | কেজিবি |
| কাজের মেয়াদ | ১৯৭৫-১৯৯২ |
| পদ | পোকোভনিক |
| ইউনিট | ২য় প্রধান পরিচালক ১ম প্রধান পরিচালক |
| যুদ্ধ | স্নায়ু যুদ্ধ ১৯৯১ সালের সোভিয়েত অভ্যুত্থান |
ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন (রুশ: Влади́мир Влади́мирович Пу́тин; জন্ম: ৭ অক্টোবর, ১৯৫২) রুশ প্রজাতন্ত্র বা রাশিয়ার অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ২য় মেয়াদে ৭ মে, ২০১২ তারিখ থেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতাসীন। এর পূর্বে ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ ও ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি একীভূত রাশিয়ার সভাপতি এবং রাশিয়া ও বেলারুশের মন্ত্রীসভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
শাসনকাল
৩১ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ সালে পুতিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে রুশ প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বরিস ইয়েলৎসিন আকস্মিকভাবে পদত্যাগ গ্রহণ করার প্রেক্ষাপটেই তাঁর এই দায়িত্বভার গ্রহণ। ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। ২০০৪ সালে পুতিন ২য় মেয়াদে পুণরায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তাঁর এ মেয়াদ শেষ হয় ৭ মে, ২০০৮ সালে। কিন্তু সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতাজনিত কারণে পুতিন ধারাবাহিকভাবে ৩য় মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে দিমিত্রি মেদভেদেভ বিজয় লাভ করেন। এতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভ্লাদিমির পুতিনকে মনোনীত করেন। অতঃপর ৮ মে, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দাপ্তরিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেপ্টেম্বর, ২০১১ সালে পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন যে, তিনি ৩য় মেয়াদের জন্য নতুন করে ২০১২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।২০১২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি ৩য় মেয়াদে জয়লাভ করেন। তার এ মেয়াদকাল ৬ বছর।
সাফল্যগাঁথা
পুতিন তাঁর সময়কালে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এনেছেন।[১] এছাড়াও, তিনি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন চেচনিয়ায় ২য় চেচেন যুদ্ধের মাধ্যমে অঙ্গরাজ্যগুলোর অখণ্ডতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন। পুতিনের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে রাশিয়ায় অর্থনৈতিক ভিত ৯ বছরের মধ্যে জিডিপি ৭২% বৃদ্ধি পায়।[২][৩] দারিদ্র্যতা কমপক্ষে ৫০% কমে যায়।[৪][৫][৬] গড় মাসিক বেতন $৮০ থেকে $৬৪০ ডলার বৃদ্ধি পায়।[২][৭][৮]
প্রেসিডেন্ট থাকাবস্থায় পুতিন লভ্যাংশের উপর কর হ্রাসসহ ১৩% হারে আয়কর ধার্য্যের বিষয়ে আইন পাশ করেন।[৯][১০] জ্বালানী নীতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার ফলে রাশিয়া জ্বালানী খাতে বৃহৎ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।[১১][১২]
বৃহৎ জ্বালানী প্রকল্প হিসেবে রাশিয়ার আণবিক শক্তিতে নবজাগরণের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও অনেকগুলো বৃহৎ রপ্তানী সহায়ক পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থার অবকাঠামো নির্মাণেরও সূচনা হয়। তন্মধ্যে রয়েছে ইস্টার্ণ সাইবেরিয়া-প্যাসিফিক ওশেন অয়েল পাইপলাইন বা এসপো এবং নর্ড স্ট্রিম প্রকল্প অন্যতম।
পুতিনের রাষ্ট্রপতিত্ব নিয়ে পশ্চিমা পর্যবেক্ষক ও দেশের অভ্যন্তরে বিরোধীরা তাকে অগণতান্ত্রিক হিসেবে আখ্যায়িত করে।[১৩] কিন্তু দেশে আইনের শাসন প্রবর্তন ও স্থিতিশীলতা আনয়ণের প্রেক্ষাপটে রুশ সমাজব্যবস্থায় তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
লেনিনগ্রাদে অবস্থানকালীন যুবক বয়সে পুতিন বেশ কয়েকবার জুডো এবং স্যাম্বো (মার্শাল আর্ট) খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। রাশিয়ার ক্রীড়া উন্নয়নেও তিনি প্রধান ভূমিকা রেখেছেন। স্মর্তব্য যে, ২০১৪ সালে সোচিতে অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন অলিম্পিক রাশিয়ায় আয়োজনের লক্ষ্যে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
ক্রীড়া উন্নয়ন
৪ জুলাই, ২০০৭ সালে ভ্লাদিমির পুতিন পরিপূর্ণ ও স্বাভাবিকভাবে ইংরেজি ভাষা প্রয়োগ করে সোচি'র জন্য ২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিক এবং ২০১৪ সালের শীতকালীন প্যারা অলিম্পিকের জন্য সফলভাবে নিলাম ডাকে অংশ নেন। গুয়াতেমালা সিটিতে অনুষ্ঠিত ১১৯তম আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির অধিবেশনে তিনি যোগ দিয়ে এ সফলতা অর্জন করেন।[১৪] এর মাধ্যমেই রাশিয়া প্রথমবারের মতো শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজন করতে সক্ষম হয়। ২০০৮ সালে কাজান শহর ২০১৩ সালের অনুষ্ঠিতব্য ২৭তম গ্রীষ্মকালীন ইউনিভাসিয়েড প্রতিযোগিতা বা বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়ার নিলামে জয়ী হয়। এ প্রতিযোগিতায় শহরটি স্পেনের ভিগো এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গুয়াংজু শহরকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাভূত করে স্বাগতিকের আয়োজকের মর্যাদা পায়। এছাড়াও, রাশিয়া ২০১৭ সালের ফিফা কনফেডারেশন কাপসহ ১মবারের মতো ২০১৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনে স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব পায়।
ভাষা ব্যবহার
রুশভাষী হিসেবে ভ্লাদিমির পুতিন স্বতঃস্ফূর্তভাবে জার্মান ভাষায়ও কথা বলতে পারেন। বাড়ীতে তিনি ও তাঁর পরিবার জার্মান ভাষায় কথা বলে থাকেন।[১৫] প্রেসিডেন্ট হবার পর জানা যায় যে, তিনি ইংরেজি ভাষা শিক্ষাগ্রহণ করছেন। তাঁকে অনানুষ্ঠানিকভাবে সরাসরি বুশ ও ইংরেজভাষীদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে আলাপ-আলোচনার সময় তিনি এখনও অনুবাদকের সহায়তা গ্রহণ করে চলেছেন। পুতিনকে প্রকাশ্যে ইংরেজিতে প্রথমবারের মতো কথা বলতে দেখা যায় ২০০৩ সালে। তখন তিনি বাকিংহ্যাম প্যালেসে ব্রিটেনের রাণী ২য় এলিজাবেথের মা এলিজাবেথ বোজ-লিওনের মৃত্যুতে ইংরেজিতে অল্প কিছু শব্দ প্রয়োগ করেছিলেন।[১৬] তিনি সোচিতে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিকের নিলাম ডাকের অনুষ্ঠানে খুবই স্পষ্ট ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইংরেজি ভাষা প্রয়োগ করেন। গুয়াতেমালা সিটিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির অধিবেশনে তাঁর এ ভূমিকা সকলকে আকৃষ্ট ও চমৎকৃত করেছিল।[১৪]
তথ্যসূত্র
- ↑ Krone-Schmalz, Gabriele (২০০৮)। "Der Präsident"। Was passiert in Russland? (German ভাষায়) (4 সংস্করণ)। München: F.A. Herbig। আইএসবিএন 9783776625257।
- ↑ ক খ "Russians weigh Putin's protégé"। Moscow। Associated Press। ৩ মে ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৯।
- ↑ GDP of Russia from 1992 to 2007 International Monetary Fund Retrieved on 12 May 2008
- ↑ Putin’s Eight Years Kommersant Retrieved on 4 May 2008
- ↑ Russia’s economy under Vladimir Putin: achievements and failures RIA Novosti Retrieved on 1 May 2008
- ↑ Putin’s Economy – Eight Years On. Russia Profile, 15 August 2007. Retrieved on 23 April 2008
- ↑ Putin visions new development plans for Russia China Economic Information Service Retrieved on 2008-05-08.
- ↑ "RUSSIA AVERAGE MONTHLY ACCRUED WAGES OF EMPLOYEES"। Russia's Federal State Statistics Service।
- ↑ "The Putin Paradox"। Americanprogress.org। ২০০৪-০৬-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০২।
- ↑ Sharlet, Robert (২০০৫)। "In Search of the Rule of Law"। White, Gitelman, Sakwa। Developments in Russian Politics। 6। Duke University Press। আইএসবিএন 0822335220।
- ↑ Russia, China in Deal On Refinery, Not Gas by Jacob Gronholt-Pedersen. Wall Street Journal, Sept 22, 2010
- ↑ Did A New Pipeline Just Make Russia The Most Important Energy Superpower By Far by Graham Winfrey. Business Insider, 6 Jan 2010
- ↑ Treisman, D। "Is Russia's Experiment with Democracy Over?"। UCLA International Institute। সংগ্রহের তারিখ 31 Dec. 2007। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=(সাহায্য) - ↑ ক খ wmf . media.kremlin.ru (2007)
- ↑ Wagner, Hans (৩০ জুন ২০০৬)। "Das Konfliktpotential mit den USA wächst (German)"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-২৯।
- ↑ Wardell, Jane (২০০৩-০৬-২৫)। "Putin treated royally on historic London visit"। Findarticles.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০২।
গ্রন্থপঞ্জী
- Burrett, Tina. Television and Presidential Power in Putin's Russia (Routledge; 2010) 300 pages; studies role of increased control of the media in Putin's expansion of presidential and state power.
- Kanet Roger E., ed. Russian Foreign Policy in the 21st Century (Palgrave Macmillan; 2011) 295 pages; essays by experts
- Sakwa, Richard (২০০৮), Putin: Russia’s choice (2nd সংস্করণ), Abingdon, Oxfordshire: Routledge, আইএসবিএন 0203931939
বহিঃসংযোগ
উইকিমিডিয়া কমন্সে Владимир Владимирович Путин সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- Prime Minister of the Russian Federation (রুশ) (ইংরেজি)
- Speech at the 60th Session of the UN General Assembly
|  | |