সূরা ফালাক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
EmausBot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.3) (বট যোগ করছে: uz:Falaq surasi
EmausBot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.2+) (বট পরিবর্তন করছে: tt:Фәләкъ сүрәсе
৮১ নং লাইন: ৮১ নং লাইন:
[[sv:Al-Falaq]]
[[sv:Al-Falaq]]
[[tr:Felak Suresi]]
[[tr:Felak Suresi]]
[[tt:Әл-Фәләкъ]]
[[tt:Фәләкъ сүрәсе]]
[[uz:Falaq surasi]]
[[uz:Falaq surasi]]

১৩:৫৫, ৪ জুলাই ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সূরা ফালাক
সূরা ফালাক
পরিসংখ্যান
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা ইখলাস
পরবর্তী সূরা →সূরা নাস
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ
সূরার অডিও

সূরা আল ফালাক (আরবি ভাষায়: الْفَلَقِ‎) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১৩ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৫টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। আল ফালাক সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।


শানে-নুযূল

সূরা আল ফালাক ও পরবর্তী সূরা নাস একই সাথে একই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)- এর উপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহু্দী জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দুটি পড়ে ফুক দেওয়ায় গিরুগুলো সাথে সাথে খুলে য়ায এবং সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে শয্যা ত্যাগ করেন।[১]

হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)- এর উপর জাদু করলে তার প্রভাবে তিনি মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি, তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে বললেনঃ আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তা'আলা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বললঃ ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ কে জাদু করেছে? উত্তর হল, ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ'সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলঃ কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হল, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হল, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হল, খেজুর ফলের আবরণীতে 'বির যরোয়ান' কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) সে কূপে গেলেন এবং বললেনঃ স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন।[২]

আয়াতসমূহ

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

(১) বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
(২) তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,
(৩) অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
(৪) গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিণীদের অনিষ্ট থেকে
(৫) এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।

তথ্যসূত্র

  1. তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন (১১ খন্ডের সংহ্মিপ্ত ব্যাখ্যা)।
  2. সহীহ্‌ বোখারী শরীফ।

বহিঃসংযোগ