আক্কু চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nasirkhan (আলোচনা | অবদান)
Rabbanituhin-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে WikitanvirBot I-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে
২৬ নং লাইন: ২৬ নং লাইন:


== মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা ==
== মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা ==
শহীদ জননী [[জাহানারা ইমাম]] ১৯৭১-এ ঘাতকদের বিচারের জন্য ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি করেছিলেন যার সদস্য ছিলেন আক্কু চৌধুরী। [[জাহানারা ইমাম|জাহানারা ইমামের]] মৃত্যুর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগিয়ে তোলার চিন্তা থেকেই ১৯৯৪ সালে মোট আট জন ব্যাক্তি আক্কু চৌধুরী, [[মফিদুল হক]], [[আলী যাকের]], [[সারা যাকের]], [[আসাদুজ্জামান নূর]], [[রবিউল হুসাইন]], জিয়া উদ্দিন তারেক আলী ও ড. সারোয়ার আলী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নেন। অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে ৫ নম্বর সেগুনবাগিচায় ২২ মার্চ ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু হয় বেসরকারিভাবে জাদুঘর [[মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর|মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের]]।<ref name="Akku Chowdury1"/> জাদুঘরের দ্বিতীয় বছর পূর্তিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগজিৎ সিং অরোরা। ১৯৯৮ সালের [[ডিসেম্বর]] মাসে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ [[অমর্ত্য সেন]] জাদুঘর পরিদর্শন করেন। <ref name="Akku Chowdury3"/> ২০১০ সালের ১১ [[আগস্ট]] মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে ৩৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ২৪ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিলেও এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর [[ইসলামী ব্যাংক]] থেকে কোন অনুদান নেয় নি।<ref>http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=134335&hb=4</ref> [[ঢাকা]]র আগারগাঁওয়ে ২.৫ বিঘা জমির উপর একটি পূর্ণাঙ্গ ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, যেখানে প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে [[ব্র্যাক ব্যাংক]] অবকাঠামো তৈরীতে এক কোটি টাকা প্রদান করবে।<ref>http://www.karatoa.com.bd/details.php?pub_no=296&menu_id=11&val=29223</ref>ভবনের নকশা করেছেন তরুণ স্থপতি তাজিন হাসান সেলিম ও নাহিদ ফারজানা।
শহীদ জননী [[জাহানারা ইমাম]] ১৯৭১-এ ঘাতকদের বিচারের জন্য ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি করেছিলেন যার সদস্য ছিলেন আক্কু চৌধুরী। [[জাহানারা ইমাম|জাহানারা ইমামের]] মৃত্যুর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগিয়ে তোলার চিন্তা থেকেই ১৯৯৪ সালে মোট আট জন ব্যাক্তি আক্কু চৌধুরী, [[মফিদুল হক]], [[আলী যাকের]], [[সারা যাকের]], [[আসাদুজ্জামান নূর]], [[রবিউল হুসাইন]], জিয়া উদ্দিন তারেক আলী ও ড. সারোয়ার আলী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নেন। অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে ৫ নম্বর সেগুনবাগিচায় ২২ মার্চ ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু হয় বেসরকারিভাবে জাদুঘর [[মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর|মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের]]।<ref name="Akku Chowdury1"/> জাদুঘরের দ্বিতীয় বছর পূর্তিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগজিৎ সিং অরোরা। ১৯৯৮ সালের [[ডিসেম্বর]] মাসে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ [[অমর্ত্য সেন]] জাদুঘর পরিদর্শন করেন। <ref name="Akku Chowdury3"/> ২০১০ সালের ১১ [[আগস্ট]] মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে ৩৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ২৪ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিলেও এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর [[ইসলামী ব্যাংক]] থেকে কোন অনুদান নেয় নি।<ref>http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=134335&hb=4</ref> [[ঢাকা]]র আগারগাঁওয়ে ২.৫ বিঘা জমির উপর একটি পূর্ণাঙ্গ ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, যেখানে প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে [[ব্র্যাক ব্যাংক]] অবকাঠামো তৈরীতে এক কোটি টাকা প্রদান করবে।<ref>http://www.karatoa.com.bd/details.php?pub_no=296&menu_id=11&val=29223</ref>ভবনের নকশা করেছেন তরুণ স্থপতি তাজিন হাসান সেলিম ও নাহিদ ফারজানা।
== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
<references />
<references />

০৭:৪৬, ৩ জুন ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আক্কু চৌধুরী
জন্ম
আক্কু চৌধুরী

১৯৫৩ সাল
পেশাহেড অব অপারেশনস, ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেড লিমিটেড[১]
পরিচিতির কারণমুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের একজন সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, শিল্প উদ্যোক্তা

আক্কু চৌধুরী একজন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের একজন সদস্য যিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[২]

প্রাথমিক জীবন

তিনি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের ছাত্র ছিলেন। সেখানে ছিল মাত্র তিনজন বাঙালি ছাত্র এবং বাকি সবাই অবাঙালি পাকিস্তানী ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রুমী তাঁর সিনিয়র বন্ধু ছিলেন। অসহযোগ আন্দোলনের সময় থেকে আক্কু চৌধুরী সবসময় মিটিং, মিছিল করতেন এবং জানতেন যে যুদ্ধে যেতে হতে পারে।[৩] ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর পরিবার দেশের বাইরে চলে যায়, কিন্তু ভিসা হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি দেশে থেকে যুদ্ধ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আক্কু চৌধুরী ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান ও পরে আমেরিকাতে গমন করেন। আমেরিকায় তিনি অনেক জাদুঘর পরিদর্শন করেন।[৪] ১৯৭২ সালে তিনি প্যাসিফিক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা ব্যবস্থাপনার ওপর পড়াশোনা করেন।[৫] ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তিনি তারপর স্ন্যাক জাংশন নামের প্রথম বার্গারের দোকান দেন ধানমন্ডিতে[৪] ২০০৬ সালে ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেড দেশে বিশ্ববিখ্যাত কেএফসি রেস্টুরেন্টের শাখা খোলে। তারা পরে পিৎজা হাটও চালু করে।[৬]


মুক্তিযুদ্ধে যোগদান

১৯৭১ সালের জুন মাসে আক্কু চৌধুরী ও তাঁর বন্ধু আরিফ দুজনে মিলে আগরতলায় পালিয়ে কলকাতায় চলে যান। কলকাতায় তারা এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাড়ির নিচতলায় বাংলাদেশ ইনফরমেশন ব্যাংকে যোগ দেয়। তাদের দায়িত্ব ছিল সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ্গুলো সংরক্ষণ করা। তারপর তারা এক সপ্তাহ ট্রেনিং নিয়েছিলেন মেজর হুদার কাছে এবং ১৯৭১-এর নভেম্বর মাসে তারা সেক্টর ৯-এ যুদ্ধে যোগ দেন যার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল। আক্কু চৌধুরী সাতক্ষীরা , খুলনা এলাকায় যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর তাঁরা সাতক্ষীরা মুক্ত করেন।[৩]

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ১৯৭১-এ ঘাতকদের বিচারের জন্য ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি করেছিলেন যার সদস্য ছিলেন আক্কু চৌধুরী। জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগিয়ে তোলার চিন্তা থেকেই ১৯৯৪ সালে মোট আট জন ব্যাক্তি আক্কু চৌধুরী, মফিদুল হক, আলী যাকের, সারা যাকের, আসাদুজ্জামান নূর, রবিউল হুসাইন, জিয়া উদ্দিন তারেক আলী ও ড. সারোয়ার আলী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নেন। অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে ৫ নম্বর সেগুনবাগিচায় ২২ মার্চ ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু হয় বেসরকারিভাবে জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের[২] জাদুঘরের দ্বিতীয় বছর পূর্তিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগজিৎ সিং অরোরা। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন জাদুঘর পরিদর্শন করেন। [৪] ২০১০ সালের ১১ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে ৩৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ২৪ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিলেও এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ইসলামী ব্যাংক থেকে কোন অনুদান নেয় নি।[৭] ঢাকার আগারগাঁওয়ে ২.৫ বিঘা জমির উপর একটি পূর্ণাঙ্গ ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, যেখানে প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক অবকাঠামো তৈরীতে এক কোটি টাকা প্রদান করবে।[৮]ভবনের নকশা করেছেন তরুণ স্থপতি তাজিন হাসান সেলিম ও নাহিদ ফারজানা।

তথ্যসূত্র

  1. bdnews24.com
  2. porshi.com
  3. sonalisakal.com/details.php?
  4. http://www.drishtipat.org/activists/akku.html
  5. http://www.thedailystar.net/magazine/2010/03/04/anniversary.htm
  6. http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=124343
  7. http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=134335&hb=4
  8. http://www.karatoa.com.bd/details.php?pub_no=296&menu_id=11&val=29223