আচ্ছাদন তন্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
EmausBot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.2+) (বট যোগ করছে: ast:Sistema integumentariu
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
Using {{lang}}
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Unreferenced|date=মার্চ ২০১০}}
{{Unreferenced|date=মার্চ ২০১০}}


'''আচ্ছাদন তন্ত্র''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি ভাষায়]]: Integumentary system) মানবদেহের একটি তন্ত্র। এর কাজ
'''আচ্ছাদন তন্ত্র''' ({{lang-en|Integumentary system}}) মানবদেহের একটি তন্ত্র। এর কাজ
# রাসায়নিক ও যান্ত্রিক বাধার মাধ্যমে শরীরকে রক্ষা করা
# রাসায়নিক ও যান্ত্রিক বাধার মাধ্যমে শরীরকে রক্ষা করা
# দেহের তাপ নিয়ন্ত্রন
# দেহের তাপ নিয়ন্ত্রন

২০:২১, ২ জুন ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আচ্ছাদন তন্ত্র (ইংরেজি: Integumentary system) মানবদেহের একটি তন্ত্র। এর কাজ

  1. রাসায়নিক ও যান্ত্রিক বাধার মাধ্যমে শরীরকে রক্ষা করা
  2. দেহের তাপ নিয়ন্ত্রন
  3. অতিবেগুনী রশ্মি হতে রক্ষা করা (মেলানিন)
  4. দেহকে পানিরোধী করা (ক্যারাটিন)
  5. ভিটিমিন ডি-এর উৎস
  6. স্নায়ু প্রান্ত যারা পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে
  7. সহজে রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে

ত্বক

ত্বক আচ্ছাদন তন্ত্রের একটি অঙ্গ আরও থাকে

  1. ধমনী
  2. শিরা
  3. চুল
  4. নখ
  5. স্নায়ু

ত্বক দেহের সবচেয়ে বৃহত্তম এবং ভারী অঙ্গ।

ত্বক তিনটি স্তরে বিভক্ত:

  1. ইপিডার্মিস ..বাইরের স্তর
  2. ডার্মিস ..ভেতরের স্তর
  3. সাবকিউটেনিয়াস কলা

ডার্মিসের নিচের সাবকিউটেনিয়াস কলা নিম্নবর্তী পেশী, কলা এবং অন্যন্য অঙ্গকে রক্ষা করে। এই কলা অনেক তন্তু ও এ্যাডিপোস (মেদ) কোষ দ্বারা গঠিত। তন্তুগুলো ডার্মিস হতে সাবডার্মিস পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে তাদের পরস্পরের বাঁধন মজবুদ করে এবং স্থিতিস্থাপকতা দেয়। ত্বকের উপরের চুল দেহের তাপ নিয়ন্ত্রনে এবং ক্ষতিকারক বন্তুকণা হতে রক্ষা করে।

ত্বকের গ্রন্থিগুলো হলো:

স্তর সমূহ

ইপিডার্মিস

ইপিডার্মিস ত্বকের বহিস্থঃ পাতলা স্তর যেখানে মেলানিন থাকে। এই মেলানিন ত্বকের রঙ নির্ধারণ করে এবং রোদে ত্বককে কালো করে। ক্যারোটিন ও অক্সিজেন-পূর্ণ হিমোগ্লোবিণও ত্বকের রঙের জন্য দ্বায়ী। ক্যারাটিন নামক আমিষ দ্বারাও ইপিডার্মিস আবৃত থাকে যা ইপিডার্মাল কলাকে শক্ত করে আঙ্গুলের নখ তৈরি করে। এর সর্ববহিস্থঃ স্তরে ২৫-৩০ স্তর বিশিষ্ট মৃত কোষের আবরণ থাকে। অন্যান্য স্তরগুলো হলো:

  1. আঁশালো কোষ ত্বকের বহিঃতল তৈরি করে
  2. মেলানোসাইট ত্বকের রঙ নির্ধারণ করে
  3. ল্যাঙ্গারহেন্স কোষ অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং রোগসংক্রমণ হতে রক্ষা করে

এটি নিম্নক্ত উপস্তরে বিভক্ত:

উপস্তর সমূহ

ইপিডার্মিস নিম্নক্ত ৫টি উপস্তর বা স্ট্র্যাটায় বিভক্ত:

  1. স্ট্র্যাটাম কর্ণিয়াম..৫ম ও সর্ববহিস্থঃ স্তর। সাইটোপ্লাজমে ক্যারাটিন (পানিনিরোধী আমিষ) থাকে এবং কোষগুলো মৃত।
  2. স্ট্র্যাটাম লুসিডাম..একটি ইলেডিন সম্মৃদ্ধ পাতলা স্তর। ইলেডিন একধরনের সচ্ছ পদার্থ যা ক্যারাটোহায়ালিন কণা হতে উৎপন্ন হয়। এই স্তর সকলের ত্বকে থাকে না।
  3. স্ট্র্যাটাম গ্র্যানুলোসাম..সাধারণত ৩ থেকে ৫ কোষ পুরু। সাইটোপ্লাজমে ক্যারাটোহায়ালিন কণা থাকে।
  4. স্ট্র্যাটাম স্পাইনোসাম..(কন্টক কোষ স্তর) কয়েক স্তর কোষ পুরু। কোষগুলো সাধারণত অসম বা সুচালো আকৃতির।
  5. স্ট্র্যাটাম ব্যাজালি..সর্বঅন্তস্থঃ কোষ স্তর। এরা মাইটোসিসের (কোষ বিভাজন) মাধ্যমে নতুন ইপিডার্মাল কোষের জন্ম দেয়।

ডার্মিস

ডার্মিস ত্বকের সবচেয়ে নিচের, পুরু স্তর। এটি রক্ত নালী, যোজক কলা, স্নায়ূ, লসিকা গ্রন্থি, ঘর্মগ্রন্থি এবং চুলের গোড়ার সমন্নয়ে গঠিত। এটি দুটি প্রধান স্তরে বিভক্ত:

  1. প্যাপিলারি স্তর: এখানে স্পর্শ রিসেপ্টর বিদ্যমান যারা কেন্দ্রিয় স্নায়ু তন্ত্রের সংগে যুক্ত। এছাড়া এরা আঙ্গুলের ছাপ তৈরি করে। প্যাপিলার মাধ্যমে এরা ইপিডার্মিসের সঙ্গে যুক্ত থাকে।

কাজ

রোগ এবং আঘাত