গ্রাম রঞ্জন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Asif.i.pharmacy (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Asif.i.pharmacy (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
গ্রাম স্টেইন ব্যাক্টেরিয়া সনাক্তকরণের জন্য বহুল ব্যবহৃত উপকরণ। ব্যাক্টেরিয়া সনাক্তকরণের জন্য এটিই মোটামটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও সফল পদ্ধতি। ১৮৮৪ সালে ক্রিসচিআন গ্রাম এ পদ্ধতি আবিস্কার করেন। এর পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই পদ্ধতি অত্যন্ত সার্থকভাবে প্রয়োগ হয়ে আসছে। গ্রাম স্টেইন পদ্ধতিতে ব্যাক্টেরিয়াকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে -১)গ্রাম পসিটিভ ব্যাক্টেরিয়া ও ২)গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়া। এ পদ্ধতিতে প্রথমে প্রস্তুতকৃত ব্যাক্টেরিয়া স্মিয়ারকে ক্রিসটাল ভায়োলেট রঞ্জক দ্বারা রঞ্জিত করা হয়। এরপর আয়োডিন দ্রবণ দ্বারা রঞ্জনটিকে স্থায়ী করে তাতে ইথাইল অ্যালকোহল অথবা অ্যাসিটোন দ্রবণ যোগ করা হয়। ইথাইল অ্যালকোহল বা অ্যাসিটোন নিরঞ্জক হিসাবে কাজ করে। এরপর স্মিয়ারটিতে যোগ করা হয় স্যাফ্রানিন যা কাউন্টার স্টেইনইং এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। সর্বশেষে স্মিয়ারটিকে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে পরীক্ষা করা হয়। যদি স্মিয়ারটি তার আদিবর্ণ অর্থাৎ বেগুনী বর্ণকে ধারন করে রাখে তাহলে স্মিয়ারটিতে রয়েছে গ্রাম পসিটিভ ব্যাক্টেরিয়া। আর যদি স্মিয়ারটি তার আদি বর্ণ হারিয়ে স্যাফ্রানিনের লাল বর্ণ ধারণ করে তাহলে স্মিয়ারটিতে রয়েছে গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়া। স্মিয়ার
গ্রাম স্টেইন ব্যাক্টেরিয়া সনাক্তকরণের জন্য বহুল ব্যবহৃত উপকরণ। ব্যাক্টেরিয়া সনাক্তকরণের জন্য এটিই মোটামটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও সফল পদ্ধতি। ১৮৮৪ সালে ক্রিসচিআন গ্রাম এ পদ্ধতি আবিস্কার করেন। এর পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই পদ্ধতি অত্যন্ত সার্থকভাবে প্রয়োগ হয়ে আসছে। গ্রাম স্টেইন পদ্ধতিতে ব্যাক্টেরিয়াকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে -১)গ্রাম পসিটিভ ব্যাক্টেরিয়া ও ২)গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়া। এ পদ্ধতিতে প্রথমে প্রস্তুতকৃত ব্যাক্টেরিয়া স্মিয়ারকে ক্রিসটাল ভায়োলেট রঞ্জক দ্বারা রঞ্জিত করা হয়। এরপর আয়োডিন দ্রবণ দ্বারা রঞ্জনটিকে স্থায়ী করে তাতে ইথাইল অ্যালকোহল অথবা অ্যাসিটোন দ্রবণ যোগ করা হয়। ইথাইল অ্যালকোহল বা অ্যাসিটোন নিরঞ্জক হিসাবে কাজ করে। এরপর স্মিয়ারটিতে যোগ করা হয় স্যাফ্রানিন যা কাউন্টার স্টেইনইং এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। সর্বশেষে স্মিয়ারটিকে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে পরীক্ষা করা হয়। যদি স্মিয়ারটি তার আদিবর্ণ অর্থাৎ বেগুনী বর্ণকে ধারন করে রাখে তাহলে স্মিয়ারটিতে রয়েছে গ্রাম পসিটিভ ব্যাক্টেরিয়া। আর যদি স্মিয়ারটি তার আদি বর্ণ হারিয়ে স্যাফ্রানিনের লাল বর্ণ ধারণ করে তাহলে স্মিয়ারটিতে রয়েছে গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়া।
== উপাদান ==
== উপাদান ==
# [[প্রাথমিক স্টেইন]] (primary stain): কৃস্টাল ভায়োলেট
# [[প্রাথমিক স্টেইন]] (primary stain): কৃস্টাল ভায়োলেট
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:
# [[ডিকালারাইজার]] (decoloriser): [[ইথাইল অ্যালকোহল]] ও [[অ্যাসিটোন]] মিশ্রণ
# [[ডিকালারাইজার]] (decoloriser): [[ইথাইল অ্যালকোহল]] ও [[অ্যাসিটোন]] মিশ্রণ
# [[কাউন্টার স্টেইন]](counter stain): স্যাফ্রানিন
# [[কাউন্টার স্টেইন]](counter stain): স্যাফ্রানিন
==ইতিহাস ও নামকরণ==
এই পদ্ধতিটির নামকরণ করা হয়েছে আবিষ্কারক ক্রিসচিআন গ্রাম ([[Hans Christian Gram]]) (১৮৫৩-১৯৩৮) এর নামে যিনি এ পদ্ধতি প্রথম প্রয়োগ করেন ১৮৮৪ সালে তার সহযোগী কার্ল ফ্রেডলেনডার ([[Carl Friedländer]]) এর সাথে বার্লিন শহরের একটি হাসপাতালের মর্গে কাজ করার সময়।






{{অসম্পূর্ণ}}


[[বিষয়শ্রেণী:অণুজীব বিজ্ঞান]]
[[বিষয়শ্রেণী:অণুজীব বিজ্ঞান]]

১৭:৫০, ৯ এপ্রিল ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

গ্রাম স্টেইন ব্যাক্টেরিয়া সনাক্তকরণের জন্য বহুল ব্যবহৃত উপকরণ। ব্যাক্টেরিয়া সনাক্তকরণের জন্য এটিই মোটামটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও সফল পদ্ধতি। ১৮৮৪ সালে ক্রিসচিআন গ্রাম এ পদ্ধতি আবিস্কার করেন। এর পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই পদ্ধতি অত্যন্ত সার্থকভাবে প্রয়োগ হয়ে আসছে। গ্রাম স্টেইন পদ্ধতিতে ব্যাক্টেরিয়াকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে -১)গ্রাম পসিটিভ ব্যাক্টেরিয়া ও ২)গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়া। এ পদ্ধতিতে প্রথমে প্রস্তুতকৃত ব্যাক্টেরিয়া স্মিয়ারকে ক্রিসটাল ভায়োলেট রঞ্জক দ্বারা রঞ্জিত করা হয়। এরপর আয়োডিন দ্রবণ দ্বারা রঞ্জনটিকে স্থায়ী করে তাতে ইথাইল অ্যালকোহল অথবা অ্যাসিটোন দ্রবণ যোগ করা হয়। ইথাইল অ্যালকোহল বা অ্যাসিটোন নিরঞ্জক হিসাবে কাজ করে। এরপর স্মিয়ারটিতে যোগ করা হয় স্যাফ্রানিন যা কাউন্টার স্টেইনইং এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। সর্বশেষে স্মিয়ারটিকে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে পরীক্ষা করা হয়। যদি স্মিয়ারটি তার আদিবর্ণ অর্থাৎ বেগুনী বর্ণকে ধারন করে রাখে তাহলে স্মিয়ারটিতে রয়েছে গ্রাম পসিটিভ ব্যাক্টেরিয়া। আর যদি স্মিয়ারটি তার আদি বর্ণ হারিয়ে স্যাফ্রানিনের লাল বর্ণ ধারণ করে তাহলে স্মিয়ারটিতে রয়েছে গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়া।

উপাদান

  1. প্রাথমিক স্টেইন (primary stain): কৃস্টাল ভায়োলেট
  2. মর্ডান্ট(mordant): গ্রাম-এর আয়োডিন সল্যুশন
  3. ডিকালারাইজার (decoloriser): ইথাইল অ্যালকোহলঅ্যাসিটোন মিশ্রণ
  4. কাউন্টার স্টেইন(counter stain): স্যাফ্রানিন

ইতিহাস ও নামকরণ

এই পদ্ধতিটির নামকরণ করা হয়েছে আবিষ্কারক ক্রিসচিআন গ্রাম (Hans Christian Gram) (১৮৫৩-১৯৩৮) এর নামে যিনি এ পদ্ধতি প্রথম প্রয়োগ করেন ১৮৮৪ সালে তার সহযোগী কার্ল ফ্রেডলেনডার (Carl Friedländer) এর সাথে বার্লিন শহরের একটি হাসপাতালের মর্গে কাজ করার সময়।