জুতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে, কোনো সমস্যা?
তথ্য+, সম্পাদনা (পুনর্লিখন আবশ্যক)
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
'''জুতা''' বা '''জুতো'''র উদ্ভাবন হয়েছিল মূলত মানুষের [[পা]] এর নিরাপত্তা বিধানের জন্যে, তবে এখন তা কেবল নিরাপত্তাই যোগায় না, বরং এটি সজ্জারও একটি অংশ। মানুষের পায়ে শরীরের অন্য যে কোন জায়গা অপেক্ষা অধিক হাড় আছে, আর আছে বহু শত সহস্র বছরের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ভূমি ও আবহাওয়াগত পরিবেশের মধ্য দিয়ে [[মানুষের বিবর্তন|বিবর্তনের]] ইতিহাস। পা এবং মানুষের ইন্দ্রিয় - এ দুয়ের সমন্বয়ে ফলেই আমাদের ভারসাম্য রক্ষা ও হাঁটা সম্ভবপর হয়েছে।
'''জুতা''' বা '''জুতো'''র উদ্ভাবন হয়েছিল মূলত মানুষের [[পা]] এর নিরাপত্তা বিধানের জন্যে, তবে এখন তা কেবল নিরাপত্তাই যোগায় না, বরং এটি সজ্জারও একটি অংশ। মানুষের পায়ে শরীরের অন্য যে কোন জায়গা অপেক্ষা অধিক হাড় আছে, আর আছে বহু শত সহস্র বছরের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ভূমি ও আবহাওয়াগত পরিবেশের মধ্য দিয়ে [[মানুষের বিবর্তন|বিবর্তনের]] ইতিহাস। পা এবং মানুষের ইন্দ্রিয় - এ দুয়ের সমন্বয়ে ফলেই আমাদের ভারসাম্য রক্ষা ও হাঁটা সম্ভবপর হয়েছে।


==ইতিহাস==
ইতিহাসের অধিকাংশ সময় ধরে সিংহভাগ মানুষই জুতো পরতো না। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ের আগ পর্যন্ত পৃথিবীর জনসংখ্যার বৃহৎ একটি অংশই জুতো পড়ত না - আর এর প্রধান কারণ ছিল জুতোর বহুমূল্য। বর্তমান সময়ের বৃহৎ উৎপাদন ব্যবস্থাই সস্তা [[চপ্পল]] ধরণের স্যান্ডাল তৈরি করে জুতোর ব্যবহার জনপ্রিয় করেছে।
ইতিহাসের অধিকাংশ সময় ধরে সিংহভাগ মানুষই জুতো পরতো না। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ের আগ পর্যন্ত পৃথিবীর জনসংখ্যার বৃহৎ একটি অংশই জুতো পড়ত না । তবে জুতার ব্যবহার চলে আসছে আদিকাল থেকে। প্রায় আট হাজার বছর আগেই মানুষ পথঘাট পাড়ি দেওয়ার জন্য জুতার ব্যবহার শুরু করে। ভারতবর্ষে এ পরিধেয় বস্তুটির ব্যবহার যে প্রাচীনকালেই শুরু হয়েছিল, তার প্রমাণ প্রাচীন সূর্যমূর্তি কিংবা কার্তিকের জুতা পরিধান। রামায়ণেও উল্লেখ আছে, দেবতা রামের অনুপস্থিতিতে ভরত যখন সিংহাসনে আসীন হন, তখন বড় ভাইয়ের পাদুকা-যুগল সিংহাসনে রেখেই তিনি রাজ্য পরিচালনা শুরু করেন। যিশুখ্রিস্টের জন্মের বহুকাল আগেই মহাকবি কালিদাসও তার 'কাদম্বরী' গ্রন্থে সন্ন্যাসীদের নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে তৈরি পাদুকা ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন।


==প্রকারভেদ==
জুতোর ধরণ ও ডিজাইন সময়ের সাথে সাথে বদলায়: যেমন জুতোয় উঁচু হিল থাকতে পারে, আবার নাও পারে। সমসাময়িক জুতা স্টাইল, সুবিধা এবং দামের দিক থেকে হরেক রকমের হয়। জুতা প্রধানত [[চামড়া]], [[কাঠ]], [[ক্যানভাস]] ইত্যাদি এবং অন্যান্য [[পেট্রোকেমিক্যাল]] জাত পদার্থ থেকে তৈরি হয়।
জুতোর ধরণ ও ডিজাইন সময়ের সাথে সাথে বদলায়: যেমন জুতোয় উঁচু হিল থাকতে পারে, আবার নাও পারে। সমসাময়িক জুতা স্টাইল, সুবিধা এবং দামের দিক থেকে হরেক রকমের হয়। জুতা প্রধানত [[চামড়া]], [[কাঠ]], [[ক্যানভাস]] ইত্যাদি এবং অন্যান্য [[পেট্রোকেমিক্যাল]] জাত পদার্থ থেকে তৈরি হয়। সভ্যতা যত বিকশিত হচ্ছিল, বস্তুটি তত আধুনিকতা লাভ করে। তবে জুতার আধুনিকায়ন শুরু হয় আজ থেকে ৪০০ বছর আগে এবং এ ধারা আজও চলছে। একেক সময় একেক ধরনের কাঠের জুতা তৈরি করে তার নতুন নতুন নামকরণও করা হয়েছে। পাদুকার প্রথম আধুনিকায়নে হাত দেয় ইউরোপীয়রা। ক্রমে পৃথিবীর অন্যান্য দেশও এতে অংশগ্রহণ করে। ১৮০০ শতকের দিকে জাপানিরা কাঠ দিয়ে তৈরি করে 'ওকোবো' নামে এক ধরনের জুতা, যার পরিমাপ ছিল ১৪ সেন্টিমিটার। সাধারণত বৃষ্টির দিনে কাদা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ জুতা পায়ে দিত জাপানের নারীরা। জুতাটির ফিতা হতো লাল। নারী-পুরুষ উভয়ের কথা মাথায় রেখেই ১৭০০ শতকের দিকে ইউরোপীয়রা তৈরি করে এক ধরনের উঁচু জুতা, যা 'হাই হিল' নামে পরিচিত। এ জুতা প্রথম ব্যবহার শুরু করেন ফ্রান্সের সম্রাট পঞ্চদশ লুই। খ্রিস্টীয় চতুর্দশ থেকে সপ্তদশ শতক পর্যন্ত লেবানিজরা ব্যবহার করত 'কাবকাবস' নামে এক ধরনের কাঠের জুতা। মূলত এটি মধ্যযুগে ব্যবহৃত জুতা দেখে নকশা করা হয়েছে। কর্দমাক্ত রাস্তা এবং গোসলখানায় ব্যবহার করার জন্য এটিই উত্তম বস্তু। বেশ উঁচু হওয়ায় কাদাপানি লাগার সম্ভাবনা একেবারেই কম। বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ফিনল্যান্ড গাছের ছাল দিয়ে তৈরি করে এক ধরনের পাদুকা। বৃষ্টি, কাদা এবং বরফ আচ্ছাদিত পথ পাড়ি দেওয়ার জন্যই মূলত এ জুতা তৈরি করা হয়। পরে অবশ্য নরওয়ে, সুইডেন এবং রাশিয়া এটি আধুনিকায়ন করে। পঞ্চদশ শতকের শেষদিকে ইতালিও কাঠ দিয়ে তৈরি করে 'চোপিনস' নামে এক ধরনের ক্ষুদ্রাকৃতির জুতা। নারীদের ব্যবহারের জন্য এ জুতার পরিমাপ ৫ ইঞ্চি। ভারতবর্ষে ১৭০০ শতকের দিকে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল কাঠের খড়ম। উনিশ শতকের দিকে ফ্রান্সে একবার কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছিল বিয়ের জুতা। তারা এ জুতার ধারণা পেয়েছিল নবম শতকের দিকে প্রাচীন আফ্রিকার মরিসাসের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের ব্যবহৃত জুতা দেখে।


===খড়ম===
{{বস্ত্র}}
'''খড়ম''' কাঠের তৈরী এক প্রকার পাদুকা। ১৭০০ শতকের দিকে কাঠের তৈরি খড়ম ভারতীয় উপমহাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল

{{পরিধেয়}}
{{অসম্পূর্ণ}}
{{অসম্পূর্ণ}}



০৮:৪১, ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হাল ফ্যাশনের জুতো।
জুতোর নকশা।

জুতা বা জুতোর উদ্ভাবন হয়েছিল মূলত মানুষের পা এর নিরাপত্তা বিধানের জন্যে, তবে এখন তা কেবল নিরাপত্তাই যোগায় না, বরং এটি সজ্জারও একটি অংশ। মানুষের পায়ে শরীরের অন্য যে কোন জায়গা অপেক্ষা অধিক হাড় আছে, আর আছে বহু শত সহস্র বছরের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ভূমি ও আবহাওয়াগত পরিবেশের মধ্য দিয়ে বিবর্তনের ইতিহাস। পা এবং মানুষের ইন্দ্রিয় - এ দুয়ের সমন্বয়ে ফলেই আমাদের ভারসাম্য রক্ষা ও হাঁটা সম্ভবপর হয়েছে।

ইতিহাস

ইতিহাসের অধিকাংশ সময় ধরে সিংহভাগ মানুষই জুতো পরতো না। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ের আগ পর্যন্ত পৃথিবীর জনসংখ্যার বৃহৎ একটি অংশই জুতো পড়ত না । তবে জুতার ব্যবহার চলে আসছে আদিকাল থেকে। প্রায় আট হাজার বছর আগেই মানুষ পথঘাট পাড়ি দেওয়ার জন্য জুতার ব্যবহার শুরু করে। ভারতবর্ষে এ পরিধেয় বস্তুটির ব্যবহার যে প্রাচীনকালেই শুরু হয়েছিল, তার প্রমাণ প্রাচীন সূর্যমূর্তি কিংবা কার্তিকের জুতা পরিধান। রামায়ণেও উল্লেখ আছে, দেবতা রামের অনুপস্থিতিতে ভরত যখন সিংহাসনে আসীন হন, তখন বড় ভাইয়ের পাদুকা-যুগল সিংহাসনে রেখেই তিনি রাজ্য পরিচালনা শুরু করেন। যিশুখ্রিস্টের জন্মের বহুকাল আগেই মহাকবি কালিদাসও তার 'কাদম্বরী' গ্রন্থে সন্ন্যাসীদের নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে তৈরি পাদুকা ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন।

প্রকারভেদ

জুতোর ধরণ ও ডিজাইন সময়ের সাথে সাথে বদলায়: যেমন জুতোয় উঁচু হিল থাকতে পারে, আবার নাও পারে। সমসাময়িক জুতা স্টাইল, সুবিধা এবং দামের দিক থেকে হরেক রকমের হয়। জুতা প্রধানত চামড়া, কাঠ, ক্যানভাস ইত্যাদি এবং অন্যান্য পেট্রোকেমিক্যাল জাত পদার্থ থেকে তৈরি হয়। সভ্যতা যত বিকশিত হচ্ছিল, বস্তুটি তত আধুনিকতা লাভ করে। তবে জুতার আধুনিকায়ন শুরু হয় আজ থেকে ৪০০ বছর আগে এবং এ ধারা আজও চলছে। একেক সময় একেক ধরনের কাঠের জুতা তৈরি করে তার নতুন নতুন নামকরণও করা হয়েছে। পাদুকার প্রথম আধুনিকায়নে হাত দেয় ইউরোপীয়রা। ক্রমে পৃথিবীর অন্যান্য দেশও এতে অংশগ্রহণ করে। ১৮০০ শতকের দিকে জাপানিরা কাঠ দিয়ে তৈরি করে 'ওকোবো' নামে এক ধরনের জুতা, যার পরিমাপ ছিল ১৪ সেন্টিমিটার। সাধারণত বৃষ্টির দিনে কাদা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ জুতা পায়ে দিত জাপানের নারীরা। জুতাটির ফিতা হতো লাল। নারী-পুরুষ উভয়ের কথা মাথায় রেখেই ১৭০০ শতকের দিকে ইউরোপীয়রা তৈরি করে এক ধরনের উঁচু জুতা, যা 'হাই হিল' নামে পরিচিত। এ জুতা প্রথম ব্যবহার শুরু করেন ফ্রান্সের সম্রাট পঞ্চদশ লুই। খ্রিস্টীয় চতুর্দশ থেকে সপ্তদশ শতক পর্যন্ত লেবানিজরা ব্যবহার করত 'কাবকাবস' নামে এক ধরনের কাঠের জুতা। মূলত এটি মধ্যযুগে ব্যবহৃত জুতা দেখে নকশা করা হয়েছে। কর্দমাক্ত রাস্তা এবং গোসলখানায় ব্যবহার করার জন্য এটিই উত্তম বস্তু। বেশ উঁচু হওয়ায় কাদাপানি লাগার সম্ভাবনা একেবারেই কম। বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ফিনল্যান্ড গাছের ছাল দিয়ে তৈরি করে এক ধরনের পাদুকা। বৃষ্টি, কাদা এবং বরফ আচ্ছাদিত পথ পাড়ি দেওয়ার জন্যই মূলত এ জুতা তৈরি করা হয়। পরে অবশ্য নরওয়ে, সুইডেন এবং রাশিয়া এটি আধুনিকায়ন করে। পঞ্চদশ শতকের শেষদিকে ইতালিও কাঠ দিয়ে তৈরি করে 'চোপিনস' নামে এক ধরনের ক্ষুদ্রাকৃতির জুতা। নারীদের ব্যবহারের জন্য এ জুতার পরিমাপ ৫ ইঞ্চি। ভারতবর্ষে ১৭০০ শতকের দিকে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল কাঠের খড়ম। উনিশ শতকের দিকে ফ্রান্সে একবার কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছিল বিয়ের জুতা। তারা এ জুতার ধারণা পেয়েছিল নবম শতকের দিকে প্রাচীন আফ্রিকার মরিসাসের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের ব্যবহৃত জুতা দেখে।

খড়ম

খড়ম কাঠের তৈরী এক প্রকার পাদুকা। ১৭০০ শতকের দিকে কাঠের তৈরি খড়ম ভারতীয় উপমহাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল

টেমপ্লেট:পরিধেয়