ফ্রাঙ্কফুর্ট

স্থানাঙ্ক: ৫০°০৬′৩৮″ উত্তর ০৮°৪০′৫৬″ পূর্ব / ৫০.১১০৫৬° উত্তর ৮.৬৮২২২° পূর্ব / 50.11056; 8.68222
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইন
Frankfurt am Main
শহর
ফ্রাঙ্কফুর্ট শহর
ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইন শহরের দৃশ্য
ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইন শহরের দৃশ্য
ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইনের পতাকা
পতাকা
ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইনের অফিসিয়াল সীলমোহর
সীলমোহর
ফ্রাঙ্কফুর্ট জার্মানি-এ অবস্থিত
ফ্রাঙ্কফুর্ট
ফ্রাঙ্কফুর্ট
ফ্রাঙ্কফুর্টের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৫০°০৬′৩৮″ উত্তর ০৮°৪০′৫৬″ পূর্ব / ৫০.১১০৫৬° উত্তর ৮.৬৮২২২° পূর্ব / 50.11056; 8.68222
দেশ জার্মানি
অঞ্চলহেসে
প্রদেশডার্মষ্টাট
শহরের পুনর্বিভাজন১৬টি জেলায়
স্থাপিত১ম শতক
সরকার
 • মেয়র পার্টিCDU
 • মেয়রপেত্রা রথ্‌
আয়তন
 • মোট২৪৮.৩১ বর্গকিমি (৯৫.৮৭ বর্গমাইল)
উচ্চতা১১২ মিটার (৩৬৭ ফুট)
জনসংখ্যা (৩১/১২/২০০৯[১])
 • মোট৬,৭১,৯২৭
 • জনঘনত্ব২,৭০৬/বর্গকিমি (৭,০১০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলসিইটি (ইউটিসি+১)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)সিইটি +২ (ইউটিসি)
পোষ্ট কোড৬০০০১-৬০৫৯৯
৬৫৯০১-৬৫৯৩৬
এলাকা কোড০৬৯, ০৬১০৯, ০৬১০১
ওয়েবসাইটফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের সরকারি ওয়েবসাইট

ফ্রাঙ্কফুর্ট (জার্মান: Frankfurt; জার্মান উচ্চারণ: [ˈfʁaŋkfʊɐt am ˈmaɪn] (শুনুন)) জার্মানীর পঞ্চম বৃহত্তম শহর। শহরটির পূর্ণ নাম ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইনমাইন নদীর ফোর্ড বা অগভীর তীরে গড়ে উঠা এ শহরটি ফোর্ড অব দা ফ্রাঙ্ক নামেও পরিচিত। ফ্রাঙ্কফুটই জার্মানীর একমাত্র শহর যা প্রথম দশটি ‘আলফা ওয়ার্ল্ড সিটি’র একটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন জার্মানীর অংশ ছিল এই ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং এখানেই ছিল জার্মানীতে অবস্থানকৃত অ্যামেরিকার সকল কার্যক্রমের সদর দপ্তর।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০০৮ সালের তথ্যনুসারে এর শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৬,৭০,০০০। ‍"রাইন-মেইন মেট্রোপলিটন" এলাকার কেন্দ্রে অবস্থিত এ শহরটি জার্মানীর দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মেট্রোপলিটন এলাক। ফ্রাঙ্কোনিকা অঞ্চলের অংশ বলে এ শহরে প্রথম দিকে ফ্রাঙ্করা বসবাস করতো।

আবহাওয়া[সম্পাদনা]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

মাইন নদীর তীরে অবস্থিত বলে ফ্রাঙ্কফুর্ট আর্থিক এবং যোগাযোগের দিক দিয়ে জার্মানীর কেন্দ্রতো বটেই, এটি ইউরোপ মহাদেশেরও ব্যস্ততম অর্থনৈতিক কেন্দ্র। এখানে ইউরোপীয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জার্মানির ফেডারেল ব্যাংক, ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টক এক্সচেঞ্জ এবং আরো অসংখ্যা বড় বড় ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। শত শত বছর ধরেই ফ্রাঙ্কফুর্ট ছিল জার্মানীর অর্থনৈতিক কেন্দ্র এবং এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্র্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ গড়ে উঠেছে। ফাঙ্কফুর্টে অর্থনীতির তিনটি বড় স্তম্ভ হল এর অর্থ, যোগাযোগ এবং বাণিজ্য মেলা। ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টক এক্সচেঞ্জ জার্মনীর সবচেয়ে বড় এবং পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টক এক্সচেঞ্জ। এ শহরে অবস্থিত ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমগ্র ওয়রো অঞ্চলের অর্থনৈতিক নীতিমালা গঠন করে। এছাড়াও এখানেই জার্মানীর জার্মান ফেডারেল ব্যাংক এবং আরো ৩০০টি দেশী ও বিদেশী ব্যাংক অবস্থিত। জার্মানীর বেশির ভাগ ব্যাংকেরই সদরদপ্তর এখানে অবস্থিত। এছাড়াও ফ্রাঙ্কফুর্টের "Frankfurter Kreuz" ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ততম ইন্টারচেঞ্জ।

যোগাযোগ[সম্পাদনা]

ফ্রাঙ্কফুর্টের রয়েছে একটি চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভৌগোলিক দিক দিয়ে এ শহরটি ইউরোপের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং এর অত্যন্ত সুবিধাজনক বিমান, রেল এবং সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণেই এটি ইউরোপের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর পৃথিবীর অন্যতম বড় এবং ব্যস্ততম এয়ারপোর্টের একটি যার মধ্য দিয়ে বৎসরে ৫ কোটি যাত্রী যাতায়াত করে। "ফ্রাঙ্কফুর্টের সেন্ট্রাল স্টেশন" ইউরোপের অন্যতম বড় একটি রেল টার্মিনাল।

মেলার শহর ফ্রাঙ্কফুর্ট[সম্পাদনা]

খুবই উল্লেখযোগ্য অনেক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রতিবছরই এ শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় মোটর শো "ইন্টারন্যাশনাল মোটর শো", পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বই মেলা "ফ্রাঙ্কফুর্ট বুক ফেয়ার" এবং সঙ্গীতের বিভিন্ন সরঞ্জাম, লাইটিং, রেকর্ডিং এবং সাউন্ড রিইনফোর্সমেন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মেলা "Musik Messe" বেশি উল্লেখযোগ্য। এখানেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেলার একটি "ফ্রাঙ্কফুর্ট ট্রেড ফেয়ার" অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

এ শহরে অনেক উল্লেখযোগ্য শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে "Goethe University Frankfurt" বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

এ শহরে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। রয়েছে বেশ কিছু জাদুঘর, দুটি গুরুত্বপূর্ণ বোটানিক্যাল গার্ডেন ইত্যাদি।

আকাশচুম্বী শহর[সম্পাদনা]

ফ্রাঙ্কফুর্ট ইউরোপের প্রধান তিনটি শহরের একটি যেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক আকাশচুম্বী বিল্ডং রয়েছে। ফ্রান্সের প্যারিসের ১৪টি পর ইউরোপের ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং লন্ডনেই সর্বোচ্চ ১০ আকাশচুম্বী ভবন রয়েছে। (আকাশচুম্বী ভবন = যে বিল্ডিংগুলো ১৫০ মিটার বা ৪৯২ ফিটের চেয়েও অধিক লম্বা) ফ্রাঙ্কফুর্টের Commerzbank Tower এবং Messeturm যথাক্রমে ইউরোপের ৩য় ও ৪র্থ বিল্ডিং।

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

  • এভেলিন শর্মা - ভারতীয় পিতা ও জার্মান মায়ের সন্তান , বলিউড অভিনেত্রী

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]