ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশকার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফরিদ উদ্দিন মাসুদ গঞ্জেশকার
گنجِ شکر গঞ্জ-এ-শাকার شیخ العالم শাইখ-উল-আলম
জন্মআনু. ৪ এপ্রিল ১১৭৩
মুলতানের কথেয়াল গ্রাম, পাঞ্জাব
মৃত্যু১২৬৬/১২৮০
পাকপাত্তান, পাঞ্জাব
শ্রদ্ধাজ্ঞাপনইসলাম, বিশেষভাবে চিশতি সুফি তরিকা
যার দ্বারা প্রভাবিতকুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী
যাদের প্রভাবিত করেনঅনেক, নিজামুদ্দিন আউলিয়া, জামাল উদ্দিন হান্সবি এবং আলাউদ্দিন সাবির কলয়রী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য

খাজা ফরিদউদ্দিন মাসুদ গঞ্জেশকার (১১৭৩-১২৬৬) ছিলেন একজন সুফি সাধক এবং দক্ষিণ এশিয়ার পাঞ্জাব অঞ্চলে ইসলাম ধর্মপ্রচারক। তিনি চিশতিয়া ত্বরীকার সিদ্ধ পুরুষ ছিলেন।[১] তাকে পাঞ্জাবি সাহিত্যের অন্যতম প্রধান পুরোধা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[২] পাঞ্জাব অঞ্চলের মুসলমান ও শিখদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার সাথে বাবা ফরিদ বা শেখ ফরিদ নামে পরিচিত বা কেবল ফরিউদ্দিন গঞ্জশকার নামেও পরিচিত।

জীবনী[সম্পাদনা]

বাবা ফরিদ ১১৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মুলতান হতে ১০ কি.মি দূরে পাঞ্জাবের, যা বর্তমানে পাকিস্তান, কোথেওয়াল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চিশতি সুফি তরিকার প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন।[৩][৪][৫]

ফরিদের বংশ ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনে আল খাত্তাব এর বংশের সাথে সর্ম্পকযুক্ত।ফরিদ যদিও ইব্রাহিম ইবনে আদম এর পৌত্র ছিলেন তিনি মুলতানে,যা মুসলমানদের শিক্ষার জন্য একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, তার প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। ফরিদ মুলতানেই তার পীর (আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক), কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী, ভারতীয় উপমহাদেশের সুপরিচিত সুফি সাধক, এর সাথে দেখা হয় যিনিমুলতান হযে বাগদাদ হতে দিল্লিতে যাচ্ছিলেন।[১]

আধ্যাত্মিক ধারা[সম্পাদনা]

চিশতিয়া তরিকায় বাবা ফরিদের আধ্যাত্মিক ধারা[৬][অনির্ভরযোগ্য উৎস?]

  1. মুহাম্মদ (দ.)
  2. আলী ইবনে আবু তালিব
  3. হাসান বসরী
  4. আব্দুল ওয়াহিদ বিন যাইদ
  5. ফুজাইল ইবনে আয়াজ
  6. ইব্রাহিম বিন আদহাম
  7. হুযাইফাহ আল-মার'আশি বসরা
  8. আবু হুবাইয়া আল-বসরী
  9. খাজা মুমশাদ আল দিনাওয়ারি দিনাওয়ার[৭]
  10. আবু ইসহাক শামী (চিশতি নামের শুরু)
  11. আবু আহমদ আবদাল চিশতি[৮]
  12. আবু মুহাম্মদ চিশতি[৯]
  13. আবু ইউসুফ বিন ছামান
  14. মাওদুদ চিশতি
  15. শরীফ জান্দানি
  16. উসমান হারুনী
  17. মইনুদ্দিন চিশতী
  18. কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী
  19. ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকার



কাব্যচর্চা[সম্পাদনা]

বাবা ফরিদ গঞ্জশেখর এর কাব্যকে শিখ ধর্মের গ্রন্থসমূহে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sheikh Fariduddin Ganj-i-Shakar ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে Ain-e-Akbari by Abul Fazal, English translation, by Heinrich Blochmann and Colonel Henry Sullivan Jarrett, 1873–1907. The Asiatic Society of Bengal, Calcutta; Volume III, Saints of India. (Awliyá-i-Hind), page 363.
  2. Omer Tarin, 'Hazrat Baba Farid Ganj Shakar and the evolution of the literary Punjabi:A Brief Review' in Journal of Humanities and Liberal Arts, 1995, pp.21-30
  3. Sheikh Farid, by Dr. Harbhajan Singh. Hindi Pocket Books, 2002. আইএসবিএন ৮১-২১৬-০২৫৫-৬. Page 11.
  4. Baba Sheikh Farid Shakarganj – Biography www.punjabilok.com.
  5. Sufis – Wisdom against Violence The South Asian, April 2001.
  6. "The Mashaikh of Chisht by Shaykh Muhammad Zakariya Kandhlawi | PDF | Medina | Abrahamic Religions" 
  7. "Khwaja Mumshad Uluw Al-Dinawari – Chishtiya Ribbat"। ৯ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০২২ 
  8. "Khwaja Abu Ahmad Abdal Al-Chishti – Chishtiya Ribbat"। ৯ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০২২ 
  9. "Khwaja Abu Mohammed Al-Chishti r.a – Chishtiya Ribbat"। ১০ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]